সারেন্ডার (১৯৮৭-এর চলচ্চিত্র)
সারেন্ডার জহিরুল হক পরিচালিত ১৯৮৭ সালের বাংলাদেশী রোম্যান্টিক-অ্যাকশন চলচ্চিত্র। ছবিটি কাহিনী রচনা ও প্রযোজনা করেছেন সিদ্দিক জামাল নান্টু এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন জহিরুল হক। ছবিটি প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছে নান্টু মিন্টু প্রডাকশন্স। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন জসিম, শাবানা,[২] বুলবুল আহমেদ, আবুল কাশেম মিঠুন, সিদ্দিক জামাল নান্টু, মাহবুব খান, বাবর ও মিজু আহমেদ।
সারেন্ডার | |
---|---|
পরিচালক | জহিরুল হক |
প্রযোজক | সিদ্দিক জামাল নান্টু |
রচয়িতা | সিদ্দিক জামাল নান্টু (সংলাপ) |
চিত্রনাট্যকার | জহিরুল হক |
কাহিনিকার | সিদ্দিক জামাল নান্টু |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | আলম খান |
চিত্রগ্রাহক | অরুণ রায় |
সম্পাদক | আমিনুল ইসলাম মিন্টু |
প্রযোজনা কোম্পানি | নান্টু মিন্টু প্রডাকশন্স |
পরিবেশক | নান্টু মিন্টু প্রডাকশন্স |
মুক্তি | ১৭ এপ্রিল, ১৯৮৭[১] |
স্থিতিকাল | ১৩৩ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
সারেন্ডার চলচ্চিত্রটি ১৯৮৭ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশে মুক্তি পায়। ছবিটি ১২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে দুটি পুরস্কার লাভ করে।[৩]
কুশীলব
সম্পাদনা- জসিম - জসিম, মেধাবী বেকার যুবক যে পরবর্তীতে ব্যাংক লুট করে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়।
- শাবানা - সীমা, এক সময়ে জসিমের প্রেমিকা, যে পরবর্তীতে পরিবারের চাপে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে।
- বুলবুল আহমেদ - সোহেল, সীমার স্বামী।
- আবুল কাশেম মিঠুন - মাসুম, পুলিশ ইনস্পেক্টর, যে ব্যাংক লুট করা সন্ত্রাসী চক্রকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
- সিদ্দিক জামাল নান্টু - নান্টু, জসিমের বন্ধু ও তার ব্যাংক লুটের সহচর।
- মাহবুব খান - সেলিম'', জসিমের বন্ধু ও তার ব্যাংক লুটের সহচর।
- বাবর – বাচ্চু, জসিমের বন্ধু ও তার ব্যাংক লুটের সহচর।
- মিজু আহমেদ - জাভেদ, জসিমের বন্ধু ও তার ব্যাংক লুটের সহচর।
- দারাশিকো - পুলিশ কমিশনার
- আখতার হোসেন - জনাব তালুকদার
- জাহাঙ্গীর - কায়সার
- রূপা খান - কায়সারের প্রেমিকা
- অলিভিয়া - বার নৃত্যশিল্পী (অতিথি চরিত্রে)
- ইয়াসমিন - পেয়ারি, বার নৃত্যশিল্পী
এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জহিরুল হক, আহসান উল্লাহ মণি, শিবলি সাদিক, মঞ্জুর রহমান, আতিকুর রহমান, নুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, এবং বার নৃত্যশিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন নাসরিন, পারুল, লতা, ও খোদেজা।
সঙ্গীত
সম্পাদনাসারেন্ডার চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলম খান। গীত রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গানের রেকর্ডিং করা হয়েছে শ্রুতি স্টুডিওতে। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, এন্ড্রু কিশোর, রুনা লায়লা ও রুলিয়া আজম। এই ছবির এন্ড্রু কিশোর ও সাবিনা ইয়াসমিনের কণ্ঠে গাওয়া "সবাইতো ভালবাসা চায়" গানটি শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করে[৪] এবং এন্ড্রু কিশোর এই গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ১২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[৫]
গানের তালিকা
সম্পাদনানং. | শিরোনাম | রচয়িতা | কণ্ঠশিল্পী(রা) | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|
১. | "সবাইতো ভালবাসা চায়" | গাজী মাজহারুল আনোয়ার | এন্ড্রু কিশোর ও সাবিনা ইয়াসমিন | ৪:৩০ |
২. | "গুণ ভাগ করে করে" | গাজী মাজহারুল আনোয়ার | এন্ড্রু কিশোর | |
৩. | "ঘড়ি চলে ঠিক ঠিক" | গাজী মাজহারুল আনোয়ার | এন্ড্রু কিশোর ও রুনা লায়লা | |
৪. | "সবাইতো ভালবাসা চায়" | গাজী মাজহারুল আনোয়ার | এন্ড্রু কিশোর |
পুরস্কার
সম্পাদনা- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক - আলম খান
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী - এন্ড্রু কিশোর
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Movie List 1987"। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "অনন্য শাবানা"। ভোরের কাগজ। ১০ জুন ২০১৭। ২৩ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "জন্মদিনে আলম খানের জনপ্রিয় ১০ গান"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২২ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "এন্ড্রু কিশোরের জাতীয় পুরস্কার জয়ী ৫ গান"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৪ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বাংলা মুভি ডেটাবেজে সারেন্ডার
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে সারেন্ডার (ইংরেজি)