শওকত কাইফি

ভারতীয় অভিনেত্রী

শওকত কাইফি (১৯২৭/২৮ - ২২ নভেম্বর ২০১৯) ছিলেন একজন ভারতীয় মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তার স্বামী ছিলেন প্রখ্যাত উর্দু ভাষার কবি ও চলচ্চিত্রের গীতিকার কাইফি আজমি। তিনি ও তার স্বামী ভারতের কমিউনিস্ট দলের সাংস্কৃতিক প্লাটফর্ম ইন্ডিয়ান পিপল্‌স থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন (আইপিটিএ) ও প্রোগ্রেসিভ রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইডব্লিউএ) প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার কন্যা একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী শাবানা আজমি[১]

শওকত কাইফি
জন্ম১৯২৭/১৯২৮
মৃত্যু২২ নভেম্বর ২০১৯ (বয়স ৯১)
জুহু মুম্বই
পেশাঅভিনেত্রী
দাম্পত্য সঙ্গীকাইফি আজমি
সন্তান

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল গরম হাওয়া, উমরাও জান (১৯৮১), বাজার (১৯৮২), ও সালাম বোম্বে (১৯৮৮)। তার রচিত স্মৃতিকথা কাইফি ও আমি[২]

জীবনী সম্পাদনা

শওকত কাইফি ব্রিটিশ ভারতের হায়দ্রাবাদ রাজ্যে উত্তর প্রদেশের এক শিয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আওরঙ্গবাদে বেড়ে ওঠেন। তরুণ বয়সে উর্দু ভাষার কবি কাইফি আজমির সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তাদের পুত্র বাবা আজমী প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও চিত্রগ্রাহক এবং কন্যা অভিনেত্রী শাবানা আজমি। বাবা আজমী তানবী আজমীকে বিয়ে করেন। তানবী জন্মসূত্রে একজন হিন্দু এবং অভিনেত্রী ঊষা কিরণের কন্যা। শাবানা প্রখ্যাত কবি ও চলচ্চিত্রের গীতিকার জাভেদ আখতারকে বিয়ে করেন।[৩]

১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝিতে তিনি মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র শিল্পে লেখিকা ও গীতিকার হিসেবে কাজ খুঁজতে শুরু করেন। তিনি গীতিকার হিসেবে সফলতা অর্জন করেন। কয়েক বছরের মধ্যে তিনি মুম্বইয়ের নিকটবর্তী জুহুতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করতে সক্ষম হন। চলচ্চিত্র শিল্পে তার স্বামীর সহযোগিতা তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রেও সহায়তা করে।

তিনি প্রায় এক ডজন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার শুরুর দিকের উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল ভারত বিভাজনের ফলাফল নিয়ে নির্মিত এম. এস. সাথ্যুর গরম হাওয়া (১৯৭৩)। এ সময়ে তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল মুজাফফর আলির উমরাও জান (১৯৮১) ও সাগর সারহাদির বাজার (১৯৮২)। উমরাও জান চলচ্চিত্রে তিনি লখনৌ পতিতালয়ের মালিক খানুম জান চরিত্রে অভিনয় করেন, যার অভিবাকত্বে লাজুক ও আত্মপ্রত্যয়হীন আমিরন জমকালো উমরাও-এ পরিণত হয়। এই চরিত্রে তিনি উদ্যমহীন ও স্বাভাবিক ছিলেন এবং পর্দায় তার উপস্থিতিও উপভোগ্য ছিল। তিনি জে. পি. দত্তের ২০০৬-এর সংস্করণে একই চরিত্রে অভিনয় করা তার নিজের কন্যা শাবানা আজমির থেকে এগিয়ে ছিলেন।[৩]

কাইফি আজমির মৃত্যুর পর তিনি কাইফি ও আমি নামে একটি স্মৃতিকথা লিখেন, যা কাইফি অউর ম্যাঁয় নামে মঞ্চ উপযোগী করা হয়। এটি ২০০৬ সালে কাইফির ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে মুম্বইয়ে মঞ্চস্থ করা হয়। শওকত কাইফি ২০১৯ সালের ২২শে নভেম্বর জুহুতে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মারা গেলেন শাবানা আজমির মা শওকত কাইফি"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৩ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "শাবানা আজমির মা আর নেই"দৈনিক প্রথম আলো। ২২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  3. জোশী, নম্রতা (২২ নভেম্বর ২০১৯)। "Actor, writer, comrade Shaukat Kaifi passes away"দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  4. "অভিনেত্রী শওকত কাইফি আর নেই"দৈনিক মানবজমিন। ২৩ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা