হামাদান
হামাদান বা হামেদান (ফার্সি: همدان, Hamadān) (প্রাচীন ফার্সি: হাংমেতানা, ইকবাতানা) ইরানের হামাদান প্রদেশের রাজধানী শহর। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে আদমশুমারি অনুযায়ী এই শহরের জনসংখ্যা ৪,৭৩,১৪৯ এবং পরিবার সংখ্যা ১,২৭,৮১২।[১]
হামাদান همدان | |
---|---|
শহর | |
প্রাচীন নাম: ইকবাতানা, হাংমাতানা | |
ইরানে হামাদান | |
স্থানাঙ্ক: ৩৪°৪৮′ উত্তর ৪৮°৩১′ পূর্ব / ৩৪.৮০০° উত্তর ৪৮.৫১৭° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | Iran |
প্রদেশ | হামাদান |
কাউন্টি | হামাদান |
বাখশ | কেন্দ্রীয় |
উচ্চতা | ১,৮৫০ মিটার (৬,০৬৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০৬) | |
• মোট | ৪,৭৩,১৪৯ |
• ক্রম | ইরানে ১৪তম |
সময় অঞ্চল | IRST (ইউটিসি+৩:৩০) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | IRDT (ইউটিসি+৪:৩০) |
ওয়েবসাইট | www |
হামাদানকে ইরান ও পৃথিবীর প্রাচীনতম শহরগুলোর অন্যতম হিসেবে ধরা হয়। ১১০০ খ্রিষ্টাপূর্বাব্দে এটি এসিরিয়ানরা এই শহর দখল করেছিল এমন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাচীন গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের বক্তব্য অনুসারে এই শহর ৭০০ খ্রিষ্টপূর্বে মেডাসের রাজধানী ছিল।
ইরানের মধ্যপশ্চিম অংশে ৩,৫৭৪ মিটার আলওয়ান্দ পর্বতমালায় হামাদানের সবুজ পাহাড়ী এলাকা রয়েছে। হামাদান সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১,৮৫০ মিটার উচুতে অবস্থিত।
পুরনো শহরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও এর ঐতিহাসিক স্থানগুলোর কারণে গ্রীষ্মকালে হামাদানে পর্যটক সমাগম ঘটে। এটি তেহরানের প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার (২২৪ মাইল) দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত।
শহরের প্রধান প্রতীক গাঞ্জনামা, ইবনে সিনা স্মৃতিসৌধ ও বাবা তাহির স্মৃতিসৌধ। শহরের অধিবাসীদের মাতৃভাষা ফার্সি।[২][৩][৪]
ইতিহাস
সম্পাদনাক্লিফর্ড এডমন্ড বসওয়ার্থের মতানুযায়ী হামাদান খুবই পুরনো শহর। তার মতে এই শহরের নাম ১১০০ খ্রিষ্টপূর্বের এসিরিয়ান রাজা প্রথম তিগলাথ-পিলেসারের সময়ের কিউনিফর্ম বিবরণে রয়েছে এমন হতে পারে, তবে হেরোডোটাস নিশ্চিতভাবে এর নাম উল্লেখ করেছেন যাতে বলা হয়েছে যে খ্রিষ্টপূর্ব ৭ম শতাব্দীতে মেডিয়ার রাজা ডিওকেস আগবাতানা বা ইকবাতানা শহর নির্মাণ করেছিলেন।[৫]
হামাদান মেডেস জাতি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এই শহর ছিল মেডিয়ান সাম্রাজ্যের রাজধানী। পরে তা হাখমানেশী সাম্রাজ্যের কয়েকটি রাজধানীর অন্যতম রাজধানী হয়।
বাইবেলের বুক অফ এজরাতে হামাদানের উল্লেখ রয়েছে, এতে বলা হয়েছে যে এখানে রাজা কর্তৃক ইহুদিদেরকে জেরুজালেমে মন্দির নির্মাণের অনুমতি প্রদানের একটি দলিল পাওয়া গিয়েছিল (এজরা ৬:২)। এজরার বিবরণে শহরের প্রাচীন নাম ইকবাতানা ব্যবহৃত হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এক মাইলের বেশি উচু হওয়ায় এখানে চামড়ার উপর লিখিত নথি সুরক্ষিত থাকত।
পার্থিয়ান যুগে তিসফুন দেশের রাজধানী হয় এবং হামাদান গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ও পার্থিয়ান শাসকদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হত। পার্থিয়ানদের পর সাসানীয়রা হামাদানে তাদের গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ নির্মাণ করে। ৬৩৩ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত নাহাওয়ান্দের যুদ্ধের পর হামাদান মুসলিমদের হস্তগত হয়।
বুওয়িদের যুগে শহরের বেশ ক্ষতি হয়। ১১শ শতাব্দীতে সেলজুকরা তাদের রাজধানী বাগদাদ থেকে হামাদানে স্থানান্তর করে। হামাদানের ভাগ্য স্থানীয় শক্তিগুলোর উত্থান ও পতনের উপর নির্ভর করেছে। তৈমুরীয় আক্রমণের সময় হামাদান শহর ধ্বংস হয়। সাফাভি যুগে শহর বিস্তার লাভ করে। ১৮শ শতাব্দীতে উসমানীয়দের কাছে শহরটি আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু নাদির শাহ উসমানীয়দের বিতাড়িত করেন। ইরান ও উসমানীয়দের মধ্যকার শান্তিচুক্তি অনুসারে হামাদানকে ইরানের হাতে ফিরিয়ে দেয়া হয়। হামাদান সিল্ক রোডে অবস্থিত। ইরানের পশ্চিম অঞ্চলের মূল সড়ক নেটওয়ার্কে অবস্থানের কারণে বিগত শতাব্দীগুলোতেও শহরে ব্যবসা ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এখানে রুশ এবং তুরকি-জার্মান বাহিনীর মধ্যে প্রচন্ড লড়াই হয়। দুই বাহিনীই শহর অধিকার করেছিল। তবে শেষপর্যন্ত ব্রিটিশরা এর দখল লাভ করে। যুদ্ধ শেষে ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে তা ইরানের হাতে তুলে দেয়া হয়।
জলবায়ু
সম্পাদনাহামাদান প্রদেশ জগ্রোস পর্বতমালার পূর্বে নাতিশীতোষ্ণ পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। উত্তর ও উত্তরপূর্বের বিস্তীর্ণ সমভূমি প্রায় সারাবছর ধরে বয়ে যাওয়া বায়ুপ্রবাহের প্রভাবাধীন থাকে।
এই অঞ্চলের কয়েকটি বায়ুপ্রবাহ হল: বসন্ত ও শীত ঋতুতে উত্তর ও উত্তরপূর্বের বায়ুপ্রবাহ, এটি প্রধানত আর্দ্র ও বৃষ্টিপাত ঘটায়। শরত ঋতুতে পশ্চিম-পূর্ব বায়ুপ্রবাহ ও স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ, এটি উচ্চ অংশ ও সমতলের বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে, এটি অনেকটা আসাদাবাদ অঞ্চলের বায়ুপ্রবাহের মত।
হামাদান-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ১৭.০ (৬২.৬) |
১৯.০ (৬৬.২) |
২৫.০ (৭৭.০) |
২৮.০ (৮২.৪) |
৩৩.০ (৯১.৪) |
৩৯.০ (১০২.২) |
৪০.৬ (১০৫.১) |
৩৯.৪ (১০২.৯) |
৩৬.৪ (৯৭.৫) |
৩০.০ (৮৬.০) |
২৩.০ (৭৩.৪) |
১৮.৮ (৬৫.৮) |
৪০.৬ (১০৫.১) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২.০ (৩৫.৬) |
৪.৩ (৩৯.৭) |
১১.৫ (৫২.৭) |
১৮.১ (৬৪.৬) |
২৩.৯ (৭৫.০) |
৩০.৯ (৮৭.৬) |
৩৪.৯ (৯৪.৮) |
৩৪.২ (৯৩.৬) |
২৯.৮ (৮৫.৬) |
২১.৯ (৭১.৪) |
১৩.৭ (৫৬.৭) |
৫.৯ (৪২.৬) |
১৯.৩ (৬৬.৭) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | −৪.৬ (২৩.৭) |
−২.২ (২৮.০) |
৪.৫ (৪০.১) |
১০.৪ (৫০.৭) |
১৫.৫ (৫৯.৯) |
২১.৩ (৭০.৩) |
২৫.৩ (৭৭.৫) |
২৪.৩ (৭৫.৭) |
১৯.০ (৬৬.২) |
১২.১ (৫৩.৮) |
৫.৩ (৪১.৫) |
−০.৯ (৩০.৪) |
১০.৮ (৫১.৫) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | −১০.৫ (১৩.১) |
−৮.২ (১৭.২) |
−২.১ (২৮.২) |
২.৭ (৩৬.৯) |
৬.৪ (৪৩.৫) |
৯.৮ (৪৯.৬) |
১৩.৯ (৫৭.০) |
১২.৮ (৫৫.০) |
৭.০ (৪৪.৬) |
২.৫ (৩৬.৫) |
−২.১ (২৮.২) |
−৬.৬ (২০.১) |
২.১ (৩৫.৮) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | −৩৪ (−২৯) |
−৩৩.০ (−২৭.৪) |
−২১ (−৬) |
−১২.০ (১০.৪) |
−৩.০ (২৬.৬) |
২.০ (৩৫.৬) |
৭.০ (৪৪.৬) |
৪.০ (৩৯.২) |
−৪.০ (২৪.৮) |
−৭.০ (১৯.৪) |
−১৪.৫ (৫.৯) |
−২৯ (−২০) |
−৩৪ (−২৯) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ৪৬.৩ (১.৮২) |
৪৩.৬ (১.৭২) |
৪৯.৪ (১.৯৪) |
৪৯.৮ (১.৯৬) |
৩৭.৮ (১.৪৯) |
৩.৭ (০.১৫) |
২.০ (০.০৮) |
১.৮ (০.০৭) |
০.৮ (০.০৩) |
২০.৭ (০.৮১) |
২৬.৯ (১.০৬) |
৪০.৯ (১.৬১) |
৩২৩.৭ (১২.৭৪) |
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড় | ১১.৬ | ১১.১ | ১২.৪ | ১২.১ | ৯.৫ | ২.০ | ১.৩ | ১.৬ | ১.০ | ৫.৬ | ৬.৮ | ১০.১ | ৮৫.১ |
তুষারময় দিনগুলির গড় | ৮.৮ | ৮.২ | ৪.২ | ০.৬ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০.২ | ০.৯ | ৬.৯ | ২৯.৮ |
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) | ৭৬ | ৭৩ | ৬৪ | ৫৬ | ৫০ | ৩৬ | ৩১ | ৩১ | ৩৪ | ৪৮ | ৬১ | ৭৩ | ৫৩ |
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় | ১৩১.৮ | ১৩৭.১ | ১৭৪.৫ | ১৯৯.৬ | ২৫৮.৫ | ৩৪১.৮ | ৩৪২.৭ | ৩২২.২ | ২৯৫.৬ | ২৩৪.৩ | ১৮৩.১ | ১৩৫.৩ | ২,৭৫৬.৫ |
উৎস: NOAA (1961-1990)[৬] |
হামাদান আলওয়ান্দ পর্বতমালার নিকটে অবস্থিত। এখানে শুস্ক গ্রীষ্ম মহাদেশীয় জলবায়ু দেখা যায়। এছাড়া শীতকালে তুষার পড়ে থাকে। এটি ইরানের অন্যতম ঠান্ডা অঞ্চল। সবচেয়ে বেশি শীতের দিন তাপমাত্রা −৩০ °সে (−২২ °ফা) এর নিচে নেমে যায়। শীতকালে ভারি তুষারপাত হয় যা প্রায় দুইমাসব্যপীও হতে পারে। সংক্ষিপ্ত গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া শান্ত, মনোরম ও রৌদ্রজ্জল থাকে।
প্যানারোমা দৃশ্য
সম্পাদনাজনগোষ্ঠী
সম্পাদনা১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারি অনুযায়ী হামাদানের জনসংখ্যা ছিল ১৬,৭৭,৯৫৭।[৭] সেই বছরের সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে হামাদান কাউন্টিতে সনসংখ্যা ছিল ৫,৬৩,৪৪৪। অধিকাংশ জনগণ পার্সিয়ান। এছাড়া হামাদানে সংখ্যালঘুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আজারবাইজানি ও অল্প সংখ্যক ইহুদি রয়েছে।[৮]
সংস্কৃতি
সম্পাদনাহামাদান অনেক কবি ও সাংস্কৃতিক তারকার আবাস। একে নিরবচ্ছিন্নভাবে অধ্যুষিত শহরের মধ্যে প্রাচীনতমের একটি বলা হয়ে থাকে।
চামড়া, সিরামিক ও কার্পেটের হস্তশিল্পের জন্য হামাদান বিখ্যাত।
ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংগঠন শুধু হামাদানের ২০৭টি স্থানকে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ববহ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
এখানকার একটি সমাধিকে বাইবেলে উল্লেখিত ইসথার ও তার ভাই মোরডেকাইয়ের সমাধির ধ্বংসাবশেষ হিসেবে ধারণা করা হয়।
বিজ্ঞানী ও লেখক ইবনে সিনাকে হামাদানে দাফন করা হয়েছে। ১১শ শতাব্দীর ইরানি কবি বাবা তাহিরকে এখানে দাফন করা হয়েছে।
মাকামাত বদিউজ্জামান আল-হামাদানির লেখক বদিউজ্জামান আল-হামাদানি হামাদানে জন্মগ্রহণ করেছেন।
গ্যালারি
সম্পাদনা-
বাবা তাহিরের মাজার
-
বাবা তাহিরের মাজারের অভ্যন্তরভাগ
-
ইবনে সিনার মাজার
-
ইবনে সিনার মাজারে কানুন ফিততিবের হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি
-
ইসথার ও মোরডেকাইয়ের সমাধি, এই সমাধিকে ইসথার ও মোরডেকাইয়ের সমাধি হিসেবে বিশ্বাস করা হয়
-
ইসথার ও মোরডেকাইয়ের সমাধির অভ্যন্তরভাগ
-
ইমামজাদা আবদুল্লাহ মসজিদ
-
হামাদানের বাজার
-
কুরবান টাওয়ার
ক্রীড়া
সম্পাদনাপাস তেহরান ফুটবল ক্লাব বিলুপ্তির পর ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জুন পাস হামাদান ফুটবল ক্লাব গঠিত হয়। এই দল ও আলওয়ান্দ হামাদান ফুটবল ক্লাব আজাদেগান লীগে অংশগ্রহণ করেছে।
শহরের কিছু ক্রীড়া স্থাপনার মধ্যে রয়েছে: কুদস স্টেডিয়াম, শহীদ মুফাত্তাহ স্টেডিয়াম, তাখতি স্পোর্ট কমপ্লেক্স ও হামাদানের জাতীয় স্টেডিয়াম।
শিক্ষাব্যবস্থা
সম্পাদনাপারস্যের সাংবিধানিক বিপ্লবের পূর্বে হামাদানের শিক্ষাব্যবস্থা মক্তব ও ধর্মীয় বিদ্যালয় কেন্দ্রিক ছিল। ফখরি মোজাফারি স্কুল ছিল হামাদানের প্রথম আধুনিক স্কুল। এটি এই বিপ্লবের পর স্থাপিত হয়। হামাদানে বিদেশি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রথম আধুনিক স্কুল ছিল এলাইয়েন্স ও লাজারিস্ট।
হামাদানের কিছু জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় হল:
- বু-আলি সিনা ইউনিভার্সিটি
- হামাদান মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে
- হামাদানের ইসলামিক আজাদ ইউনিভার্সিটি
- হামাদান ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে
বিখ্যাত হামাদানি
সম্পাদনা- মীর সাইয়িদ আলি হামাদানি, কবি ও পণ্ডিত
- আবুলহাসান বনিসদর, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, এবং বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
- আমির নুসরাতউল্লাহ বালাখানলু, তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন - হামাদানের দুইবারের মেয়র এবং সংসদ সদস্য (১৯৫০ এর দশক ও ১৯৬০ এর দশকের প্রথমভাগ)
- আমির শাহাব রাজাভিয়ান, চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও প্রযোজক
- বাবা তাহির, ১১শ শতাব্দীর বিখ্যাত কবি
- আইন-আলকুজাত হামাদানি, দার্শনিক ও সুফিতাত্ত্বিক (১১০০ শতাব্দী)
- ইহসান ইয়ারশাতার, ইতিহাসবিদ, বিজ্ঞানি, ও এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকার প্রতিষ্ঠাতা
- ফখরউদ্দিন ইরাকি, জনপ্রিয় কবি (১৩০০ খ্রিষ্টাব্দ)
- [৯] ফরিদউদ্দৌলা গুলগুন, হামাদানের রাজনীতিবিদ, সংবিধানপন্থি, সাংবাদিক, মেয়র
- ফজলউল্লাহ জাহেদি, সেনাবাহিনীর জেনারেল
- ফরিদুন মুশিরি, সমকালীন কবি (তেহরানে জন্ম)
- হানিয়াহ তাওয়াসুলি, অভিনেত্রী
- জোসেফ আমিন, ১৮শ শতাব্দীতে আর্মেনিয়ার স্বাধীনতা প্রচেষ্টার একজন প্রধান কর্মী
- মিরজাদাহ এশকি, জনপ্রিয় জাতীয়তাবাদি কবি
- পারভেজ পারাসতুই, জনপ্রিয় অভিনেতা
- রশিদউদ্দিন হামাদানি, ১৩শ-১৪শ শতাব্দীর পার্সিয়ান রাজনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ ও চিকিৎসক
- শিরিন এবাদি, আইনজীবী এবং ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী
- স্যামুয়েল রাহবার, বিজ্ঞানী
- ভিগুয়েন, পারস্যের পপ ও জাজ সঙ্গীতের সম্রাট বলে পরিচিত
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
সম্পাদনাজমজ শহর – বোন শহর
সম্পাদনাহামাদান নিম্নোক্ত শহরগুলোর জমজ শহর:
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Census of the Islamic Republic of Iran, 1385 (2006)"। Islamic Republic of Iran। ২০১১-১১-১১ তারিখে মূল (Excel) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Mohammad Jalal Abbasi-Shavazi, Peter McDonald, Meimanat Hosseini-Chavoshi, "The Fertility Transition in Iran: Revolution and Reproduction", Springer, 2009. pp 100-101: "The first category is 'Central' where the majority of people are Persian speaking ethnic Fars (provinces of Fars, Hamedan, Isfahan, Markazi, Qazvin, Qom, Semnan, Yazd and Tehran..."
