সৌম্য সরকার
সৌম্য সরকার (জন্ম: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার । তিনি একজন বাঁ-হাতি ব্যাটার এবং একজন ডানহাতি মাঝারি-ফাস্ট বোলার। যিনি প্রধানত একজন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবং সুদর্শন "পেরিসকোপ শট" এর স্রষ্টা হিসেবে খেলেন। তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রথম ওভারে ২টি ছক্কা মেরেছেন এবং ওয়ানডে ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান সংগ্রাহক। সৌম্য সরকার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে, জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনা বিভাগ এবং ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ড্রাফটে তাকে ঢাকা ডমিনেটর ড্রাফট করেছে ।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৭৬) | ২৮ এপ্রিল ২০১৫ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১৫) | ১ ডিসেম্বর ২০১৪ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৫৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ১৫) | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই শার্ট নং | ৫৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫–২০১৮ | দক্ষিণাঞ্চল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | দুরন্ত রাজশাহী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫–২০১৬ | রংপুর রাইডার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৭ | চিটাগং ভাইকিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮–বর্তমান | কান্দাহার নাইটস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৯ | রাজশাহী কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৯-২০২০ | কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০২০ | সেন্ট্রাল জোন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পদক রেকর্ড
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনা৪-৭ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা বিভাগে তার অভিষেক ঘটেছিল। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স দলের পক্ষে চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে খেলেছেন। ক্রিকেটার না হলে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ম ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিকে তার অভিষেক ঘটে।[১] ঐ খেলায় তিনি ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান সংগ্রহ করেন। একই খেলায় তার সাথে তাইজুল ইসলামেরও অভিষেক হয়। খেলায় বাংলাদেশ দল ৫ উইকেটে জয় পেয়ে ৫-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়ে দলকে বাংলাওয়াশ করে।
২২ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে তিনি তার প্রথম ওডিআই শতক হাঁকান।[২] মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওডিআইয়ে ১১০ বল মোকাবেলা করে অপরাজিত ১২৭* রান তোলেন। তার এ ইনিংসটিতে ছয়টি ছক্কা ও ১৩টি চারের মার ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবালের (৬৪) সাথে জুটি গড়ে মূল্যবান ১৪৫ রান সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে মুশফিকুর রহিমের (৪৯*) সাথে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ৯৭ রান তোলেন। এরফলে তার দল ১০ ওভারেরও বেশি বল বাকী থাকতে ৮ উইকেটের সহজ জয় পায়। এছাড়াও বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো বাংলাওয়াশ করে।[২] খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
২৪ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একমাত্র টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে তারও অভিষেক ঘটে।[৩] কিন্তু মাত্র ৩ বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে রান আউটের শিকার হন তিনি। ঐ খেলায় অবশ্য সাকিব ও সাব্বির রহমানের ক্রীড়ানৈপুণ্যে বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বিরাট জয় পায়।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
সম্পাদনা২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৪ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে বিসিবি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।[৪] এতে তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।[৫]
৯ মার্চ, ২০১৫ তারিখে অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ৫ম খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩য় উইকেটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে (১০৩) সাথে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়েন। খেলায় তিনি ৪০ রান সংগ্রহ করেন। এরপর মুশফিকুর রহিমের ঝড়োগতিতে ৭৭ বলে ৮৯ রানের সুবাদে একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলগতভাবে সর্বোচ্চ রান তোলে।[৬] পরবর্তীতে রুবেল হোসেনের প্রশংসনীয় বোলিংয়ে (৪/৫৩) বাংলাদেশ ১৫ রানের ব্যবধানে জয়ী হওয়াসহ কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়।
আন্তর্জাতিক শতকসমূহ
সম্পাদনা- কলামের রান, * চিহ্ন দ্বারা অপরাজিত বোঝান হয়েছে
- কলামের শিরোনাম ম্যাচ দ্বারা খেলোয়াড়ের ম্যাচ সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে
একদিনের আন্তর্জাতিক শতকসমূহ
সম্পাদনাসৌম্য সরকারের একদিনের আন্তর্জাতিক শতকসমূহ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
# | রান | ম্যাচ | প্রতিপক্ষ | শহর/দেশ | মাঠ | বছর | ফলাফল |
১ | ১২৭* | ১০ | পাকিস্তান | ঢাকা, বাংলাদেশ | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম | ২০১৫ | বিজয়ী |
২ | ১১৭ | ৩৫ | জিম্বাবুয়ে | চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ | জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম | ২০১৮ | বিজয়ী |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Zimbabwe tour of Bangladesh, 5th ODI: Bangladesh v Zimbabwe at Dhaka, Dec 1, 2014"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ Krishnaswamy, Karthik (২৩ এপ্রিল ২০১৫)। "Sarkar ton powers Bangladesh to 3-0, Bangladesh v Pakistan, 3rd ODI, Mirpur April 22, 2015"। ESPNCricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "Shakib, Sabbir fifties crush Pakistan"। ESPNcricinfo।
- ↑ Isam, Mohammad। "Soumya Sarkar in Bangladesh World Cup squad"। ESPNCricinfo। ESPN। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Bangladesh Squad"। Cricinfo।
- ↑ "Mahmudullah ton lifts Bangladesh to 275"। ESPN Cricinfo। ৯ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৫।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সৌম্য সরকার (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সৌম্য সরকার (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)