বাংলাদেশ আনসার

বাংলাদেশি আধা-সামরিক বাহিনী

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি বাংলাদেশী আধাসামরিক বাহিনী। বাহিনীটি দেশের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনার নিরাপত্তা, মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার ও অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তা প্রদান করে। অঙ্গীভুত আনসার এবং ভিডিপি সদস্য ও ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়ে বাংলাদেশ আনসার বাহিনী গঠিত।[][]

বাংলাদেশ আনসার
আনসার ও ভিডিপির লোগো
সক্রিয়১৯৪৮–বর্তমান
দেশ পাকিস্তান (১৯৪৮–১৯৭১)
 বাংলাদেশ (১৯৭১–বর্তমান)
আনুগত্য বাংলাদেশ
শাখাঅঙ্গীভূত আনসার
আনসার ব্যাটালিয়ন
ভিডিপি
ধরনআধাসামরিক
আকারঅঙ্গীভূত আনসার: ৭০ হাজার
ভিডিপি: ৫৮ লক্ষ ৮৭ হাজার
ব্যাটালিয়ন আনসার: ১৮ হাজার
প্রায় ৬১ লক্ষ[]
গ্যারিসন/সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
ডাকনামবাংলাদেশ আনসার,
গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী
পৃষ্ঠপোষকরাষ্ট্রপতি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নীতিবাক্যশান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা
রং  লাল
  সবুজ
কুচকাত্তয়াজজাতীয় সমাবেশ
(১২ই ফেব্রুয়ারি)
বার্ষিকী১২ ফেব্রুয়ারি
(বাহিনীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী)
সরঞ্জামাদিটাইপ-৫৬ এসল্ট রাইফেল,
টাইপ-৫৬ এস এম জি,
টাইপ-৫৬ লাইট মেশিনগান,
এম-২ ভারি মেশিনগান,
৬০মিঃ মর্টার,
৮০মিঃ মর্টার,
টাইপ-৫৬ কার্বাইন,
মিলস বোম্ব গ্রেনেড,
পাম্প-অ্যাকশন শটগান,
এম-৪ শটগান,
টাইপ-৫৪ পিস্তল,
লি এনফিল্ড রাইফেল (রিটায়ার্ড),
থ্রী নট থ্রী (রিটায়ার্ড)
যুদ্ধসমূহবাংলা ভাষা আন্দোলন
ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত
১৯৯৪-এর বাংলাদেশ আনসার বিদ্রোহ
২০২৪-এর বাংলাদেশ আনসার বিদ্রোহ
সজ্জা১. বীর শ্রেষ্ঠ
২. বীর উত্তম
৩. বীর বিক্রম
৪. বীর প্রতীক
ওয়েবসাইটhttps://ansarvdp.gov.bd
কমান্ডার
মহাপরিচালকমেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ
এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি[]
অতিরিক্ত মহাপরিচালকব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজিম উদ্দিন
বিজিবিএম, পিবিজিএম (বার), এনডিসি[]
রেজিমেন্টের কর্নেলমোঃ নূরুল হাসান ফরিদী[]
উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন)কর্নেল মোহাম্মদ রফিকুল হাসান
পি এস সি[]
মোঃ নূরুল হাসান ফরিদী[]

বাহিনীর সফলতাসরূপ ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকার এই বাহিনীকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রদান করে। ইতিপূর্বে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) নামে আনসার বাহিনীর নতুন একটি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা এবং সরকারের বিশেষ বিশেষ কাজে নিয়োজিত থাকে।[][]

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় ভারতীয় গার্ডের কিছু সদস্য, যারা পরবর্তীতে পাকিস্তানের নাগরিক হয়, সেখান থেকে বের হয়ে আনসার বাহিনী গঠন করে। ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান আনসার আইন দ্বারা আনসার বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান আনসার হিসাবে গঠিত এবং ১৯৪৮ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে।[]

স্বাধীনতা পূর্ব

সম্পাদনা

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, আনসারের বেশির ভাগ সদস্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনীর গেরিলা সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশ আইন দ্বারা আনসার বাহিনী আবার পুনর্গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর সরকার আনসার বাহিনীর ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে আনসার বাহিনীকে জনগণের প্রতিরক্ষা বাহিনী হিসেবে মনোনীত করেন।[]

মহান ভাষা আন্দোলন

সম্পাদনা

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইতিহাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আনসার বাহিনী উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। মহান ভাষা আন্দোলনে ময়মনসিংহের আনসার প্লাটুন কমান্ডার আব্দুল জব্বার শহিদ হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মহান মুক্তিযুদ্ধ

সম্পাদনা

মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহনকালে আনসার প্লাটুন কমান্ডার ইয়াদ আলীর সাথে ১২ জন বীর আনসার সদস্য ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন।

পার্বত্য এলাকা

সম্পাদনা

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর সাথে ১৯৭৬ সাল হতে বাহিনীর আনসার ব্যাটালিয়ন দায়িত্বপালন করিতেছে। দায়িত্ব পলন করতে গিয়ে ১৯ জন সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। এছাড়া প্রায় তিনশত সদস্য বিভিন্ন কারণে অকাল মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া প্রায় শতাধিক হিল আনসার ও হিল ভিডিপি সদস্য পার্বত্যাঞ্চলে বিভিন্ন সম্মুখ যুদ্ধে ও সংঘাতে নিহত হন।

বাহিনীর আইন

সম্পাদনা

সাধারণ আনসার-১৯৯৫ আইন দ্বারা সাধারণ আনসার গঠিত এবং ভিডিপি-১৯৯৫ আইন দ্বারা গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠিত।[]

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জননিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তাকরণসহ এতদ্‌সংশ্লিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনে আনসার ব্যাটালিয়নকে আরও দক্ষ করার উদ্দেশ্যে ব্যাটালিয়ন আনসার আইন, ১৯৯৫ রহিত করে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়।[]

আনসারের ঘোষিত মিশনগুলি হল:

  • জননিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার বা সরকারের অধীনস্থ কোনো কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করা।[১০][১১][১২]
  • দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোনো জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা।
  • মেট্রোপলিটন ও শিল্প নিরাপত্তায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করা।
  • যুদ্ধের সময় জাতীয় প্রতিরক্ষায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করা।[১৩][১৪][১৫]
  • সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় ভিআইপি, সিআইপি এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রদান করা।
  • সরকারের নির্দেশ মোতাবেক যে কোন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।

আনসার সদস্যরা শিক্ষা সম্প্রসারণ কার্যক্রম, বৃক্ষরোপণ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নারীর ক্ষমতায়ন, স্যানিটেশন কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করে। [১৩]

বর্তমানে আনসার বাহিনীর তিনটি শাখা রয়েছে; জেনারেল আনসার, ব্যাটালিয়ন আনসার এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (ভিডিপি)। তাদের সম্মিলিত সংখ্যা ৬ মিলিয়নেরও বেশি, যা আধাসামরিক বা একক বাহিনী হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম বাহিনী।[১৬]

আনসারের নেতৃত্বে একজন মহাপরিচালক, যিনি গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের (ভিডিপি)ও প্রধান।[১৭]

বাংলাদেশ আনসারের মহাপরিচালক, যিনি আনসার এবং ভিডিপি প্রধান নামেও পরিচিত, তিনি বাংলাদেশ আনসারের পেশাদার প্রধান। বর্তমান ডিজি মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ[১৪]

মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার সদর দপ্তর থেকে দায়িত্ব পালন করেন।[১৬]

সদর দপ্তর

সম্পাদনা

আনসারের সদর দপ্তর ঢাকার খিলগাঁওয়ে অবস্থিত এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা জাতীয় রাজধানী ঢাকার উত্তরে গাজীপুরের শফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে অবস্থিত।[১৩][১৫]

যন্ত্রপাতি

সম্পাদনা
নাম ছবি ক্যালিবার টাইপ উৎপত্তি নোট
টাইপ ৯২   9×19 মিমি প্যারাবেলাম আধা স্বয়ংক্রিয় পিস্তল   গণচীন
৫৬ প্রকার   7.62 × 39 মিমি অ্যাসল্ট রাইফেল   গণচীন
টাইপ ৫৬ (SKS)   7.62 × 39 মিমি আধা-স্বয়ংক্রিয় কার্বাইন   গণচীন
বিডি-15 এলএমজি 7.62 × 39 মিমি হালকা মেশিনগান   বাংলাদেশ টাইপ 81 অ্যাসল্ট রাইফেলের হালকা মেশিনগানের রূপ।
আরপিডি   7.62 × 39 মিমি স্কোয়াড স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র/হালকা মেশিনগান   সোভিয়েত ইউনিয়ন
টাইপ 80 7.62×54mmR সাধারণ উদ্দেশ্যের মেশিনগান   গণচীন
টাইপ 67 7.62×54mmR সাধারণ উদ্দেশ্যের মেশিনগান   গণচীন
ESCORT MP-PG [1] 12-গেজ পাম্প অ্যাকশন শটগান   তুরস্ক পরিমাণ 14,100। [১৮][১৯][২০]
বেনেলি সুপারনোভা   12-গেজ পাম্প অ্যাকশন শটগান   ইতালি পরিমাণ 1,800। [১৮][১৯][২০]
অজানা মডেল 12-গেজ আধা-স্বয়ংক্রিয় শটগান   যুক্তরাজ্য পরিমাণ 14,100। [১৮][১৯][২০]
63-1 টাইপ করুন 60মিমি মর্টার   গণচীন

দায়িত্ব পালন

সম্পাদনা

রেলপথ ও রেলরক্ষা

অপারেশন রেলরক্ষা ২০১৩/১৪ কার্যক্রমে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরিক্ষা বাহিনীর প্রায় ৮,৩২৮ জন সদস্য ৩৬টি জেলার ১,০৪১টি ঝুঁকিপূর্ন পয়েন্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে সকলের আস্থা অর্জন করেছে।২০১৫ সালেও সরকারের নির্দেশে এ বাহিনীর ৮,৮৯৬ জন সদস্য ৩৭টি জেলার ১,১১২টি পয়েন্টে রেল নিরাপত্তা রক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে। গত বছর বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ০৭ জন সদস্য নিহত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

সড়ক ও মহাসড়ক

রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের লক্ষ্যে ২০১৩ হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সারাদেশের সড়ক ও মহাসড়কের ৯৯৩টি ঝুঁকিপূর্ন পয়েন্টে ১২ জন করে ১১,৯১৬ জন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। গত বছর দায়িত্বপালনরত অবস্থায় ১১ জন গুরুতরসহ ২৮ জন সদস্য আহত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বিমান ও স্থল বন্দর

দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ স্থল বন্দরগুলোতে সাধারন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য-সদস্যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বপালনকালে অসীম সাহসিকতার সাথে সন্ত্রাসী মোকাবেলা করতে গিয়ে সাধারন আনসার সদস্য সোহাগ আলী নিহত হন। অতি সম্প্রতি বেনাপোল স্থল বন্দরে চোরাকারবারীর ছুরিকাঘাতে সাধারন আনসার সদস্য ফিরোজ হোসেন নিহত হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ক্রীড়া

সম্পাদনা

ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। খেলাধুলার চর্চা ও জাতীয় ক্রীড়া  বিকাশে উল্লেখযোগ্য আবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সালে এ বাহিনী ‘স্বাধীনতা পদক’ লাভ করে। বাহিনীর ক্রীড়াদল পর পর ৫ বার বাংলাদেশ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। গত বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস-২০২০ ও জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এ বাহিনীর ক্রীড়াদল ১৩৩টি স্বর্ণ, ৫৭টি রৌপ্য ও ৮০টি ব্রোঞ্জপদক সহ ১০ টি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে ০৯টি স্বর্ণ, ০৭টি রৌপ্য, ও ১১টি ব্রোঞ্জপদক অর্জন করে।[২১]

নির্বাচন

সম্পাদনা

জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন নির্বাচনে জননিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিশেষ করে মহিলা নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েনের ফলে নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি বর্তমানে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমাদের অনেক সদস্য-সদস্যা গুরুতর আহত ও নিহত হয়েছেন। গত বছর ০৫ জন ভিডিপি মহিলা সদস্যসহ ০১জন পুরুষ সদস্য বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে নিহত হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আভিযানিক

সম্পাদনা

এছাড়া হলি আর্টিজানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, সম্মুখ যুদ্ধ, নাশকতার ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য গুরুতর আহত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

সম্পাদনা

মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় এ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিশেষ করে ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ত্রান ও পুর্নবাসন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

প্রকাশনা

সম্পাদনা

বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি একাডেমি থেকে মাসিক, ত্রি-মাসিক, ষান্মাসিক প্রকাশনা বের করে থাকে।

  • প্রতিরোধ শিরোনামে একটি মাসিক প্রতিবেদনমূলক সাময়িকী বা ম্যাগাজিন।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1.   অজানা প্যারামিটার |ইউআরেল= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য);
  2. [১]
  3. "Ansar-VDP to hold 44th National Assembly"Dhaka Tribune। ২০২৪-০২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৭ 
  4. "বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী"ansarvdp.portal.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৫ 
  5. https://ansarvdp.gov.bd/site/page/ff5e1356-3ea9-415c-8ea4-eec74d5157a6/। সংগ্রহের তারিখ 27/08/2024  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  6. Rahaman, FM Mizanur (২০২৪-০৫-১৭)। "Ansar-VDP eyes to provide security services abroad"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৭ 
  7. "Take a look at the history"www.ansarvdp.gov.bd। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৫ 
  8. "War of Liberation"www.ansarvdp.gov.bd। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৫ 
  9. "আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৯ 
  10. Nabi, Khondaker Md Nur Un। "Ansar and Village Defence Party"Banglapedia। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৭ 
  11. "Bangladesh ansar & village defence party"The Guardian। Bangladesh। ২৪ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৭ 
  12. "Protect public life, property"The Daily StarUNB। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৭ 
  13. "PM urged Ansar-VDP members to help resist militants"BDNews24। ২৩ জানুয়ারি ২০০৬। 
  14. "About Bangladesh Ansar & VDP"Bangladesh Ansar & VDP – Government of Bangladesh। ১২ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  15. Taru Bahl, M.H. Syed (২০০৩)। Encyclopaedia of the Muslim World। Anmol Publications Pvt. Ltd.। পৃষ্ঠা 184–85। আইএসবিএন 978-81-261-1419-1 
  16. "Bangladesh Ansar and VDP are the largest single forces in the world"ourtimebd। ৬ জুলাই ২০২০। 
  17. "Profile of Director General"। Bangladesh Ansar & VDP – Government of Bangladesh। ১ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  18. ৩০ হাজার শটগান পাচ্ছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। Channel 24। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২০ 
  19. আনসার পাচ্ছে ৩০ হাজার শটগান !!। susongbad24। ২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২০ 
  20. রংপুরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শটগান প্রশিক্ষন। দৈনিক রংপুর। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২০ 
  21. "আমাদের গর্ব" 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

  উইকিমিডিয়া কমন্সে বাংলাদেশ আনসার সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।