দি ওভাল

লন্ডনের কেনিংটনে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠ

দি ওভাল (ইংরেজি: The Oval) লন্ডনের কেনিংটনে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠইংল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট খেলাগুলো এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ব্যবসায়িক অংশীদারত্বের কারণে এটি বর্তমানে কিয়া ওভাল নামে পরিচিত। অতীতে স্টেডিয়ামটিকে মাঝে-মধ্যেই কেনিংটন ওভাল নামে ডাকা হতো। কয়েক বৎসর পূর্বে ফস্টার্স ওভাল, এএমপি ওভাল, ব্রিট ইন্স্যুরেন্স ওভাল নামে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিতি ঘটানো হয়েছিল মূলতঃ পূর্বেকার বাণিজ্যিক অংশীদারি চুক্তির কারণে।

দ্য কিয়া ওভাল
২০০৫ সালে সমাপ্ত ওসিএস স্ট্যান্ডের নির্মাণকাজ
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি
অবস্থানকেনিংটন, লন্ডন, ইংল্যান্ড
দেশইংল্যান্ড
প্রতিষ্ঠা১৮৪৫
ধারণক্ষমতা২৩,৫০০
স্বত্ত্বাধিকারীডাচি অব কর্নওয়াল
ভাড়াটেসারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব
প্রান্তসমূহ
প্যাভিলিয়ন প্রান্ত
ভক্সহল প্রান্ত
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য
প্রথম পুরুষ টেস্ট৬ সেপ্টেম্বর ১৮৮০:
ইংল্যান্ড  বনাম  অস্ট্রেলিয়া
সর্বশেষ পুরুষ টেস্ট৭ জুন ২০২৩:
অস্ট্রেলিয়া  বনাম  ভারত
প্রথম পুরুষ ওডিআই৯ জুন ১৯৭৩:
ইংল্যান্ড  বনাম  ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই২২ মে ২০১৪:
ইংল্যান্ড  বনাম  শ্রীলঙ্কা
ঘরোয়া দলের তথ্য
সারে (১৮৪৬-বর্তমান)
১০ মার্চ ২০১৫ অনুযায়ী
উৎস: CricketArchive

ওভাল মাঠটি সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের নিজ মাঠরূপে পরিচিত। এছাড়াও, সনাতনী পন্থায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড তাদের চূড়ান্ত টেস্ট খেলার জন্যে প্রত্যেক ইংলিশ গ্রীষ্মকালকে এ মাঠের জন্যে ব্যবহার করে যা আগস্টের শেষদিক থেকে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকের সময়কাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। স্মর্তব্য যে, টেস্ট ক্রিকেটের জন্যে ব্যবহৃত ওভাল মাঠটি যুক্তরাজ্যের প্রথম মাঠ ও বিশ্বের দ্বিতীয় মাঠ হিসেবে স্বীকৃত। প্রথমস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এমসিজি।

ইতিহাস সম্পাদনা

১৮৭২ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত সি. ডব্লিউ. অ্যালকক সারে ক্রিকেট দলের সচিব থাকা অবস্থায় ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট খেলা ওভালে অনুষ্ঠিত হয়। ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলায় অস্ট্রেলিয়া দি অ্যাশেজ টেস্টে দুই দিনের মধ্যে ৭ রানে জয়লাভ করেন। দ্য স্পোর্টিং টাইমস পত্রিকাটি ইংলিশ ক্রিকেটের দূরবস্থা দেখে ছদ্ম শোকবার্তা প্রকাশ করে যা পরবর্তীকালে অ্যাশেজ ট্রফির প্রবর্তন ঘটে। এখনো ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার টেস্ট খেলাগুলো অ্যাশেজ ট্রফি নামে পরিচিত। ১৮৮৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিলি মারডক ওভালে প্রথম দ্বি-শতক হাঁকান।[১]

ওভালের বর্তমান প্যাভিলিয়নটির নির্মাণ কাজ ১৮৯৮ মৌসুমে সম্পন্ন হয়।[২]

দ্বিতীয় দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল ১৯০৭ সালে ওভালে খেলতে আসে। ১৯২৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৩১ সালে নিউজিল্যান্ড দল এখানে খেলে। ৫ম সফরকারী দল হিসেবে ১৯৩৬ সালে ভারতীয় দল এখানে খেলে। ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান এবং ১৯৯৮ সালে শ্রীলঙ্কা খেলে। এছাড়াও জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশ দলও এখানে খেলেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে ওভালকে যুদ্ধবন্দীদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হলেও কখনো তা কার্যকর করা হয়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে ঘিরে ফিলিপ লার্কিন তাঁর কবিতায় ওভালের কথা তুলে ধরেছেন।[৩]

৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩ তারিখে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বেশকিছু খেলা আয়োজনের অধিকারী হয় ওভাল। ২০০৪ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১৫ খেলার মধ্যে ফাইনালসহ ৫টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। অদ্যাবধি কোন ধরনের আন্তর্জাতিক খেলা ফ্লাডলাইটের সাহায্যে অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে, সারে দল বেশ কয়েকটি একদিনের খেলা ফ্লাডলাইটের সাহায্যে পরিচালনা করে। ১৮৮৯ সালের পর গ্যাসের আলোর সাহায্যে খেলা আয়োজন করেছে সারে দলটি।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Frindall, Bill (২০০৯)। Ask BeardersBBC Books। পৃষ্ঠা 46আইএসবিএন 978-1-84607-880-4। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১১ 
  2. "Surrey CCC history."। ২৭ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৩ 
  3. "As if they were stretched outside The Oval or Villa Park..." Philip Larkin, "MCMXIV".
  4. Cricket's Strangest Matches page 34 আইএসবিএন ১-৮৬১০৫-২৯৩-৬

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

পূর্বসূরী
প্রযোজ্য নয়
এফএ কাপ
ফাইনাল মাঠ

১৮৭২
উত্তরসূরী
লিলি ব্রিজ
লন্ডন
পূর্বসূরী
লিলি ব্রিজ
লন্ডন
এফএ কাপ
ফাইনাল মাঠ

১৮৭৪-১৮৯২
উত্তরসূরী
ফলোফিল্ড
ম্যানচেস্টার