২০১৯-২১ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
২০১৯-২১ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ (ইংরেজি: 2019–21 ICC World Test Championship) টেস্ট ক্রিকেটকে ঘিরে চলমান আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের উদ্বোধনী আসর।[১] ১ আগস্ট, ২০১৯ তারিখ থেকে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ২২ জুন, ২০২১ তারিখে নির্ধারিত সময়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে প্রতিযোগিতার পরিসমাপ্তি ঘটবে।[২] কোন কারণে চূড়ান্ত খেলা ড্র কিংবা টাইয়ে পরিণত হলে উভয় দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
![]() | |
তারিখ | ১ আগস্ট, ২০১৯ – ২২ জুন, ২০২১ |
---|---|
ব্যবস্থাপক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
ক্রিকেটের ধরন | টেস্ট ক্রিকেট |
প্রতিযোগিতার ধরন | লীগ ও ফাইনাল |
বিজয়ী | ![]() |
রানার-আপ | ![]() |
অংশগ্রহণকারী | ৯ |
খেলার সংখ্যা | ৬১ |
সর্বাধিক রান | ![]() |
সর্বাধিক উইকেট | ![]() |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | www |
২০১০ সালে এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের চিন্তাধারা অনুমোদনের প্রায় এক দশক পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের চিন্তাধারাটি বাস্তবরূপ লাভ করে। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুইবার প্রতিযোগিতা আয়োজনের চেষ্টা চালানো হলেও তা বাতিল করতে হয়।
বারোটি টেস্টভূক্ত দেশের মধ্যে নয়টি দেশ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।[৩][৪] প্রত্যেক দলই অপর আটটি দলের মধ্যে যে-কোন ছয়টির বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশ নিবে। প্রত্যেক সিরিজই দুই থেকে পাঁচটি টেস্ট খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। সকল দলই তিনটি নিজদেশে ও তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে মোট ছয়টি সিরিজ খেললেও একই সংখ্যক টেস্ট খেলার প্রয়োজন পড়বে না। প্রত্যেক দলেরই প্রতিটি সিরিজ থেকে সর্বাধিক ১২০ পয়েন্ট লাভের সুযোগ রয়েছে। লীগভিত্তিক সিরিজ খেলা শেষে সর্বাধিকসংখ্যক পয়েন্ট লাভকারী দুই দল চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হবে।[৫]
এই চ্যাম্পিয়নশীপে দীর্ঘদিনব্যাপী চলমান টেস্ট সিরিজও এর অংশ হিসেবে গণ্য হবে। যেমন: ২০১৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজ। এছাড়াও, নয়টি দলের কয়েকটি দল এ সময়কালে অতিরিক্ত টেস্ট খেলায় অংশ নিবে যা এ চ্যাম্পিয়নশীপের অংশ নয়। ২০১৮-২৩ সালের আইসিসি ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম এগুলোতে রয়েছে। প্রধানত তিনটি টেস্টভূক্ত দলকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করানোর কারণে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে।
২৯ জুলাই, ২০১৯ তারিখে আইসিসি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের উদ্বোধন করে।[৬] খেলোয়াড়দের পোশাক পরিধানের শর্ত হিসেবে সকল খেলোয়াড়ই তাদের ওডিআই ও টুয়েন্টি২০আইয়ের নম্বর ব্যবহার করবে। এছাড়াও, কেবলমাত্র টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়ও এ শর্ত পালন করবে।[৭]
খেলার ধরনসম্পাদনা
এ প্রতিযোগিতাটি দুই বছরের অধিক সময় ধরে চলবে। প্রত্যেক দলই অপর ছয়টি দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশ নিবে। তিনটি স্ব-দেশে ও তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে মোট ছয়টি সিরিজ খেলবে। প্রত্যেক সিরিজই দুই থেকে পাঁচটি টেস্ট খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে, দলগুলোকে একই সংখ্যক টেস্ট খেলার প্রয়োজন পড়বে না; কিন্তু একইসংখ্যক সিরিজ খেলতে হবে। লীগভিত্তিক সিরিজ খেলা শেষে সর্বাধিকসংখ্যক পয়েন্ট লাভকারী শীর্ষস্থানীয় দুই দল জুন, ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হবে।[৮] প্রত্যেক খেলাই পাঁচদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।
পয়েন্ট পদ্ধতিসম্পাদনা
আইসিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রত্যেক সিরিজেই একই সংখ্যার পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সিরিজের টেস্ট সংখ্যায় কোন প্রভাব ফেলবে না। ফলে, কোন দেশ কমসংখ্যায় টেস্ট খেললেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এছাড়াও, সিরিজের ফলাফলের উপর পয়েন্ট দেয়া হবে না। কেবলমাত্র খেলার ফলাফলেই পয়েন্ট দেয়া হবে। সিরিজের সকল খেলাতেই এ পয়েন্ট বিভাজিত হবে।[৯] পাঁচ খেলার সিরিজে প্রত্যেক খেলাতেই ২০% এবং দুই খেলার সিরিজের ক্ষেত্রে ৫০% পয়েন্ট প্রত্যেক খেলাতে দেয়া হবে।
প্রত্যেক সিরিজে সর্বাধিক ১২০ পয়েন্ট রাখা হয়েছে। পয়েন্ট বণ্টনপ্রণালী নিম্নে দেয়া হলো:
সিরিজে খেলার সংখ্যা | জয়লাভের ক্ষেত্রে পয়েন্ট সংখ্যা | টাইয়ের ক্ষেত্রে পয়েন্ট সংখ্যা | ড্রয়ের ক্ষেত্রে পয়েন্ট সংখ্যা | পরাজয়ের ক্ষেত্রে পয়েন্ট সংখ্যা |
---|---|---|---|---|
২ | ৬০ | ৩০ | ২০ | ০ |
৩ | ৪০ | ২০ | ১৩ | ০ |
৪ | ৩০ | ১৫ | ১০ | ০ |
৫ | ২৪ | ১২ | ৮ | ০ |
অংশগ্রহণকারী দলসম্পাদনা
আইসিসির নয়টি পূর্ণাঙ্গ সদস্য এতে অংশ নিচ্ছে:
প্রত্যেক দলই আটটি সম্ভাব্য প্রতিপক্ষীয় দলের ছয়টির বিপক্ষে খেলবে। আইসিসি ঘোষণা করেছে যে, এ প্রতিযোগিতার প্রথম ও দ্বিতীয় আসরে ভারত ও পাকিস্তান দল একে-অপরের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে।
আইসিসির নিম্নবর্ণিত তিনটি পূর্ণাঙ্গ সদস্য এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে না:
আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানকারী তিনটি দেশ নিচেরসারিতে অবস্থান করছে। আইসিসি ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রামের আওতায় এ দলগুলো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে। আয়ারলান্ড ও আফগানিস্তান ১২টি করে এবং জিম্বাবুয়ে ২১ টেস্টে অংশ নিবে।[১০] তবে, এরফলে চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় এর কোন প্রভাব পড়বে না।[১১]
খেলার সময়সূচীসম্পাদনা
২০১৮-২০২৩ সালের ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০ জুন, ২০১৮ তারিখে আইসিসি কর্তৃপক্ষ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের সময়সূচী ঘোষণা করে।[১২] এপ্রিল ও মে মাসে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের কোন খেলা অনুষ্ঠিত হবে না।
- * = পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ সিরিজে দুটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বাতিল করা হয়েছে ।
দল | সর্বমোট খেলা | খেলবে না |
---|---|---|
অস্ট্রেলিয়া | ১৯ | শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
বাংলাদেশ | ১২ | ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা |
ইংল্যান্ড | ২১ | বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড |
ভারত | ১৭ | পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা |
নিউজিল্যান্ড | ১৩ | ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা |
পাকিস্তান | ১৩ | ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৬ | বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড |
শ্রীলঙ্কা | ১২ | অস্ট্রেলিয়া ও ভারত |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ১৩ | অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান |
লীগের পয়েন্ট তালিকাসম্পাদনা
অব | দল | সিরিজ | ম্যাচ | পপ্র | পয়েন্ট | জ | প.জ % | রা/উ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
খে | জ | হা | ড্র | খে | জ | হা | ড্র | টাই | |||||||
১ | ভারত | ৬ | ৫ | ১ | ০ | ১৭ | ১২ | ৪ | ১ | ০ | ৭২০ | ৫২০ | ০ | ৭২.২% | ১.৫৭৭ |
২ | নিউজিল্যান্ড | ৫ | ৩ | ১ | ১ | ১১ | ৭ | ৪ | ০ | ০ | ৬০০ | ৪২০ | ০ | ৭০.০% | ১.২৮১ |
৩ | অস্ট্রেলিয়া | ৪ | ২ | ১ | ১ | ১৪ | ৮ | ৪ | ২ | ০ | ৪৮০ | ৩৩২ | ৪[ক] | ৬৯.২% | ১.৩৯২ |
৪ | ইংল্যান্ড | ৬ | ৪ | ১ | ১ | ২১ | ১১ | ৭ | ৩ | ০ | ৭২০ | ৪৪২ | ০ | ৬১.৪% | ১.১২০ |
৫ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৫ | ২ | ৩ | ০ | ১৩ | ৫ | ৮ | ০ | ০ | ৬০০ | ২৬৪ | ৬[খ] | ৪৪.০% | ০.৭৮৭ |
৬ | পাকিস্তান | ৫.৫ | ৩ | ৩ | ০ | ১২ | ৪ | ৫ | ৩ | ০ | ৬৬০ | ২৮৬ | ০ | ৪৩.৩% | ০.৮২২ |
৭ | শ্রীলঙ্কা | ৬ | ১ | ৩ | ২ | ১২ | ২ | ৬ | ৪ | ০ | ৭২০ | ২০০ | ০ | ২৭.৮% | ০.৭২৯ |
৮ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৬ | ১ | ৪ | ১ | ১৩ | ৩ | ৮ | ২ | ০ | ৭২০ | ১৯৪ | ৬[গ] | ২৬.৯% | ০.৬৬১ |
৯ | বাংলাদেশ | ৩.৫ | ০ | ৪ | ০ | ৭ | ০ | ৬ | ১ | ০ | ৪২০ | ২০ | ০ | ৪.৮% | ০.৬০১ |
সর্বশেষ হালনাগাদ: ২৩ জুন ২০২১। সূত্র: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল,[১৬] ইএসপিএন ক্রিকইনফো[১৭] |
- ↑ ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ভারতের বিপরীতে ২য় টেস্টে স্লো ওভার রেটের কারণে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ পয়েন্ট জরিমানা করা হয়।[১৩]
- ↑ ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ইংল্যান্ডের বিপরীতে চতুর্থ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্লো-ওভার রেট এর কারণে ৬ পয়েন্ট জরিমানা করা হয়।[১৪]
- ↑ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ২২ জুন ২০২১ খেলার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্লো-ওভার রেট এর কারণে ৬ পয়েন্ট জরিমানা করা হয়।[১৫]
- শীর্ষে অবস্থানকারী দুটি দল অগ্রসর হবে ফাইনালে।
- দলের অবস্থান নির্ধারিত হবে প্রতিযোগিতার মোট পয়েন্ট হতে অর্জিত পয়েন্টের শতকরা হারের ভিত্তিতে। যদি শতকরা হারে দুটি দলই সমমান অর্জন করে, তখন তাদের প্রতি উইকেটের জন্য প্রদত্ত রানের অনুপাতকে বিবেচনায় রাখা হবে। যদি সেখানও দলের অবস্থান সমান হয় তবে, উভয় দলের মধ্যে সর্বাধিক সিরিজ বিজয়ীকে অগ্রে বিবেচনা হবে এবং সবশেষে ৩০ এপ্রিল ২০২১ তারিখ পর্যন্ত দলীয় টেস্ট র্যাঙ্কিংকে বিবেচনা করা হবে।[১৮]
- পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী, দলের অবস্থান নির্ণয়ের কথা ছিল পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে। যদি শীর্ষ দুই দলের পয়েন্ট সংখ্যা সমান হয়, তাহলে সর্বাধিক সিরিজ বিজয়ী দল শীর্ষে অবস্থান করবে। এরপরও যদি পয়েন্ট সংখ্যা সমান থাকে, তাহলে উইকেট প্রতি রান অনুপাতে শীর্ষ স্থান নির্ধারিত হবে। উইকেট প্রতি রানের অনুপাত হিসেব করতে রান সংগ্রহে উইকেট হারানো, ভাগ করা, উইকেট প্রতি রান দেয়া বিবেচনায় আনা হয়।[১৯]
- পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ সিরিজ এর দুটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ বাতিল হওয়ার জন্য সিরিজ সংখ্যা অর্ধেক লেখা হয়েছে।
লীগ পর্বের ম্যাচসমূহসম্পাদনা
২০১৯সম্পাদনা
ইংল্যান্ড ব অস্ট্রেলিয়াসম্পাদনা
২২–২৬ আগস্ট, ২০১৯
|
ব
|
শ্রীলঙ্কা ব নিউজিল্যান্ডসম্পাদনা
২২-২৬ আগস্ট, ২০১৯
স্কোরকার্ড |
ব
|
নিউজিল্যান্ড একটি ইনিংস সহ ৬৫ রানে বিজয়ী
পি. সারা ওভাল, কলম্বো পয়েন্ট: শ্রীলঙ্কা ০, নিউজিল্যান্ড ৬০। |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব ভারতসম্পাদনা
২২-২৬ আগস্ট, ২০১৯
স্কোরকার্ড |
ব
|
ভারত ৩১৮ রানে বিজয়ী
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা পয়েন্ট: ভারত ৬০; ওয়েস্ট ইন্ডিজ ০ |
২০১৯-২০সম্পাদনা
ভারত ব দক্ষিণ আফ্রিকাসম্পাদনা
২–৬ অক্টোবর ২০১৯
স্কোরকার্ড |
ব
|
ভারত ২০৩ রানে জয়ী
ডাঃ ওয়াই. এস. রাজশেখরা রেড্ডী এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বিশাখাপত্তনম পয়েন্ট: ভারত ৪০, দক্ষিণ আফ্রিকা ০ |
১০–১৪ অক্টোবর ২০১৯
স্কোরকার্ড |
ব
|
ভারত একটি ইনিংস সহ ১৩৭ রানে বিজয়ী
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, পুনে পয়েন্ট: ভারত ৪০, দক্ষিণ আফ্রিকা ০ |
১৯–২৩ অক্টোবর ২০১৯
স্কোরকার্ড |
ব
|
ভারত একটি ইনিংস সহ ২০২ রানে বিজয়ী
জেএসসিএ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স, রাঁচি পয়েন্ট: ভারত ৪০, দক্ষিণ আফ্রিকা ০ |
ভারত ব বাংলাদেশসম্পাদনা
অস্ট্রেলিয়া ব পাকিস্তানসম্পাদনা
২১–২৫ নভেম্বর ২০১৯
|
ব
|
২৯ নভেম্বর – ৩ ডিসেম্বর ২০১৯
Scorecard |
ব
|
অস্ট্রেলিয়া একটি ইনিংসসহ ৪৮ রানে জয়ী।
অ্যাডিলেড ওভাল, অ্যাডিলেড পয়েন্ট: অস্ট্রেলিয়া ৬০, পাকিস্তান ০ |
পাকিস্তান ব শ্রীলঙ্কাসম্পাদনা
১৯–২৩ ডিসেম্বর ২০১৯
|
ব
|
অস্ট্রেলিয়া ব নিউজিল্যান্ডসম্পাদনা
ব
|
২৬–৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
|
ব
|
অস্ট্রেলিয়া ২৪৭ রানে জয়ী
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন পয়েন্ট: অস্ট্রেলিয়া ৪০, নিউজিল্যান্ড ০ |
৩–৭ জানুয়ারি ২০২০
|
ব
|
দক্ষিণ আফ্রিকা ব ইংল্যান্ডসম্পাদনা
ব
|
ব
|
ইংল্যান্ড ১৮৯ রানে জয়ী
নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, কেপ টাউন পয়েন্ট: ইংল্যান্ড ৩০, দক্ষিণ আফ্রিকা ০ |
ব
|
ইংল্যান্ড একটি ইনিংস এবং ৫৩ রানে দ্বারা জয়ী
সেন্ট জর্জেস ওভাল, পোর্ট এলিজাবেথ পয়েন্ট: ইংল্যান্ড ৩০, দক্ষিণ আফ্রিকা ০ |
ব
|
পাকিস্তান ব বাংলাদেশসম্পাদনা
৭–১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
Scorecard |
ব
|
পাকিস্তান এক ইনিংস সহ ৪৪ রানে জয়ী
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম, রাওয়ালপিন্ডি পয়েন্ট: পাকিস্তান ৬০, বাংলাদেশ ০ |
নিউজিল্যান্ড ব ভারতসম্পাদনা
২১–২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
|
ব
|
২৯ ফেব্রুয়ারি-৪ মার্চ ২০২০
|
ব
|
শ্রীলঙ্কা ব ইংল্যান্ডসম্পাদনা
১৪–১৮ জানুয়ারি ২০২১
|
ব
|
২২–২৬ জানুয়ারি ২০২১
|
ব
|
২০২০সম্পাদনা
বাংলাদেশ ব অস্ট্রেলিয়াসম্পাদনা
ইংল্যান্ড ব ওয়েস্ট ইন্ডিজসম্পাদনা
৮–১২ জুন ২০২০
|
ব
|
১৬–২০ জুন ২০২০
|
ব
|
২৪–২৮ জুন ২০২০
|
ব
|
ইংল্যান্ড ব পাকিস্তানসম্পাদনা
বাংলাদেশ ব নিউজিল্যান্ডসম্পাদনা
কোভিড-১৯ এর জন্য সিরিজ বাতিল ।
২০২০-২১সম্পাদনা
অস্ট্রেলিয়া ব ভারতসম্পাদনা
ব
|
নিউজিল্যান্ড ব ওয়েস্ট ইন্ডিজসম্পাদনা
৩–৭ ডিসেম্বর ২০২০
|
ব
|
নিউজিল্যান্ড একটি ইনিংস সহ ১৩৪ রানে জয়ী
সেডন পার্ক, হ্যামিলটন পয়েন্ট: নিউজিল্যান্ড ৬০, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ০ |
১১–১৫ ডিসেম্বর ২০২০
|
ব
|
নিউজিল্যান্ড একটি ইনিংস সহ ১২ রানে জয়ী
বেসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটন পয়েন্ট: নিউজিল্যান্ড ৬০, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ০ |
নিউজিল্যান্ড ব পাকিস্তানসম্পাদনা
২৬–৩০ ডিসেম্বর ২০২০
|
ব
|
৩–৭ জানুয়ারি ২০২১
|
ব
|
নিউজিল্যান্ড এক ইনিংস সহ ১৭৬ রানে জয়ী
হ্যাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চ পয়েন্ট: নিউজিল্যান্ড ৬০, পাকিস্তান ০ |
দক্ষিণ আফ্রিকা ব শ্রীলঙ্কাসম্পাদনা
২৬-৩০ ডিসেম্বর ২০২০
|
ব
|
||
৩৯৬ (৯৬ ওভার)
|
৬২১ (১৪২.১ ওভার)
| |
১৮০ (৪৬.১ ওভার)
|
- বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ পয়েন্ট :- দক্ষিণ আফ্রিকা ৬০, শ্রীলঙ্কা ০
৩–৭ জানুয়ারি ২০২১
|
ব
|
||
১৫৭ (৪০.৩ ওভার)
|
৩০২ (৭৫.৪ ওভার)
| |
২১১ (৫৬.৫ ওভার)
|
৬৭/০ (১৩.২ ওভার)
|
- বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ পয়েন্ট :- দক্ষিণ আফ্রিকা ৬০, শ্রীলঙ্কা ০
পাকিস্তান ব দক্ষিণ আফ্রিকাসম্পাদনা
৪-৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Scorecard |
ব
|
পাকিস্তান ৯৫ রানে জয়ী
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম, রাওয়ালপিন্ডি পয়েন্ট: পাকিস্তান ৬০, দক্ষিণ আফ্রিকা ০ |
বাংলাদেশ ব ওয়েস্ট ইন্ডিজসম্পাদনা
৩–৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
|
ব
|
||
৪৩০ (১৫০.২ ওভার)
|
২৫৯ (৯৬.১ ওভার)
| |
২২৩/৮ডি. (৬৭.৫ ওভার)
|
৩৯৫/৭ (১২৭.৩ ওভার)
|
- টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে পঞ্চম সর্বোচ্চতম রান তাড়া করতে এবং এশিয়ার সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া করে।
১১-১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
|
ব
|
||
৪০৯ (১৪২.২ ওভার)
|
২৯৬ (৯৬.৫ ওভার)
| |
১১৭ (৫২.৫ ওভার)
|
২১৩ (৬১.৩ ওভার)
|
- টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- টেস্টে ১০০ উইকেট শিকারের ম্যাচের দিক থেকে মেহেদি হাসান দ্রুততম বাংলাদেশি বোলার হয়েছেন
ভারত ব ইংল্যান্ডসম্পাদনা
প্রথম টেস্টসম্পাদনা
৫-৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
|
ব
|
||
৫৭৮ (১৯০.১ ওভার)
|
৩৩৭ (৯৫.৫ ওভার)
| |
১৭৮ (৪৬.৩ ওভার)
|
১৯২ (৫৮.১ ওভার)
|
- টস জিতে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- জো রুট টেস্টে নিজের 20 তম সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং 100 তম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান হয়েছিলেন।
দ্বিতীয় টেস্টসম্পাদনা
১৩-১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
|
ব
|
||
৩২৯ (৯৫.৫ ওভার)
|
১৩৪ (৫৯.৫ ওভার)
| |
২৮৬ (৮৫.৫ ওভার)
|
১৬৪ (৫৪.২ ওভার)
|
- টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত
- রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার যিনি পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন এবং টেস্টে তিনবার সেঞ্চুরি করেছিলেন।
তৃতীয় টেস্টসম্পাদনা
২৪-২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
|
ব
|
||
১১২ (৪৮.৪ ওভার)
|
১৪৫ (৫৩.২ ওভার)
| |
৮১ (৩০.৪ ওভার)
|
৪৯/০ (৭.৪ ওভার)
|
- টস জিতে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়
- ১৯৩৫ সালের জানুয়ারির পর থেকে বল-বোলিংয়ের দিক থেকে এটি সংক্ষিপ্ততম টেস্ট ম্যাচ ছিল
চতুর্থ টেস্টসম্পাদনা
৪-৮ মার্চ ২০২১
|
ব
|
||
২০৫ (৭৫.৫ ওভার)
|
৩৬৫ (১১৪.৪ ওভার)
| |
১৩৫ (৫৪.৫ ওভার)
|
- টস জিতে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়
- ভারত লীগের শীর্ষ স্থানে পৌঁছায় এবং ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ব অস্ট্রেলিয়াসম্পাদনা
কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বাতিল করা হয়েছে ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব শ্রীলঙ্কা (সোবার্স – তিসেরা)সম্পাদনা
২১–২৫ মার্চ ২০২১
|
ব
|
২৯ মার্চ-২ এপ্রিল ২০২১
|
ব
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব দক্ষিণ আফ্রিকাসম্পাদনা
সিরিজটি প্রথমে কোভিড ১৯ এর জন্য বাতিল করা হলেও ২০২১ এর জুন মাসে ফাইনাল খেলার পাশাপাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।
১০–১৪ জুন ২০২১
Scorecard |
ব
|
দক্ষিণ আফ্রিকা একটি ইনিংস এবং ৩৮ রানে দ্বারা জয়ী
ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সেন্ট লুসিয়া পয়েন্ট: দক্ষিণ আফ্রিকা ৬০, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ০ |
১৮-২২ জুন ২০২১
Scorecard |
ব
|
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৮ রানে জয়ী
ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সেন্ট লুসিয়া পয়েন্ট: দক্ষিণ আফ্রিকা ৬০, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ০ |
ফাইনালসম্পাদনা
১৮-২৩ জুন, ২০২১
স্কোরকার্ড |
ব
|
||
- নিউজিল্যান্ড টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ।
- প্রথম দিন বৃষ্টির জন্য বাতিল হওয়ায় ২৩ শে জুন রিজার্ভ ডেট হিসেবে রাখা হয়েছে । চতুর্থ দিনও বৃষ্টির জন্য বাতিল ঘোষিত হয় ।
- নিউজিল্যান্ড প্রথমবার কোনো আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ এর প্রথম চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মর্যাদা লাভ করে । এই ম্যাচটি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত উইকেট-কিপার বিজে ওয়াটলিংএর টেস্ট ক্যারিয়ার এর অন্তিম ম্যাচ ।
প্রথমে ফাইনাল লর্ড’স-এ হবার কথা ছিল। পরে ১০ মার্চ ২০২১ এ ঠিক করা হয় সাউদাম্পটনে অনুষ্ঠিত হবে।
পুরস্কারসম্পাদনা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ঘোষণা করে যে, এই প্রতিযোগিতার জন্য মোট পুরস্কৃত অর্থের পরিমাণ ৩.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই মোট পুরস্কৃত অর্থ দলগুলোর অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ভাগ করে দেওয়া হবে।[২০]
অবস্থান | পুরস্কার মূল্য (মার্কিন ডলারে) |
---|---|
চ্যাম্পিয়ন | ১৬,০০,০০০ |
রানার-আপ | ৮,০০,০০০ |
তৃতীয় | ৪,৫০,০০০ |
চতুর্থ | ৩,৫০,০০০ |
পঞ্চম | ২,০০,০০০ |
ষষ্ঠ-নবম | ১,০০,০০০ × ৪ |
মোট | ৩৮,০০,০০০ |
চূড়ান্ত অবস্থানসম্পাদনা
অব. | দল |
---|---|
১ | নিউজিল্যান্ড |
২ | ভারত |
৩ | অস্ট্রেলিয়া |
৪ | ইংল্যান্ড |
৫ | দক্ষিণ আফ্রিকা |
৬ | পাকিস্তান |
৭ | শ্রীলঙ্কা |
৮ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
৯ | বাংলাদেশ |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Test, ODI leagues approved by ICC Board"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "How will the Test championship be played?"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৮।
- ↑ "Schedule for inaugural World Test Championship announced"।
- ↑ "Australia's new schedule features Afghanistan Test"।
- ↑ "FAQs - What happens if World Test Championship final ends in a draw or tie?"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "ICC launches World Test Championship"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ Neil Wagner - ICC World Test Championship Launch (ইংরেজি ভাষায়), সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০১
- ↑ Association, Press (১৩ অক্টোবর ২০১৭)। "ICC approves Test world championship and trial of four-day and matches"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ ক খ "World Test Championship points system values match wins over series triumphs"।
- ↑ Ireland, Afghanistan and Zimbabwe, like the nine Championship participants will be able to add further fixtures outside the FTP including Test matches.
- ↑ Netherlands have also been included on the FTP as a one-day and T20 playing nation only.
- ↑ "Men's Future Tour Programme 2018-2023 released"। International Cricket Council। ২০ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৮।
- ↑ "Australia fined for slow over-rate in second Test against India"। International Cricket Council। ২৯ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "South Africa docked six WTC points, fined 60 percent of match fees for slow over-rate against England"। ESPN Cricinfo। ২৮ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "West Indies fined for slow over-rate in second Test against South Africa"। International Cricket Council। ২২ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২১।
- ↑ "World Test Championship (2019–2021) Points Table"। International Cricket Council (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "ICC World Test Championship 2019–2021 Table"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "World Test Championship Playing Conditions: Effective from 1 December 2020" (PDF)। International Cricket Council। পৃষ্ঠা 3.40। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "World Test Championship Playing Conditions: What's different?" (PDF)। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Details of WTC prize money announced"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২১।