পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম (সিংহলি: පල්ලකැලේ ජාත්යන්තර ක්රිකට් ක්රීඩාංගනය, তামিল: பல்லேகல சர்வதேச கிரிக்கெட் மைதானம்) ক্যান্ডি শহর তথা শ্রীলঙ্কার অন্যতম নবীন ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে নির্মিত স্থাপনাবিশেষ। এটি শ্রীলঙ্কার অষ্টম টেস্ট খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। পরবর্তীতে মুত্তিয়া মুরালিধরন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে স্টেডিয়ামটির পুনরায় নামাঙ্কিত করা হয়। জুলাই, ২০১০ সালে ক্যান্ডির সেন্ট্রাল প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ একবাক্যে শ্রীলঙ্কার প্রথিতযশা ক্রিকেটার মুত্তিয়া মুরালিধরনের সম্মানার্থে তার নিজ শহরে নির্মিত স্টেডিয়ামটির নাম পরিবর্তন করে এ নামকরণ করে।[২]যদিও এখনও পর্যন্ত অফিশিয়ালি এ নামকরণ করা হয় নি
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি | |||
---|---|---|---|
অবস্থান | পাল্লেকেলে, ক্যান্ডি, শ্রীলঙ্কা | ||
দেশ | শ্রীলঙ্কা | ||
স্থানাঙ্ক | ৭°১৬′৪৯″ উত্তর ৮০°৪৩′২০″ পূর্ব / ৭.২৮০২৮° উত্তর ৮০.৭২২২২° পূর্ব | ||
প্রতিষ্ঠা | ২৭ নভেম্বর, ২০০৯ | ||
ধারণক্ষমতা | ৩৫,০০০ | ||
স্বত্ত্বাধিকারী | শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট | ||
পরিচালক | শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট | ||
ভাড়াটে | ইন্টার-প্রভিনশিয়াল লিমিটেড ওভার টুর্নামেন্ট ইন্টার-প্রভিনশিয়াল টুয়েন্টি২০ ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ | ||
প্রান্তসমূহ | |||
হান্নাসগিরিয়া ইন্ড রিকিলাগাস্কাদা ইন্ড | |||
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য | |||
প্রথম পুরুষ টেস্ট | ১ ডিসেম্বর ২০১০: শ্রীলঙ্কা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ||
সর্বশেষ পুরুষ টেস্ট | ৭ সেপ্টেম্বর ২০১১: শ্রীলঙ্কা বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||
প্রথম পুরুষ ওডিআই | ৮ মার্চ[১] ২০১১: পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড | ||
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই | ১০ আগস্ট ২০১১: শ্রীলঙ্কা বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||
প্রথম পুরুষ টি২০আই | ৬ আগস্ট ২০১১: শ্রীলঙ্কা বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||
সর্বশেষ পুরুষ টি২০আই | ৮ আগস্ট ২০১১: শ্রীলঙ্কা বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||
| |||
৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ অনুযায়ী উৎস: Cricinfo |
অবস্থান
সম্পাদনাক্যান্ডি থেকে আধা-ঘণ্টা ভ্রমণ উপযোগী রাস্তা দূরবর্তী স্থানে স্টেডিয়ামটি অবস্থিত।[৩] পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামটি পুরোপুরি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণাধীনে রয়েছে। ১৯৮৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত স্বাগতিক দেশের টেস্ট খেলার জন্য নির্মিত আসগিরিয়া স্টেডিয়াম থেকে দূরত্ব বজায় রেখে তৈরী করা হয়েছে। স্টেট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন অব শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে নির্মিত সুপারস্পোর্ট পার্কের সাথে মিল রেখে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।
মাঠের তথ্যাবলী
সম্পাদনাপাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তথ্যাবলী নিম্নরূপ:[৪]
- স্টেডিয়ামের দৈর্ঘ্য: ২৪৩ মিটার
- স্টেডিয়ামের প্রস্থ: ১৮৯ মিটার
- স্টেডিয়ামের উচ্চতা: ২২ মিটার
- বাউন্ডারি লাইনের ব্যাসার্ধ: ১০০ মিটার
- পিচের দৈর্ঘ্য: ৯০ মিটার
- পিচের প্রস্থ: ১০ মিটার
- মাঠের বহিঃভাগ অস্ট্রেলিয়ার সিন্থেটিক ঘাস দিয়ে আচ্ছাদিত থাকবে।
- মাঠের অন্তঃভাগ নীল ঘাস দিয়ে ঢাকা থাকবে।
ইতিহাস
সম্পাদনামূলতঃ ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উপযোগী করে হাম্বানতোতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সাথে এ স্টেডিয়ামটির অবকাঠামো পুণঃনির্মাণ করা হয়েছিল। ১-৫ ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে শ্রীলঙ্কা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট খেলার মাধ্যমে স্টেডিয়ামের ব্যবহার ঘটে। ৮ মার্চ, ২০১১ তারিখে নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্টেডিয়ামটির অভিষেক ঘটে। পাল্লেকেলে স্থানীয় কান্ডুরাতা ক্রিকেট দলের নিজ মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।[৫][৬][৭]
২০১২ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ খেলায় স্বাগতিক দেশের মর্যাদা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা যা ১৮ সেপ্টেম্বর-৭ অক্টোবর, ২০১২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।[৮] তন্মধ্যে ৯টি টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যান্য খেলাগুলো আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম এবং মহিন্দ রাজাপক্ষ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
কীর্তিগাঁথা
সম্পাদনাবিশ্বের ৩য় বোলাররূপে সুরঙ্গা লকমল নতুন মাঠে অনুষ্ঠিত টেস্ট ক্রিকেট খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলকে প্রথম বলে আউট করে রেকর্ড বহিতে নাম লেখান। এরফলে তিনি ভারতের কপিল দেব এবং পাকিস্তানের ইমরান খানের সমকক্ষ হন।[৯]
তিলকরত্নে দিলশান এবং উপুল থারাঙ্গা’র ১ম উইকেট জুটিতে ২৮২ রান আসে। ২৬ মার্চ, ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এ সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন।[১০]
শন মার্শ ১৬শ অস্ট্রেলিয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক টেস্টে ১৪২ রান করেন। এছাড়াও ২য় অস্ট্রেলীয় হিসেবে ৩নং অবস্থানে নেমে এ কীর্তি গড়েন।
৪র্থ উইকেট জুটিতে শন মার্শ এবং মাইক হাসি ২৫৮ রান করেন যা শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।[১১]
বিশ্বকাপ ক্রিকেট
সম্পাদনা২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোট তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম খেলাটি ছিল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে যা ৮ মার্চ, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
সম্পাদনাব
|
||
- নিউজিল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
ব
|
||
- জিম্বাবুয়ে টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
ব
|
||
- জিম্বাবুয়ে টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০
সম্পাদনা২০১২ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়। এই স্টেডিয়ামে মোট নয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। অন্য ম্যাচগুলো রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম ও মহিন্দ রাজাপক্ষ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
২০১২ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০
সম্পাদনা- গ্রুপ ম্যাচ
ব
|
||
- বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ১২৩ রান টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের নতুন বিশ্বরেকর্ড
ব
|
||
- পাকিস্তান টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়
- খেলার ফলাফলে নিউজিল্যান্ড সুপার এইট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে
ব
|
||
- বাংলাদেশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়
- খেলার ফলাফলে পাকিস্তান সুপার এইট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়
- টি২০ আন্তর্জাতিকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন[১২]
- সাকিব আল হাসানের ৫৪ বলে ৮৪ রান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেরা ব্যক্তিগত নৈপুণ্য
- সুপার এইট
ব
|
||
- নিউজিল্যান্ড টসে জয়লাভ করে ও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- টি২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেক: আকিলা ধনঞ্জয় (শ্রীলঙ্কা)
ব
|
||
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে
- ইয়ন মর্গ্যানের ২৫ বলে ৫০ রান প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্রুততম
ব
|
||
- নিউজিল্যান্ড টসে জয়ী হয় ও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে
ব
|
||
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়
ব
|
||
- নিউজিল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে
- খেলার ফলাফলে নিউজিল্যান্ডের প্রতিযোগিতা থেকে বিদায়
ব
|
||
- ইংল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়
- খেলার এ ফলাফলের প্রেক্ষাপটে শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে এবং ইংল্যান্ড প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Sheringham, Sam। "Cricket World Cup: Ross Taylor blitz sets up NZ victory"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Cyril Wimalasurendre (জুলাই ২৭, ২০১০)। "Pallekele Stadium to be named after Muralitharan"। ISLAND CRICKET। আগস্ট ৩০, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৭, ২০১০।
- ↑ Siddarth Ravindran (২০১০-০৮-২৩)। "Pallekele readies itself for the big day"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-০৫।
- ↑ Facts about the stadium Source: Sri Lanka Cricket. On Facebook. Retrieved on 7 June 2010
- ↑ How Sri Lanka's World Cup venues were chosen Cricinfo. Retrieved on 6 June 2010
- ↑ ICC happy with state of progress of Sri Lanka venues Cricinfo. Retrieved on 6 June 2010
- ↑ Sri Lanka World Cup venues on track – ICC Cricinfo. Retrieved on 6 June 2010
- ↑ "England to start ICC World Twenty20 title defence against qualifier. প্রকাশক: ICC. 21 September 2011"। ১৭ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১২।
- ↑ "Bravo’s 50 lifts WI to 134–2". BangaloreMirror.com. 2010-12-01. Retrieved 2010-12-05[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Dilshan, Tharanga take Sri Lanka into quarterfinals, collect: 26 August, 2012[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "m.smh.com"।
- ↑ "Statistical highlights: Pakistan vs Bangladesh, World Twenty20". Retrieved 01-10-2012.