বুরি রাজবংশ
বুরি রাজবংশ ছিল একটি তুর্কি মুসলিম রাজবংশ।[১] ১২শ শতাব্দীর প্রথমদিকে এই রাজবংশ দামেস্ক আমিরাত শাসন করেছে।
বুরি রাজবংশ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১১০৪–১১৫৪ | |||||||||
![]() ১১৩৫ সালে নিকট প্রাচ্য | |||||||||
রাজধানী | দামেস্ক | ||||||||
প্রচলিত ভাষা | আরবি তুর্কি ফার্সি | ||||||||
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি) | ||||||||
সরকার | আমিরাত | ||||||||
আমির | |||||||||
• ১১০৪-১১২৮ | তুগতেকিন (প্রথম) | ||||||||
• ১১৪০–১১৫৪ | মুজিরউদ্দিন আবাক (শেষ) | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ১১০৪ | ||||||||
• বিলুপ্ত | ১১৫৪ | ||||||||
মুদ্রা | দিনার | ||||||||
|
ইতিহাস
সম্পাদনাতুগতেকিন ছিলেন প্রথম বুরি শাসক।[২] দামেস্কের সেলজুক শাসক দুকাকের অধীনস্থ হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। ১১০৪ খ্রিষ্টাব্দে দুকাকের মৃত্যুর পর তুগতেকিন শহরের ক্ষমতা নিজের হাতে নেন।
তুগতেকিনের পুত্র তাজ আল-মুলুক বুরির নামানুসারে রাজবংশের নামকরণ হয়েছে। বুরিরা আব্বাসীয় খিলাফতের জন্য উপঢৌকন পাঠায় এবং খিলাফতের তরফ থেকে স্বীকৃতি পায়। খিলাফত কর্তৃক আমিরাতের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা হত না।[১]
১১৫৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বুরিরা শহর শাসন করেছে। এসময় আলেপ্পোর জেনগি শাসন নুরউদ্দিন জেনগি শহর দখল করেন।[৩]
মার্জ আল-সাফফার যুদ্ধে বুরিরা ক্রুসেডারদের কাছে পরাজিত হয়। তবে দ্বিতীয় ক্রুসেডের সময় দামেস্ক রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল।
দামেস্কের বুরি আমির
সম্পাদনাশাসনতান্ত্রিক নাম | ব্যক্তিগত নাম | শাসনকাল | |
---|---|---|---|
আমির أمیر সাইফ-উল-ইসলাম سیف الاسلام |
জহিরউদ্দিন তুগতেকিন ظاھر الدین طغتکین |
১১০৪–১১২৮ | |
আমির أمیر |
তাজ-উল-মুলুক বুরি تاج الملک بوری |
১১২৮–১১৩২ | |
আমির أمیر |
শামসুল মুলক ইসমাইল شمس الملک اسماعیل |
১১৩২–১১৩৫ | |
আমির أمیر |
শিহাবউদ্দিন মাহমুদ شھاب الدین محمود |
১১৩৫–১১৩৯ | |
আমির أمیر |
জামালউদ্দিন মুহাম্মদ جمال الدین محمد |
১১৩৯–১১৪০ | |
আমির أمیر |
মুইনউদ্দিন উনুর معین الدین أنر |
১১৪০–১১৪৯ অভিভাবক | |
আমির أمیر মুজিরউদ্দিন مجیر الدین |
আবু সাইদ আবাক ابو سعید ابق |
১১৪০–১১৫৪ | |
জেনগি রাজবংশ কর্তৃক বুরি রাজবংশ ক্ষমতাচ্যুত। |
- সবুজ অংশ মুইনউদ্দিন উনুরের অভিভাবকত্ব নির্দেশ করে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Burids, R. LeTourneau, The Encyclopedia of Islam, Vol. I, ed. H.A.R.Gibb, J.H.Kramers, E. Levi Provencal and J. Schacht, (Brill, 1986), 1332.
- ↑ D.S. Richards, The Chronicle of Ibn Al-Athir for the Crusading Period from Al-Kamil Fi'l-ta-Ta'rikh, (Ashgate Publishing Ltd, 2010), 16.
- ↑ Medieval Islamic Civilization: L-Z, Ed. Josef W. Meri, Jere L. Bacharach, (Taylor & Francis, 2006), 568.
মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |