সাফাভি রাজবংশ বা সফবীয় রাজবংশ (ফার্সি: سلسلهٔ صفويان; আজারবাইজানি: Səfəvilər, صفویلر) ছিল পারস্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশগুলোর অন্যতম। একে প্রায় আধুনিক পারস্যের ইতিহাসের সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১৮] মুসলিমদের পারস্য বিজয়ের পর এটি অন্যতম বৃহৎ পারস্য সাম্রাজ্য।[১৯][২০][২১][২২] এই রাজবংশ ইসলামের দ্বাদশী শিয়া মতবাদকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।[২৩] এটি মুসলিম ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। সাফাভি শাসন ১৫০১ থেকে ১৭২২ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এরপর ১৭২৯ থেকে ১৭৩৬ সাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্তকালের জন্য তা প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ সীমায় আধুনিক ইরান, আজারবাইজান, বাহরাইনআর্মেনিয়া; জর্জিয়া, উত্তর ককেসাস, ইরাক, কুয়েতআফগানিস্তানের অধিকাংশ এবং তুরস্ক, সিরিয়া, পাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তানউজবেকিস্তানের অংশ এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইংরেজিতে ‘’গানপাউডার এম্পায়ার’’ বা ‘’বারুদ সাম্রাজ্য’’ বলে পরিচিত সাম্রাজ্যগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ছিল। অন্য সাম্রাজ্যগুলো ছিল সাফাভি সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী উসমানীয় সাম্রাজ্যমুঘল সাম্রাজ্য

সাফাভি রাজবংশ[][]

سلسلهٔ صفويان
Ṣafawīyān Irân
১৫০১–১৭৩৬
সাফাভি রাজবংশের জাতীয় পতাকা
পতাকা
সাফাভি রাজবংশের প্রতীক
প্রতীক
শাহ প্রথম আব্বাসের অধীনে সাফাভি সাম্রাজ্য
শাহ প্রথম আব্বাসের অধীনে সাফাভি সাম্রাজ্য
অবস্থাসাম্রাজ্য
রাজধানীতাবরিজ
(১৫০১-১৫৫৫)
কাজভিন
(১৫৫৫–১৫৯৮)
ইসফাহান
(১৫৯৮–১৭৩৬)
প্রচলিত ভাষা
  • ফার্সি‌ (সরকারি,[] মুদ্রা,[][] বেসামরিক প্রশাসন,[] আদালত,[] উচ্চমার্গীয় সাহিত্য,[] সাহিত্য,[][] ধর্মতত্ত্ব,[] কূটনৈতিক সম্পর্ক, কাব্য-সাহিত্য, ইতিহাসচর্চা,[] দরবার ভিত্তিক ধর্মীয় বিবৃতি)[১০]
  • আজারবাইজানি (দরবার, (ইসফাহান রাজধানী হওয়ার আগ পর্যন্ত)[] ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সামরিক)[][১১][১২][১৩]
ধর্ম
দ্বাদশী শিয়া ইসলাম (রাষ্ট্রধর্ম)[১৪]
সরকাররাজতান্ত্রিক ধর্মরাজ্য
শাহেনশাহ 
• ১৫০১–১৫২৪
প্রথম ইসমাইল (প্রথম)
• ১৭৩২–১৭৩৬
তৃতীয় আব্বাস (শেষ)
আইন-সভাআলোচনা সভা
ইতিহাস 
১৩০১
• প্রতিষ্ঠা
১৫০১
• হুতাকি আক্রমণ
১৭২২
• নাদের শাহের বিজয়
১৭২৬–২৯
• বিলুপ্ত
মার্চ ১৭৩৬
• নাদের শাহের ক্ষমতালাভ
১ অক্টোবর ১৭৩৬
আয়তন
২৮,৫০,০০০ বর্গকিলোমিটার (১১,০০,০০০ বর্গমাইল)
মুদ্রাতুমান, আব্বাসি, শাহি.[১৫]
  • ১ তুমান = ৫০ আব্বাসি
  • ১ তুমান = ৫০ ফরাসি লিভ্রে
  • ১ তুমান = £3 6s 8d.
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
তৈমুরি সাম্রাজ্য
আক কোয়ুনলু
মারাশিয়ান
পাদুসপানি
মিহরাবানি
আফরাসিয়া রাজবংশ
কিয়াই রাজবংশ
হুতাকি রাজবংশ
আফশারি রাজবংশ
মসুল এলায়েত
বাগদাদ এলায়েত
বসরা এলায়েত
বর্তমানে যার অংশ

