আওরঙ্গজেব আলমগীর পর এক নজর

শিবলী নোমানীর বই
(আওরঙ্গজেব পর এক নজর থেকে পুনর্নির্দেশিত)

আওরঙ্গজেব আলমগীর পর এক নজর (উর্দু: اورنگ زیب عالم گیر پر ایک نظر‎‎) ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবকে নিয়ে রচিত শিবলী নোমানীর একটি প্রবন্ধ।[১] তিনি ১৯০৯ সালে এটি রচনা করেন। নওয়েল কেশওয়ার স্টিমপ্রেস লাহোর থেকে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটিতে তিনি আওরঙ্গজেবের উপর ইংরেজ ও হিন্দুদের পক্ষ থেকে অর্পিত কিছু গুরুতর অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। আওরঙ্গজেবের উপর অসংখ্য প্রবন্ধ ও বই রচিত হয়েছে। কিন্তু শিবলীর এই গ্রন্থটি সঠিক তথ্য নির্ভরতায় উর্দু জীবনী সাহিত্যের এক অমূল্য কীর্তি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।[২]

আওরঙ্গজেব আলমগীর পর এক নজর
লেখকশিবলী নোমানী
মূল শিরোনামউর্দু: اورنگ زیب عالم گیر پر ایک نظر‎‎
ভাষাউর্দু (মূল)
বিষয়আওরঙ্গজেব
ধরনজীবনী
প্রকাশিত১৯০৯
ওসিএলসি৬০৮৯১৫৭৪৫
২৯৭.০৯

বর্ণনা সম্পাদনা

ইংরেজ ও হিন্দু সম্প্রদায় যে সকল খ্যাতিমান মুসলিম শাসকদের সমালোচনা করেন আওরঙ্গজেব তাদের অন্যতম। শিবলী যখন আওরঙ্গজেবের উপর অর্পিত অভিযোগগুলো নিয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটন শুরু করেন তার কাছে নিম্ন বিষয়গুলো ভিত্তিহীন রূপে দৃষ্টিগোচর হয়:

  1. আওরঙ্গজেব সিংহাসনে আরোহণের পর হিন্দু প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের খুঁজে বের করে ঢালাওভাবে বরখাস্ত করা শুরু করেন।
  2. আওরঙ্গজেব বিজাতীয়দের উপাসনালয় ধ্বংস করেন।
  3. আওরঙ্গজেবের হাত তার পিতা এবং ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত ছিল।
  4. আওরঙ্গজেব যখন শিবাজকে বন্দি করেন তখন তার সাথে তিনি অসদাচরণ করেন।

শিবলী বিশদভাবে অভিযোগগুলোর উত্তর দিয়েছেন। তিনি ঐ যুগের হাজারো হিন্দুদের তালিকা তৈরী করেন, যারা ঐ যুগে জীবিত ছিল এবং যুগের বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি যেখানে আওরঙ্গজেবের প্রতি অপপ্রচারের জবাব দিয়েছেন সেখানেই তিনি তার সম্মান আর মহত্ত্বের গুণাগুণগুলো তুলে ধরেছেন।[২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

উদ্ধৃতি সম্পাদনা

  1. ভাট, সামি উল্লাহ (২০১৯)। "দ্যা ইম্পর্ট্যানস অব ওয়ার্কস অব মুহাম্মদ শিবলী নোমানী"জার্নাল অব ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড হিউম্যানিটিজ (ইংরেজি ভাষায়)। (২): ১৭৭। আইএসএসএন 2527-838Xডিওআই:10.21580/jish.32.2921। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১ 
  2. মাহমুদ, মিনহাজ উদ্দীন (২০১৬)। উর্দু সাহিত্যে আল্লামা শিবলী নোমানীর অবদান (গবেষণাপত্র)। উর্দু বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৫৮–৬০। 

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা