শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ (২০০১-এর চলচ্চিত্র)

দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ২০০১-এর চলচ্চিত্র
(শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[২] ছবিটি পরিচালনা করেছেন দিলীপ বিশ্বাস তনয় দেবাশীষ বিশ্বাস এবং এটিই তার পরিচালিত প্রথম ছবি।[৩] এর আগে তিনি পথের প্যাঁচালী নামে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্হাপনা করেছিলেন। সম্পূর্ণ পারিবারিক গল্প নিয়ে নির্মিত এই ছবির উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, শাবনূর, সোনিয়া, নবাগত রাহুল, বুলবুল আহমেদ, রিনা খান, প্রবীর মিত্র, ডলি জহুর, মিশা সওদাগর, এটিএম শামসুজ্জামান

শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ
ডিভিডি প্রচ্ছদ
পরিচালকদেবাশীষ বিশ্বাস
প্রযোজকগায়ত্রী বিশ্বাস
রচয়িতাদিলীপ বিশ্বাস
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারইমন সাহা
চিত্রগ্রাহকআবুল খায়ের
সম্পাদকআমিনুল ইসলাম মিন্টু
পরিবেশকগীতি চিত্রকথা
মুক্তি
  • ১৭ ডিসেম্বর ২০০১ (2001-12-17)
[১]
স্থিতিকাল২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

কাহিনী সংক্ষেপ সম্পাদনা

মিসেস “দিলরুবা চৌধুরী” (রিনা খান) ব্যবসায় টাকা খাটিয়ে আলিশান বাড়ি ও চৌধুরী এন্ড কোম্পনী নামে বিরাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন। স্বভাবে তিনি রাগী, বদমেজাজী। অফিস ও বাড়ীতে নিজের মনগড়া নিয়মে সবাইকে চলতে বাধ্য করেন। দিলরুবার স্বামী “আরমান চৌধুরী” (বুলবুল আহমেদ) বিশিষ্ট ভদ্রলোক। কলিজার জোর কম থাকায় স্ত্রীর ইচ্ছে মত তাকে চলতে হয়। আরমান চৌধুরীর বড় মেয়ে “প্রেমা চৌধুরী” (শাবনূর) স্বভাবে নম্র ভদ্র, অনেকটা বাবার মত। আর ছোট মেয়ে “রিয়া চৌধুরী” (সোনিয়া) অবিকল মায়ের মত। আধুনিকতার নামে নগ্নতা- অসভ্যতা তার স্বভাব। এছাড়াও এ পরিবারের হেড বাবুর্চী- “হেকমত আলী মুন্সী ওরফে হেকমী” (এটিএম শামসুজ্জামান) দিলরুবা চৌধুরীর খাস চামচা, যিনি দিলরুবা চৌধুরীর স্বেচ্ছাচারিতার মদদ যোগান।

মিসেস দিলরুবা চৌধুরীর বিজনেস পার্টনার “মিঃ মজুমদার” (অমল বোস) এর প্রচুর অর্থ থাকায় তার আধপাগল একমাত্র ছেলে ইমনের সাথে প্রেমার বিয়ে ঠিক করে। প্রতিবাদ করতে না পেরে আরমান চৌধুরী প্রেমাকে পলাশপুরে বন্ধু “রাজিব খন্দকার” (প্রবির মিত্র) এর বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। রাজিব খন্দকার নিঃ সন্তান থাকায় মটর মেকানিক “বাঁধন”কে (রিয়াজ) ছোটবলা থেকেই সন্তান স্নেহে বড় করেছেন। একসময় বাঁধন ও প্রেমা দুজন দুজনার কাছে চলে আসে। দিলরুবা চৌধুরী সম্পর্কে বাধঁনের খালা হয়, কিন্তু এটা দিলরুবা জানে না! যদিও পরবর্তীতে জানতে পারে। আরমান চৌধুরী প্রেমার ও বাধঁনের ভালবাসা মেনে নিয়ে তাদের বিয়ে দিয়ে দেন। কিন্তু দিলরুবা চৌধুরী এ বিয়েটা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। সে বাঁধনকে গরীব এবং ছোটলোক বলে চরম অপমান করে। আরমান চৌধুরী প্রেমার স্বামী হিসেবে বাঁধনকে শ্বশুর বাড়ীতে তার অধিকার আদায়ের জন্য অনুপ্রাণিত করেন। শ্বশুর বাড়ীতে প্রতিষ্ঠা পাবার জন্য শুরু হয় বাঁধনের সংগ্রাম। এদিকে দিলরুবা চৌধুরী বাঁধনকে চিরতরে বাড়ী থেকে তাড়াবার জন্য স্বচেষ্ট হন। ফন্দি আঁটেন ১৪ লক্ষ টাকার একটি নেকলেস চুরির অপরাধে বাঁধনকে চোর সাজাবার। বাঁধনের বুদ্ধিমত্তায় তার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। চুরির অপরাধে দিলরুবার খাস চামচা হেকমী ফেঁসে যায়। তখন বাঁধন এই নাটকীয় ঘটনার রহস্য সহ দিলরুবা চৌধুরীর পুরো অতীত ইতিহাস সবার সামনে তুলে ধরে।

অতীতে বাঁধনের বাবা দুর্ঘটনায় মারা গেলে দিলরুবা চৌধুরীর বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয় বাধনের মা। তারপর দিলরুবা বাধঁনের টাকা পাওয়া লটারি চুরি করে বাধনের মাকে গহনা চুরির অপরাধে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বাধনের সাথে যোগ দিয়ে নিজের স্ত্রীর সব ষড়যন্ত্র ফাস করে দেন আরমান চৌধুরী। স্ত্রীর উপর সারা জীবনের জমানো ক্রোধ এর জ্বালায় আরমান চৌধুরী সবাইকে নিয়ে বাড়ী থেকে চলে যেতে চাইলে দিলরুবা চৌধুরী নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং নিজের কৃতকর্মের জন্য সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আর এতেই সবার মিলনে গল্পের সমাপ্তি ঘটে।

অভিনয়ে সম্পাদনা

সংগীত সম্পাদনা

শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ ছবির সংগীত রচনা করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং সংগীত পরিচালনা করেন ইমন সাহা

গানের তালিকা সম্পাদনা

ট্র্যাক গান কণ্ঠশিল্পী টীকা পর্দায়
আমার ভালবাসার গাড়ির ইঞ্জিন চালু হলো অ্যান্ড্রু কিশোর রিয়াজ
আমি ছিলাম একা তোমার সাথে হলো দেখা উদিত নারায়ন রিয়াজশাবনূর
তোমার আমার বিয়ের কথা রাখব না গোপন অ্যান্ড্রু কিশোরসামিনা চৌধুরী শিরোনাম গান রিয়াজশাবনূর
শ্বশুরবাড়ী আইসা আমার আশা ফুরাইছে মনির খান রিয়াজ

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "দিলীপ বিশ্বাস বলতেন, 'অ' 'আ' এর বেশি শিখতে পারিনি"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২২ 
  2. দেবাশীষ বিশ্বাসের নতুন ছবিতে জুটি হচ্ছেন ইমন-শখ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ ২০০২ সালে
  3. স্মৃতিময় বুলবুল আহমেদ : কাছের মানুষ ও সহকর্মীদের অনুভূতি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে আমার জীবনের প্রথম শটের প্রথম অভিনেতা : দেবাশীষ বিশ্বাস

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা