সিংহলি[] (সিংহলি লিপি: සිංහල, siṁhala, [ˈsiŋɦələ]),[] হল একটি ইন্দো-আর্য ভাষা যা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কার সিংহলি জাতির দ্বারা কথিত হয়, যারা প্রায় ১৬ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে দ্বীপটির বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী।[][] ২০০১ সালের এক জরিপমতে শ্রীলঙ্কায় অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর প্রায় ২ মিলিয়ন লোক প্রথম ভাষা হিসেবে সিংহলি ভাষায় কথা বলে।[] এই ভাষাতে শ্রীলঙ্কার প্রায় ২ কোটি লোক কথা বলে। তামিল ভাষার সাথে ভাষাটি শ্রীলঙ্কার সহ-দাপ্তরিক ভাষা। ভাষাটি সিংহলি লিপিতে লেখা হয়।

সিংহলি
සිංහල
Siṁhala
উচ্চারণআধ্বব: [ˈsiŋɦələ]
দেশোদ্ভবশ্রীলঙ্কা
জাতিসিংহলি জাতি
মাতৃভাষী
১৭ মিলিয়ন (২০১২)[]
২ মিলিয়ন দ্বিতীয় ভাষা (২০১২)[]
পূর্বসূরী
উপভাষা
সরকারি অবস্থা
সরকারি ভাষা
 শ্রীলঙ্কা
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-১si
আইএসও ৬৩৯-২sin
আইএসও ৬৩৯-৩sin
গ্লোটোলগsinh1246[]
লিঙ্গুয়াস্ফেরা59-ABB-a
সিংহলী বর্ণমালা

ইতিহাস

সম্পাদনা

খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে সিংহলী ভাষাতে লেখা শিলালিপি পাওয়া গেছে। ১০ম শতক থেকে শুরু করে ভাষাটিতে সমৃদ্ধ বৌদ্ধ সাহিত্য রচিত হয়েছে। ধারণা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকে মূল ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ঔপনিবেশিকেরা ভাষাটিকে শ্রীলঙ্কা দ্বীপে নিয়ে আসে। অন্যান্য ইন্দো-আর্য ভাষা থেকে ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন বলে ভাষাটির বিবর্তনের গতিপথ ছিল ভিন্ন। এটিতে দ্রাবিড় তামিল ভাষার বড় প্রভাব দেখা যায়।

স্বীকৃতি

সম্পাদনা

১৯৫৬ সালে শ্রীলঙ্কায় সিংহলী ভাষাকে একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হলে সেখানকার তামিল সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী আক্রমণাত্মক গণবিক্ষোভ চালায়। এর ফলশ্রুতিতে ১৯৫৮ সালে তামিল ভাষাকে বিশেষ সরকারি মর্যাদা দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Sinhala"Ethnologue। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৬ 
  2. হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "সিংহলি (Sinhala)"গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট। 
  3. Wells, John C. (২০০৮)। Longman Pronunciation Dictionary (3তম সংস্করণ)। Longman। আইএসবিএন 978-1-4058-8118-0 
  4. Laurie Bauer, 2007, The Linguistics Student's Handbook
  5. "Census of Population and Housing 2011"www.statistics.gov.lk। ২০১৭-০৪-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৬ 
  6. "Census of Population and Housing 2001" (পিডিএফ)। Statistics.gov.lk। ১২ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৩