২০১৯–২০ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং তিনটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক খেলার জন্য পাকিস্তান সফর করে, যা সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর ২০১৯-এ অনুষ্ঠিত হয়।[১][২] সফরসূচীতে মূলত দুটি টেস্ট খেলাও অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু সেগুলোকে ২০১৯ এর ডিসেম্বরে স্থানান্তর করা হয়।[৩][৪] শ্রীলঙ্কা সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপরীতে খেলে ২০১৭ সালের অক্টোবরে, যখন তৃতীয় টি২০আই খেলা হয়েছিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। [৫][৬]
২০১৯-২০ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর | |||
---|---|---|---|
পাকিস্তান | শ্রীলঙ্কা | ||
তারিখ | ২৭ সেপ্টেম্বর – ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ||
অধিনায়ক |
সরফরাজ আহমেদ (ওডিআই ও টি২০আই) আজহার আলী (টেস্ট) |
লাহিরু থিরিমানে (ওডিআই) দাসুন শানাকা (টি২০আই) দিমুথ করুনারত্নে (টেস্ট) | |
টেস্ট সিরিজ | |||
ফলাফল | ২ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১–০ ব্যবধানে জয়ী | ||
সর্বাধিক রান | আবিদ আলী (৩২১) | ওশাদা ফার্নান্দো (১৪৬) | |
সর্বাধিক উইকেট | শাহীন আফ্রিদি (৮) | লাহিরু কুমারা (৭) | |
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় | আবিদ আলী (পাকিস্তান) | ||
একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ | |||
ফলাফল | ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ২–০ ব্যবধানে জয়ী | ||
সর্বাধিক রান | বাবর আজম (১৪৬) | দানুষ্কা গুণতিলকা (১৪৭) | |
সর্বাধিক উইকেট | উসমান শিনওয়ারি (৬) | ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা (৩) | |
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় | বাবর আজম (পাকিস্তান) | ||
টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ | |||
ফলাফল | ৩ ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কা ৩–০ ব্যবধানে জয়ী | ||
সর্বাধিক রান | সরফরাজ আহমেদ (৬৭) | ভানুকা রাজাপক্ষ (১১২) | |
সর্বাধিক উইকেট |
মোহাম্মদ হাসনাইন (৩) মোহাম্মাদ আমির (৩) | ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা (৮) | |
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় | ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা) |
শ্রীলঙ্কার অনেক খেলোয়াড়ই উক্ত সফরে অংশ গ্রহণ করতে অসম্মতি প্রদান করে,[৭] লাহিরু থিরিমানে ও দাসুন শানাকাকে যথাক্রমে ওডিআই ও টি২০আই-এর অধিনায়ক করে স্কোয়াড ঘোষণা করে।[৮] যদিও পাকিস্তান ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে পৌছতে অসমর্থ হয়, তবুও সরফরাজ আহমেদকে সিরিজের জন্য অধিনায়ক এবং বাবর আজমকে সহ-অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করে।[৯][১০] পরবর্তীতে সরফরাজ আহমেদ ব্যক্ত করেন যে, ঘরোয়া মাঠে নিজের দলের নেতৃত্ব দেয়া তার ক্যারিয়ারের একটি উজ্জ্বল অধ্যায় হবে।[১১]
করাচীর জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ওডিআই খেলাটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যাক্ত হয়।[১২] এটা ছিল উক্ত মাঠের ইতিহাসে প্রথম কোন ওডিআই খেলা পরিত্যাক্ত হয়।[১৩] ফলে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দ্বিতীয় ওডিআই খেলাটিকে একদিন পিছিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বরে নিয়ে আসে, যাতে করে মাঠ প্রস্তুতকারী দল পর্যাপ্ত সময় নিয়ে মাঠের আউটফিল্ড প্রস্তুত করতে পারে।[১৪] পাকিস্তান পরবর্তী ২টি ওডিআইয়ে জয় লাভ করলে ২-০তে সিরিজ জিতে নেয়।[১৫]
টি২০আই সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে ৬৪ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা জয় পায়, যা ২০১৩ এর ডিসেম্বরের পরে এটাই ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার প্রথম টি২০আই জয়।[১৬] শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি২০আই ম্যাচটিও ৩৫রানে জিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে নিজেদের প্রধান্য বজায় রাখে[১৭] এটা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার প্রথম দ্বিপক্ষীয় টি২০আই সিরিজ বিজয়।[১৮]
পটভূমি
সম্পাদনা২০০৯ এর মার্চে, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের পূর্বে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল বন্দুকধারীর আক্রমণের শিকার হলে উক্ত সিরিজ সম্পূর্ণ খেলা হয়নি।[১৯] ২০১৯ এর মে মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)র সভায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)কে অনুরোধ করে পাকিস্তানে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য।[২০] ২০১৯ এর জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট পাকিস্তানের একটি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল পাঠায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়ক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে,[২১] যার অর্থ দাড়ায় শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানে টেস্ট ম্যাচ খেলতে সম্মত।[২২] পরবর্তীতে করাচী ও লাহোরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ এর আগস্টে শ্রীলঙ্কা তাদের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে।[২৩][২৪] নিরাপত্তা ডেলিগেশন দল "খুবই সম্মতিসূচক প্রতিবেদন" প্রদান করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল পাকিস্তানে টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারবে এমন পরামর্শ প্রদান করে।[২৫] ২০১৯ এর ২২ আগস্ট, শ্রীলঙ্কা ক্রীড়া মন্ত্রী নিশ্চিত করে যে, তারা অক্টোবরে পাকিস্তানে ৩টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে, কিন্তু টেস্ট ম্যাচগুলোকে বাতিল করা হয়।[২৬][২৭]
২০১৯ এর ৯ সেপ্টেম্বরে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট প্রাথমিকভাবে সফরের জন্য নির্বাচিত সকল খেলোয়াড়ের সাথে সাক্ষাত করে প্রত্যেকের কাছে জানতে চায় পাকিস্তান সফরে খেলতে সম্মত কিনা।[২৮][২৯] দিনেশ চান্ডিমাল, আকিলা ধনঞ্জয়, নিরোশন ডিকওয়েলা, দিমুথ করুনারত্নে, সুরঙ্গা লকমল, লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, কুশল পেরেরা, থিসারা পেরেরা ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা সকলেই নিশ্চিত করে যে, তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে না।[৩০] দুই দিন পর, যখন শ্রীলঙ্কা যখন পাকিস্তান সফরের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করতে যাবে, তখন ক্রিকেট দলের উপর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে এমন সংবাদ পায় শ্রীলঙ্কা সরকার প্রতিনিধি দল।[৩১] তাই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট পুনরায় নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ পরিচালনা করে সিরিজ শুরুর পূর্বে।[৩২] পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তৃতীয় কোন স্থানে খেলাটির আয়োজন করতেও অসম্মতি জানায়।[৩৩] এহসান মানি, পিসিবি চেয়ারম্যানের বিবৃতি, "আমাদের হাতে এখন অন্য কোন পছন্দের সময় নেই", ফলে পাকিস্তানেই খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হতে বহাল থাকে।[৩৪] ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট নিশ্চিত করে যে, সিরিজটি শুরু হবে পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী।[৩৫][৩৬] দুদিন পরে, পিসিবি সফর ম্যাচের সকল অফিসিয়াল নিয়োগ করে।[৩৭]
অক্টোবর ২০১৯, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিবর্তে দুটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ও করাচীতে আয়োজন করার প্রস্তাব দেয়।[৩৮] জবাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট জানায়, পাকিস্তানে টেস্ট ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে যেতে তারা আগ্রহী।[৩৯] ২০১৯ এর নভেম্বরে, পিসিবি টেস্ট সিরিজের তারিখ ও স্থান নিশ্চিত করে।[৪০] টেস্ট সিরিজটি খেলতে সম্মত হওয়ার ফলে, পিসিবি আন্তর্জাতিক সূচীর আয়োজন করতে গিয়ে ২০১৯-২০ কায়েদ-ই-আজম ট্রফির ফাইনালকে পিছিয়ে দেয়।[৪১] নভেম্বর ২০১৯-এ, আগস্টে নিউজিল্যান্ডের সাথে খেলা দলের একটি মাত্র পরিবর্তন ছাড়া টেস্ট সিরিজের জন্য তাদের সর্ব-শক্তি স্কোয়াডের দল ঘোষণা করে।[৪২] পরের মাসের শুরুতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) খেলা পরিচালনার জন্য সকল অফিসিয়াল নিয়োগ প্রদান করে।[৪৩] প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরুর ৪দিন আগে পাকিস্তান তাদের টেস্ট স্কোয়াড নিশ্চিত করে।[৪৪] ফায়াদ আলম যিনি ২০০৯ এর নভেম্বর ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপরীতে দলের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন, তাকেও দলে ডাকা হয়।[৪৫] শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের সদস্যরা ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ পাকিস্তানে পৌছে যায়।[৪৬] পূর্বে দলের হয়ে পাকিস্তানে টেস্ট ম্যাচে খেলেছে এমন কোন খেলোয়াড় দলে রাখা হয়নি।[৪৭]
খেলার সারাংশ
সম্পাদনাকরাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ওডিআই খেলাটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যাক্ত হয়।[১২] এটা ছিল উক্ত মাঠের ইতিহাসে প্রথম কোন ওডিআই খেলা পরিত্যাক্ত হয়।[১৩] ফলে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দ্বিতীয় ওডিআই খেলাটিকে একদিন পিছিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বরে নিয়ে আসে, যাতে করে মাঠ প্রস্তুতকারী দল পর্যাপ্ত সময় নিয়ে মাঠের আউটফিল্ড প্রস্তুত করতে পারে।[১৪] পাকিস্তান পরবর্তী ২টি ওডিআইয়ে জয় লাভ করলে ২-০তে সিরিজ জিতে নেয়।[১৫]
টি২০আই সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে ৬৪ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা জয় পায়, যা ২০১৩ এর ডিসেম্বরের পরে এটাই ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার প্রথম টি২০আই জয়।[১৬] শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি২০আই ম্যাচটিও ৩৫রানে জিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে নিজেদের প্রধান্য বজায় রাখে[১৭] এটা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার প্রথম দ্বিপক্ষীয় টি২০আই সিরিজ বিজয়।[১৮] শ্রীলঙ্কা তাদের সর্বশেষ টি২০আই ম্যাচটিতে ১৩ রানে জয় পেলে, ৩-০তে সিরিজে জয় পায়।[৪৮] এমনটি প্রথমবার ঘটলো যে, তিন ম্যাচের টি২০আই সিরিজে তিনটিতেই শ্রীলঙ্কা জয় পায়, এবং ৩-০তে সিরিজ জিতে এবং টি২০আই-এ পাকিস্তান প্রথমবার ধবল ধোলাইয়ের শিকার হয়।[৪৯]
অতঃপর পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ-উল-হক লক্ষ্য করেন যে, নিম্নর্যাংকিংয়ের কোন দলের সাথে ৩-০তে একটি সিরিজ হারার পর তাদেরকে অনেকগুলো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।[৫০] সেই সাথে শ্রীলঙ্কার কোচ, রুমেশ রত্নায়েকে, পাকিস্তানের তার দল যে পরিমাণ সেবা ও নিরাপত্তা পেয়েছে তার প্রশংসা করেন এবং বলেন, "সারা বিশ্বের জন্য এটি একটি বার্তা" এবং আশা করেন যে, অন্যান্য দলগুলোও পাকিস্তানের আবার সফর শুরু করবে।[৫১]
দলীয় সদস্য
সম্পাদনাটেস্ট | ওডিআই | টি২০আই | |||
---|---|---|---|---|---|
পাকিস্তান[৫২] | শ্রীলঙ্কা[৫৩] | পাকিস্তান[৫৪] | শ্রীলঙ্কা[৫৫] | পাকিস্তান[৫৬] | শ্রীলঙ্কা[৫৭] |
ওডিআই সিরিজ
সম্পাদনা১ম ওডিআই
সম্পাদনা২য় ওডিআই
সম্পাদনা৩য় ওডিআই
সম্পাদনা ২ অক্টোবর ২০১৯
১৫:০০ (দিন/রাত) |
ব
|
||
- শ্রীলঙ্কা টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- মিনোদ ভানুকা (শ্রীলঙ্কা) তার ওডিআই অভিষেক হয়।
টি২০আই সিরিজ
সম্পাদনা১ম টি২০আই
সম্পাদনাব
|
||
- পাকিস্তান টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- মিনোদ ভানুকা ও ভানুকা রাজাপক্ষ (শ্রীলঙ্কা) উভয়ই তার টি২০আই অভিষেক হয়।
- দাসুন শানাকা শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ছিলেন টি২০আইতে প্রথমবার।[৫৮]
- মোহাম্মদ হাসনাইন টি২০আই-এ হ্যাট্রিক অর্জনকারী সর্বকনিষ্ঠ বোলার, পাকিস্তানে দ্বিতীয়, সামগ্রিকভাবে নবম (১৯ বছর ১৮৩ দিন)।[৫৯][৬০]
২য় টি২০আই
সম্পাদনা ৭ অক্টোবর ২০১৯
১৮:৩০ (রাত) |
ব
|
||
- শ্রীলঙ্কা টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- পাকিস্তানের জন্য এটি ছিল পাকিস্তানের কোন মাঠে সর্বোচ্চ রানের তাড়া।
৩য় টি২০আই
সম্পাদনা ৯ অক্টোবর ২০১৯
১৮:৩০ (রাত) |
ব
|
||
- শ্রীলঙ্কা টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- ওশাদা ফার্নান্দো (শ্রীলঙ্কা) তার টি২০আই অভিষেক হয়।
টেস্ট সিরিজ
সম্পাদনা১ম টেস্ট
সম্পাদনা১১–১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
Scorecard |
ব
|
||
- শ্রীলঙ্কা টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- আবিদ আলী ও উসমান শিনওয়ারি (পাকিস্তান) উভয়ই তার টেস্ট অভিষেক হয়।
- বৃষ্টি ও আলো স্বল্পতার কারণে ২য় ও ৩য় দিনে কেবল মাত্র যথাক্রমে ১৮.২ ওভার ও ৫.২ ওভার খেলা সম্ভব হয়েছিল।
- ভেজা মাঠের কারণে ৪র্থ দিনে কোন খেলা সম্ভব হয়নি।
- আবিদ আলী (পাকিস্তান) তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১ম সেঞ্চুরী লাভ করে, এবং পাকিস্তানের প্রথম কোন পুরুষ ক্রিকেটার টেস্ট ও ওডিআই অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরীর রেকর্ড তৈরী করে।[৬১]
- বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ পয়েন্ট: পাকিস্তান ২০, শ্রীলঙ্কা ২০।
২য় টেস্ট
সম্পাদনা১৯–২৩ ডিসেম্বর ২০১৯
Scorecard |
ব
|
||
- পাকিস্তান টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- শাহীন আফ্রিদি (পাকিস্তান) প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটে তার ৫ উইকেট সংগ্রহ করে।[৬২]
- আবিদ আলী পাকিস্তানের প্রথম কোন ব্যাটসম্যান যিনি তার প্রথম দুটি টেস্টে ধারাবাহিক দুটি সেঞ্চুরী সংগ্রহ করেন।[৬৩]
- শান মাসুদ (পাকিস্তান) টেস্ট ক্রিকেটে তার ১০০০তম রান সংগ্রহ করেন।[৬৪]
- প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের চার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সকলেই টেস্টের একই ইনিংসে সেঞ্চুরী করেন।[৬৫]
- ওশাদা ফার্নান্দো (শ্রীলঙ্কা) টেস্ট ক্রিকেটে তার প্রথম সেঞ্চুরী করেন।[৬৬]
- নাসিম শাহ (পাকিস্তান) টেস্টে নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন এবং ১৭ বছর এবং ৩০ দিন বয়সে তিনি টেস্টে পাঁচ উইকেট শিকারের কনিষ্ঠতম ফাস্ট বোলার হয়েছেন।
- বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ পয়েন্ট: পাকিস্তান ৬০, শ্রীলঙ্কা ০।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Men's Future Tours Programme" (পিডিএফ)। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka to tour Pakistan for limited-overs series in September - Here's complete schedule"। Times Now News। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "PCB and SLC announce schedule of upcoming matches"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "PCB and SLC announce schedule of upcoming matches"। Sri Lanka Cricket। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka confirm tour of Pakistan"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka to tour Pakistan for limited-overs series"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Ten Sri Lanka players opt out of tour of Pakistan due to security concerns"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Thirimanne, Shanaka to lead Sri Lanka in Pakistan"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sarfaraz Ahmed retained as Pakistan captain, Babar Azam made vice-captain"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sarfaraz Ahmed retained Pakistan captain; Babar Azam appointed vice-captain"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "'Leading Pakistan in front of home crowds will be a career highlight' – Sarfaraz Ahmed"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ "Rain ruins tour opener in Karachi"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ "ODI cricket's return to Pakistan ruined by rain"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ "Second ODI rescheduled for Monday"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ "Pakistan beat Sri Lanka by five wickets in third ODI, clinch series 2-0"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ ক খ "Sri Lanka beat Pakistan in a T20I after almost 6 years"। The Papare। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ ক খ "Rajapaksa blitz helps Sri Lanka seal series in Lahore"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ ক খ "Bhanuka Rajapaksa 77 helps Sri Lanka secure first-ever series win vs Pakistan"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "PCB offer to host SL for Test series in Pakistan"। CricBuzz। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৯।
- ↑ "PCB makes contact with Sri Lanka with a view to moving Test series to Pakistan"। Dawn। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka Cricket considers touring Pakistan, security expert to be sent to assess situation"। Island Cricket। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka likely to play Test in Pakistan: Reports"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Sri Lankan security delegation to decide on Test series in Pakistan"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka Cricket security delegation to visit Pakistan this week"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka mull playing Test cricket in Pakistan"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka will tour Pakistan after two-year gap to play ODIs and T20Is, informs SL sports minister"। Agence France-Presse। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka to play ODIs in Pakistan"। The Papare। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "SLC statement on the tour of Pakistan"। Sri Lanka Cricket। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Karunaratne, Malinga among Sri Lanka players to withdraw from Pakistan tour"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Malinga, Mathews, Karunaratne among ten players to pull out of Pakistan tour"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka Cricket to reassess security in Pakistan after terror threat"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Possible terrorist threat on the Sri Lankan team in Pakistan"। The Papare। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "PCB rules out shifting Sri Lanka home series to neutral venue"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "'Pakistan not exploring neutral venue' - Ehsan Mani confident of hosting Sri Lanka"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka tour of Pakistan to go ahead as planned"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka tour of Pakistan to go ahead as planned"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "David Boon appointed match referee for Pakistan v Sri Lanka series"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "PCB propose Rawalpindi and Karachi as venues for Sri Lanka Test series"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "SLC 'very positive' about touring Pakistan in December"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Pakistan to play Sri Lanka Tests in front of home crowds"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Quaid-e-Azam Trophy final to be played from 27 December"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka announce 16-man squad for historic Test tour of Pakistan"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "ICC appoints match officials for Pakistan v Sri Lanka Test series"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Fawad Alam's decade-long exile ends as Misbah announces squad for Sri Lanka series"। Geo TV। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Pakistan pick Fawad Alam for Sri Lanka Tests"। Samaa। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka arrive in Pakistan for first Test series since 2009 attack"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Test cricket is back in Pakistan, but it's more than a feel-good narrative"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Oshada blitz helps Sri Lanka seal T20I clean sweep over Pakistan"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Oshada Fernando, Wanindu Hasaranga the stars as Sri Lanka whitewash Pakistan"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Pakistan left with 'lots of questions to answer' - Misbah-ul-Haq"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Pakistan tour 'a message for the whole world', says Sri Lanka coach"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Fawad Alam returns to Pakistan's Test squad for Sri Lanka series"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Mathews, Chandimal to tour Pakistan as Sri Lanka name full-strength Test squad"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Pakistan squad for Sri Lanka ODIs announced"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka ODI and T20I Squads for Pakistan tour"। Sri Lanka Cricket। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Pakistan squad for Sri Lanka T20Is announced"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Thirimanne and Shanaka to lead Sri Lanka in Pakistan"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "A test for Sri Lanka's next gen as Pakistan look to re-establish their T20I credentials"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Pakistan pacer Mohammad Hasnain youngest to claim hat-trick in T20Is"। India TV। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Depleted Sri Lanka shock Pakistan despite Hasnain hat-trick"। Khaleej Times। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Pak vs SL: Abid Ali creates history in Rawalpindi Test"। The News International। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Recent Match Report - Pakistan vs Sri Lanka, ICC World Test Championship, 2nd test"। ESPNcricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২২।
- ↑ Bin-Asif, Hassan; Abid Ali, Syed (২০১৯-১০-২৯)। "The Genus Enterococcus and Its Associated Virulent Factors"। IntechOpen। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২২।
- ↑ "Monumental opening stand puts Pakistan in firm control"। www.icc-cricket.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২২।
- ↑ "Centuries for top four batsmen - Pakistan's rare feat in Karachi"। ESPNcricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১২-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২২।
- ↑ "Pakistan sniff series victory despite Fernando fightback"। Eurosport UK। ২০১৯-১২-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২২।