আন নদওয়া

দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার ভূতপূর্ব মাসিক উর্দু ম্যাগাজিন

আন নদওয়া (উর্দু: الندوہ‎‎) দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামা থেকে প্রকাশিত একটি ভূতপূর্ব মাসিক উর্দু সাহিত্য সাময়িকী। ১৯০৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন উর্দু সাহিত্যের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম শিবলী নোমানী। প্রথম দিকে পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন শিবলী নোমানী ও হাবিবুর রহমান খান শেরওয়ানি। সাহিত্য মানের কারণে তৎকালে পত্রিকাটি লেখক হিসেবে পরিচিত ও স্বীকৃতি লাভ করার মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হত। ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এই পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।[]

আন নদওয়া  
১ম খণ্ড, ৭ম সংখ্যার প্রচ্ছদ
বিষয়ইসলাম
ভাষাউর্দু
সম্পাদকশিবলী নোমানী
প্রকাশনা বিবরণ
প্রকাশক

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯১৩ সালের জুলাইয়ে শিবলী নোমানী দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামা থেকে পদত্যাগ করার পর পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।[] ১৯১৪ সালের জুলাইয়ে ইকরামুল্লাহ নদভীর সম্পাদনায় পত্রিকাটি দ্বিতীয়বারের মত প্রকাশিত হয়। তবে ১৯১৬ সালের ডিসেম্বরে এটি পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘসময় পর ১৯৪১ সালে সুলাইমান নদভী নদওয়াতুল উলামার প্রতি বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েন। তখন তিনি পত্রিকাটি পুনরায় চালু করেন। তৃতীয় বারের মত প্রকাশে পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী ও আবদুস সালাম কিদওয়াঈ নদভী। পত্রিকাটিতে নিয়মিত লেখালেখি করতেন সুলাইমান নদভী, হাবিবুর রহমান খান শেরওয়ানি, আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদি ও জিয়াউল হাসান নদভী। অর্থ সঙ্কটের কারণে পত্রিকাটি ১৯৪২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্ধ হয়ে যায়।[]

ধারাবাহিক

সম্পাদনা

১৯৪০ সালের নভেম্বর থেকে "যেসব কিতাবের কাছে আমি ঋণী " শিরোনামে ১৫ জন প্রতিষ্ঠিত লেখকদের একটি ধারাবাহিক লেখা প্রকাশিত হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন: নওয়াব সদর ইয়ারজং, হাবিবুর রহমান খান শেরওয়ানি, সুলাইমান নদভী, মানাজির আহসান গিলানি, আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদি, আবদুল বারী নদভী, নওয়াব আলী, উবাইদুল্লাহ সিন্ধি, আব্দুল আযিয মায়মানী, ইজাজ আলী আমরুহী, শাহ হালিম আতা, সৈয়দ তালহা, বদরুদ্দীন আলাভী, সাইদ আহমদ আকবরাবাদী, মিয়া বশির আহমদ ও খাজা গোলামুস সায়্যিদাইন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. নদভী, আবুল হাসান আলী (২০১৫)। কারওয়ানে যিন্দেগী১ম। বাংলাবাজার, ঢাকা: মুহাম্মদ ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা ১৯৩–১৯৫। আইএসবিএন 978-984-91840-0-3 
  2. মাহমুদ, মিনহাজ উদ্দীন (২০১৬)। উর্দু সাহিত্যে আল্লামা শিবলী নোমানীর অবদান (গবেষণাপত্র)। উর্দু বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৬। 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা