সেলজুক সাম্রাজ্য
মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রাক্তন সাম্রাজ্য
(সেলযুক সাম্রাজ্য থেকে পুনর্নির্দেশিত)
সেলজুক (বা মহান সেলজুক সাম্রাজ্য[১০] অথবা সেল্ডজুক কখনো সেলজুক তুর্ক; তুর্কী ভাষায়: Selçuklular; ফার্সি ভাষায়: سلجوقيان সেলজুকাইন; আরবি ভাষায়: سلجوق সালজুক বা السلاجقة আল-সালাজিকা) সুন্নী মুসলমান সাম্রাজ্য যারা ১০ শতক থেকে ১৪ শতক পর্যন্ত মধ্য এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্য শাসন করেছেন। এই মহান সাম্রাজ্যের স্থপতি সুলতান তুঘরিল বেগ । চাগরি বেগ ছিলেন তুঘরিল বেগ এর বড় ভাই। তিনি জাতিতে অঘুজ তুর্কি ছিলেন।[১১] সুলতান মালিক বেগ এর শাসনকালে এই সাম্রাজ্য অর্ধ-পৃথিবী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। এর পরবর্তীতে এই সাম্রাজ্য ভেঙ্গে ছোট ছোট আমিরাতে পরিণত হয়। এবং পরবর্তীতে মঙ্গোল সাম্রাজ্য এই সাম্রাজ্যের উত্তরসূরি।
সেলজুক সাম্রাজ্য | |
---|---|
১০৩৭–১১৯৪ | |
মালিক শাহর মৃত্যুর সময় (১০৯২ সাল) সেলযুক সাম্রাজ্য | |
অবস্থা | সাম্রাজ্য |
রাজধানী | নিশাপুর (১০৩৭–১০৪৩) রে (ইরাক) (১০৪৩–১০৫১) এসফাহন (১০৫১–১১১৮) হামাদান, পশ্চিম প্রান্তের রাজধানী (১১১৮–১১৯৪) মার্ভ, পূর্ব প্রান্তের রাজধানী (১১১৮–১১৫৩) |
প্রচলিত ভাষা | |
সরকার | রাজতন্ত্র |
সুলতান | |
• ১০৩৭–১০৬৩ | তুঘরিল বেগ (প্রথম) |
• ১১৭৪–১১৯৪ | তুঘরিল তৃতীয় (শেষ)[৫][৬] |
ইতিহাস | |
• তুঘরিল বেগ প্রতিষ্ঠা করেন | ১০৩৭ |
• খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্য কর্তৃক অপসারণ[৭] | ১১৯৪ |
আয়তন | |
আনু. ১০৮০[৮][৯] | ৩৯,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (১৫,০০,০০০ বর্গমাইল) |
বর্তমানে যার অংশ |
সেলজুক সাম্রাজ্যের শাসকরা
সম্পাদনাসেলজুক সাম্রাজ্য (মূল)
সম্পাদনা- সেলজুক গাজী
- মিকাইল বেগ
- সুলতান তুঘরিল বেগ (১০৩৭ - ১০৬৩)
- আল্প আরসালান (১০৬৩ - ১০৭২) মৃত্যু - ১০৭২ জন্ম- ১০৩০
- প্রথম মালিক শাহ(১০৭২ - ১০৯২/৯৫)
- সুলতান প্রথম মাহমুদ (১০৯৫) জন্ম-মৃত্যু (১০৯১-১০৯৬)
- সুলতান বার্কিয়ারুক (১০৯৬-১১০৫) জন্ম-মৃত্যু (১০৮০ - ১১০৫)
- দ্বিতীয় মালিক শাহ্ (১১০৫)
- মুহাম্মদ তপার (১১০৫-১১১৮)
- দ্বিতীয় মাহমুদ (১১১৮)
- সুলতান আহমাদ সানজার (১১১৮ - ১১৫৩/৫৭)
সেলজুক সাম্রাজ্য (রোম) সুলতানদের রাজত্বকাল
সম্পাদনা- কুতলামিশ কুতুলমিশ (১০৬৩-১০৭৪)
- প্রথম সুলাইমান ১ম বার (১০৭৫-১০৭৭) ২য় বার (১০৭৭-১০৮৬)
- প্রথম ফিলিচ আরসালান (১০৯২-১১০৭)
- মালিক শাহ্ (১১০৭-১১১৬)
- প্রথম মাসউদ (১১১৬-১১৫৬/৫৭)
- দ্বিতীয় কিলিচ আরসালান (১১৫৭-১১৯২)
- প্রথম কায়খসরু বা ইজ্ আদ্-দ্বীন কায়খসরু ১ম বার (১১৯২-১১৯৬) ২য় বার (১২০৫ - ১২১১)
- দ্বিতীয় সুলাইমান (১১৯৬ - ১২০৪)
- তৃতীয় কিলিচ আরসালান (১২০৪ -১২০৫)
- প্রথম কায়কাউস (১২১১-১২১৯/২০)
- প্রথম কায়কোবাদ বা আলাউদ্দিন কায়কোবাদ দ্য গ্রেট কায়কোবাদ (১২২০- ১২৩৭)
- দ্বিতীয় কায়খসরু বা গিয়াসউদ্দিন কায়খসরু (১২৩৭-১২৪৬)
- দ্বিতীয় কায়কাউস বা ইজ আদ্-দ্বীন কায়কাউস (১২৪৬-১২৬২)
- দ্বিতীয় কায়কোবাদ আলাউদ্দিন (১২৪৯-১২৫৪) মৃত্যু - ১২৭৯
- চতুর্থ কিলিচ আরসালান বা রুকুনউদ্দিন আরসালান ১ম বার (১২৪৯-১২৫৪) ২য় বার (১২৫৭-১২৬৫)
- তৃতীয় কায়খসরু বা আলাউদ্দিন (১২৬৫ - ১২৮৪) ফাঁসি ১২৮৪
- দ্বিতীয় মাসউদ বা গিয়াস উদ্দিন মাসউদ বিন কায়কাউস > ১ম বার (১২৮২ - ১২৮৪) ⇒২য় বার (১২৮৪-১২৯৩) - ৩য় বার (১২৯৪-১৩০১) - ৪র্থ বার (১৩০৩ - ১৩০৭) নিহত ১৩০৮
- তৃতীয় কায়কোবাদ / আলাউদ্দিন (১২৯৮ - ১৩০২)
- তৃতীয় মাসউদ (১৩০৮ - ১৩০৮) - নিহত ১৩০৮
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Savory, R. M., সম্পাদক (১৯৭৬)। Introduction to Islamic Civilisation। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 82। আইএসবিএন 0-521-20777-0।
- ↑ Black, Edwin (২০০৪)। Banking on Baghdad: Inside Iraq's 7,000-year History of War, Profit and Conflict। John Wiley and Sons। পৃষ্ঠা 38। আইএসবিএন 0-471-67186-X।
- ↑ ক খ গ C.E. Bosworth, "Turkish Expansion towards the west" in UNESCO History of Humanity, Volume IV, titled "From the Seventh to the Sixteenth Century", UNESCO Publishing / Routledge, p. 391: "While the Arabic language retained its primacy in such spheres as law, theology and science, the culture of the Seljuk court and secular literature within the sultanate became largely Persianized; this is seen in the early adoption of Persian epic names by the Seljuk rulers (Qubād, Kay Khusraw and so on) and in the use of Persian as a literary language (Turkish must have been essentially a vehicle for everyday speech at this time)."
- ↑ Concise Encyclopedia of Languages of the World, Ed. Keith Brown, Sarah Ogilvie, (Elsevier Ltd., 2009), 1110; "Oghuz Turkic is first represented by Old Anatolian Turkish which was a subordinate written medium until the end of the Seljuk rule."
- ↑ A New General Biographical Dictionary, Vol.2, Ed. Hugh James Rose, (London, 1853), 214.
- ↑ Grousset, Rene, The Empire of the Steppes, (New Brunswick: Rutgers University Press, 1988), 167.
- ↑ Grousset, Rene (১৯৮৮)। The Empire of the Steppes। New Brunswick: Rutgers University Press। পৃষ্ঠা 159, 161। আইএসবিএন 0-8135-0627-1।
In 1194, Togrul III would succumb to the onslaught of the Khwarizmian Turks, who were destined at last to succeed the Seljuks to the empire of the Middle East.
- ↑ Turchin, Peter; Adams, Jonathan M.; Hall, Thomas D (ডিসেম্বর ২০০৬)। "East-West Orientation of Historical Empires"। Journal of world-systems research। 12 (2): 223। আইএসএসএন 1076-156X। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ Rein Taagepera (সেপ্টেম্বর ১৯৯৭)। "Expansion and Contraction Patterns of Large Polities: Context for Russia"। International Studies Quarterly। 41 (3): 496। ডিওআই:10.1111/0020-8833.00053। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑
- A. C. S. Peacock, Great Seljuk Empire, (Edinburgh University Press, 2015), 1–378
- Christian Lange; Songül Mecit, eds., Seljuqs: Politics, Society and Culture (Edinburgh University Press, 2012), 1–328
- P.M. Holt; Ann K.S. Lambton, Bernard Lewis, The Cambridge History of Islam (Volume IA): The Central Islamic Lands from Pre-Islamic Times to the First World War, (Cambridge University Press, 1977), 151, 231–234
- ↑ * Jackson, P. (২০০২)। "Review: The History of the Seljuq Turkmens: The History of the Seljuq Turkmens"। Journal of Islamic Studies। Oxford Centre for Islamic Studies। 13 (1): 75–76। ডিওআই:10.1093/jis/13.1.75।
- Bosworth, C. E. (2001). 0Notes on Some Turkish Names in Abu 'l-Fadl Bayhaqi's Tarikh-i Mas'udi". Oriens, Vol. 36, 2001 (2001), pp. 299–313.
- Dani, A. H., Masson, V. M. (Eds), Asimova, M. S. (Eds), Litvinsky, B. A. (Eds), Boaworth, C. E. (Eds). (1999). History of Civilizations of Central Asia. Motilal Banarsidass Publishers (Pvt. Ltd).
- Hancock, I. (2006). On Romani origins and identity. The Romani Archives and Documentation Center. The University of Texas at Austin.
- Asimov, M. S., Bosworth, C. E. (eds.). (1998). History of Civilizations of Central Asia, Vol. IV: "The Age of Achievement: AD 750 to the End of the Fifteenth Century", Part One: "The Historical, Social and Economic Setting". Multiple History Series. Paris: UNESCO Publishing.
- Dani, A. H., Masson, V. M. (Eds), Asimova, M. S. (Eds), Litvinsky, B. A. (Eds), Boaworth, C. E. (Eds). (1999). History of Civilizations of Central Asia. Motilal Banarsidass Publishers (Pvt. Ltd).
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |