২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন

বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত আন্দোলন
(২০২৪ কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

২০২৪-এর কোটা সংস্কার আন্দোলন হলো বাংলাদেশে সব ধরনের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত একটি আন্দোলন। ২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে সরকার কর্তৃক জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করার পর কোটা পদ্ধতির সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ সালে নতুনভাবে আলোচনায় আসে।[১৮] ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত পরিপত্রটি জারি করা হয়েছিল।[১৯]

২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন-এর অংশ
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকার শাহবাগে, ছাত্রদের বিক্ষোভ
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গনজমায়েতে পুলিশি বাধা, এক নারী শিক্ষার্থীর হাতে "কোটা না মেধা? মেধা! মেধা!" লেখা পোস্টার, এক পুরুষ শিক্ষার্থীর গলায় ঝোলানো "ভেঙে ফেল কোটার ঐ শিকল" লেখা বোর্ড
তারিখ৬ জুন ২০২৪ (2024-06-06) – চলমান
(১ মাস, ১ সপ্তাহ ও ৬ দিন)
অবস্থান
কারণবাংলাদেশ হাইকোর্ট কর্তৃক ২০১৮ সালের সরকারি পরিপত্রকে বেআইনি ঘোষণার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে পূর্বেকার ২০১৮ সালের কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল
লক্ষ্যসমূহঅধিকাংশ:
বাংলাদেশের সকল সরকারি চাকুরিতে কোটার সংখ্যা হ্রাস
অংশবিশেষ:
কোটাব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিলুপ্তি
প্রক্রিয়াসমূহ
অবস্থাচলমান
  • আপিল বিভাগ ১০ জুলাই কোটা ইস্যুতে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ দেন
  • বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দমন-পীড়ন, সশস্ত্র ও সহিংস হামলার শিকার হন
  • সরকার প্রায় সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও এইচ.এস.সি পরীক্ষা স্থগিত করে
  • ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়
নাগরিক সংঘাতের দলসমূহ
নেতৃত্ব দানকারীগণ
  • সম্মিলিত নেতৃত্ব
ক্ষয়ক্ষতি
৩৪ জন নিহত [১১][১২][১৩]
২,০০০+ জন আহত[১৪][১৫]
আন্দোলন্দকারীদের আগুনে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন আংশিকভাবে পুড়ে যায়[১৬]
২৫ জন সাংবাদিক আহত[১৭]

শুরুতে আন্দোলন সভা-সমাবেশের মধ্যে স্থির থাকলেও ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে কোটা আন্দোলনকারীদের “রাজাকারের নাতি-পুতি” হিসেবে অভিহিত করেন,[২০] প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ব্যাঙ্গ করে “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার” এবং “চাইতে গেলাম অধিকার; হয়ে গেলাম রাজাকার” স্লোগান দেয়।[২১] এর পরেরদিন ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা, মন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নষ্ট করার অভিযোগ আনেন।[২২] একই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের উপর রড, লাঠি, হকি স্টিক, রামদা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়।[২৩] একই সাথে পুলিশও লাঠি, রাবার বুলেট দিয়ে হামলা করে। প্রতিবাদে আন্দোলনকারীও তাদের দিকে ইটের টুকরা ছুড়ে ও উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এইসব ঘটনায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারী আহত হওয়ার পাশাপাশি ৩৪ জন নিহত হন।

পটভূমি

২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের জন্য চাকরি প্রত্যাশী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। লাগাতার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৪৬ বছর ধরে চলা কোটাব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করে সরকার। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে সরকার একটি পরিপত্র জারি করে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয়:[২৪]

উক্ত পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে অহিদুল ইসলামসহ সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন।[২৫] ২০২৪ সালের ৫ জুন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পরিপত্র বাতিল করে রায় দেন। রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে একত্রিত হন। প্রথমদিকে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির কারণে আন্দোলন পিছিয়ে দেওয়া হয়। ছুটি শেষে পুনরায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন শুরু হলেও ক্রমে এটি ব্যাপক আকার ধারণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্লকেড নামে অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু করেন। আন্দোলন চলাকালীন সময়েই ১০ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে আপিল বিভাগ চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করে। আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনের সাথে আদালতের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তারা সরকারের কাছে কোটা সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান চাইছেন।[২৬]

সংগঠন

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অবদান আছে। পরবর্তীতে তারা একটি সমন্বয় কমিটি, আহবায়ক কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করে, যাদের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনের সদস্যরা আরও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়াতে ক্যাম্পাসগুলোতে বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালায়। সংগঠকের এক সমন্বয়ের মতে তাদের সংগঠনে কোন একক উচ্চতম নেতা নেই। আগের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সদস্যগণ সমন্বয়ক কমিটিতে রয়েছে। আন্দোলনের প্রয়োজনে বিতর্ক এড়াতে যেকোনো রাজনৈতিক ছাত্র অঙ্গসংগঠনের সদস্যদের এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে।[২৭]

দাবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন নিম্নের দাবিগুলো সরকারের কাছে তুলে ধরেছে:[২৭]

  • সরকারি চাকরিতে কার্যকর বর্তমান কোটা পদ্ধতি বাতিল
  • অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ন্যায্য হারে কোটা প্রদান করা
  • কোটা সর্বোচ্চ ৫% পর্যায়ে নামিয়ে সংসদে নতুন আইন পাশ করা[২৮]

ঘটনাপ্রবাহ

 
আন্দোলনের সময় ব্যানার হাতে এক শিক্ষার্থী যাতে লেখা "কোটা একটি ভিক্ষা, মুক্তি পাক শিক্ষা"।
 
একজন কোটাবিরোধী বিক্ষোভকারীর হাতে ব্যানারের লেখা "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ১৫ জুলাই, আমরা কিভাবে ভুলে যাই? কোটা মুক্ত দেশ চাই!"

১০ জুলাই

এই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে শাহবাগে গিয়ে স্থানটি অবরোধ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান করে। দুপুরে জানা যায় কোটাব্যবস্থা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে চার সপ্তাহ স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি শিক্ষার্থীদের ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবরোধের কারণে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা স্থিমিত হয়ে আসে। দূরপাল্লার বাসগুলো আন্দোলনের কারণে বন্ধ হয়ে যায়।[২৯]

১১ জুলাই

বিকেল ৩টা থেকে শাহবাগ অবরোধের কথা থাকলেও বৃষ্টির ফলে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধাকে অতিক্রম করে ৪:৩০ টায় শুরু করে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাধার ফলে পিছিয়ে যায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে শাহবাগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যোগ দেয়। শাহবাগ ছাড়া ঢাকার অন্যান্য স্থানগুলো আন্দোলনের প্রভাবমুক্ত ছিল। রাত ৯টায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শেষ করে তাদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ১২ জুলাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেয়।[৩০]

এ দিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা করে।[৩১]

১২ জুলাই

এই দিন বিকেল ৫টায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সতর্কবাণী উপেক্ষা করে শাহবাগে জড়ো হয়ে অবরোধ করে।[৩২]

এই দিনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে থাকলে ছাত্রলীগের একদল কর্মী আক্রমণ করে বসে। এ সময় সে অবস্থায় ভিডিও করায় কলেজের এক শিক্ষার্থীকে তুলে হলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।[৩৩]

১৩ জুলাই

রাজশাহীতে রেলপথ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।[৩৪] ঢাকায় ঢাবির শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন, তারা অভিযোগ করেন ‘মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধার চেষ্টা করা হচ্ছে’।[৩৫]

বগুড়া শহরের পৌর এডওয়ার্ড পার্কের শহীদ টিটু মিলনায়তনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন:[৩৬]

১৪ জুলাই

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকায় গণপদযাত্রা করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।[৩৭]

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকায় বিক্ষোভ করে। রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও তালা ভেঙে বেরিয়ে আসেন।[৩৮] সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৪–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিতে অপারেটরদের নির্দেশনা দেয়।[৩৯] চট্টগ্রামে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।[৪০][৪১]

১৫ জুলাই

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, সূর্যসেন হল ও ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি জায়গায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।[৪২]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে শতাধিক ছাত্রের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের মতে এই সংখ্যা দুইশ' এর বেশি।[৪৩] ১৫ জুলাই বিকেলে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে ক্যাম্পাসে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে, এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় মেডিকেলের দিকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে রড, লাঠি, হকি স্টিকসহ বিভিন্ন অস্ত্র দেখা যায়। হেলমেট পরিহিত একদল তরুণকেও আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনেকে এসময় আশপাশের ভবনে আশ্রয় নেন।[৪৩]

বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিকাল আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীদের মিছিলকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ৩টার দিকে বিজয় একাত্তর হলের সামনে মাইকিং করতে শুরুর করলে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। এরপর কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দেন। অপরদিকে সূর্যসেন হলের আশপাশেও হামলা থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।[৪২] বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরও শহীদুল্লাহ হলের সামনে থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।[৪৩] আন্দোলনকারীরা সরে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রড ও লাঠি নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায়।[৪৩]

এর আগে, দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য অপমানজনক। এই বক্তব্য আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত রাতে বিক্ষোভ করে আমরা সোমবার ১২টার প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। প্রত্যাহার না হওয়ায় আমরা রাস্তায় নেমেছি”। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কারে সরকারকে দেয়া দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুপুর ১২টা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকে। এই আন্দোলনকে ঘিরে শাহবাগসহ আশপাশের রাস্তায় জলকামানসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়।[৪৩]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, মারধর ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অন্তত ২৯৭ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।[৪৪] আহত শিক্ষার্থীদের যাঁরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছেন, তাঁদের সেখান থেকে ধাওয়া দিয়ে বের করে দেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। এরপর ঢাকা মেডিকেলের সামনের সড়কে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।[৪৫] সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ঢুকে পড়ে। এ সময় চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ।[৪৬]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ১৫ জুলাই সোমবার রাত ১০টার পর থেকে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন তল্লাশি ও মারধর করে। স্যার এ এফ রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল, মাস্টারদা সূর্য সেন হল ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে এমন ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলনে যুক্ত কি না, তা দেখতে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন তল্লাশি করা হয়েছে। আন্দোলনে যুক্ততা পেলেই মারধর করা হয়েছে।[৪৭]

১৬ জুলাই

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেন। রাত সোয়া ২টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা সেখানে ঢুকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এর আগে রাত ১২টার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এতে বহিরাগতসহ ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতা–কর্মী অংশ নেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।[৪৮]

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের প্রথম ও দ্বিতীয় ব্লকের শিক্ষার্থীরা রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে থালা বাজিয়ে বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে আন্দোলন করেন। এরপর রাত ১টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাদার বখশ হলের প্রথম ব্লকের তৃতীয় তলায় অন্তত ছয়টি কক্ষে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তল্লাশি চালান। তাদের বেশ কয়েকজনের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল বলে জানা যায়।[৪৯]

রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা এই সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ভাটারা এলাকার প্রগতি সরনী ও কুড়িল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।[৫০][৫১]

সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিল শহিদ মিনারের কাছে পৌঁছালে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে এক শিক্ষার্থীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা।[৫২]

দুপুর ১টায় মিরপুর ১০-এ রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিসহ মিরপুরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি বিরাট দলসহ নেতা-কর্মীরা এসে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের ওপর হামলা করেন।[৫৩]

দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। পুলিশ গুলি চালালে আবু সাইয়িদ নামের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী আহত হয়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।[৫৪] হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মোঃ ইউনুস আলী জানান, "এক শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এ ছাড়া আহত অবস্থায় আরও ১৫ জন হাসপাতালে এসেছেন।"[৫৫]

বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ও আরেকজন পথচারী।[৫৬]

বিকেলে রাজধানীর ঢাকা কলেজের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে এক যুবক নিহত হন। পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. রিফাতুল ইসলাম বলেন, বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় একদল লোককে এক ব্যক্তিকে পেটাতে দেখেছেন তাঁরা। পরে শুনেছেন, তিনি ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছেন।[৫৭]

সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় এইদিন সন্ধায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহী শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।[৫৮] এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহার করতে সমস্যা হওয়ার খবর পাওয়া যায়।[৫৯]

কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।[৬০] এছাড়া বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করে।[৬১]

এদিন রাতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ঘোষণা করে যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। একই সময়ে, সমস্ত অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য কলেজগুলিও বন্ধ থাকবে।[৬২][৬৩] শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আবাসিক হলগুলো খালি করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় কমিশন।[৬৪][৬৫]

রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিহতদের স্মরণে ১৭ জুলাই গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল আয়োজনের ঘোষণা দেয়। এক বার্তায় তারা জানান, ‘মঙ্গলবার পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলা ও গুলিবর্ষণে শহীদ ভাইদের জন্য ১৭ জুলাই দুপুর ২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল হবে।’[৬৬]

১৭ জুলাই

কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণহানির ঘটনার পর আন্দোলনকারী ছাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের নেত্রীরা। হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইনসহ ১০ নেত্রীকে রাত ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হল থেকে নিয়ে আসে প্রোক্টরিয়াল বডি। পরে রোকেয়া হলের ছাত্রীরা একটি বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রাধ্যক্ষ নিলুফার পারভিনকে বাধ্য করেন। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের অভ্যন্তরে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।[৬৭][৬৮] পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল‌, ফজলুল হক মুসলিম হল, অমর একুশে হল, রোকেয়া হল, মহসীন হল, কুয়েত মৈত্রী হল, জহুরুল হক হল, শামসুননাহার হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, সুফিয়া কামাল হলসহ বিভিন্ন হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।[৬৯]

সকাল ১০টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের নিয়ন্ত্রণ শিক্ষার্থীদের হাতে, হল ছাড়লো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সকল হলের প্রোক্টরদের থেকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নোটিশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।[৭০]

সকাল ১০টায় শনির আখড়ার দনিয়া কলেজের শিক্ষার্থীসহ যাত্রাবাড়ীর স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।[৭১]

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুপুর ১২টার দিকে সিন্ডিকেটের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিকেল ৪টার মধ্যে হল ছাড়ার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান। সিন্ডিকেটের এ সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশাসনিক ভবনে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ভবনের উভয় ফটকে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন তাঁরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়ক, মূল ফটক ও আশপাশের এলাকায় সাঁজোয়া যানসহ অবস্থান নেয় পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব। [৭২]

বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদস্যরা কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়েন। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। বেশ কয়েকজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। [৭২]

পুলিশের সহযোগিতায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপাচার্যসহ অবরুদ্ধ অন্যরা প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে যান। এরপর ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ সরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেয়।

পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল বেলা দুইটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘গায়েবানা জানাজা ও কফিনমিছিল’ কর্মসূচি ছিল আন্দোলনকারীদের। কিন্তু পুলিশের বাধায় সেখানে গায়েবানা জানাজা হয়নি। পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ক্যাম্পাসে কফিন নিয়ে মিছিল শুরু করলে একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেডকাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা আবার সূর্য সেন হলের সামনে জড়ো হন। [৭৩]

এরপর ঘণ্টাখানেক পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলে। পুলিশ সদস্যরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। অপরদিকে শিক্ষার্থীরা মাস্টারদা সূর্য সেন হলের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের জবাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে টিকতে না পেরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই এলাকার হলগুলোর ভেতরে চলে যান শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে সূর্য সেন হলের সামনে এসে অবস্থান নেয় পুলিশ। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল হক সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ বন্ধ করে পুলিশ। [৭৪]

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবনের ফটক তালা দিয়ে ঘেরাও করেন। এতে উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভেতরেই আটকা পড়েন। উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মুক্ত করতে অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে। এতে চার ঘণ্টা পর উপাচার্যকে অবমুক্ত করতে সক্ষম হয় তারা। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উদ্ধার অভিযানে পুলিশ, বিজিবির‍্যাবের সদস্যরা যৌথভাবে অংশ নেন। এতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। [৭৫]

সন্ধ্যা ৭টার দিকে আন্দোলনকারীদেরকে পুলিশ আক্রমণ করে এবং পুলিশের শটগানের গুলিতে ৬ জন আহত হন। ফলে, আন্দোলনকারীরা মেয়র হানিফ উড়ালসড়কের কাজলা অংশের টোল প্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেন। সড়কের শনির আখড়া ও কাজলার মধ্যবর্তী স্থানে অন্তত ২০টি জায়গায় মধ্যরাত পর্যন্ত আগুন জ্বলছে।[৭১]

রাত আটটার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি ঘোষণা করেন ।

রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের আরেক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে থেকে ঘটনার শুরু। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চানখাঁরপুল মোড় পর্যন্ত দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।

রাত ১২টার দিকে রাতে বাসায় ফেরার পথে সিয়াম নামের এক তরুণ যাত্রাবাড়ীতে হানিফ ফ্লাওয়ারে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[৭৬]

১৮ জুলাই

১৭ জুলাই রাতে আন্দোলনকারীরা ১৮ জুলাইয়ের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা করে।[৭৭]

সকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় যে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।[৭৮]

সকাল ১১টার দিকে মিরপুর ১০-এ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিসহ মিরপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ। আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে স্বাধীনতা বিরোধীদের নৈরাজ্য সৃষ্টির’ প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, যা আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় পুরোপুরি পণ্ড হয়ে যায়।[৭৯][৮০]

সকাল ১১টার দিকে সকাল থেকে আন্দোলনরত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজ থেকে মেরুল বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করেতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ। একই সাথে তাদেরকে আক্রমণ করে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা।[৮১]

দুপুর ১২টার দিকে সকাল থেকে আন্দোলনরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ও স্থানীয় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ। আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অনেক শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও অনেকে মিরপুর ডিওএইচএস-এ আটকে পড়ে। পরবর্তীতে ডিওএইচএসের ভেতর ঢুকে হামলা চালানো শুরু করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। বিইউপি ও এমআইএসটি হলে সকল শিক্ষার্থীকে আশ্রয়ের সুযোগ দেয়া হয়।[৮০][৮২]

দুপুর ২টার দিকে পুলিশের গুলিতে নর্দান ইউনিভার্সিটির ২ শিক্ষার্থী নিহত ও শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা।[৮৩][৮৪][৮৫]

দুপুর ৩টার দিকে পুলিশের ধাওয়ায় হ্রদে পড়ে মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।[৮৬] এছাড়াও রামপুরায় পুলিশের সাথে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এক গাড়ি চালক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সংঘাতের সময় তিনি একটি হাইএস গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন।[৮৭]

এদিন ৪জি মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হয় ও রাত ৯টার দিকে সারাদেশে সব ইন্টারনেটসহ সকল ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

১৯ জুলাই

আন্দোলন ঠেকাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ঢাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।[৮৮]

হতাহত

 
মৃত্যুর কিছু মুহূর্ত আগে আবু সাঈদ এভাবে বুক চিতিয়ে পুলিশের দিকে দাঁড়িয়ে থাকেন, পুলিশ তার দিকে মুহুর্মুহু রাবার বুলেট ছুড়লে তিনি ক্ষতবিক্ষত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও রক্তক্ষরণে মারা যান।

১৯ জুলাই ২০২৪ অনুযায়ী, ছাত্রলীগ এবং পুলিশের সম্মিলিত হামলা ও সহিংসতায় সারা দেশে ৩৪ জনের অধিক নিহত হওয়ার খবর এবং কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।[৮৯][৯০][৯১] নিহতদের 'শহীদ' হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে রয়েছে:

  • আবু সাঈদ (২২) — বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।[৯২]
  • মো. ফারুক — একটি আসবাবের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।[৯০]
  • ওয়াসিম আকরাম — চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।[৯০]
  • ফয়সাল আহমেদ শান্ত (২৪) — ওমরগনি এম.ই.এস কলেজের ছাত্র ছিলেন।[৯৩]
  • মো. শাহজাহান (২৫) — তিনি নিউমার্কেট এলাকার হকার ছিলেন।[৯৪]
  • সবুজ আলী (২৫) — ঢাকা কলেজ পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।[৯৫]
  • সিয়াম (১৮) — তিনি গুলিস্তানের একটি ব্যাটারির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।[৯১]
  • অজ্ঞাতনামা ১ — নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।[৮৩][৮৪][৮৫]
  • অজ্ঞাতনামা ২ — নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।[৮৩][৮৪][৮৫]
  • দিপ্ত দে — মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।[৮৬]
  • দুলাল মাতবর — গাড়ি চালক।[৮৭]
  • ফারহান ফাইয়াজ — ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।[৯৬]
  • ইয়ামিন — মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির।[৯৭]
  • মো. জিল্লুর শেখ — ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ।[৯৮]
  • হাসান মেহেদী — নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস[৯৯]

নিহতদের তথ্য

২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের তথ্য
ক্র নং নাম পদবি প্রতিষ্ঠান / শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নিহতদের সংখা
০১ আবু সাঈদ ছাত্র বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
০২ ছাত্র আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ
০৩ ছাত্র মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
০৪ ছাত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
০৫ ছাত্র ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
০৬ ছাত্র বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি
০৭ ছাত্র শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি
০৮ ছাত্র ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
০৯ ইয়ামিন ছাত্র মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
১০ ছাত্র নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
১১ ছাত্র ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
১২ ফারহান ফাইয়াজ ছাত্র ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ
১৩ দিপ্ত দে ছাত্র মাদারীপুর সরকারি কলেজ, মাদারীপুর
১৪ ছাত্র মাদারীপুর এরিয়া স্কুল
১৫ ছাত্র সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ
১৬ ছাত্র ঢাকা কলেজ
১৭ ওয়াসিম আকরাম ছাত্র চট্টগ্রাম কলেজ
১৮ মো. জিল্লুর শেখ ছাত্র ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ
১৯ ফয়সাল আহমেদ শান্ত ছাত্র ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ
২০ হাসান মেহেদী সাংবাদিক ঢাকা টাইমস
২১

বিতর্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে ১১:৩০ রাতে 'চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার' স্লোগান ব্যবহার করছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে কোটা নিয়ে গণভবনে বলেন:[২০]

প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, শিক্ষার্থীরা ব্যাঙ্গ করে "তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার" এবং "চাইতে গেলাম অধিকার; হয়ে গেলাম রাজাকার" স্লোগান ব্যবহার করা শুরু করে।[২১] আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য অপমানজনক। এই বক্তব্য আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত রাতে বিক্ষোভ করে আমরা সোমবার ১২টার প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। প্রত্যাহার না হওয়ায় আমরা রাস্তায় নেমেছি”। পূর্ব ঘোষণা অনুয়ায়ী ১৫ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে ঢাবির বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। রাজু ভাস্কর্যের সামনে এদিন শিক্ষার্থীরা ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’সহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। আন্দোলনে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মনে আঘাত দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বাইরে সবাইকে রাজাকার বলেছেন। আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও যৌক্তিকভাবে কোটা সংস্কারের দাবি জানাই।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হুমকি দেয় যে, কোনো বিক্ষোভকারী এই স্লোগান ব্যবহার করলে তাকে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত শক্তি পাকিস্তানে পাঠানো হবে। সংগঠনটি বলে যে বিক্ষোভকারীরা স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চেতনাকে আঘাত করেছে এবং ১৫ জুলাইয়ের পরে যাতে তাদের দেখা না যায়। এই স্লোগানগুলোর ব্যবহার বন্ধ না হলে তারা বিক্ষোভ করার ঘোষণা দেয়। ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আন্দোলনকারীদের ‘তাদের শেষ দেখিয়ে ছাড়ব’ বলে হুংকার দেন।[১০০] বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেন:[১০১]

এই ঘটনাগুলোর কারণে প্রধানমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং তাদের আচরণকে "অত্যন্ত দুঃখজনক" বলে অভিহিত করেন।[১০২]

২০২৪ সালের ১৩ জুলাই টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মা প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। ১৪ জুলাই ঢাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলার পর তিনি লিখেন,[১০৩]

১৬ জুলাই বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান "স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড" টেন মিনিট স্কুলে তাদের ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব বাতিল করে।[১০৪] এটি নিয়ে নেটিজেনরা সমালোচনা করেন, অনেকে লিখেন কোটা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এই বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।[১০৫] ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন "কেউ যদি বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে বিতর্ক তোলে, এসব আদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, সেখানে সরকার ব্যবস্থা নেবেই"[১০৬] ও যেসব আলোচনা হচ্ছে সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।[১০৭]

প্রতিক্রিয়া

অভ্যন্তরীণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানায়। দলটির রাজনীতিবিদ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন সরকার শিক্ষার্থীদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।[১০৮] ১৬ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশের ১১৪ বিশিষ্ট নাগরিক আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান ও শাস্তির দাবি করেন।[১০৯] ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত এক সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের রাজনীতিবিদরাও নিন্দা জানান ও বলেন "কোটাব্যবস্থার যুক্তিসংগত সংস্কারের দাবি মানার ঘোষণার পরিবর্তে সরকার উসকানিমূলক বক্তব্যে দিচ্ছে"।[১১০] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশও এই ঘটনার নিন্দা জানায়।[১১১]

দৈনিক প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক ১৭ জুলাইতে তার প্রকাশিত এক কলামে লিখেন "সবাই যেখানে সংস্কার চায়, সেখানে এত রক্ত কেন"।[১১২] এই দিন সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশে অবস্থান করা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চলাচলের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাগুলোতে সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দেয়। একই সাথে ১৮ জুলাই সাধারণ মানুষের জন্য দূতাবাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।[১১৩]

আন্তর্জাতিক

১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার দুইজন কোটাবিরোধী বিক্ষোভকারীর মৃত্যু দাবি করে ছাত্রলীগের বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার নিন্দা করেন।[১১৪] পরদিন ১৫ জুলাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন এই মন্তব্যকে "ভিত্তিহীন" উল্লেখ করে নিন্দা করেন।[১১৫]

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হামলার নিন্দা করে এবং সরকারকে "অবিলম্বে সকল শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে" আহ্বান জানায়।[১১৬]

১৬ জুলাই জাতিসংঘ মহাসচিবের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র স্তেফান ডুজারিক বলেন জাতিসংঘ গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, একই সাথে তিনি যেকোনো হুমকি ও সংঘাত থেকে প্রতিবাদকারীদের রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।[১১৭] ১৭ জুলাই জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক এক্সে প্রকাশিত এক বার্তায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।[১১৮]


অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশে ছাত্র বিক্ষোভের সাথে তাদের সংহতি প্রকাশ করেছে।[১১৯]

অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন(এআইডিএসও), বাংলাদেশের ছাত্রদের সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিক্ষোভ শুরু করে। [১২০]

সারা বাংলাদেশে "শাটডাউন" ঘোষণার ফলে ১৮ই জুলাই দুপুর সাড়ে এগারোটার দিকে বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তাদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।[১২১]

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "কোটাবিরোধী ও শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন বিএনপির"প্রতিদিনের সংবাদ। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  2. "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন ঘোষণা"দৈনিক ইনকিলাব। ১৮ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  3. প্রতিনিধি, বিশেষ (২০২৪-০৭-১৬)। "কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সমর্থন জি এম কাদেরের"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  4. প্রতিনিধি, বিশেষ (২০২৪-০৭-০৫)। "কোটা ও পেনশনবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ জাসদের সমর্থন"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  5. "কোটা সংস্কারের দাবি ন্যায়সংগত : হেফাজতে ইসলাম"ঢাকা পোস্ট। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  6. "কাল সারা দেশে বিক্ষোভ ডেকেছেন চরমোনাই পীর"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  7. প্রতিবেদক, নিজস্ব (১৬ জুলাই ২০২৪)। "ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, গাজীপুর, রংপুর ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  8. রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৪-০৭-১৬)। "ছাত্রদের মতবিরোধ হলেই বাকবিতণ্ডা হয়, সে রকমই কিছু কিছু জায়গায় হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী"ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  9. "যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়ব: ছাত্রলীগ সভাপতি"ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ১৫ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  10. ব্যুরো, রাজশাহী। "কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রুখে দেওয়ার ঘোষণা যুবলীগের"কালবেলা। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  11. "রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তিন জেলায় ৬ জন নিহত"www.kalerkantho.com। দৈনিক কালের কণ্ঠ। জুলাই ২০২৪। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  12. "কোটা আন্দোলন: কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সহিংসতায় সারা দেশে ছয় জন নিহত"বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৭-১৬। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  13. "কোটা আন্দোলনে সারাদেশ এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে"dailyinqilab.com। দৈনিক ইনকিলাব। জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  14. "আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি কয়েকশ শিক্ষার্থী"বণিক বার্তা। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  15. "কোটা সংস্কার আন্দোলন: দেশজুড়ে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ–গুলি, নিহত ২৭"প্রথম আলো। ১৯ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২৪ 
  16. বিবিসি বাংলা (২০২৪-০৭-১৮)। রামপুরা রণক্ষেত্র, বিটিভি ভবনে আগুন, সবশেষ পরিস্থিতি।BBC Bangla। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ – YouTube-এর মাধ্যমে। 
  17. "সাংবাদিকদের ওপর হামলায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  18. "মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ: হাই কোর্টের রায়"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১১ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২৪ 
  19. "২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ : সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল"বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ১১ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২৪ 
  20. "মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন, কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী"আজকের পত্রিকা। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  21. "'তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার' স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাবি"বাংলা ট্রিবিউন। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  22. মাহমুদ, নাদিম (১৬ জুলাই ২০২৪)। "শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা' রক্ষা হবে কি"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  23. "কোটা সংস্কার আন্দোলনে কে এই অস্ত্রধারী?"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  24. "সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকুরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন" (পিডিএফ)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  25. "মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ: হাই কোর্টের রায়"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১১ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  26. "কোটা আন্দোলন: মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা আপিল বিভাগের"বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৭-১০। ২০২৪-০৭-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২৪ 
  27. আজাদ, আবুল কালাম (১২ জুলাই ২০২৪)। "কোটা বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে কারা?"বিবিসি বাংলা। ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২৪ 
  28. "সরকারি সব চাকরির কোটা সংস্কারের নতুন দাবি, আজ আবারও বাংলা ব্লকেড"প্রথম আলো। ১১ জুলাই ২০২৪। ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২৪ 
  29. "কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারাদিন যা হয়েছে"বিবিসি বাংলা। ১০ জুলাই ২০২৪। ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২৪ 
  30. "সংসদে আইন পাস না করা পর্যন্ত আন্দোলন, কাল বিক্ষোভ"প্রথম আলো। ১১ জুলাই ২০২৪। ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২৪ 
  31. "কুমিল্লায় কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা, দুই সাংবাদিক আহত"বাংলা ট্রিবিউন। ২০২৪-০৭-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১২ 
  32. "কোটা সংস্কার আন্দোলন: শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা"ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি। ১২ জুলাই ২০২৪। 
  33. "কোটা আন্দোলনের ভিডিও করায় শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পিটুনি"banglanews24.com। ২০২৪-০৭-১২। ২০২৪-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৪ 
  34. ডেস্ক, ভিডিও (১৩ জুলাই ২০২৪)। "ছুটির দিনেও রেলপথ অবরোধ করে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ"প্রথম আলো। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  35. ডেস্ক, ভিডিও (১৩ জুলাই ২০২৪)। "'মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধার চেষ্টা করা হচ্ছে'"প্রথম আলো। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  36. "কোটা সমাধান আদালতেই হতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী"প্রথম আলো। ১৩ জুলাই ২০২৪। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  37. "রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া স্মারকলিপিতে যা বলেছেন আন্দোলনকারীরা"প্রথম আলো। ১৪ জুলাই ২০২৪। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  38. "রোকেয়া হলের তালা ভেঙে রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রীরা"সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  39. "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ"প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  40. "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে হামলা"প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৪। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  41. ডিজিটাল ডেস্ক, ইত্তেফাক (২০২৪-০৭-১৫)। "চবিতে-কোটাবিরোধী-আন্দোলনকারীদের-ওপর-ছাত্রলীগের"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০২৪-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৫ 
  42. "ঢাবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৫ 
  43. "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, শতাধিক আহত"বিবিসি বাংলা। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  44. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৫)। "আহত ২৯৭ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  45. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "হামলায় আহত শতাধিক ঢাকা মেডিকেলে"প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  46. ডিজিটাল ডেস্ক, ইত্তেফাক (২০২৪-০৭-১৫)। "ঢামেকের জরুরি বিভাগে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৫ 
  47. প্রতিবেদক (২০২৪-০৭-১৬)। "রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন তল্লাশি ও মারধরের অভিযোগ"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  48. "গভীর রাতে জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলনকারীদের মারধর,পরে ছাত্রলীগকে ধাওয়া"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  49. প্রতিনিধি (২০২৪-০৭-১৬)। "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে মধ্যরাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগের 'তল্লাশি'"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  50. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৬)। "ব্র্যাক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  51. "কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ"unb.com.bd। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  52. সংবাদদাতা, নিজস্ব; টাঙ্গাইল (২০২৪-০৭-১৬)। "টাঙ্গাইলে কোটা আন্দোলনকারীদের মিছিলে লাঠি-রড নিয়ে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১"ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  53. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৬)। "হামলার পর মিরপুর ১০ ছাড়লেন আন্দোলনকারীরা"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  54. "রংপুরে সংঘর্ষে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত"abnews24.com। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  55. সংবাদদাতা, নিজস্ব; দিনাজপুর (২০২৪-০৭-১৬)। "রংপুরে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত"ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  56. প্রতিবেদক, নিজস্ব; চট্টগ্রাম (২০২৪-০৭-১৬)। "চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ২"ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  57. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৬)। "ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষের মধ্যে যুবক নিহত"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  58. "ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন"বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  59. "মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যা"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  60. প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৪-০৭-১৬)। "সারা দেশে সব স্কুল–কলেজে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  61. প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৪-০৭-১৬)। "এইচএসসি ও সমমানের বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  62. রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (১৬ জুলাই ২০২৪)। "সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা"ডেইলি স্টার। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  63. "সারা দেশে নিহত ছয়, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ – DW – 16.07.2024"ডয়চে ভেলে। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  64. প্রতিবেদক, বিশেষ (১৭ জুলাই ২০২৪)। "এবার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  65. "সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ"বাংলা ট্রিবিউন। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  66. "আজ সারা দেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করবেন শিক্ষার্থীরা"ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  67. প্রতিবেদক (২০২৪-০৭-১৭)। "আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে রোকেয়া হল থেকে বের করা হলো ১০ ছাত্রলীগ নেত্রীকে"Prothomalo। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  68. "মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেত্রীদের ওপর হামলা, রোকেয়া হল রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা"www.kalerkantho.com। ২০২৪-০৭-১৭। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  69. "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা"The Business Standard। ২০২৪-০৭-১৭। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  70. "ঢাবির সব হলের নিয়ন্ত্রণ শিক্ষার্থীদের হাতে, হল ছাড়লো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা"মানবজমিন। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  71. আসাদুজ্জামান (২০২৪-০৭-১৮)। "শনির আখড়ায় সড়কে অন্তত ২০ জায়গায় আগুন, মধ্যরাতেও পাল্টাপাল্টি অবস্থান"Prothomalo। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  72. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৮)। "জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত ৩টায়ও বিদ্যুৎ ফেরেনি"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  73. প্রতিবেদক,প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৮)। "দিনভর ছাত্র বিক্ষোভ, সংঘর্ষ"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  74. প্রতিবেদক (২০২৪-০৭-১৮)। "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে আবার পুলিশ–শিক্ষার্থী সংঘর্ষ"Prothomalo। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  75. প্রতিনিধি (২০২৪-০৭-১৭)। "অবরুদ্ধ উপাচার্যকে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী"Prothomalo। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  76. প্রতিবেদক, ঢামেক (২০২৪-০৭-১৮)। "হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষ : গুলিতে যুবক নিহত"dhakapost.com। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  77. প্রতিবেদক (২০২৪-০৭-১৮)। "সারা দেশে আজ 'কমপ্লিট শাটডাউন', জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধের ঘোষণা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  78. "'কমপ্লিট শাটডাউন' এর শুরুতে ঢাকায় যে পরিস্থিতি দেখা গেছে, ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন"বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৭-১৮। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  79. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৮)। "মিরপুর-১০ রণক্ষেত্র, আ.লীগের সমাবেশ পণ্ড"dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  80. "মিরপুরে শিক্ষার্থী-পুলিশ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ"banglanews24.com। ২০২৪-০৭-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  81. "রামপুরা-বাড্ডায় পুলিশ-ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ"banglanews24.com। ২০২৪-০৭-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  82. "কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মিরপুর-১২"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  83. "উত্তরায় গুলিতে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী নিহত"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  84. "উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত"ভোরের কাগজ। ২০২৪-০৭-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  85. "উত্তরায় পুলিশ-র‍্যাবের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ"যায়যায়দিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  86. "পুলিশের ধাওয়ায় লেকে পড়ে আন্দোলনরত কলেজছাত্রের ‍মৃত্যু"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  87. "রামপুরায় ব্র্যাকের শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ১"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  88. "রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি"প্রথম আলো। ১৯ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২৪ 
  89. "সারা দেশে বিক্ষোভ–সংঘাত, নিহত ৬"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  90. "ছাত্রলীগ–পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৬"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  91. "হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষ : গুলিতে যুবক নিহত"ঢাকা পোস্ট। ১৮ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  92. "রংপুরে যেভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন আন্দোলনকারী আবু সাঈদ"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  93. "কোটা আন্দোলন ইস্যুতে মঙ্গলবার সারাদেশে যা ঘটলো"ভোরের কাগজ। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  94. "ঢাকায় সংঘর্ষের মধ্যে নিহত এক যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  95. "ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে"দৈনিক যুগান্তর। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  96. প্রতিবেদকঢাকা, নিজস্ব। "কোটা সংস্কার আন্দোলন: রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র ফারহান নিহত"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  97. "সাভারে মিলিটারি ইনস্টিটিউটের ছাত্র গুলিতে নিহত"। আরটিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  98. "রাজধানীতে সংঘর্ষে এবার ইমপেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী নিহত"। দৈনিক করতোয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  99. "ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক নিহত" (ইংরেজি ভাষায়)। বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  100. "'তাদের শেষ দেখিয়ে ছাড়ব' ছাত্রলীগ সভাপতির হুঙ্কার"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  101. "'যারা নিজেদের রাজাকার বলে, তাদের পতাকা হাতে মিছিল করার অধিকার নেই'"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  102. "নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী"প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  103. "আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন, প্রতিবাদ জানাই: আয়মান সাদিক"জাগোনিউজ২৪.কম। ১৫ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  104. "আয়মান সাদিকের টেন মিনিট স্কুলের বরাদ্দ বাতিল, নেপথ্যে কী?"দৈনিক যুগান্তর। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  105. "টেন মিনিট স্কুলের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল কেন?"যমুনা টেলিভিশন। ২০২৪-০৭-১৬। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  106. "টেন মিনিট স্কুলের বরাদ্দ বাতিল, যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক"দৈনিক যুগান্তর। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  107. ইসলাম, রাহিতুল (২০২৪-০৭-১৬)। "টেন মিনিট স্কুলের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল, যা বললেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ"দৈনিক প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  108. "অধিকার চাইতে গেলেই বলা হচ্ছে 'রাজাকার': আমীর খসরু"প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  109. "আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় নিন্দা, শাস্তির দাবি ১১৪ নাগরিকের বিবৃতি"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  110. "ক্ষমতাসীনদের উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণেই এই সংকট: বাম গণতান্ত্রিক জোট"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  111. "শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বলপ্রয়োগের নিন্দা টিআইবির"বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  112. হক, আনিসুল (১৭ জুলাই ২০২৪)। "সবাই যেখানে সংস্কার চায়, সেখানে এত রক্ত কেন"দৈনিক প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  113. "যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা, বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে দূতাবাস"প্রথম আলো। ১৮ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  114. "কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা"দৈনিক আমার সংবাদ। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  115. "ম্যাথিউ মিলারের বক্তব্যে বাংলাদেশের হতাশা প্রকাশ"ভয়েস অফ আমেরিকা। ১৬ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  116. "কোটাবিরোধীদের ওপর হামলায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নিন্দা"চ্যানেল আই। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  117. "বাংলাদেশ সরকারের উচিত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার নিশ্চিত করা: জাতিসংঘ"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  118. "সরকারের প্রতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান ফলকার টুর্কের"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  119. "AISA Stands with Student Protestors in Bangladesh - AISA" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৭-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  120. আচার্য, সুব্রত (২০২৪-০৭-১৭)। "বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কলকাতায় বিক্ষোভ, সেখানেও পুলিশের বাধা!"সময় টিভি। ২০২৪-০৭-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৯ 
  121. Dhaka, U. S. Embassy (২০২৪-০৭-১৭)। "Demonstration Alert - U.S. Embassy Dhaka, Bangladesh (July 18, 2024)"U.S. Embassy in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 

বহিঃসংযোগ