শাবানা আজমি

ভারতীয় অভিনেত্রী

শাবানা আজমি (জন্ম ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫০) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সমাজকল্যাণমূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তিনি উর্দু ভাষার কবি কাইফি আজমি ও মঞ্চ অভিনেত্রী শওকত কাইফির কন্যা। তার স্বামী কবি, গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার[] তিনি পুনের ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ১৯৭৪ সালে এবং অচিরেই তিনি সে সময়ে গাম্ভীর্যপূর্ণ বিষয় ও নব্য-বাস্তবতাবাদ নিয়ে নির্মিত নবকল্লোল আন্দোলনের সমান্তরাল চলচ্চিত্রে অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।[][] ভারতের অন্যতম সূক্ষ্ম অভিনেত্রী হিসেবে গণ্য শাবানা চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য ভূয়সী প্রশংসা ও একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে রেকর্ডসংখ্যক পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মাননা।[][] এছাড়া তিনি পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ৩০তম ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে "চলচ্চিত্রে নারী" সম্মাননা লাভ করেন।[] শিল্পকলায় অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ১৯৮৮ সালে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী এবং ২০১২ সালে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণে ভূষিত করে।

শাবানা আজমি
২০০৯ সালে সিমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি অর্জনকালে শাবানা আজমি
সংসদ সদস্য
(মনোনীত)
কাজের মেয়াদ
২৭ আগস্ট ১৯৯৭ – ২৬ আগস্ট ২০০৩
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মশাবানা কাইফি আজমী
(1950-09-18) ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫০ (বয়স ৭৪)
হায়দ্রাবাদ, হায়দ্রাবাদ রাজ্য, ভারত
(এখন তেলঙ্গানা, ভারত)
দাম্পত্য সঙ্গীজাভেদ আখতার (বি. ১৯৮৪)
পিতামাতা
আত্মীয়স্বজনদেখুন আখতার-আজমি পরিবার
বাসস্থানমুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত
পেশাঅভিনেত্রী, সমাজকর্মী
ধর্মইসলাম

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

শাবানা আজমী ভারতের হায়দ্রাবাদে এক সৈয়দ মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[] তার পিতা কাইফি আজমি ছিলেন একজন ভারতীয় কবি ও গীতিকার এবং মাতা শওকত কাইফি ছিলেন একজন মঞ্চ অভিনেত্রী।[] তারা দুজনেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন।[] শাবানার ভাই বাবা আজমী একজন চিত্রগ্রাহক এবং তার ভাইয়ের স্ত্রী তানবী আজমী একজন অভিনেত্রী। এগার বছর বয়সে তার নাম রাখা হয় শাবানা, নামটি রাখেন আলি সরদার জাফরি। এর পূর্ব-পর্যন্ত তার পিতা-মাতা তাকে ‘মুন্নি’ নামে ডাকতেন।[][১০][১১]

আজমি মুম্বইয়ের কুইন ম্যারি স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থানে ভর্তি হন।[১২] এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমার সুমন নামে এক ডিপ্লোমা চলচ্চিত্রে জয়া ভাদুড়ির অভিনয় দেখার সুযোগ হয়েছিল, এবং আমি তার অভিনয়ে পুরোপুরি মুগ্ধ হয়েছিলাম কারণ তা আমার দেখা অন্য অভিনয়ের মত ছিল না। আমি সত্যই এতে বিস্মিত হয়েছিলাম।" তিনি পরবর্তীকালে স্বীকার করেন যে জয়া তার অভিনয়শিল্পী হওয়ার অনুপ্রেরণা। ইতিমধ্যে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণ করেন এবং ১৯৭২ সালে তার শ্রেণিতে শীর্ষ স্থান অর্জন করেন।[১৩]

কর্মজীবন

সম্পাদনা
 
২০১২ সালে অপ্সরা ফিল্ম পুরস্কারে শাবানা আজমি

আজমি পুনের ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ১৯৭৩ সালে খাজা আহমেদ আব্বাসের ফাসলা চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন। একই সময়ে তিনি কান্তিলাল রাঠোড়ের পরিণয় চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র হল শ্যাম বেনেগলের পরিচালনায় অভিষেক চলচ্চিত্র অঙ্কুর (১৯৭৪)। বেনেগল ছিলেন চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থানে তার শিক্ষক।[১৩] নব্য-বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্রটি হায়দ্রাবাদে সংগঠিত একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। আজমি লক্ষ্মী নামে এক গ্রাম্য বিবাহিত গৃহপরিচারিকা চরিত্রে অভিনয় করেন, যে তার মালিকের কলেজ পড়ুয়া নববিবাহিত পুত্রের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আজমি এই চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন না, কয়েকজন প্রধান অভিনেত্রী এই চরিত্রটিতে অভিনয় করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তিনি এই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের নিকট থেকে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে এবং আজমি তার কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[১৩]

শ্যাম বেনেগলের পরিচালনায় তার আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল নিশান্ত (১৯৭৫), জুনুন (১৯৭৮), সুসমান (১৯৮৬) ও আন্তর্নাদ (১৯৯২)। তিনি সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় শতরঞ্জ কে খিলাড়ি (১৯৭৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই সময়ে তার অভিনীত কয়েকটি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র হল মনমোহন দেশাইয়ের অমর আকবর এন্থনি (১৯৭৭) ও পরবরিশ (১৯৭৭) এবং প্রকাশ মেহরার জ্বলামুখী (১৯৮০)।

১৯৮০-এর দশকে তিনি মৃণাল সেনের পরিচালনায় কন্ধার (১৯৮৩), জেনেসিস (১৯৮৬), এক দিন আচানক (১৯৮৯); সাঈদ মির্জার পরিচালনায় আলবার্ট পিন্টু কো গুসসা কিঁও আতা হ্যায় (১৯৮০); সাই পারাঞ্জপাইয়ের স্পর্শ (১৯৮০) ও দিশা (১৯৯০); মহেশ ভাটের অর্থ (১৯৮৩); গৌতম ঘোষের পার (১৯৮৫); অপর্ণা সেনের পিকনিক (১৯৮৯) ও সতী (১৯৮৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন। তিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সালে অর্থ, কন্ধারপার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[১৩]

১৯৮০-এর দশকের শেষভাগে ও ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে তিনি কয়েকটি বিদেশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন, সেগুলো হল জন শ্লেসিঞ্জারের মাদাম সুসৎজকা (১৯৮৮), নিকোলসা ক্লোৎজের বেঙ্গলি নাইট, রোলান্ড জোফের সিটি অব জয় (১৯৯২), চ্যানেল ফোরের ইমাক্যুলেট কনসেপশন (১৯৯২), ব্লেক এডওয়ার্ডসের সন অব দ্য পিংক প্যান্থার (১৯৯৩) এবং ইসমাইল মারচেন্টের ইন কাস্টডি (১৯৯৩)।

তিনি ১৯৯৬ সালে দীপা মেহতার ফায়ার চলচ্চিত্রে রাধা নামে এক একাকী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন, যে তার ঝাকে পছন্দ করে। পর্দায় নন্দিতা দাসের সাথে তার সমকামী নারী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অনেক সামাজিক গোষ্ঠী এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এর প্রতিবাদ-মিছিল করে এবং তাদের হুমকি দেয়। যাই হোক, রাধা চরিত্রটি তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয় এবং তিনি এই কাজের জন্য ৩২তম শিকাগো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে সিলভার হুগো পুরস্কার এবং লস অ্যাঞ্জেলেস আউটফেস্ট থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন।[১২] ১৯৯৯ সালে তিনি বিনয় শুকলার গডমাদার চলচ্চিত্রের জন্য তার পঞ্চম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

১৯৭০-এর দশকের শেষভাগে বেঞ্জামিন গিলানির সাথে শাবানা আজমির বাগদান সম্পন্ন হয়। ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থানে তাদের পরিচয় হয়েছিল, কিন্তু আজমির উঠতি খ্যাতি সামলাতে না পেরে গিলানি এই বাগদান বাতিল করেন। পরে শেখর কাপুরের সাথে তার সাত বছর সম্পর্ক ছিল। ১৯৮৪ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি কবি, গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[১৩] এতে তিনি আখতার-আজমি চলচ্চিত্র পরিবারের একজন সদস্য হন। এটি ছিল আখতারের দ্বিতীয় বিবাহ, পূর্বে তিনি বলিউডের চিত্রনাট্যকার হানি ইরানিকে বিয়ে করেছিলেন। তবে শাবানার পিতামাতা দুই সন্তানের (ফারহান আখতারজোয়া আখতার) জনকের সাথে সম্পর্কে জড়াতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি আখতারের দুই সন্তানের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। ভারতীয় অভিনেত্রী ফারাহ নাজতাবু তার ভাইজি এবং তানবী আজমী তার ভাইয়ের স্ত্রী।

সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্ম

সম্পাদনা
 
২০০৬ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে আজমি

আজমি একাধিক মঞ্চনাটক ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাম্প্রদায়িকতার নিন্দা করেন। ১৯৮৯ সালে স্বামী অগ্নিবেশ ও আসগর আলির সাথে তিনি নতুন দিল্লি থেকে মিরুট পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য চার দিনের পদযাত্রায় অংশ নেন। এছাড়া তিনি বস্তিবাসী, বাস্তুচ্যুত কাশ্মিরী পণ্ডিত অভিবাসী ও মহারাষ্ট্রের লাতুরের ভূমিকম্পে আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করা সামাজিক দলগুলোর সাথে একাত্বতা পোষণ করেন। ১৯৯৩ সালে মুম্বই দাঙ্গা তাকে মর্মাহত করে এবং তিনি ধর্মীয় চরমপন্থীদের তীব্র সমালোচনা করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি রুনঘে এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে একজন সমাজকর্মী হিসেবে উপস্থাপন করেন।[১৪] ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর তিনি ভারতের মুসলমানদের আফগানিস্তানের জনগণের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য জামে মসজিদের প্রধান মুফতির উপদেশের বিরোধিতা করেন এবং প্রতিবাদে নেতাদের একাকী সেখানে যেতে বলেন।[১৫]

তিনি এইডস আক্রান্তদের সমাজ বিচ্ছিন্নকরণের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান চালান। ভারত সরকারের অনুমোদনে নির্মিত একটি ছোট ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় তিনি একটি এইচআইভি পজিটিভ শিশুকে তার কোলে নিয়ে বলছেন, "সে আপনাদের নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় না। তার আপনাদের ভালোবাসা প্রয়োজন।" বাংলাদেশী চলচ্চিত্র মেঘলা আকাশ-এ তিনি একজন এইডস রোগীর চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি অমুনাফাভোগী সংস্থা টেকএইডস থেকে নির্মিত এইচআইভি/এইডস শিক্ষামূলক অ্যানিমেটেড সফটওয়্যার টিউটোরিয়ালে কণ্ঠ দেন।[১৬]

১৯৮৯ সাল থেকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন কাউন্সিলের সদস্য; ভারতের জাতীয় এইডস কমিশনের সদস্য; এবং ১৯৯৭ সালে রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য। ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) তাকে ভারতের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়।[১৭]

২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ভারতের সাধারন নির্বাচনে তিনি বিহারের বেগুসারাই থেকে নির্বাচন করা ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির কানহাইয়া কুমারের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচারাভিযান চালান।[১৮]

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

শাবানা আজমি পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এবং তিনি এই বিভাগে সর্বাধিক বার বিজয়ী অভিনেত্রী।[১২]

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার

বিজয়ী:

মনোনীত:

