অস্ট্রিয়া জাতীয় ফুটবল দল
অস্ট্রিয়া জাতীয় ফুটবল দল (জার্মান: Österreichische Fußballnationalmannschaft, ইংরেজি: Austria national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অস্ট্রিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম অস্ট্রিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অস্ট্রীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৫ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০২ সালের ১২ই অক্টোবর তারিখে, অস্ট্রিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে অস্ট্রিয়া হাঙ্গেরিকে ৫–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।
![]() | |||
ডাকনাম | ডাস টিম (দল) বুর্শেন (ছেলে) উনসেরে বুর্শেন (আমাদের ছেলে) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | অস্ট্রীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | উয়েফা (ইউরোপ) | ||
প্রধান কোচ | ফ্রাঙ্কো ফোডা | ||
অধিনায়ক | জুলিয়ান বাউমগাটলিঙ্গার | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | আন্ডি হেরৎসোগ (১০৩) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | টনি পলস্টার (৪৪) | ||
মাঠ | আর্নস্ট-হাপেল স্টাডিওন | ||
ফিফা কোড | AUT | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৩২ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ১০ (মার্চ–জুন ২০১৬) | ||
সর্বনিম্ন | ১০৫ (জুলাই ২০০৮) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৩৯ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ১ (মে ১৯৩৪) | ||
সর্বনিম্ন | ৭৫ (২ সেপ্টেম্বর ২০১১) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া; ১২ অক্টোবর ১৯০২) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (জালৎসবুর্গ, অস্ট্রিয়া; ৩০ এপ্রিল ১৯৭৭) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
![]() ![]() (ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া; ৮ জুন ১৯০৮) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ৭ (১৯৩৪-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | তৃতীয় স্থান (১৯৫৪) | ||
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
অংশগ্রহণ | ৩ (২০০৮-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (২০০৮, ২০১৬) |
৬৮,৫০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট আর্নস্ট-হাপেল স্টাডিওনে বুর্শেন নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ফ্রাঙ্কো ফোডা এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বায়ার লেভারকুজেনের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় জুলিয়ান বাউমগাটলিঙ্গার।
অস্ট্রিয়া এপর্যন্ত ৭ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৫৪ ফিফা বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করা, সেখানে তারা উরুগুয়েকে ৩–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রিয়া এপর্যন্ত ৩ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে উয়েফা ইউরো ২০০৮ এবং উয়েফা ইউরো ২০১৬-এর গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করা।
টনি পলস্টার, আন্ডি হেরৎসোগ, গেরহার্ড হানেপি, মার্কো আরনাওতোভিচ এবং হান্স ক্রাংকেলের মতো খেলোয়াড়গণ অস্ট্রিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
র্যাঙ্কিংসম্পাদনা
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রিয়া তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১০ম) অর্জন করে এবং ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১০৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অস্ট্রিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৩৪ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৭৫। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৩০ | ৪ | ইউক্রেন | ১৫৩০.০৪ |
৩১ | চিলি | ১৫১১.৩২ | |
৩২ | ২ | অস্ট্রিয়া | ১৫০৮.২৪ |
৩৩ | ৩ | হাঙ্গেরি | ১৫০৪.২৪ |
৩৪ | ৬ | আলজেরিয়া | ১৫০৪.১৯ |
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৩৭ | ১০ | প্যারাগুয়ে | ১৭২৭ |
৩৭ | ২ | হাঙ্গেরি | ১৭২৭ |
৩৯ | ৬ | অস্ট্রিয়া | ১৭১৯ |
৪০ | ১৮ | তুরস্ক | ১৭১৫ |
৪১ | ১ | ফিনল্যান্ড | ১৭০০ |
প্রতিযোগিতামূলক তথ্যসম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপসম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ প্রত্যাখ্যান | |||||||||||||
১৯৩৪ | তৃতীয় স্থান নির্ধারণী | ৪র্থ | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৭ | ৭ | ১ | ১ | ০ | ০ | ৬ | ১ | |
১৯৩৮ | প্রত্যাখ্যান | ১ | ১ | ০ | ০ | ২ | ১ | ||||||||
১৯৫০ | প্রত্যাখ্যান | প্রত্যাখ্যান | |||||||||||||
১৯৫৪ | তৃতীয় স্থান নির্ধারণী | ৩য় | ৫ | ৪ | ০ | ১ | ১৭ | ১২ | ২ | ১ | ১ | ০ | ৯ | ১ | |
১৯৫৮ | গ্রুপ পর্ব | ১৫তম | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৭ | ৪ | ৩ | ১ | ০ | ১৪ | ৩ | |
১৯৬২ | প্রত্যাখ্যান | প্রত্যাখ্যান | |||||||||||||
১৯৬৬ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ০ | ১ | ৩ | ১ | ৬ | ||||||||
১৯৭০ | ৬ | ৩ | ০ | ৩ | ১২ | ৭ | |||||||||
১৯৭৪ | ৭ | ৩ | ২ | ২ | ১৫ | ৯ | |||||||||
১৯৭৮ | দ্বিতীয় পর্ব | ৭ম | ৬ | ৩ | ০ | ৩ | ৭ | ১০ | ৬ | ৪ | ২ | ০ | ১৪ | ২ | |
১৯৮২ | ৮ম | ৫ | ২ | ১ | ২ | ৫ | ৪ | ৮ | ৫ | ১ | ২ | ১৬ | ৬ | ||
১৯৮৬ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৬ | ৩ | ১ | ২ | ৯ | ৮ | ||||||||
১৯৯০ | গ্রুপ পর্ব | ১৮তম | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৩ | ৮ | ৩ | ৩ | ২ | ৯ | ৯ | |
১৯৯৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ১০ | ৩ | ২ | ৫ | ১৫ | ১৬ | ||||||||
১৯৯৮ | গ্রুপ পর্ব | ২৩তম | ৩ | ০ | ২ | ১ | ৩ | ৪ | ১০ | ৮ | ১ | ১ | ১৭ | ৪ | |
২০০২ | উত্তীর্ণ হয়নি | ১০ | ৪ | ৩ | ৩ | ১০ | ১৪ | ||||||||
২০০৬ | ১০ | ৪ | ৩ | ৩ | ১৫ | ১২ | |||||||||
২০১০ | ১০ | ৪ | ২ | ৪ | ১৪ | ১৫ | |||||||||
২০১৪ | ১০ | ৫ | ২ | ৩ | ২০ | ১০ | |||||||||
২০১৮ | ১০ | ৪ | ৩ | ৩ | ১৪ | ১২ | |||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | তৃতীয় স্থান নির্ধারণী | ৭/২১ | ২৯ | ১২ | ৪ | ১৩ | ৪৩ | ৪৭ | ১২৩ | ৫৯ | ২৮ | ৩৬ | ২১২ | ১৩৬ |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ৬ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ ক খ গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (জার্মান) (ইংরেজি)
- ফিফা-এ অস্ট্রিয়া জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- উয়েফা-এ অস্ট্রিয়া জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি)