সাওয়ানেহে মাওলানা রূম

শিবলী নোমানীর বই

সাওয়ানেহে মাওলানা রূম (উর্দু: سوانح مولانا روم‎‎) জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমিকে নিয়ে রচিত শিবলী নোমানীর একটি জীবনীমূলক ঐতিহাসিক গ্রন্থ। ১৯০৩ সালে শিবলী হায়দ্রাবাদ থেকে লখনউ আসেন তখন তিনি এ গ্রন্থটি রচনা করেন এবং প্রকাশনায় পাঠিয়ে দেন। অজানা কারণে এটি আর ছাপা হয়নি। অবশেষে ১৯০৬ সালে মাতবা নামি প্রেস কানপুর থেকে ২০০ পৃষ্ঠার প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়।[১]

সাওয়ানেহে মাওলানা রূম
সাওয়ানেহে মাওলানা রূমের প্রচ্ছদ.jpeg
লেখকশিবলী নোমানী
মূল শিরোনামউর্দু: سوانح مولانا روم‎‎
ভাষাউর্দু (মূল)
বিষয়জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি
ধরনজীবনী
প্রকাশিত১৯০৩
পৃষ্ঠাসংখ্যা২০০
আইএসবিএন৯৭৮৯৩৮০১০৪৪৯২
ওসিএলসি১০৩০০২৯৬১৪
২৯৭.০৯

বর্ণনাসম্পাদনা

গ্রন্থটিতে শিবলী ২টি বিষয়ের উপর জোর দেন, প্রথমটি হল রূমীর খোদা প্রেমের মত্ততানুভূতি যার মাধ্যমে তিনি শামস তাবরিজির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন। দ্বিতীয়টি হল দার্শনিক চেতনার উন্মেষণ যার মাধ্যমে তিনি পরিচয় আর প্রজ্ঞার অণ্বেষনে অকাট্য দর্শন তৈরী করেন। যা ধর্মান্ধ, ভ্রান্ত সূফীদের সম্পূর্ণ বিপরীত এবং যা জীবন বৈচিত্রের মাঝে আলোকিত করে কাজের মাঝে প্রেরণার উচ্ছ্বাস আর স্থায়ীত্বের প্রতি অনুপ্রাণিতের স্বীকৃতি দেয়। গ্রন্থটিতে রূমীর বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা তুলে ধরে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, দর্শনের বিভিন্ন রূপ থাকতে পারে। আত্মিক ও ত্বাত্ত্বিক দর্শনের মহাশক্তি সূফী ত্বত্ত্ব, যেখানে প্রকৃতির মহাশক্তিরোধে কোন ব্যাখ্যা নেই। পাশাপাশি তিনি তাওহীদ, ইবাদত, মাআদ এবং পরকালের বিষয়গুলো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরেন। তিনি রূমীর মসনবীকে আধ্যাত্মিক দর্শন শাস্ত্রের এক অনবদ্য রচনা হিসেবে তুলে ধরেছেন। দর্শন এবং বিজ্ঞান অধ্যায়ে শিবলী বস্তুর স্বস্থানে স্থায়িত্বের বৈজ্ঞানিক সূত্রটিকে দর্শনের পুরনো উদ্ভাবনী বলে উল্লেখ করেন।[১]

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

উদ্ধৃতিসম্পাদনা

  1. মাহমুদ, মিনহাজ উদ্দীন (২০১৬)। উর্দু সাহিত্যে আল্লামা শিবলী নোমানীর অবদান (গবেষণাপত্র)। উর্দু বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৬০—৬১। 

গ্রন্থপঞ্জিসম্পাদনা

বহিঃসংযোগসম্পাদনা