শিবলী নোমানী
শিবলী নোমানী (উর্দু: شبلی نعمانی; ১ জুন ১৮৫৭ – ১৮ নভেম্বর ১৯১৪; শিবলী নামে পরিচিত[১]) ছিলেন বিভাগপূর্ব ভারতের একজন কবি, দার্শনিক, ইতিহাসবেত্তা, প্রাবন্ধিক, জীবনীকার, সাহিত্য সমালোচক, বাগ্মী এবং ইসলামি পণ্ডিত। তিনি উর্দু ভাষায় আধুনিক ইতিহাস লিখনধারা'র জনক হিসেবে বিবেচিত।[২][৩] তাকে উর্দু সাহিত্যের পঞ্চভিত্তির একজন ধরা হয় এবং উর্দু সাহিত্যে তিনিই প্রথম ঐতিহাসিক সমালোচক। সাহিত্যের সকল শাখায় তার পদচারণা রয়েছে। আলিগড় কলেজে অধ্যাপনা জীবনের শুরুতে সৈয়দ আহমদ খানের চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়ে তিনি আলিগড় আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেন। পরবর্তীতে তিনি এই আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে নদওয়াতুল উলামার সাথে যুক্ত হন।[৪] তিনি দেওবন্দি মতাদর্শের সমর্থক ছিলেন।[৫] তিনি ইসলামের অতীত ঐতিহ্যকে ঠিক রেখে আধুনিক চিন্তাধারার সাথে সমন্বয়ের প্রয়াস পেয়েছিলেন। ১৯১০ থেকে ১৯৩৫ পর্যন্ত উর্দুতে যে ইসলামি সাহিত্য সৃষ্টি হয় অনেকাংশেই তা শিবলীর প্রাচীন ও আধুনিকের সমন্বয় সাধনের ফল।[৬] শেষজীবনে রচিত সীরাতুন নবী তার সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা। বিদ্যাবত্তার স্বীকৃতি স্বরুপ উসমানি খেলাফত তাকে ‘তমঘায়ে মজিদি’ এবং ব্রিটিশ সরকার ‘শামসুল উলামা’ উপাধি প্রদান করে।
শামসুল উলামা, তমঘায়ে মজিদি আল্লামা শিবলী নোমানী | |
---|---|
شبلی نعمانی | |
অধ্যাপক, মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ | |
কাজের মেয়াদ ১৮৮২ – ১৯৯৮ | |
শিক্ষাসচিব, দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামা | |
কাজের মেয়াদ ১৯০৫ – ১৯১৩ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আজমগড়, উত্তরপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত | ১ জুন ১৮৫৭
মৃত্যু | ১৮ নভেম্বর ১৯১৪ | (বয়স ৫৭)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | মাজিদুন্নেসা (বি. ১৮৭৬) |
সন্তান | ৩ |
ওয়েবসাইট | shibliacademy |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নি |
বংশ | রাজপুত |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | |
প্রধান আগ্রহ | |
উল্লেখযোগ্য কাজ | |
শিক্ষক | |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন | |
সাহিত্যকর্ম | সীরাতুন নবী (১৯১৪) |
তিনি ১৮৫৭ সালে আজমগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে কয়েকটি মাদ্রাসায় পড়ার পাশাপাশি তিনি আহমদ আলী সাহারানপুরির নিকট হাদিস অধ্যয়ন করেছেন। ১৮৮২ সালে আলিগড় কলেজে তার অধ্যাপনা জীবনের শুরু। অধ্যাপনা জীবনে সৈয়দ আহমদ খান ও টমাস ওয়াকার আর্নল্ডের সাথে সুসম্পর্কের কারণে তিনি উপকৃত হয়েছিলেন। ১৮৮৩ সালে তিনি একটি জাতীয় স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তীতে শিবলী জাতীয় কলেজে রূপান্তরিত হয়। ১৮৮৮ সাল থেকে প্রবন্ধ ও কবিতা রচনার মাধ্যমে তার সাহিত্য সাধনা শুরু হয়। ১৮৯২ সালে তিনি তুরস্ক সহ কয়েকটি মুসলিম দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি আলিগড়ে অধ্যাপনা করেছেন। এসময়ে তিনি আল মামুন, সীরাতুন নোমান, আল ফারুকের মত জীবনী সাহিত্য সৃষ্টি করেন। সৈয়দ আহমদ খানের মৃত্যুর পর তিনি আলিগড়ের অধ্যাপনা ছেড়ে দেন। ১৯০১ সালে তিনি দাইরাতুল মাআরিফ নামক গবেষণা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হন। একইসাথে তিনি আঞ্জুমানে তারাক্কিয়ে উর্দুর মহাসচিব ছিলেন। আল গাজ্জালী, ইলমুল কালাম সহ পাঁচটি গ্রন্থ রচনা করেন এখানে। সেখানে তিনি একটি প্রাচ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও সম্পন্ন করেছিলেন। হায়দ্রাবাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে ১৯০৫ সালে তিনি দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামায় চলে এসে শিক্ষা সচিব হিসেবে যোগদান করেন। তার আমলে নদওয়ার শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার আনয়ন করেন। ১৯০৬ সালে তিনি তার বিখ্যাত