মেলবোর্ন

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী শহর

মেলবোর্ন (/ˈmɛlbərn/)[][] অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ভিক্টোরিয়ার রাজধানী ও সর্বাপেক্ষা ঘনবসতিপূর্ণ শহর। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের ইয়ারা নদীর প্রবেশমুখে অবস্থিত পোর্ট ফিলিপ বে এলাকায় এ শহরের অবস্থান। জনসংখ্যার দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী মেলবোর্ন, সিডনির পরেই এর অবস্থান।[] ২০১৩ সালের হিসেব অনুযায়ী এ শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৪৩৪৭৯৫৫জন। ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিকভাবে দুই শহরের চারিত্রক গঠন ভিন্নতর হলেও শহর দুটি ভাল-আচরণকল্পে প্রতিপক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ। বৃহৎ সুদৃঢ় অর্থনৈতিক কাঠামো, সাংস্কৃতিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু এ শহরকে ঘিরে।[][] গ্রীষ্মকাল হিসেবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে গড়পড়তা তাপমাত্রা হচ্ছে ২৬°সে./৭৯°ফা.।

মেলবোর্ন
ভিক্টোরিয়া
মেলবোর্ন অস্ট্রেলিয়া-এ অবস্থিত
মেলবোর্ন
মেলবোর্ন
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক৩৭°৪৮′৪৯″ দক্ষিণ ১৪৪°৫৭′৪৭″ পূর্ব / ৩৭.৮১৩৬১° দক্ষিণ ১৪৪.৯৬৩০৬° পূর্ব / -37.81361; 144.96306
জনসংখ্যা৪৩,৪৭,৯৫৫ (2013)[] (2nd)
 • জনঘনত্ব৪৩০/বর্গ কি.মি. (১,১০০/ব.মা.) []
প্রতিষ্ঠার তারিখ30 August 1835
উচ্চতা৩১ মি (১০২ ফু)
আয়তন৯,৯৯০.৫ বর্গ কি.মি.(৩,৮৫৭.৪ বর্গমাইল)(GCCSA)[]
সময় অঞ্চলAEST (ইউটিসি+১০)
 • দিবালোক সংরক্ষণ সময়AEDT (ইউটিসি+১১)
অবস্থান
  • ৬৬৫ কি.মি. (৪১৩ মা.) দূরে
  • ৮৭৬ কি.মি. (৫৪৪ মা.) দূরে
  • ১,৬৮৫ কি.মি. (১,০৪৭ মা.) দূরে
  • ৭২৯ কি.মি. (৪৫৩ মা.) দূরে
স্থানীয় সরকার31 Municipalities across Greater Melbourne
প্রশাসনিক বিভাগGrant, Bourke, Mornington
রাজ্য নির্বাচনী এলাকা54 electoral districts and regions
কেন্দ্রীয় বিভাগ23 Divisions
গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বার্ষিক বৃষ্টিপাত
20.1 °সে
68 °ফা
10.2 °সে
50 °ফা
646.9 মি.মি.
25.5 ইঞ্চি

বিশ্বের সকল এলাকা থেকে ব্যক্তির আগমন ঘটায় বিভিন্ন সংস্কৃতির প্রসার ঘটেছে এখানে। তাই এই শহরটি বহুসাংস্কৃতিক শহরের মর্যাদা পেয়েছে। ইআইইউ’র তথ্য মোতাবেক, ২০১১ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বসবাস উপযোগী শহরের তালিকায় এর অবস্থান রয়েছে। ২০০২ সাল থেকে বিশ্বের তিনটি বসবাসযোগ্য শহর হিসেবেও এর অবস্থান।[][১০] এছাড়াও, অসলো’র সাথে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বাপেক্ষা ব্যয়বহুল নগরীও এটি।[১১]

নিজস্ব ছোট ছোট রেলগাড়ীজাতীয় ট্রামের জন্যও এর পরিচিতি রয়েছে। শহরের চতুর্দিকে ইয়ারা নদী বহমান। এছাড়াও এখানে অনেকগুলো বৃহৎ আকৃতির উদ্যান, বাগান ও কিছু উপকূল রয়েছে। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এ শহরটি। জাদুঘর, চিত্রাঙ্কন, রেস্তোরাঁর খাবার, কেনা-কাটাসহ বড় ধরনের ক্রীড়া আয়োজন স্থলও এটি। মেলবোর্নের শিক্ষাব্যবস্থা, বিনোদন, স্বাস্থ্যচর্চা, গবেষণা ও উন্নয়ন, পর্যটন ও ক্রীড়া উচ্চ পর্যায়ের।[][১২]

অর্থনীতি

সম্পাদনা

অর্থনীতি, উৎপাদন, গবেষণা, আইটি, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পর্যটন ব্যবস্থা এ শহরের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। রাজস্ব আদায়ে শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি ও বাজারে অর্থ সরবরাহে শীর্ষ চারটিসহ অস্ট্রেলিয়ার অনেকগুলো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর রয়েছে এখানে।[১৩] মেলবোর্ন মেট্রোপলিটন এলাকার শিল্প-প্রতিষ্ঠান মূলতঃ জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও জ্বালানী পরিশোধন ব্যবস্থাকে ঘিরে। ফিলিপ বে বন্দর দিয়ে ধাতব যন্ত্রাংশ, মোটরগাড়ী, ইলেকট্রিক্যাল ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, মেশিনারী, রাসায়নিক উপকরণ, মুদ্রণশিল্প, বস্ত্রশিল্প, কাগজ, প্রক্রিয়াজাত খাবার আদান-প্রদান করা হয়। অস্ট্রেলিয়া তথা বিশ্বের সর্ববৃহৎ খনিজ কোম্পানী ব্রোকেন হিল প্রোপাইটারি (বিএইচপি) কোম্পানীর সদর দফতর এখানে অবস্থিত। এ প্রতিষ্ঠানটি স্টিল ও খনিজ দ্রব্য উৎপাদনের সাথে জড়িত। প্রস্তুতকারক ও গ্রাহকদের বিভিন্ন মালামাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংক ও প্যাসিফিক ডানলপের সদর দফতরও এখানেই।

সড়ক ও রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থা শহরের চতুর্দিকে বিস্তৃত। ব্রডমিডো এলাকার কাছাকাছি বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। মেলবোর্ন বিমানবন্দর দেশের অন্যতম প্রধান প্রবেশপথ। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম এ বিমানবন্দর দিয়ে ঘটে। এছাড়াও এ বিমানবন্দরটি অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। অস্ট্রেলিয়ার সর্ববৃহৎ ও ব্যস্ততম বন্দর মেলবোর্ন বন্দর দিয়ে প্রতি বছর ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালামাল হস্তান্তরিত হয় যা দেশের মোট বাণিজ্যের ৩৯%।[১৪][১৫]

যোগাযোগ

সম্পাদনা

আকাশপথে

সম্পাদনা
  • মেলবোর্ন বিমানবন্দর - প্রধান ও বৃহত্তম
  • এসেণ্ডন বিমানবন্দর - ব্যাবসায়িক ও চার্টার্ড

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "3218.0 - Regional Population Growth, Australia, 2012-13: ESTIMATED RESIDENT POPULATION, States and Territories - Greater Capital City Statistical Areas (GCCSAs)"Australian Bureau of Statistics। ৩ এপ্রিল ২০১৪। ৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৪  ERP at 30 June 2013.
  2. "3218.0 - Regional Population Growth, Australia, 2012-13: Victoria: Population Density"Australian Bureau of Statistics। ৩০ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৪ 
  3. "Greater Melbourne: Basic Community Profile"2011 Census Community ProfilesAustralian Bureau of Statistics। ২৮ মার্চ ২০১৩। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (xls) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৪ 
  4. Butler, S., সম্পাদক (২০০৯)। "Melbourne"। [[Macquarie Dictionary]] (5th সংস্করণ)। Sydney: Macquarie Dictionary Publishers Pty Ltd। 1952 pages। আইএসবিএন 978-18-7642-966-9  ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  5. "Definition of Melbourne in Oxford dictionary. Meaning, pronunciation and origin of the word"Oxford Dictionaries। Oxford University Press। ২০১৩। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৩  |নিবন্ধ= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  6. টেমপ্লেট:Census 2006 AUS
  7. The Global Financial Centres Index 14 (September 2013) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে. Y/Zen Group. p 15. Retrieved 4 December 2013.
  8. 2012 Global Cities Index and Emerging Cities Outlook ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে. A.T. Kearney. p 2. Retrieved 29 December 2013.
  9. Economist (আগস্ট ২০১৩)। "Global Liveability Ranking and Report August 2013"The Economist। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৩ 
  10. Westwood, Matthew (26 November 2013). The Cultural Capital's Perfect 10. The Australian. News Limited. Retrieved 28 December 2013.
  11. George Arnett; Chris Michael (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "The world's most expensive cities"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  12. Langmaid, Aaron (28 April 2010). We're sport's champion city again. Herald Sun. News Limited. Retrieved 29 December 2013.
  13. BRW 1000
  14. "Port Of Melbourne Sets Shipping Record"Malaysian National News Agency। www.bernama.com.my। ১৩ জুন ২০০৭। ২৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০০৮ 
  15. "Growth of Australia's largest port essential"The Age। Melbourne। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০০৮ 

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা