নাজমা (চলচ্চিত্র)

১৯৮৩-এর সুভাষ দত্ত পরিচালিত চলচ্চিত্র

নাজমা সুভাষ দত্ত পরিচালিত ১৯৮৩ সালের প্রণয়ধর্মী-নাট্য চলচ্চিত্র।[১][২] ছবির কাহিনী লিখেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চিত্রনাট্য লিখেছেন সুভাষ দত্ত ও সংলাপ লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকুজ্জামানআবু জাফর খান প্রযোজিত ও শাবানা নিবেদিত এই চলচ্চিত্র পরিবেশনা করেছে এস এস প্রডাকশন্স। এতে নাম চরিত্রে (নাজমা) অভিনয় করেছেন শাবানা[৩] এবং কেন্দ্রীয় পুরুষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রবীর মিত্র, দিলারা, আনোয়ার হোসেন, রোজী আফসারী, গোলাম মুস্তাফা, জসিম প্রমুখ।

নাজমা
নাজমা চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকসুভাষ দত্ত
প্রযোজকআবু জাফর খান
রচয়িতামোহাম্মদ রফিকুজ্জামান (সংলাপ)
চিত্রনাট্যকারসুভাষ দত্ত
কাহিনিকারদেলোয়ার জাহান ঝন্টু
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারআলাউদ্দিন আলী
চিত্রগ্রাহকআব্দুর রাজ্জাক তালুকদার
সম্পাদকলুৎফর রহমান
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকএস এস প্রডাকশন্স
মুক্তি১৯৮৩ (1983)
স্থিতিকাল১৩২ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

এই চলচ্চিত্রের নাজমা চরিত্রে অভিনয় করে শাবানা ৮ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে টানা তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কৃত হন।

কাহিনী সংক্ষেপ সম্পাদনা

নাদিম রহমান একজন জজের পুত্র। বাবার কড়া শাসনের পরও সে তার জীবন নিয়ে উদাসীন। সারাদিন পার্টি আর মদ নিয়েই থাকে। একদিন মদ খেয়ে মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরলে বাবার কাছে ধরা পড়ে যায়। বাবা তাকে বকাঝকা করে। পরদিন বন্ধুদের নিয়ে কক্সবাজার চলে যায় বেড়াতে। সেখানে পরিচয় হয় নাজমার সাথে। অচিরেই সে নাজমার প্রেমে পড়ে এবং প্রেম বিয়েতে গড়ায়। বিয়ে করে বউ নিয়ে বাড়িতে এলে জজ বাবা তাকে জীবনের কঠোর শিক্ষা নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য আবেদন করতে গিয়ে সে ফেরত আসে। অবশেষে সে একটি ভালো চাকরির জোগাড় করে এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখের জীবনযাপন শুরু করে।

কিন্তু এই সুখের সংসারে বাঁধা হয়ে আসে জাফর মির্জা। জাফর নাজমার বাগদত্তা ছিল। সে নাদিমকে তার আর নাজমার বিয়ের কিছু ভুয়া কাগজপত্র দেখায়। ফলে রাগান্বিত হয়ে নাদিম নাজমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অন্যদিকে নাজমার নানা আনোয়ার আহমেদ চৌধুরীর সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে সে তাকে খুন করে। নাদিম আদ্যোপান্ত সব জানার পর নাজমাকে খুঁজতে বের হয়।

কুশীলব সম্পাদনা

সঙ্গীত সম্পাদনা

নাজমা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলাউদ্দিন আলী। গীত রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারএম এ মালেক। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, সৈয়দ আব্দুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, রুনা লায়লা, কুমার বিশ্বজিৎ ও পাপ্পু লাহিড়ী। সঙ্গীত গ্রহণ করা হয় শ্রুতি স্টুডিওতে।

গানের তালিকা সম্পাদনা

নং.শিরোনামরচয়িতাকণ্ঠশিল্পীদৈর্ঘ্য
১."শুনেন শুনেন সুধীজন"গাজী মাজহারুল আনোয়ারকুমার বিশ্বজিৎসাবিনা ইয়াসমিন:
২."চোখে চোখে রাগ"গাজী মাজহারুল আনোয়ারএন্ড্রু কিশোরসাবিনা ইয়াসমিন:
৩."ফুলের বাসর ঘর"গাজী মাজহারুল আনোয়ারএন্ড্রু কিশোর ও রুনা লায়লা:
৪."সবাই বলে তুমি নাকি"এম এ মালেকপাপ্পু লাহিড়ী:

পুরস্কার সম্পাদনা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. আহমেদ, সাজু (১৫ নভেম্বর ২০১৬)। "সুভাষ দত্ত স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি"দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. আলম, আসিফ (১৬ নভেম্বর ২০১৬)। "সুভাষ দত্তের চলে যাওয়ার চার বছর"নিউজনেক্সটবিডি ডটকম। ২০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  3. মুৎসুদ্দী, ইলা (১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "অপরূপা শাবানা : এখনো দর্শকদের হৃদয়ে"দৈনিক আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "রূপালি পর্দার মায়েরা কেমন"ঢালিউড ইনফো। ৩১ জুলাই ২০১৫। ১৭ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা