ব্যবহারকারী:Owais Al Qarni/শাহ মুহাম্মদ তৈয়ব
মুছলেহে উম্মত আল্লামা শাহ মুহাম্মদ তৈয়ব | |
---|---|
চিত্র:শাহ মুহাম্মদ তৈয়বের ছবি.jpeg | |
আচার্য, আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি | |
অফিসে ১৯৮৭ – ২০২০ | |
পূর্বসূরী | মুফতি নুরুল হক |
উত্তরসূরী | মাওলানা খোবাইব |
সহ-সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ | |
অফিসে ১৯৯২ – ২০২০ | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৯৪৩ জিরি, পটিয়া থানা, চট্টগ্রাম |
মৃত্যু | ২৪ মে ২০২০ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল |
সমাধিস্থল | মাকবারায়ে আহমদ হাসান, জামিয়া জিরি |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
সন্তান | মুফতি শোয়াইব মাওলানা খোবাইব মাওলানা ছোহাইব |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | আধ্যাত্মিকতা , সমাজসেবা, ওয়াজ-নসীহত |
যেখানের শিক্ষার্থী | |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন
| |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
আল্লামা শাহ মুহাম্মদ তৈয়ব (১৯৪৩ — ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত, হানাফি সুন্নি আলেম, ধর্মীয় আলোচক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম[১] কওমি মাদ্রাসা আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরির মুহতামিম (আচার্য) ও কওমি মাদ্রাসার সর্ববৃহৎ শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ছিলেন। [২][৩][৪][৫][৬][৭][৮]
জন্ম ও বংশ
সম্পাদনামুহাম্মদ তৈয়ব ১৯৪৩ সালে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার অন্তর্গত জিরি ইউনিয়নের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা আব্দুল জাব্বার দারুল উলুম হাটহাজারীর শিক্ষক ছিলেন। সাত বছর বয়সে তার পিতা মারা যান। পিতার মৃত্যুর পর চাচা শাহ আহমদ হাসান তার লালন পালন করেন। তার মায়ের নাম সালমা খাতুন।[৯]
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাতিনি ১৯৬৮ সালে আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। জামেয়া জিরিতে চার বছর তিনি আব্দুল ওয়াদুদ সন্দ্বীপির সান্নিধ্যে ছিলেন। তার কাছে সহীহ বুখারী ও সুনান আত-তিরমিজী অধ্যায়ন করেছেন। তার অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন জামিয়া জিরির ২য় মুহাদ্দিস আল্লামা ছালেহ আহমদ, আল্লামা আবুল খাইর, জামিয়া জিরির সাবেক পরিচালক মুফতি নুরুল হক, হাফেজ ফজল আহমদ, আল্লামা আহমদুল্লাহ কাসেমি সহ প্রমুখ।[৯]
কর্মজীবন
সম্পাদনাশিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর তিনি স্বীয় উস্তাদ আবদুল ওয়াদুদ সন্দীপির পরামর্শে আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরিতে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবনের সূচনা করেন। জামিয়া জিরিতে কিছুকাল শিক্ষকতা করার পর কক্সবাজার মাছুয়াখালী মাদ্রাসায় বদলি হন। এই মাদ্রাসায় দুই বছর প্রধান পরিচালকের দায়িত্ব পালনের পর পুনরায় জামিয়া জিরিতে চলে আসেন।[৯]
১৯৮৭ সালে মুফতি নুরুল হক মৃত্যুবরণ করলে তিনি জামিয়া জিরির আচার্য নিযুক্ত হন। আমৃত্যু এই পদে ছিলেন। জামিয়া জিরিতে তিনি তাফসির বিভাগ , ফতওয়া ও গবেষণা বিভাগ এবং কেরাত বিভাগের সূচনা করেন। তিনি এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেন।[৯]
জামিয়া জিরির পাশে “শারজাহ চ্যারিটি হাসপাতাল” নামে একটি দাতব্য হাসপাতাল নির্মাণ করেন। তিনি “খানখায়ে আবরারিয়া” নামে একটি খানখাহ প্রতিষ্ঠা করেন। জামিয়া জিরির মসজিদ “মসজিদে ত্বোবা” তার আমলে নির্মিত হয়।[৯] তিনি ভিংরোল জামেয়াতুল উলুম সহ পাঁচটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি সারাবছর ওয়াজ-মাহফিলে অংশ নিতেন।[১০]
পারিবারিক জীবন
সম্পাদনাতার সহধর্মিণীর নাম লুৎফুন্নিসা বিনতে আব্দুস সামাদ। তার তিন ছেলে ও চার মেয়ে। ২য় ছেলে মাওলানা খোবাইব পিতার মৃত্যুর পর জামিয়া জিরির মুহতামিম (আচার্য) নিযুক্ত হন।[৯]
তাসাউফ
সম্পাদনাআশরাফ আলী থানভীর খলিফা আবরারুল হক হক্কীর নিকট তিনি মদিনায় বায়’আত গ্রহণ করেন। এর কয়েক বছর পর খেলাফত লাভ করেন। কামরুজ্জামান এলাহাবাদীর সাথেও তার আধ্যাত্মিক সম্পর্ক ছিল।[৯]
মৃত্যু
সম্পাদনা২০২০ সালের রমজানে তিনি মসজিদে ইতেকাফ নিয়েছিলেন। ইতেকাফ শেষে অসুস্থতা বোধ করলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৪ মে দিবাগত রাতে হাসপাতালে সেজদারত অবস্থায় তিনি মৃৃৃৃত্যুবরণ করেন। পরদিন জুনায়েদ বাবুনগরীর ইমামতিতে জামিয়া জিরির মাঠে তার জানাযা সম্পন্ন হয়। তাকে মাকবারায়ে আহমদ হাসানে দাফন করা হয়।[৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "দেশের তৃতীয় বৃহত্তম কওমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাপরিচালক ও আলেম ওলামার কারিগর আর নেই"। আলোড়ন নিউজ।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বিদায়ী বছরে চিরবিদায়ী আলেমরা"। সময় টিভি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২১।
- ↑ "সেজদারত অবস্থায় দেশের শীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ তৈয়বের ইন্তেকাল"। দৈনিক যুগান্তর। ২৫ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৩।
- ↑ ক খ "সেজদারত অবস্থায় আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ তৈয়বের ইন্তেকাল"। জাগো নিউজ২৪.কম। ২৫ মে ২০২০।
- ↑ "আল্লামা শাহ মুহাম্মদ তৈয়ব আর নেই"। দৈনিক নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৩।
- ↑ "সিজদারত অবস্থায় মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ তৈয়বের ইন্তেকাল"। দৈনিক মানবকণ্ঠ। ২০২০-০৫-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৩।
- ↑ "কওমী মাদ্রাসাগুলো জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে না বরং জঙ্গিবাদ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে — আল্লামা শাহ মোহাম্মদ তৈয়ব"। দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৩।
- ↑ "জিরি মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক আল্লামা শাহ্ মুহাম্মদ তৈয়বের দাফন সম্পন্ন"। দৈনিক পূর্বকোণ। ২০২০-০৫-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ । ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপনী ছাত্রবৃন্দের উদ্যোগে প্রকাশিত। "আল হাসান স্মরণিকা ২০২০" (পিডিএফ)। আল হাসান: ২২ — ২৪ পৃষ্ঠা। ২০২০ – আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি-এর মাধ্যমে।
- ↑ "আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা পেতে কুরআনমুখী হতে হবে"। দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৩।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- "আল্লামা শাহ মুহাম্মদ তৈয়ব (রহঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী" (পিডিএফ)। আল হাসান স্মরণিকা ২০২০: ২২ — ২৪ পৃষ্ঠা। ২০২০ – আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি-এর মাধ্যমে।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা* [https://m.youtube.com/watch?feature=youtu.be&v=cjdEv_ttyTA ভিডিও] — শাহ মুহাম্মদ তৈয়বের একটি ওয়াজ * [https://m.youtube.com/watch?feature=youtu.be&v=14CZwjhIZNg ভিডিও] — শাহ মুহাম্মদ তৈয়বের একটি ওয়াজ {{বাংলাদেশি দেওবন্দি}} [[বিষয়শ্রেণী:১৯৪৩-এ জন্ম]] [[বিষয়শ্রেণী:২০২০-এ মৃত্যু]] [[বিষয়শ্রেণী:দেওবন্দি ব্যক্তি]] [[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ইসলামি চিন্তাবিদ]] [[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী কারী]] [[বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম জেলার ইসলামি ব্যক্তিত্ব]] [[বিষয়শ্রেণী:আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরির প্রাক্তন শিক্ষার্থী]] [[বিষয়শ্রেণী:সুন্নি ইসলামের পণ্ডিত]] [[বিষয়শ্রেণী:হানাফি ফিকহ পণ্ডিত]] [[বিষয়শ্রেণী:আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরির মহাপরিচালক]] [[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত]] [[বিষয়শ্রেণী:আবরারুল হক হক্কীর শিষ্য]]