ঘুরি সাম্রাজ্য
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। |
ঘুরি রাজবংশ (ফার্সি: سلسله غوریان; self-designation: Shansabānī) ছিল পূর্ব ইরানীয় সুন্নি মুসলিম রাজবংশ। এই রাজবংশ তাজিক বংশোদ্ভূত বলে ধারণা করা হয়। সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ সীমায় থাকাকালে আধুনিক আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও ইরান এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৫] ৮৯৭ থেকে ১২১৫ সাল পর্যন্ত এই রাজবংশ শাসন ক্ষমতায় ছিল এবং গজনভিদের উত্তরাধিকারী হয়।[৬] ঘুরি রাজবংশের কেন্দ্র ছিল বর্তমান আফগানিস্তানের ঘুর প্রদেশ বা মান্দেশ। এটি পশ্চিমে বৃহত্তর খোরাসান এবং পূর্বে বঙ্গ পর্যন্ত পৌছেছিল।[৭] প্রথম রাজধানী ছিল ঘুরের ফিরোজকোহ। পরবর্তীতে তা হেরাতে[২] স্থানান্তর করা হয়। এর পাশাপাশি গজনি[৩] ও লাহোরকে অতিরিক্ত রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করা হত, বিশেষত শীতের সময়। ঘুরিরা পারস্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।[৮] এই সাম্রাজ্যই ছিল প্রথম মুসলিম সাম্রাজ্য যা বাংলা জয় করেছিল।[৯]
ঘুরি সালতানাত শানসাবানি | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
৮৭৯ সালের পূর্বে–১২১৫ | |||||||||||||
![]() গিয়াসউদ্দিন মুহাম্মদের অধীনে ঘুরি রাজবংশের সর্বোচ্চ সীমা | |||||||||||||
রাজধানী | ফিরোজকোহ[১] হেরাত[২] গজনি (১১৭০ দশক-১২১৫)[৩] লাহোর (শীতকালীন) | ||||||||||||
প্রচলিত ভাষা | ফারসি (সরকারি ও দরবার)[৪] | ||||||||||||
ধর্ম | সুন্নি | ||||||||||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||||||||||
মালিক/সুলতান | |||||||||||||
• ৯ম-১০ শতাব্দি | আমির সুরি (প্রথম) | ||||||||||||
• ১২১৪-১২১৫ | আলাউদ্দিন আলি (শেষ) | ||||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ৮৭৯ সালের পূর্বে | ||||||||||||
• বিলুপ্ত | ১২১৫ | ||||||||||||
| |||||||||||||
বর্তমানে যার অংশ |
ঘুরিদের পর পারস্যে খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্য ও ভারত উপমহাদেশে দিল্লি সালতানাতে মামলুক সালতানাত ক্ষমতায় আসে।
আব্বাসি খলিফা মুতাসিম বিল্লাহ সর্বপ্রথম মামলুকদের দিয়ে একটি সামরিক ইউনিট গঠন করেন এবং তাদেরকে পারসিক ও আরবদের স্থলাভিষিক্ত করেন। তার মানে মামলুকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন আব্বাসীয় খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহ এবং মামলুক রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা মুলত নাজিমুদ্দিন আইবেক। তার হাত ধরেই মামলুকরা রাষ্ট্রের কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসে। সাজারা তুদ দুর কেও মামলুক রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বলেন অনেকে। কে আসলে মামলুক রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা তা বড় কথা নয়
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Firoz Koh in Ghur or Ghor (a region to the west of Ghazni), the Ghurids' summer capital
- ↑ ক খ Firuzkuh: the summer capital of the Ghurids, by David Thomas, pg. 18.
- ↑ ক খ The Grove Encyclopedia of Islamic Art & Architecture: Three-volume set, by Jonathan Bloom, Sheila Blair, pg. 108.
- ↑ The Development of Persian Culture under the Early Ghaznavids, C.E. Bosworth, Iran, Vol. 6, (1968), 35.
- ↑ C. E. Bosworth: GHURIDS. In Encyclopaedia Iranica. 2001 (last updated in 2012). Online edition.
- ↑ Kingdoms of South Asia – Afghanistan in Far East Kingdoms: Persia and the East
- ↑ Encyclopedia Iranica, Ghurids, Edmund Bosworth, Online Edition 2001, ([১])
- ↑ Finbarr Barry Flood, Objects of Translation: Material Culture and Medieval "Hindu-Muslim" Encounter, (Princeton University Press, 2009), 13.
- ↑ Eaton, R.M. (১৯৯৬)। The Rise of Islam and the Bengal Frontier, 1204–1760। University of California Press। আইএসবিএন 978-0-520-20507-9।
- C. Edmund, Bosworth (২০০১)। "GHURIDS"। Encyclopaedia Iranica, Online Edition। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৪।
- Frye, R.N. (১৯৭৫)। "The Ghaznavids and Ghūrids"। Frye, R.N.। The Cambridge History of Iran, Volume 5: The Iranian world। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 157–165। আইএসবিএন 0-521-20093-8।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- Encyclopaedia Britannica (Online Edition) – Ghurid Sultanate
- Encyclopaedia Britannica (Online Edition) – Muizz-ud-Din-Muhammad a.k.a. Mohammad of Ghor
- Columbia Encyclopedia (Sixth Edition) – Muhammad of Ghor
- The Ghurid Rulers
- The Ghurids
- The Ghurids´ Firuzkuh, the summer capital of the Sultans[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]