মাহেলা জয়াবর্ধনে

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার

দেনাগামাগে প্রবোথ মাহেলা ডি সিলভা জয়াবর্ধনে (সিংহলি: මහේල ජයවර්ධන; জন্ম: ২৭ মে, ১৯৭৭) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত শ্রীলঙ্কার পেশাদার ক্রিকেট তারকা। তিনি শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি মূলতঃ মাহেলা জয়াবর্ধনে নামেই বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে অতি পরিচিত ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার বেশ সুনাম রয়েছে।

মাহেলা জয়াবর্ধনে
මහේල ජයවර්ධන
২০১৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে মাহেলা জয়াবর্ধনে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামদেনাগামাগে প্রবোথ মাহেলা ডি সিলভা জয়াবর্ধনে
জন্ম (1977-05-27) ২৭ মে ১৯৭৭ (বয়স ৪৬)
কলম্বো, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬৯)
২ আগস্ট ১৯৯৭ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট৩ জানুয়ারি ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯২)
২৪ জানুয়ারি ১৯৯৮ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই১৮ মার্চ ২০১৫ বনাম সাউথ আফ্রিকা
ওডিআই শার্ট নং২৭
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৫-বর্তমানসিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব
২০০৭-বর্তমানওয়েম্বা ইলাভেনস
২০০৮ডার্বিশায়ার
২০০৮-২০১০কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব
২০১১কোচি তুস্কার্স কেরালা
২০১২-বর্তমানদিল্লি ডেয়ারডেভিলস
২০১২-বর্তমানওয়েম্বা ইউনাইটেড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৩৮ ৩৯১ ২২০ ৪৭১
রানের সংখ্যা ১০,৮০৬ ১০,৮৪৪ ১৬,৪৮৮ ১৩,০৪৭
ব্যাটিং গড় ৪৯.৫৬ ৩৩.৩৬ ৪৯.৮১ ৩৩.২৮
১০০/৫০ ৩১/৪৫ ১৫/৬৮ ৪৮/৭১ ১৬/৮২
সর্বোচ্চ রান ৩৭৪ ১৪৪ ৩৭৪ ১৬৩*
বল করেছে ৫৫৩ ৫৮২ ২,৯৬৫ ১,২৬৯
উইকেট ৫২ ২৩
বোলিং গড় ৪৯.৫০ ৭৯.৭১ ৩১.০৭ ৪৯.৬০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ২/৩২ ২/৫৬ ৫/৭২ ৩/২৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৯৪/– ১৯৪/– ২৮৫/– ২৩৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১২

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

১৯৯৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটান জয়াবর্ধনে। এর পরের মৌসুমে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। স্মরণীয় সাফল্য হিসেবে তিনি ২০০৬ সালে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বাধিক ৩৭৪ রান করে ইতিহাসের পর্দায় নিজেকে ঠাঁই করে নেন। অক্টোবর, ২০১২ পর্যন্ত টেস্টে তার গড় পঞ্চাশের ঊর্ধ্বে এবং ওডিআইয়ে ত্রিশের উপর। শ্রীলঙ্কার একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি দশ সহস্রাধিক রান করেন।

ওডিআইয়ে নিম্নমূখী গড় থাকা স্বত্ত্বেও জয়াবর্ধনে শ্রীলঙ্কার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বহাল রয়েছেন। তার সহযোগী খেলোয়াড় কুমার সাঙ্গাকারা'র সাথে তিনিও বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তৃতীয় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার হিসেবে সনাথ জয়াসুরিয়া এবং কুমার সাঙ্গাকারা'র পর তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশ হাজার রান করেছেন।

পীচের মাঝখানের বৃত্তে অবস্থানের মাধ্যমে ফিল্ডিংয়ে দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রদর্শনে তিনি পারঙ্গমতা প্রদর্শন করতে পেরেছেন। ২০০৫ সালের শেষদিকে ক্রিকইনফো একটি প্রতিবেদনে ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকে যে কোন ফিল্ডারের তুলনায় তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান আউট করেছেন।[১]পরিসংখ্যানে আরো দেখানো হয়েছে যে, 'ক জয়াবর্ধনে ব মুরালিধরন' লেখাটি ছিল বোলার-ফিল্ডারের সমন্বয়ে অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা যা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।

অধিনায়কত্ব সম্পাদনা

২০০৯ সালে মার্চ-এপ্রিল মাসে পাকিস্তান সফরে মাহেলা জয়াবর্ধনে টেস্ট সিরিজের নেতৃত্ব দেন। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ভারত পাকিস্তান সফর ভেঙ্গে দিলে ঐ সিরিজের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথম টেস্টটি ড্র হয়। এতে তিনি ডাবল সেঞ্চুরি বা দ্বি-শতক করেন। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের পর তিনি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। ঐ টেস্টে শ্রীলঙ্কা খুবই ভাল অবস্থানে ছিল। থিলান সামারাবীরা পরপর দুই টেস্টে দু'টি দ্বি-শতক এবং তিলকরত্নে দিলশান সেঞ্চুরি করেছিলেন। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্টটির তৃতীয় দিনের খেলায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে যাত্রার মাঝখানে ১২ জন মুখোশধারী অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীদের হামলার শিকার হয় বাসটি। জয়াবর্ধনে ও তার সহযোগী আরো ছয়জন শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছয়জন পুলিশ এবং দুইজন সাধারণ নাগরিক এ আক্রমণে নিহত হন।

২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে পরাজিত হবার পর সহ-অধিনায়কত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেনতিলকরত্নে দিলশানের বিতর্কিত অধিনায়কত্বের পর তিনি পুনরায় অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের কোচি তুস্কার্স কেরালা দলেরও অধিনায়ক ছিলেন।[২] বর্তমানে তিনি দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সহ-অধিনায়ক হিসেবে রয়েছেন।[৩]

২৮ জুলাই, ২০১২ তারিখে জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারা ৩০টি শতরানের জুটি গড়ে যা ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ। এদিন তারা ভারতের বিরুদ্ধে ৩য় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ রেকর্ডটুকু গড়েন।[৪]

প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে টেস্ট কৃতিত্ব সম্পাদনা

প্রতিপক্ষ ম্যাচ ইনিংস অপরাজিত রান সর্বোচ্চ স্কোর শতক অর্ধ-শতক গড়
  অস্ট্রেলিয়া ১৬ ২৯ ৯৬৯ ১০৫ ৩৩.৪১
  বাংলাদেশ ১৩ ১৭ ১১৪৬ ২০৩* ৭৬.৪০
  ইংল্যান্ড ২৩ ৪১ ২২১২ ২১৩* ১০ ৫৮.২১
  ভারত ১৮ ২৮ ১৮২২ ২৭৫ ৬৭.৪৮
  নিউজিল্যান্ড ১৩ ২২ ১০২৮ ১৬৭ ৪৮.৯৫
  পাকিস্তান ২৯ ৫৫ ১৬৮৭ ২৪০ ১০ ৩২.৪৪
  দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭ ৩২ ১৭৮২ ৩৭৪ ৫৭.৪৮
  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২ ১৮ ৭৪৮ ১৩৬ ৪৪.০০
  জিম্বাবুয়ে ১০ ৪২০ ১০০* ৬০.০০
সর্বমোট ১৪৯ ২৫২ ১৫ ১১৮১৪ ৩৭৪ ৩৪ ৫০ ৪৯.৮৪
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো; সর্বশেষ হালনাগাদ: ১৭ আগস্ট, ২০১৪

টেস্ট ক্রিকেটে শতরান সম্পাদনা

সাফল্য গাঁথা সম্পাদনা

২০০১ সালে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে মারভান আতাপাত্তু ও মাহেলা জয়াবর্ধনে - এ দুইজন ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্রিকেটে রিটায়ার্ড আউট হয়ে উদাহরণের সূচনা করেন।[৫]

২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল মাহেলা জয়াবর্ধনেকে বছরের সেরা আন্তর্জাতিক অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে। পরের বছর বছরের সেরা টেস্ট ক্রিকেট খেলোয়াড়ের জন্যে মনোনয়ন লাভ করেছিলেন।

দ্বিতীয় উইকেট তথা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যে-কোন উইকেটে সবচেয়ে দীর্ঘতম জুটি গড়েন তিনি। জুলাই, ২০০৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম জুটি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে সাঙ্গাকারা’র সাথে ৬২৪ রান করেন।[৬] দ্বিতীয় উইকেটে তৎকালীন বিশ্বরেকর্ড ছিল কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ভারত ক্রিকেট দলের বিপক্ষে রোশন মহানামা-সনাথ জয়াসুরিয়া’র ৫৭৬ রান।[৭]

অবসর সম্পাদনা

২০১৪ সালে তিনি টেস্ট ও টি২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তার শেষ টি২০ ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় লঙ্কানরা। তিনি ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর ওডিআই থেকে অবসর নিবেন বলে ঘোষণা দেন।

পুরস্কারসমূহ সম্পাদনা

টেস্ট ক্রিকেট - ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কার সম্পাদনা

  • ছকে ক্যাচ বুঝাতে এবং স্ট্যাম্পিং বুঝাতে স্ট্যাঃ ব্যবহার করা হয়েছে।
# সিরিজ মৌসুম সিরিজে অবদান ফলাফল
ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ ২০০২ ২৭২ (৩ খেলা, ৬ ইনিংস); ২ ক্যাচ   ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ী
শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ ২০০৭/০৮ ৪৭৪ (৩ খেলা, ৪ ইনিংস); ৫ ক্যাচ   ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ী