সাফাভি শাহগণ

সম্পাদনা
 
সাফাভি রাজবংশের সময়কাল

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Safavid dynasty"। Britannica। 
  2. "Safavid Persia"। Books। Google। 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Roemer 189 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. Rudi Matthee, "Safavids" in Encyclopædia Iranica, accessed on April 4, 2010. "The Persian focus is also reflected in the fact that theological works also began to be composed in the Persian language and in that Persian verses replaced Arabic on the coins." "The political system that emerged under them had overlapping political and religious boundaries and a core language, Persian, which served as the literary tongue, and even began to replace Arabic as the vehicle for theological discourse".
  5. Ronald W Ferrier, The Arts of Persia. Yale University Press. 1989, p. 9.
  6. John R Perry, "Turkic-Iranian contacts", Encyclopædia Iranica, January 24, 2006: "...written Persian, the language of high literature and civil administration, remained virtually unaffected in status and content"
  7. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Cyril Glassé 2003, pg 392 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  8. Arnold J. Toynbee, A Study of History, V, pp. 514-15. excerpt: "in the heyday of the Mughal, Safawi, and Ottoman regimes New Persian was being patronized as the language of literae humaniores by the ruling element over the whole of this huge realm, while it was also being employed as the official language of administration in those two-thirds of its realm that lay within the Safawi and the Mughal frontiers"
  9. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; mazzaoui নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  10. Ruda Jurdi Abisaab. "Iran and Pre-Independence Lebanon" in Houchang Esfandiar Chehabi, Distant Relations: Iran and Lebanon in the Last 500 Years, IB Tauris 2006, p. 76: "Although the Arabic language was still the medium for religious scholastic expression, it was precisely under the Safavids that hadith complications and doctrinal works of all sorts were being translated to Persian. The 'Amili (Lebanese scholars of Shi'i faith) operating through the Court-based religious posts, were forced to master the Persian language; their students translated their instructions into Persian. Persianization went hand in hand with the popularization of 'mainstream' Shi'i belief."
  11. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; savory07 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  12. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; cambridgesafa নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  13. Price, Massoume (২০০৫)। Iran's Diverse Peoples: A Reference Sourcebook। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 66। আইএসবিএন 978-1-57607-993-5The Shah was a native Turkic speaker and wrote poetry in the Azerbaijani language. 
  14. The New Encyclopedia of Islam, Ed. Cyril Glassé, (Rowman & Littlefield Publishers, 2008), 449.
  15. Ferrier, RW, A Journey to Persia: Jean Chardin's Portrait of a Seventeenth-century Empire, p. ix.
  16. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; AlirezaShahbazi নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  17. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; IIMP নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  18. "SAFAVID DYNASTY"Encyclopædia Iranica 
  19. Helen Chapin Metz. Iran, a Country study. 1989. University of Michigan, p. 313.
  20. Emory C. Bogle. Islam: Origin and Belief. University of Texas Press. 1989, p. 145.
  21. Stanford Jay Shaw. History of the Ottoman Empire. Cambridge University Press. 1977, p. 77.
  22. Andrew J. Newman, Safavid Iran: Rebirth of a Persian Empire, IB Tauris (March 30, 2006).
  23. RM Savory, Safavids, Encyclopedia of Islam, 2nd ed.

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা