গায়েবানা জানাজা

গায়েবানা জানাজা হলো মৃত মুসলিমদের জন্য এক ধরনের শেষকৃত্যের প্রার্থনা, যা এমন মৃত মুসলিমের জন্য পালন করা হয়ে থাকে যে কিনা এমন এক জায়গায় মারা গেছে যেখানে তার জানাজার নামাজ পড়ানোর মত কোন মুসলিম ছিলো না, অথবা তাকে জানাজার নামাজ ছাড়াই কবর দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় মুসলিমরা দূর থেকে মৃত ব্যক্তির লাশের অনুপস্থিতে তার জন্য প্রার্থনা করে।[১][২]

গায়েবানার জানাজার প্রচলন হাদীস এবং ঐতিহ্য অনুযায়ী হয়েছে। আবু হুরায়রা বলেন, " মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বাদশাহ নাজাশীর মৃত্যু সংবাদ দিলেন।[৩] অতঃপর জানাযার জন্য অগ্রসর হলেন। সাহাবায়ে কেরাম তাঁর পিছনে কাতার বন্দী হয়ে দাঁড়ালে নবীজী (সা.) চারটি তাকবীর বললেন।"[৪]

মুসলিম আলেমদের অভিমতসম্পাদনা

গায়েবানা জানাজা বিষয়ে মুসলিম পন্ডিতদের মধ্যে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে।

কিছু আলেমের মত হলো অমুসলিম ভূমিতে মৃত্যুবরণকারী মুসলিম, যার জানাজার নামাজ পড়া হয়নি, তার জন্য গায়েবানা জানাজা পড়া যাবে। ইমাম শাফেয়ীইমাম হাম্বল এই মত সমর্থন করেছেন। তবে ইমাম আবু হানিফাইমাম মালিক বলেছেন কোন অবস্থাতে গায়েবানা জানাজা পড়া যাবে না। ইবনে তাইমিয়া এর মতেঃ গায়েবানা জানাজার ব্যাপারে হুকুম হলো, যার জানাজা পড়া হয়নি, কেবল তার ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কারো গায়েবানা জানাজা শরী‘আত সম্মত নয়। যেমন, কেউ যদি অমুসলিম রাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানে তার জানাজা পড়া না হয়, তাহলে মুসলিম রাষ্ট্রে অবস্থানরত তার আত্মীয়- স্বজনগণ তার গায়েবানা জানাজা পড়তে পারেন। কিন্তু যার নিয়মতান্ত্রিকভাবে জানাজা পড়া হয়েছে, বা পড়া যাবে তার পুনঃ গায়েবানা জানাজা পড়া ঠিক নয়।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "Funeral Rites and Regulations in Islam"missionislam.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. "فتوى الشيخ حمود بن عقلاء الشعيبي في الصلاة على الميت الغائب"। Saaid.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০২ 
  3. "Ruling on offering the funeral prayer in absentia - islamqa.info"islamqa.info। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  4. [রিপোর্ট দ্বারা ইমাম বুখারী ও মুসলিম]