টেস্ট ক্রিকেট - ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার সম্পাদনা

  • ছকে ক্যাচ বুঝাতে এবং স্ট্যাম্পিং বুঝাতে স্ট্যাঃ ব্যবহার করা হয়েছে।
# সিরিজ মৌসুম খেলায় অবদান ফলাফল
১ম টেস্ট - শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড ১৯৯৭ ১ম ইনিংস - ১৬৭ (৪x১৮)
২য় ইনিংস - ১ ক
  ১৬ রানে জয়ী
২য় টেস্ট - এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ১৯৯৮/৯৯ ১ম ইনিংস - ২৪২ (৪x৩০, ৬x২) খেলা ড্র
১ম টেস্ট - শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০৪ ১ম ইনিংস - ২৩৭ (৪x২৫, ৬x৩); ১ ক
২য় ইনিংস - ৫; ১ ক
খেলা ড্র
২য় টেস্ট - ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা ২০০৬ ১ম ইনিংস - ৬১ (৪x৯); ২ ক
২য় ইনিংস - ১১৯ (৪x১২)
খেলা ড্র
১ম টেস্ট - শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০৬ ১ম ইনিংস - ৩৭৪ (৪x৪৩, ৬x১)
২য় ইনিংস - ১ ক
  ১৫৩ রানে জয়ী
২য় টেস্ট - শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০৬ ১ম ইনিংস - ১৩ (৪x২); ২ ক
২য় ইনিংস - ১২৩ (৪x১১, ৬x২)
  ১ উইকেটে জয়ী
২য় টেস্ট - শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড ২০০৭/০৮ ১ম ইনিংস - ১৯৫ (৪x১৬, ৬x১); ১ ক
২য় ইনিংস - ১ ক
খেলা ড্র
৩য় টেস্ট – শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড ২০০৭/০৮ ১ম ইনিংস - ২১৩* (৪x২৫); ১ ক
২য় ইনিংস - ২ ক; রান আউট ১
খেলা ড্র
২য় টেস্ট - শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১৪ ১ম ইনিংস - ১৬৫ (৪x১৭, ৬x১);
২য় ইনিংস - ২ ক
খেলা ড্র

ওডিআই - ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কার সম্পাদনা

# সিরিজ মৌসুম সিরিজে অবদান ফলাফল
সংযুক্ত আরব আমিরাতে খালিজ টাইমস ট্রফি (পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে) ২০০১/০২ ২৫২ (৬ খেলা); ২ ক   চূড়ান্ত খেলায় ৫ উইকেটে জয়ী
শ্রীলঙ্কায় ইন্ডিয়ান অয়েল কাপ (ভারত, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ২০০৫ ২৩০ (৫ খেলা); ১ ক   চূড়ান্ত খেলায় ১৮ রানে জয়ী
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়ারিদ সিরিজ (পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা) ২০০৭ ১৬২ (৩ খেলা)   ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ী
ভারতে আফ্রো-এশিয়া কাপ (এশিয়া একাদশ, আফ্রিকা একাদশ) ২০০৭ ২১৭ (৩ খেলা); ১ ক এশিয়া একাদশ ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ী

ওডিআই - ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার সম্পাদনা

রান প্রতিপক্ষ শহর/দেশ মাঠ ফলাফল সাল
১২০ ইংল্যান্ড অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেড ওভাল   শ্রীলঙ্কা ১ উইকেটে জয়ী ১৯৯৯
১০১ পাকিস্তান বিশাখাপত্তনম, ভারত ইন্দিরা প্রিয়দর্শীনি স্টেডিয়াম   শ্রীলঙ্কা ১২ রানে জয়ী ১৯৯৯
১০১* ইংল্যান্ড কলম্বো, শ্রীলঙ্কা আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম   শ্রীলঙ্কা ৬৬ রানে জয়ী ২০০১
১১৬ নিউজিল্যান্ড শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম   শ্রীলঙ্কা ১০৬ রানে জয়ী ২০০১
৬৩ জিম্বাবুয়ে শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম   শ্রীলঙ্কা ৭৯ রানে জয়ী ২০০১
৯৬ জিম্বাবুয়ে কলম্বো, শ্রীলঙ্কা আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম   শ্রীলঙ্কা ৫৯ রানে জয়ী ২০০১
১০৬* ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্যান্ডি, শ্রীলঙ্কা অ্যাসগিরিয়া স্টেডিয়াম   শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী ২০০১
৯৪* ভারত ডাম্বুলা, শ্রীলঙ্কা রণগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম   শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেটে জয়ী ২০০৫
৮৩ ভারত কলম্বো, শ্রীলঙ্কা আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম   শ্রীলঙ্কা ১৮ রানে জয়ী ২০০৫
১০ ৫০ বাংলাদেশ কলম্বো, শ্রীলঙ্কা সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ড   শ্রীলঙ্কা ৮৮ রানে জয়ী ২০০৫
১১ ১২৬* ইংল্যান্ড চেস্টার-লি-স্ট্রিট, ইংল্যান্ড রিভারসাইড গ্রাউন্ড   শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী ২০০৬
১২ ১০০ ইংল্যান্ড ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড ওল্ড ট্রাফোর্ড   শ্রীলঙ্কা ৩৩ রানে জয়ী ২০০৬
১৩ ১১৫ নিউজিল্যান্ড জ্যামাইকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাবিনা পার্ক   শ্রীলঙ্কা ৮১ রানে জয়ী ২০০৭ (বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনাল)
১৪ ১০০ কানাডা হাম্বানটোটা, শ্রীলঙ্কা মহিন্দ রাজাপক্ষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম   শ্রীলঙ্কা ২১০ রানে জয়ী ২০১১ আইসিসি বিশ্বকাপ
১৫ ১৪৪ ইংল্যান্ড লিডস, ইংল্যান্ড হেডিংলি স্টেডিয়াম   শ্রীলঙ্কা ৬৯ রানে জয়ী ২০১১
১৬ ৮৪* অস্ট্রেলিয়া লন্ডন, ইংল্যান্ড দি ওভাল   শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে জয়ী ২০১৩

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

সুনীলা ও সেনেরাথ জয়াবর্ধনে দম্পতির সন্তান মাহেলা জয়াবর্ধনে ১৯৭৭ সালে কলম্বোয় জন্মগ্রহণ করেন। ধিশাল নামীয় তার এক ছোট ভাই ছিল। ষোল বছর বয়সে ধিশালের মস্তিষ্কের টিউমারের কারণে অকাল মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনাটি জয়াবর্ধনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ও সাময়িকভাবে ক্রিকেট জীবন থেকে দূরে থাকতে হয় তাকে। পরবর্তীতে পরিবার ও সতীর্থ খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণায় তিনি আবারো তার সফল খেলোয়াড়ী জীবনে অগ্রসর হন। ভ্রমণবিষয়ক পরামর্শক ক্রিস্টিনা মল্লিকা সিরিসেনা নাম্নী এক তরুণীর পাণিগ্রহণ করেন মাহেলা। খেলাধূলার বাইরে হোপ ক্যান্সার প্রজেক্টের সাথে জড়িত তিনি।[৮] ছোট ভাই ধিলশালের স্মৃতিকে মনে রেখে হোপের প্রচারণায় অগ্রসর হয়েছেন। সতীর্থ খেলোয়াড়দের সহযোগিতায় মহরাগামা এলাকায় ৭৫০-শয্যার ক্যান্সার ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন যা দেশের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ক্যান্সার হাসপাতাল হিসেবে বিবেচিত হবে।

ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনা

  • মবিটেল (শ্রীলঙ্কা)[৯]
  • ডিএসআই হোল্ডিংস লিমিটেড[১০]
  • রিবক[১১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Basevi, Travis (2005-11-08). "Statistics – Run outs in ODIs". Cricinfo. Retrieved 2007-02-05.
  2. "IPL auction begins: Shahrukh Khan's Knight Riders buy Gambhir, Yusuf Pathan, collect: 9 Oct, 2012"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১২ 
  3. ""IPL auction: Daredevils delighted with new acquisitions - The Times of India". The Times Of India."। ১৫ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১২ 
  4. "Sri Lanka’s tireless twosome scales another peak". Wisden India. 29 July 2012.[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. Cricinfo scorecard 2nd Test Sri Lanka vs Bangaladesh at Colombo 6-10 September 2001
  6. "Test matches – Partnership records – Highest partnerships for any wicket"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১২ 
  7. World record-holder Mahanama Observer Schoolboy Cricketer in 1983 and 1984, The Observer, ৬ এপ্রিল ২০০৮, ১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১২ 
  8. "hopelk.org"। ২ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৩ 
  9. "Mobitel's all-encompassing registration system: a success story"http://www.businesstoday.lk। ২০১১-০৭-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৬  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  10. "D. Samson & Sons Ltd. – Reebok cricket gear launched"http://www.dsiholdings.com। ১৫ অক্টোবর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-২৬  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  11. "D. Samson & Sons Ltd. – Reebok cricket gear launched"http://www.scribd.com। ২৬ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-২৬  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

পূর্বসূরী
তিলকরত্নে দিলশান
শ্রীলঙ্কান জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক
২০১১–
উত্তরসূরী
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস
পূর্বসূরী
মারভান আতাপাত্তু
শ্রীলঙ্কান জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক
২০০৬-২০০৯
উত্তরসূরী
কুমার সাঙ্গাকারা