- ↑ (Parviz Aḏkāʾi and EIr, HAMADĀN i. GEOGRAPHY in Encyclopædia Iranica:"Languages spoken. Hamadān has been a crossroads of civilizations for millennia and a mosaic of cultures and dialects live there side by side. The main language spoken, especially in the provincial capital and its surroundings, is Persian, which is also the lingua franca in other regions. In the northern parts of the province, however, the language mostly spoken is Azeri Turkish, while in the northwest and west, near the provinces of Kurdistan and Kermānšāhān, people mostly speak Kurdish, while in some other cities such as Malāyer, Nehāvand, and Sāmen most people speak Lori and Lak (Faraji, p. 1296)."
- ↑ Bosworth, Clifford Edmund (২০০৮)। Historic Cities of the Islamic World। Brill Academic Publishers। পৃষ্ঠা 151। আইএসবিএন 978-90-04-15388-2।
- ↑ "Hamedan Nozheh Climate Normals 1961-1990"। National Oceanic and Atmospheric Administration। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৮, ২০১২।
- ↑ Official statistics from 1997 (1375) - Hamadan provinces - Population and ethnicites - hamedanpolitic.ir [ত্রুটি: আর্কাইভের ইউআরএল অজানা] আর্কাইভকৃত [তারিখ অনুপস্থিত] তারিখে accessed on March 12, 2006. Replaced with Archive link on Feb 22, 2010.
- ↑ Hamadan (Iran) - Encyclopædia Britannica
- ↑ http://www.iranicaonline.org/articles/golgun
- ↑ "در ششمین همایش بوعلی سینا در بخارا؛ «بخارا» زادگاه و «همدان» مدفن بوعلیسینا خواهرخوانده میشوند"। ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Hamadan Medical University ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে
- Ecbatana, Photos from Iran, Livius ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে.
- Gandj Nameh, Photos from Iran, Livius ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে.
- The Bisotun inscription, Photos from Iran, Livius ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ মে ২০০৭ তারিখে.
- Photos from Hamadan City
- Hamadan City
- Hamadan: Older than history
- Hamadan; Capital of Median Empire
- Iconos satellite photo (January, 2005)
- Google Satellite Picture
- Hamedan Cultural Heritage Organization (ফার্সি)
- Hegmataneh Official Website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে
- Hamadān entries in the Encyclopædia Iranica ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে
- Various Photos of Hamadan - Photos of Esthers Shirne, Tomb of Avicenna, Gonbad Alavian, Tomb of Baba Taher, Stone Lion, Ganjnameh and the City.
পূর্বসূরী - |
মেডিয়ান সাম্রাজ্যের রাজধানী "ইকবাতানা" হিসেবে ৬৭৮–৫৪৯ খ্রিষ্টপূর্ব |
উত্তরসূরী - |
পূর্বসূরী - |
হাখমানেশী সাম্রাজ্যের রাজধানী "ইকবাতানা" হিসেবে গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসেবে ৫৫০–৩৩০ খ্রিষ্টপূর্ব |
উত্তরসূরী - |
পূর্বসূরী ইসফাহান |
সেলজুক সাম্রাজ্যের রাজধানী (পশ্চিম রাজধানী) ১১১৮–১১৯৪ |
উত্তরসূরী - |
পূর্বসূরী ইসফাহান |
ইরানের রাজধানী ১১১৮–১১৯৪ |
উত্তরসূরী গুরগঞ্জ |