ফার্সি কাব্যগ্রন্থ শেরুল আজম রচনা করেন। এসময়ে তিনি আন নদওয়া নামক একটি উচ্চমানের সাহিত্য পত্রিকাও প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৩ সালে নদওয়া থেকে পদত্যাগ করে তিনি মাদরাসাতুল ইসলাহ ও দারুল মুসান্নিফীন প্রতিষ্ঠা করেন। এসময়ে তিনি সীরাতুন নবী রচনার কাজ শুরু করেন। ২ খণ্ড রচনার পর ১৯১৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার অন্তিম ইচ্ছানুসারে তারই ছাত্র সুলাইমান নদভী ৭ খণ্ডে এটি সমাপ্ত করেন। সর্ব-ইসলামবাদের সমর্থক হিসেবে তিনি উসমানি খেলাফতের সমর্থন করতেন। ভারতীয় রাজনীতিতে হিন্দু-মুসলিমের ঐক্য প্রত্যাশী হিসেবে তিনি কংগ্রেসের সমর্থক এবং মুসলিম লীগের সমালোচক ছিলেন। ১৯৯২ সালে তার সম্মানে পাকিস্তান সরকার একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। তার জীবনকর্মের উপর সুলাইমান নদভীর রচিত হায়াতে শিবলী অন্যতম।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাজন্ম ও বংশ
সম্পাদনাশিবলী নোমানীর জন্ম ১৮৫৭ সালের ১ জুন। তিনি ব্রিটিশ ভারতের উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার বিন্দুল নামক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি শিওরাজ সিং-এর বংশধর ছিলেন যিনি পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করে সিরাজ উদ্দিন নাম ধারণ করেন।[৭] তার বংশধররা রোতারাহ নামে পরিচিতি লাভ করে। তার পিতা হাবিবুল্লাহ একজন জমিদার ও উকিল ছিলেন।
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাছয় বছর বয়সে গ্রামের পাঠশালায় তার শিক্ষার হাতেখড়ি হয়। কুরআন ও ফার্সি কিতাব পড়ার পর তিনি জৌনপুরের মাদ্রাসায়ে হানাফিয়ায় কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি ভর্তি হন আজমগড় শহরের পূর্ব দিকে ঘুসি নামক গ্রামে অবস্থিত মাদ্রাসা নাসেরুল উলুমে। এখানে পড়াশোনার সমাপ্তির পর তার পিতা তাকে মাদ্রাসা চশমায়ে রহমত, গাজীপুরে পাঠিয়ে দেন।[৮] পরবর্তীতে তার পিতা ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হয় মাদ্রাসায়ে আরাবিয়া আজমগড়। তিনি এই মাদ্রাসায় চলে আসেন। এই মাদ্রাসায় শিক্ষাকালীন সময়ে তিনি গবেষণায় মনোযোগ দেন এবং ফার্সি ভাষা ও সাহিত্যে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।[৯] এরপর তিনি রামপুর সফর করেন এবং এরশাদ হোসেন মুজাদ্দেদির কাছে ফিকহ ও উসূলে ফিকহের শিক্ষা অর্জন করেন।[১০] এরপর তিনি লাহোর গমন করে ওরিয়েন্টাল কলেজের অধ্যাপক ফয়জুল হাসান সাহারানপুরির কাছে আরবি সাহিত্যে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। সর্বশেষ তিনি আহমদ আলী সাহারানপুরির নিকট হাদিস অধ্যয়ন করেছেন।[১১]
মধ্যজীবন
সম্পাদনা১৮৭৬ সালে ১৯ বছর বয়সে তিনি পিতার সাথে হজ্জে চলে যান।[১২] হজ্জ থেকে ফেরার পর ১৮৭৯ সালে তিনি উকালতি পরীক্ষা দেন। কিন্তু আইন বিষয়ে আগ্রহ না থাকায় অকৃতকার্য হন। ১৮৮০ সালে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। ১৮৮১ সালে তিনি আজমগড়ে ওকালতি শুরু করেন। এই পেশা বাদ দিয়ে ১৮৮২ সালে তিনি প্রথমে আদালতে কালেক্টরির দলিল নকল লেখক হিসেবে কাজ করেন। কিছুদিন বাজেয়াপ্ত জমিজমার আমিনের কাজও করেছেন। এরপর তার পিতার নীল কারখানার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটাও ছেড়ে দিয়ে তিনি জনৈক মাওলানার সাথে গ্রামে চলে যান এবং কিছুদিন উকালতি করেন।[১৩] ১৮৮৩ সালের ১ জানুয়ারি তিনি মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজের প্রাচ্য ভাষা বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন। কাব্য রচনার মধ্য দিয়ে তিনি শিক্ষকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ওই সময় তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্য হল:[১৪]
- মুরসিয়া সর সালার জংগ (১৮৮৩)
- কসিদায়ে ঈদিয়া (১৮৮৩)
- মুসনবী সুবহে উমিদ (১৮৮৫)
- মুরসিয়া মাওলানা ফয়জুল হাসান (১৮৮৭) ইত্যাদি
কাব্য রচনার পাশাপাশি তিনি সৈয়দ আহমদ খানের কাছে আরবের ইতিহাস ও ভূগোলের উপর রচিত বইসমূহ অধ্যায়ন করেন। ফলে ইতিহাসের প্রতি তার নতুন আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এছাড়া টমাস ওয়াকার আর্নল্ডের সাথেও তার সুসম্পর্ক ছিল। সৈয়দ আহমদের সাহচার্য ও আলিগড়ে অবস্থান তাকে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখতে উৎসাহ জোগায়। আলিগড়ে থাকাকালীন তিনি কিছু প্রবন্ধ রচনা করেন। তার প্রথম প্রবন্ধ ‘মুসলমানদের উচিত শিক্ষা’, যা ১৮৮৭ সালে মোহামেডান এডুকেশনাল কনফারেন্স, লখনউতে পঠিত হয়।[১৫]
এসময় তিনি কিছু ঐতিহাসিক জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন। আল মামুন ১৮৮৯ সালে রচিত প্রথম জীবনীগ্রন্থ। এরপর ১৮৯০ সালে রচনা করেন সীরাতুন নোমান। আল ফারুকও এই সময়ে রচনা করেন যা ১৮৯৯ সালে প্রকাশিত হয়। ১৮৯২ সালে তিনি কয়েকটি মুসলিম দেশ সফর করেন। ১৮৯৩ সালে প্রকাশিত সফরনামায়ে রোম মিশর ও শাম গ্রন্থে এই ভ্রমণকাহিনী লিপিবদ্ধ করেন।[১৫]
কর্মজীবনের সূচনালগ্নে তিনি সৈয়দ আহমেদ খানের আলিগড় আন্দোলনের প্রচার-প্রসারে অতি উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীকালে আধুনিক শিক্ষিতদের দুরবস্থা অনুধাবন করে তার চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসে। ১৮৯৩ সালে প্রকাশিত ভ্রমণকাহিনীতে তার চিন্তা-চেতনার ভিন্নতা প্রকাশ পায়। এই বইয়ে তিনি তাগিদ দিয়েছেন যে, শুধু আধুনিকতার ফলাফল হতাশাব্যাঞ্জক এবং শুধু পুরােনােত্বের মধ্যে কোন উৎকর্ষ নেই। এজন্য পুরােনাে ও আধুনিকতার সমন্বয়ে যুগপৎ ব্যবস্থা আমাদের সমস্যা সমাধানের উত্তম পথ। ১৮৯৪ সালে তার বিদ্যাবত্তার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাকে শামসুল উলামা উপাধিতে ভূষিত করেন।[১৫]
সৈয়দ আহমদ খান ও তার মাঝে মতাদর্শের এই ভিন্নতার দিন দিন বাড়তে থাকে। ১৮৯৮ সালে সৈয়দ আহমেদ খানের মৃত্যুর পর তিনি কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[১৫]
শেষজীবন
সম্পাদনা১৮৯৮ থেকে ১৯০১ পর্যন্ত তার জীবন ছিল বিপর্যস্ত। এ সময় তিনি সার্বক্ষণিক অসুস্থতা ও নিঃসঙ্গতায় ভূগছিলেন। আল ফারুকের শেষ পৃষ্ঠা তিনি এই সময়ে রচনা করেন। ১৯০১ সালে তিনি হায়দ্রাবাদ চলে যান। এপ্রিলে থাকে ‘মদদগার মুতামাদ উমুরে মাজহাবি’-এর দায়িত্ব অর্পণ করা হলেও তিনি এটি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। মে মাসে তিনি ‘সরেরেশতায়ে তালিম ওয়া ফুনুন’-এর ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ লাভ করেন, ১৯০৫ সাল পর্যন্ত তিনি হায়দ্রাবাদে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি পাঁচটি গ্রন্থ রচনা করেন:[১৬]
- ইলমুল কালাম (১৯০২)
- আল কালাম (১৯০৩)
- সাওয়ানেহে মাওলানা রূম (১৯০৪)
- মোয়াজেনা আনিস ও দাবির (১৯০৩-৪)
- আল গাজ্জালী (১৯০৬)
হায়দ্রাবাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে ১৯০৫ সালে তিনি দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামায় চলে আসেন এবং শিক্ষকতা চালিয়ে যান। ১৯০৬ সালে তিনি মোয়াজেনা আনিস ও দাবির গ্রন্থের নতুন বিন্যাসের কাজ শুরু করেন এবং শেরুল আজম লেখনীতে মনোযোগী হন। ১৯০৭ সালের মে মাসে তিনি ফেরদৌসীর জীবনী লেখা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এসময় পায়ের অসুস্থতায় তার টাকনু পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়। ১৯০৮ সালে তিনি রচনা করেন দস্তায়েগুল ও বুয়েগুল। ১৯০৯ সালে রচনা করেন আওরঙ্গজেব পর এক নজর। ১৯১২ সালে তিনি সীরাতুন নবী রচনার কাজ শুরু করেন।[১৭]
নদওয়ায় শিক্ষকতাকালীন তিনি কিছু উন্নয়নমূলক সংস্কার সাধন করেন। সিলেবাস পরিবর্তন করেন। ইংরেজি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। ঐচ্ছিক ভাষা হিসেবে হিন্দি এবং সংস্কৃত শিক্ষা চালু করেন। আধুনিক আরবি ভাষায় বক্তব্য ও লেখনিতে জোর দেন। মেধাবী ছাত্রদের একটি অংশকে নিজ দায়িত্বে নিয়ে নেন। শিক্ষার মান উন্নয়নে নতুন শ্রেণি চালু করেন। নিয়মিতভাবে এম.এ শ্রেণির ক্লাস শুরু করেন। নদওয়ায় কুতুব খানার বইগুলােকে দ্বিগুণ করে দেন। ‘আন নদওয়া’ নামক একটি পত্রিকার প্রচলন করেন। নদওয়া পরিচালনার জন্য চিরস্থায়ী আয়ের পথ তৈরী ও ভূমির বন্দোবস্ত করেন। ধারাবাহিকভাবে বার্ষিক মাহফিলের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং বহু শ্রেণি কক্ষ নির্মাণ করেন। এছাড়াও নদওয়াতুল উলামার সভা ও মঞ্চ থেকে কল্যাণমূলক কিছু প্রস্তাবনা তৈরী করেন।[১৭]
শেষের দিকে নদওয়ার অন্য সদস্যদের সাথে মতপার্থক্য দেখা দিলে জুলাই ১৯১৩ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। ১৯১৪ সালের আগষ্ট মাসে তার বড় ভাইয়ের অসুস্থতার খবরে তিনি এলাহাবাদ চলে যান। দুই সপ্তাহ পর তার ভাই মৃত্যুবরণ করেন। এরপর তিনি আজমগড়ে চলে যান। সেখানে তিনি দারুল মুসান্নিফীনের প্রাথমিক ধারণা উদ্ভাবন করেন। ১৯১৪ সালের ১৮ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[১৮]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাউদ্ধৃতি
সম্পাদনা- ↑ শারমা, অরবিন্দ (২০১৮)। এনসাক্লোপিডিয়া অব ইন্ডিয়ান রিলিজিয়ন : ইসলাম, ইহুদিবাদ এবং জরাথ্রুস্টবাদ (ইংরেজি ভাষায়)। ডর্ড্রেকট: স্প্রিংগার নেদারল্যান্ডস। পৃষ্ঠা ৬৩৫–৬৩৬। আইএসবিএন 978-94-024-1266-6। ডিওআই:10.1007/978-94-024-1267-3_100532।
- ↑ রেড্ডি, কে. কৃষ্ণ (২০০৬)। জেনারেল স্টাডিজ হিস্টোরি। নতুন দিল্লি শাখা: এমসি গ্রা হিল এডুকেশন। পৃষ্ঠা সি-১৪৪। আইএসবিএন 978-0070604476। এএসআইএন 0070604479।
- ↑ এস্পোসিতো, জন এল. (২০০৩)। "মুহাম্মদ শিবলী নোমানী"। দ্য অক্সফোর্ড ডিকশনারী অব ইসলাম (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-512558-0।
- ↑ মেটকাল্ফ, বারবারা ডি. (২০০৫)। ইসলামিক রিভাবল ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া : দেওবন্দ, ১৮৬০-১৯০০ (ইংরেজি ভাষায়)। নতুন দিল্লি: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৪১–৩৪২। আইএসবিএন 978-0-19-566049-4। ওসিএলসি 634860270।
- ↑ Markovits, Claude (২০০২)। History of Modern India (ইংরেজি ভাষায়)। Prabhat Prakashan। পৃষ্ঠা ৩২২ – ৩২৩। আইএসবিএন 978-93-5266-745-1।
- ↑ পরিষদ, সম্পাদনা (জুন ১৯৮২)। সংক্ষিপ্ত ইসলামি বিশ্বকোষ ২য় খণ্ড। শেরেবাংলা নগর, ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ৩৮৩, ৩৮৪। আইএসবিএন 954-06-022-7।
- ↑ সুহায়ল ১৯৩৬, পৃ. ৫২।
- ↑ সুলাইমান নদভী ১৯৪৩, পৃ. ৭৫।
- ↑ মিনহাজ উদ্দীন মাহমুদ ২০১৬, পৃ. ১১।
- ↑ সুলাইমান নদভী ১৯৪৩, পৃ. ৭৯–৮০।
- ↑ মিনহাজ উদ্দীন মাহমুদ ২০১৬, পৃ. ১২।
- ↑ সুলাইমান নদভী ১৯৪৩, পৃ. ১৮।
- ↑ সুলাইমান নদভী ১৯৪৩, পৃ. ১১১, ১১২।
- ↑ মিনহাজ উদ্দীন মাহমুদ ২০১৬, পৃ. ১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ মিনহাজ উদ্দীন মাহমুদ ২০১৬, পৃ. ১৪।
- ↑ মিনহাজ উদ্দীন মাহমুদ ২০১৬, পৃ. ১৫।
- ↑ ক খ মিনহাজ উদ্দীন মাহমুদ ২০১৬, পৃ. ১৬।
- ↑ মিনহাজ উদ্দীন মাহমুদ ২০১৬, পৃ. ১৭।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনাপত্রিকা
সম্পাদনা- আল হাফিজ, মুসা (২৪ মে ২০২১)। "শিবলী নোমানী ও তার যুগবয়ান"। নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২১।
- দেহলভী, গোলাম রসূল (১৮ মে ২০১৬)। "রিসাইকলিং মাওলানা শিবলী নোমানী এন্ড হিজ রিলিজিয়াস আইডিয়াস ইন্সপিরেড বাই ইলমুল কালাম"। নিউ এইজ ইসলাম। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১।
- ফরিদ, ফয়সাল (১ ডিসেম্বর ২০১৪)। "শিবলী ইভেন্টে প্রথমবারের মত হিন্দু বক্তা"। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২১।
- রবিউল হক, মুহাম্মাদ (৪ আগস্ট ২০২০)। "ধর্মীয় শিক্ষা সংস্কারে আল্লামা শিবলী নোমানীর ঐতিহাসিক অবদান"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২১।
- সিদ্দিকী, শহীদ (২৭ মার্চ ২০১৭)। "ডিক্লোনাইজেশন এবং নাদওয়াতুল ওলামা"। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১।
- হাসসান, রশিদ (২৪ ডিসেম্বর ২০১৪)। "শিবলী নোমানীর জীবন-কর্ম আলোচনা"। আরব নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১।
বই
সম্পাদনা- আছারি, আবু আলি; আজমি, আরশাদ আলি আনসারি (২০০২)। আল্লামা শিবলী এবং মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। আজমগড়: কাসেমি প্রেস। ওসিএলসি 756377247।
- আজমি, আক্তার ওয়াকার (১৯৬৮)। শিবলী বাহাইসিয়াত-এ মুআররিখ (উর্দু ভাষায়)। লাহোর: তাসনিফাত। ওসিএলসি 583382770।
- আজমি, মুহাম্মদ ইলিয়াস (২০১৩)। আছারে শিবলী। আজমগড়, ভারত: দারুল মুসান্নিফীন শিবলী একাডেমি। আইএসবিএন 978-93-82201-03-8। ওসিএলসি 876368039।
- আজমি, মুহাম্মদ ইলিয়াস (২০১৮)। আত্মজীবনীতে শিবলী (১ম সংস্করণ)। আজমগড়: আদবি ডেরাহ। আইএসবিএন 978-81-938821-0-8। ওসিএলসি 1082248007।
- আনসারি, এম. এ. (১৯৬৬)। শিবলী মাকাতিব কি রৌশনী মে (উর্দু ভাষায়)। করাচী: উর্দু একাডেমি সিন্ধ। ওসিএলসি 20715079।
- আনসারী, সাঈদ (১৯৩৪)। মাওলানা শিবলী। লখনউ: আল নাজির প্রেস। ওসিএলসি 44756809।
- আব্দুর রহমান, সাবাহুদ্দিন (১৯৯৯)। মাওলানা শিবলী নোমানী পার এক নজর। আজমগড়: দারুল মুসান্নিফীন। ওসিএলসি 214967639।
- আল-আজমি, মুহাম্মদ ইলিয়াস (২০১২)। কবিদের দৃষ্টিতে শিবলী নোমানী। আজমগড়: আদবি ডেরা।
- আহমদ, মাফতুন (১৯৮৬)। মাওলানা শিবলী নোমানী : এক মুতালাহ। করাচি: মাকতাবায়ে উসলুব। ওসিএলসি 20492948।
- আহমাদ, মোস্তাক (২০১৪)। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মুসলিম মনীষী। বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০: ঝিনুক প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৩০৫।
- ইকরাম, এস. এম (১৯৭১)। ইয়াদগারে শিবলী (উর্দু ভাষায়)। লাহোর: ইদারায়ে সিকাফাত ইসলামিয়া। ওসিএলসি 19912650।
- ইসলাহি, কালিম সিফাত (২০১৪)। ইরফানে শিবলী। আজমগড়: দারুল মুসান্নিফীন। ওসিএলসি 945401656।
- উসমানি, মুহাম্মদ ওসিল (১৯৬৮)। সাহিত্যিকদের দৃষ্টিতে শিবলী। করাচী, পাকিস্তান: সুফিয়া একাডেমি। ওসিএলসি 1059575579।
- ওয়াইসি, আখতার; ইহসাস, ফরহাত (২০০৯)। শিবলী নোমানী : অতীত ও ভবিষ্যৎ। নয়া দিল্লি: আল বালাগ পাবলিকেশন্স। ওসিএলসি 467929962।
- কাদেরি, মুশতাক (২০১৪)। শিবলী বেহেসিয়াত সিরাত নিগার। দিল্লি: এডুকেশনাল পাবলিশিং হাউজ। আইএসবিএন 978-93-5073-486-5। ওসিএলসি 915043242।
- খান, আলাউদ্দিন (২০১৭)। বায়াদে শিবলী। নয়া দিল্লি: ইনস্টিটিউট অব অবজেক্টিভ স্টাডিজ। আইএসবিএন 978-93-84973-12-4। এএসআইএন B07PT9HNLR। ওসিএলসি 1010712713।
- খান, জাভেদ আলী (২০১৪)। শিবলী নোমানী : লাইফ এন্ড কন্ট্রিবিউশন (১ম সংস্করণ)। আজমগড়: দারুল মুসান্নিফীন শিবলী একাডেমি। আইএসবিএন 978-93-82201-40-3। ওসিএলসি 1159642160।
- গসিক, মতিউর রহমান (২০১২)। আল্লামা শিবলী নোমানী : ব্যক্তিত্ব এবং কবিত্ব। আলিগড়: এডুকেশনাল বুক হাউস। ওসিএলসি 843124293।
- গোলাম রব্বানী, ডক্টর (২০১৪)। উর্দু সাহিত্যে খ্যাতিমান আলিমদের অবদান (১৮৫৭ - ১৯৪৭)। বাংলাবাজার, ঢাকা: মাকতাবাতুত তাকওয়া। পৃষ্ঠা ৫৩–৬৩, ২৫০–২৬৮, ২৯১–২৯৮, ৩৭২–৩৮১। আইএসবিএন 9789849039107।
- চৌগতাই, মুহাম্মদ ইকরাম (২০১৭)। শিবলী নোমানী : জীবন ও কর্ম (ইংরেজি ভাষায়)। পাকিস্তান রাইটার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি। আইএসবিএন 978-969-8460-59-4। ওসিএলসি 1001251239।
- জায়েদি, মেহজাবিন (২০১৪)। আল্লামা শিবলী নোমানী : শতাব্দীর আয়নায় (উর্দু ভাষায়)। করাচি: কিরতাস। আইএসবিএন 978-969-9640-17-9। ওসিএলসি 945434600।
- জুবায়রি, মুহাম্মদ আমিন (১৯৪৬)। তাবসিরায়ে হায়াতে শিবলী। ভোপাল: সেন্ট্রাল ইন্ডিয়া প্রেস। ওসিএলসি 42974122।
- তালুকদার, মোঃ শফিকুর রহমান (২০১৮)। শত মুসলিম মনীষী। ঢাকা, বাংলাদেশ: বইবাংলা। পৃষ্ঠা ২৮৭। আইএসবিএন 984703550249।
- দাসনাওয়ি, সৈয়দ শাহাবুদ্দিন (১৯৮৭)। শিবলী, মুআনবদানাহ তানকিদ কি রৌশনী মে (উর্দু ভাষায়)। নয়া দিল্লি: আঞ্জুমানে তারাক্কিয়ে উর্দু, হিন্দ। ওসিএলসি 21196770।
- নদভী, আজমতুল্লাহ (২০১৫)। শায়খ শিবলী নোমানী : হিজ কন্ট্রিবিউশান টু দ্য প্রোডাকশন অব এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড ইটস কালচার। আইএসবিএন 978-9383322848। এএসআইএন 9383322845।
- নদভী, মুহাম্মদ আকরাম (১৯৭১)। শিবলী নামাহ, এক ফান কার কি দস্তান হায়াত (উর্দু ভাষায়)। লাহোর: এদারায়ে সাকাফাতে ইসলামিয়া। ওসিএলসি 20398005।
- নদভী, মুহাম্মদ আকরাম (১৯৭১)। শিবলী নোমানী (আরবি ভাষায়)। লাহোর: এদারায়ে সাকাফাতে ইসলামিয়া। ওসিএলসি 756181303।
- নাদিম, খালিদ (২০১৪)। শিবলী কি আপবীতি। লাহোর: নাশরিয়াত। ওসিএলসি 899138071।
- নিজামি, খালিক (১৯৯৬)। শিবলী কি ইলমি ওয়া আদাবি খিদমাত। নয়া দিল্লি: আঞ্জুমানে তারাক্কিয়ে উর্দু, হিন্দ। আইএসবিএন 978-81-7160-080-9। ওসিএলসি 35742687।
- ফারুকি, আসলাম (২০১১)। মাওলানা শিবলী নোমানী। নয়া দিল্লি: মাকতাবায়ে পয়য়ামে তালিম। ওসিএলসি 789643011।
- বাদায়ুনি, শামস (২০১৪)। শিবলী এবং আজাদ। নয়া দিল্লি: এপলাইড বুকস। আইএসবিএন 978-93-83239-11-5। ওসিএলসি 1154008782।
- বি, ছুফিয়া (২০০০)। আল্লামা শিবলী নোমানী বেহাইছিয়াত সাওয়ানেহ নিগার। চেন্নাই: জি. এম. প্রাসিস। ওসিএলসি 694080524।
- ভাজিউল্লা, রোস্তম পেসটোনজি; মোদি, জিভান্জ জামশেদজি (১৯৭৯)। মাওলানা শিবলী এবং উমর খৈয়াম (ইংরেজি ভাষায়)। লাহোর: আল বিরুণি। এএসআইএন B0006E4HUY। ওসিএলসি 7223174।
- ভাট্টি, আব্দুল জলিল (১৯৮৯)। শিবলীর দৃষ্টিতে ইতিহাস (উর্দু ভাষায়)। ভাওয়ালপুর, লাহোর: ইলমি কুতুবখানা। ওসিএলসি 614906965।
- ভাট, সামিউল্লাহ (২০১৯)। ইসলামিক হিস্টোগ্রাফি: ন্যাচার এন্ড ডেভেলপমেন্ট। নতুন দিল্লি, ভারত: এডুক্রিয়েশন পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ১৬–৩৮। আইএসবিএন 9789388910507।
- মবনু, সৈয়দ (২০১৮)। উর্দু ভাষা ও সাহিত্যঃ উৎস ও ক্রমবিকাশ। বাংলাদেশ: চৈতন্য। পৃষ্ঠা ৭৮–৮১। আইএসবিএন 9789849271055।
- মুরাদ, মেহের আফরোজ (১৯৯৬)। ইন্টেলেকচুয়াল মর্ডাণিজম অব শিবলী নোমানী (১ম সংস্করণ)। নতুন দিল্লি: কিতাব ভবন। আইএসবিএন 81-7151-216-X। ওসিএলসি 42892790।
- শওকত, সাদ (২০১৬)। শিবলী নোমানী’স কন্ট্রিবিউশন টু কালাম (ইংরেজি ভাষায়)। গ্রাজুয়েট থিওলজিয়ান ইউনিয়ন। ওসিএলসি 1041123831।
- শাকির, উবায়দুল্লাহ (২০১৬)। আকাবিরে উম্মাতের সোনালী জীবন। বাংলাবাজার, ঢাকা: আশরাফিয়া বুক হাউজ। পৃষ্ঠা ২৫।
- শাহ, সৈয়দ ইফতেখার হুসাইন (১৯৭৮)। ইকবাল আওর পাইরাভে শিবলী (উর্দু ভাষায়)। নয়া দিল্লি: ইত্তেহাদ পাবলিশিং হাউস। ওসিএলসি 563116032।
- সম্পাদনা পরিষদ (১৯৪৪)। ইয়ামে শিবলী। মুম্বই: আঞ্জুমানে তারাক্কিয়ে উর্দু। ওসিএলসি 1027166753।
- সিদ্দিকী, আফতাব আহমদ (১৯৫৭)। শিবলী এক ডাবিস্তান (উর্দু ভাষায়)। ঢাকা: মাকতাবায়ে আরেফীন। এএসআইএন B08CD4GHJF। ওসিএলসি 573988807।
- সিদ্দিকী, জাফর আহমদ (১৯৮৮)। শিবলী (উর্দু ভাষায়)। নয়া দিল্লি: সাহিত্য একাডেমি। ওসিএলসি 18816366।
- সিদ্দিকী, নাজ (১৯৭৬)। সমালোচকদের সৃষ্টিতে শিবলী (উর্দু ভাষায়)। হায়দ্রাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশ: ইলিয়াস ট্রেডার্স। ওসিএলসি 557436232।
- সিদ্দীকী, সাইফুল ইসলাম (২০১৯)। মুসলিম দার্শনিক চিন্তাবিদ ও বৈজ্ঞানিক (২ সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: রাহিন-রাশাদ প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৪২৩—৪৩১। আইএসবিএন 9789843442376।
- সুলাইমান নদভী, মাওলানা (১৯৪৩)। হায়াতে শিবলী। আজমগড়: মাআরেফ প্রেস। এএসআইএন B07J3J4SHR। ওসিএলসি 37282205।
- সুহায়ল, ইকবাল (১৯৩৬)। সীরাতে শিবলী। আজমগড়: আল ইসলাহ। ওসিএলসি 905801607।
সাময়িকী
সম্পাদনা- অনব্যসি, আরপার্সল্যান (এপ্রিল ২০২০)। "শিবলী নোমানী এবং আধুনিকতা" (পিডিএফ)। স্নাতকোত্তর অভিসন্দর্ভ, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া। ৯ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১।
- আখতার, শাহনাজ (১৯৯৬)। "হালি এবং শিবলীর সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির তুলনামূলক অধ্যয়ন"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, উর্দু বিভাগ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (উর্দু ভাষায়)।
- আজিজ, শহিদ (২০১৬)। "জীবনী সাহিত্য রচনায় মুহাম্মদ হুসাইন হাইকল এবং শিবলী নোমানীর তুলনামূলক অধ্যয়ন"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, বাবা গোলাম শাহ বাদশাহ বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)।
- আবু বকর, এম. সি. (২০১৪)। "হালি এবং শিবলীর উল্লেখ সহ উর্দুতে জীবনী সাহিত্য"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, উর্দু বিভাগ, শ্রী বেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয় (উর্দু ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২১।
- আহরারি, মুহাম্মদ জাফর (১৯৯৯)। "উর্দু সাহিত্যের নবজাগরণ এবং শিবলী"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)।
- ইঞ্জিনিয়ার, আসগর আলী (২০০৯)। "শিবলী নোমানী এবং জাতীয় রাজনীতি"। ইনসাফ : আন্তর্জাতিক দক্ষিণ এশিয়া ফোরাম। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১।
- ইমানজ, সেনা (২০১৯)। "উনবিংশ শতাব্দীর সীরাত রচনা : আহমেদ শেভেদেট পাশা এবং মাওলানা শিবলীর উদাহরণ"। স্নাতকোত্তর অভিসন্দর্ভ, নাজমুদ্দিন এরবাকান বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্ক।
- ইসলাম, আরশাদ (২০০৫)। "আল্লামা শিবলী নোমান (১৮৫৭–১৯১৪) : একজন স্মৃতিসৌধিক ইসলামি পণ্ডিত" (পিডিএফ)। পাকিস্তান জার্নাল অব হিস্টোরি এন্ড কালচার। ২৬ (১)। আইএসএসএন 1012-7682।
- ইসলাম, আরশাদ (২০১৩)। "আল্লামা শিবলী এবং আদি মুসলিম লীগ : একটি ভিন্নমত পোষণকারী কণ্ঠ"। ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকোর্স (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ (২)। আইএসএসএন 0128-4878।
- ইসলাম, আরশাদ (২০১৯)। "ভারতীয় মুসলমানদের উসমানিয়দের প্যান-ইসলামের পক্ষে সমর্থন: শিবলি নোমানী ভূমিকা"। ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকোর্স (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ (১): ১৯৭–২২০। আইএসএসএন 0128-4878।
- ইসলাম, মোজাফফর (১৯৮৭)। "শিবলী : অন ন্যাশনালিজম"। ইন্ডিয়ান হিস্টোরি কংগ্রেস। ৪৮: ৩৬৬–৩৭১। আইএসএসএন 2249-1937।
- ইয়াকুব, মুহাম্মদ (অক্টোবর ২০১৮)। "শিবলী নোমানীর ফার্সি কাব্যের বিশ্লেষণ"। গ্লোবাল জার্নাল ফর রিসার্চ এনালাইসিস। ৭ (১০): ৮৮–৯০। আইএসএসএন 2277-8160। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২১।
- উমর, জায়তুন (১৯৬৯)। মাওলানা শিবলী নোমানী : ভারতে ইসলামিক আধুনিকতাবাদ এবং রোমান্টিকতার একটি গবেষণা (১৮৮২ – ১৯১৪) (ইংরেজি ভাষায়)। ইংল্যান্ড: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ওসিএলসি 45572730। ২৯ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২১।
- উসমানি, আফজল; জিল্লী, ইশতিয়াক আহমদ; ইসলাম, জাফরুল। "স্থপতি : আল্লামা শিবলী নোমানী"। শিবলী একাডেমি। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১।
- কুমার, এক্রিতি (২০১৭)। "শিবলী নোমানী এন্ড দ্যা মেকিং অব নদওয়াতুল ওলামা"। প্রোসিডিংস অব দ্যা ইন্ডিয়ান হিস্টোরি কংগ্রেস। ৭৮: ৬৭৬–৬৮২। আইএসএসএন 2249-1937। জেস্টোর 26906140। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১।
- খাতুন, শায়েস্তা (২০১৩)। "মুসলিম মহিলাদের শিক্ষা ও সামাজিক বিকাশে আল্লামা শিবলীর ভূমিকা"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, উর্দু বিভাগ, বীর বাহাদুর সিং পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় (উর্দু ভাষায়)।
- খান, ইসরার আহমদ (২০১৫)। "ইসলামী ঐতিহাসিক তথ্যাদি প্রমাণীকরণে আল্লামা শিবলীর পদ্ধতি"। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইসলামিক টথস (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ (১): ৮১–৯৪। আইএসএসএন 2306-7012।
- খান, এ. এন. (১ অক্টোবর ১৯৮৫)। "শিবলী নোমানী (১৮৫৭ – ১৯১৪) এবং শিক্ষায় তার অবদান"। জার্নাল অব দ্যা পাকিস্তান হিস্টোরিকাল সোসাইটি। ৩৩ (৪)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১।
- খান, গাজনফার আলী (২০০১)। "নদওয়াতুল ওলামা : একটি ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)।
- খান, জাভেদ আলী (১৯৯০)। "ইসলামী ইতিহাসে শিবলীর অধ্যয়ন"। জার্নাল অব দ্যা পাকিস্তান হিস্টোরিকাল সোসাইটি, করাচী। ৩৮ (২): ১৪৩–১৫০।
- খান, ফয়সাল (২০০৮)। "বিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট ভারতীয় মুসলিম চিন্তাবিদদের কল্পিত দাওয়াহর ধারণা"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)।
- গুপ্ত, রিতিশ (আগস্ট ২০১৯)। "শিবলী নোমানীর শিক্ষা ভাবনা" (পিডিএফ)। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এপ্লাইড সোশ্যাল সাইন্স। ৬ (৮): ২১৫২–২১৬০। আইএসএসএন 2394-1405।
- গৌরি, মুহাম্মদ আলী (২০১১)। "মাওলানা শিবলী নোমানী'স ট্রেন্ডস ইন রেসপন্স টু সাচপিশন্স অব দি অরিয়েন্টালিস্ট"। আল ইদহ। পাকিস্তান: শেখ জায়েদ ইসলামিক সেন্টার, পেশওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। ২৩ (২): ১১০–১৩৮। আইএসএসএন 2664-3375।
- ছিফ্টছুরান, আরজু (২০১৮)। "শিবলী নোমানীর ভ্রমণকাহিনীতে আব্দুল হামিদ ২ এবং গাজী উসমান পাশা"। প্রাচ্য গবেষণা (তুর্কি ভাষায়) (১৮): ৫–১৬। আইএসএসএন 1307-6256।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- তালাত, জাফর (২০১৭)। "জীবনী সাহিত্যে শিবলী নোমানী"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, বীর বাহাদুর সিং পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১।
- নিজামুদ্দিন (২০১৬)। "১৯১৪ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত দারুল মুসান্নিফীন শিবলী একাডেমির ঐতিহাসিক অধ্যয়ন"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, ইতিহাস বিভাগ, বীর বাহাদুর সিং পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় (হিন্দি ভাষায়)।
- ফেজরি, গেসম্যান (২০১২)। "ইলমুল কালামকে পুনর্জীবিত করার ক্ষেত্রে শিবলী নোমানীর অবদান"। স্নাতকোত্তর অভিসন্দর্ভ, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- পারভিন, নুসবা (২০১১)। "শিবলির শিক্ষামূলক দর্শনের প্রাসঙ্গিকতা"। ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকোর্স (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ (২)। আইএসএসএন 0128-4878।
- পারভিন, নুসবা (২০০৫)। "উনিশ শতকের ভারতে মুসলিম শিক্ষা সংস্কার : শিবলী নোমানীর চিন্তাভাবনা ও অনুশীলনের বিশ্লেষণ"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২১।
- ফারুকী, মুহাম্মদ হামযা (২০১৪)। "শিবলী নোমানী ও সুলাইমান নদভীর জ্ঞানে অবদান"। বুনয়াদ - লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ (উর্দু ভাষায়)। ৫ (১): ২১১–২৪৮।
- বানু, পারভীন (২০০৭)। "হালি এবং শিবলীর সমালোচনামূলক মতামতের তুলনা"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, উর্দু বিভাগ, বীর বাহাদুর সিং পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় (উর্দু ভাষায়)।
- ভাট, সামি উল্লাহ (২০১৯)। "দ্যা ইম্পর্ট্যানস অব ওয়ার্কস অব মুহাম্মদ শিবলী নোমানী"। জার্নাল অব ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড হিউম্যানিটিজ (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ (২): ১৬৯–১৮০। আইএসএসএন 2527-838X। ডিওআই:10.21580/jish.32.2921। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১।
- মকসুদ, আহমেদ (১৯৮৯)। "১৮৭০ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত ইসলামি ইতিহাস গবেষণায় উত্তর ভারতের অবদান"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, আরবি বিভাগ, মহারাজা সয়াজিরাও বারোডা বিশ্ববিদ্যালয়।
- মিনহাজ উদ্দীন মাহমুদ (২০১৬)। "উর্দু সাহিত্যে আল্লামা শিবলী নু'মানীর অবদান"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, উর্দু বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২১।
- মীর, জাহিদ হুসাইন (২০১৯)। "শিবলীর রচনায় জীবনী ও ঐতিহাসিক উপাদান"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় (উর্দু ভাষায়)।
- সায়েদ, বকর হাসসান (২০১৮)। "কালাম ইন অ্যা পোস্ট-ট্রেডিশনাল ওয়ার্ল্ড : শিবলী নোমানী'স কনস্ট্রাকশন অব অথরিটি ইন ইলমুল কালাম এন্ড আল-কালাম"। পাকিস্তান জার্নাল অব হিস্টোরিকাল স্টাডিজ। ৩ (২): ৪৩–৭৯। আইএসএসএন 2412-611X। ডিওআই:10.2979/pjhs.3.2.02।