বঙ্গ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার (বিএফজেএ)
  • ১৯৭৫: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (হিন্দি) - অঙ্কুর[১৯]
  • ১৯৮৪: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (হিন্দি) - পার
  • ১৯৮৭: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (হিন্দি) - এক পাল[২০]
  • ১৯৯৯: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (হিন্দি) - গডমাদার
  • ২০০৩: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী (হিন্দি) - তেহজিব
আন্তর্জাতিক পুরস্কার
অন্যান্য পুরস্কার
সম্মাননা ও স্বীকৃতি
  • ১৯৮৮: ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী
  • ১৯৮৮: অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী হিসেবে নারীবাদী বিষয়ে তার কাজের জন্য উত্তর প্রদেশ সরকার কর্তৃক যশ ভারতীয় পুরস্কার
  • ১৯৯৪: "ধর্ম নিরপক্ষেতায় অবদান"-এর জন্য রাজীব গান্ধী পুরস্কার
  • ১৯৯৯: ভারতীয় চলচ্চিত্রে অনন্য অবদানের জন্য মুম্বই অ্যাকাডেমি অব দ্য মুভিং ইমেজ[২৫]
  • ২০০২: শিল্পকলা, সংস্কৃতি ও সমাজে অবদানের জন্য মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্টিন লুথার কিং প্রফেসরশিপ পুরস্কার
  • ২০০৩: পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট[২৬]
  • ২০০৬: লন্ডনের গান্ধী ফাউন্ডেশন থেকে গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার[২৭]
  • ২০০৭: ইয়র্কশায়ারের লিডস মেট্রোপলিটান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কর্তৃক শিল্পকলায় সম্মানসূচক ডক্টরেট[২৮]
  • ২০০৮: দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট[২৬]
  • ২০০৯: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ক্রিস্টাল পুরস্কার[২৯]
  • ২০১২: ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ[৩০]
  • ২০১২: মুম্বইয়ের বান্দ্রা ব্যান্ডস্ট্যান্ডের ওয়াক অব দ্য স্টার্সে তার হাতের চাপ সংরক্ষণ করা হয়
  • ২০১৩: ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ইউকে থেকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ[৩১]
  • ২০১৩: সিমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট[৩২]
  • ২০১৪: টেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট[৩৩]
  • ২০১৮: ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা ও বৈচিত্রপূর্ণ শিল্পীতে পরিণত হওয়া, নারীর শিক্ষায় অবদান, বেসামরিক ও মানবাধিকার, সমতা ও শান্তিতে অবদান রাখার জন্য পাওয়ার ব্র্যান্ডস থেকে ভারতীয় মানবতা বিকাশ পুরস্কার[৩৪]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. গার্গ্যান, এডওয়ার্ড এ. (১৭ জানুয়ারি ১৯৯৩)। "In 'Bollywood,' Women Are Wronged or Revered"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। 
  2. "Parallel cinema seeing changes: Azmi"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জুলাই ২০০৫। ৫ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  3. ভূমিকা, কে. (২১ জানুয়ারি ২০০৬)। "Shabana's soap opera"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। চেন্নাই। ১১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  4. নাগরাজন, সরস্বতী (১৮ ডিসেম্বর ২০০৪)। "Coffee break with Shabana Azmi"দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। চেন্নাই। ৩১ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  5. "Directorate of Film Festival" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  6. "Shabana Azmi presented Akkineni award"দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। চেন্নাই। ১৪ জানুয়ারি ২০০৭। ২২ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  7. "মারা গেলেন শাবানা আজমির মা শওকত কাইফি"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৩ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  8. "শাবানা আজমির মা আর নেই"দৈনিক প্রথম আলো। ২২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  9. আজমি, কাইফি (২৮ মে ১৯৯৭)। "Kaifi Azmi"আউটলুক (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  10. আজমি, শাবানা (২ অক্টোবর ২০১০)। "To Abba... with love"স্ক্রিন (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  11. "A conversation with actress and social activist Shabana Azmi" (ইংরেজি ভাষায়)। চার্লি রোজ। ৬ মার্চ ২০০৬। ৭ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  12. গুলজার; নিহলানি, গোবিন্দ; চ্যাটার্জি, শৈবাল (২০০৩)। Encyclopaedia of Hindi cinema। পপুলার প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৫২৪। আইএসবিএন 978-81-7991-066-5 
  13. "Actor and rebel: Shabana Azmi"ফিল্মফেয়ার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৯ 
  14. মারচেন্ট, আমিন (১৯৯৫)। "Being Shabana Azmi"Rungh - A South Asian Quarterly of Culture, Comment and Criticism। ভ্যাঙ্কুবার: রুনঘ কালচারাল সোসাইটি। : ৫–৯। আইএসএসএন 1188-9950 
  15. ভগৎ, রশিদা (১৪ নভেম্বর ২০০১)। "The Indian Muslims trial by fire"দ্য হিন্দু Business Line (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৯ 
  16. "Animated Film to Educate Students on HIV"এইডস সাপোর্ট (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৯ 
  17. "UNFPA Announces the Appointment of Ms. Shabana Azmi as its Goodwill Ambassador for India"ইউএনএফপিএ (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৯ 
  18. সিং, রোহিত কুমার (২৬ এপ্রিল ২০১৯)। "Shabana Azmi seek votes for Kanhaiya Kumar, attacks BJP"ইন্ডিয়া টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৯ 
  19. "38th Annual BFJA Awards" (ইংরেজি ভাষায়)। ১ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 
  20. "50th Annual BFJA Awards" (ইংরেজি ভাষায়)। ১ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 
  21. "Star Screen Awards 1998"Awards and Shows (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  22. "IIFA Awards 2017: List Of Winners"এনডিটিভি। ১৬ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  23. "Zee Cine Awards 2017 complete winners list: Alia Bhatt, Amitabh Bachchan bag top honours"দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  24. "Star Screen Awards 2016 winners list: Pink wins big"ইন্ডিয়া টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৮ 
  25. "Archives 1999" (ইংরেজি ভাষায়)। মুম্বই অ্যাকাডেমি অব দ্য মুভিং ইমেজ। ৫ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 
  26. রুমি, আরিফ (২১ মার্চ ২০১৩)। "Shabana proud of her hubby Dr. Javed Akhtar"দ্য টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  27. "2006 Peace Award: Shabana Azmi" (ইংরেজি ভাষায়)। গান্ধী ফাউন্ডেশন। ১৪ নভেম্বর ২০০৬। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 
  28. রায়, অমিত (১১ জুন ২০০৭)। "Amit degree in Gandhi hall"দ্য টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 
  29. "WEF honours Amitabh with Crystal Award"দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 
  30. "Padma Awards" (ইংরেজি ভাষায়)। পিআইবি। ২৭ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 
  31. "Shabana Azmi Javed Akhtar get UK fellowship" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 
  32. "Activist Shabana Azmi Receives Honorary Degree - Office of the Vice-President, Research - Simon Fraser University"এসএফইউ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 
  33. "TERI university honours Shabana Azmi, Anshu Jain"বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (ইংরেজি ভাষায়)। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 
  34. "Shabana Azmi, Nandita Das receive Bharatiya Manavata Vikas Puraskar"বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (ইংরেজি ভাষায়)। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া। ৩০ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা