চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ।[১] প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা ঢাকা মেডিকেল কলেজের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় মেডিকেল কলেজ। এখানে ইনটার্নশিপ-সহ স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে; যাতে প্রতিবছর ২৫০ জন এমবিবিএস ও ডেন্টাল ইউনিটের বিডিএস কোর্সে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকে।[২] এছাড়াও এখানে বর্তমানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এম.ডি.এম.এস. এমফিল, ডিপ্লোমা, এমপিএইচ শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে।[৩]
![]() চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রতীক | |
নীতিবাক্য | শিখতে আসো, সেবার তরে বেরিয়ে যাও |
---|---|
ধরন | সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৫৭ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার |
শিক্ষার্থী | ১,৫০০ |
স্নাতক | এমবিবিএস |
স্নাতকোত্তর | এমএস, এমডি, এমফিল, ডিপ্লোমা, এফসিপিএস |
ঠিকানা | খান বাহাদুর ফজলুল কাদের রোড, পাঁচশাইশ , , ৪২০৩ , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
সংক্ষিপ্ত নাম | চমেক বা সিএমসি |
ওয়েবসাইট | cmc |
![]() |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/da/Chittagong_Medical_College_and_Hospital_%283%29.jpg/220px-Chittagong_Medical_College_and_Hospital_%283%29.jpg)
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯০১ সালে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রাঙ্গণে ১৯২৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়; যাতে চার বছর মেয়াদী এলএমএফ ডিগ্রী প্রদান করতো। ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, যেটি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এই কলেজের উদ্বোধন করেন; আর ডাঃ আলতাফ উদ্দীন আহমেদ ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম অধ্যক্ষ। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালই চট্টগ্রাম মেডিকেল হিসেবে সেবা প্রদান করতো। ১৯৬০ সালে এটি বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। মাত্র ২৬ জন শিক্ষক এবং ৭৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন এর বিভাগ ছিল তিনটি; অ্যানাটমি, ফিজিওলজি এবং প্রাণরসায়ন। ১৯৬০ সালে এতে শুধুমাত্র মেডিসিন, সার্জারি এবং ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিভাগ ছিল। ১৯৬৯ সালে বর্তমান ভবনের কাজ সম্পন্ন হলে ১৯৬৯ সালে এটি বর্তমানের সাততলা ভবনে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৯০ সালে ডেন্টাল ইউনিট এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারী চালু হয়। বর্তমানে এর শয্যাসংখ্যা ১৩১৩। ২০০৭ সালে ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং(MRI), কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফিক স্ক্যান, ডিএনএ টেস্টিং চালু হয়।[৪]
সংযুক্ত হাসপাতাল
সম্পাদনাচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল | |
---|---|
ভৌগোলিক অবস্থান | |
অবস্থান | খান বাহাদুর ফজলুল কাদের রোড, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ |
সংস্থা | |
তহবিল | স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় |
ধরন | সরকারি |
অধিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় | চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ; বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জনস্ |
পৃষ্ঠপোষক | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান, এমপিএইচ |
সংযোগ | |
ওয়েবসাইট | cmch |
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সংযুক্ত হাসপাতাল। এটি উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ব্যবহারিক শিক্ষার প্রয়োগের ক্ষেত্র। হাসপাতালটি বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জনস্ ও চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজসহ চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি নার্সিং কলেজ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বর্তমানে হাসপাতালটি ১৩১৩ শয্যাবিশিষ্ট একটি তৃতীয় পর্যায়ের হাসপাতাল।
অবকাঠামো
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানে একটি শহীদ মিনার রয়েছে।[৫]
- গ্রন্থাগার
- মিলনায়তন :
'শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তন' নামে এই প্রতিষ্ঠানের একটি মিলনায়তন রয়েছে। খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম শাহ আলমের নামে এই মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে। এটি এক হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। আধুনিক মিলনায়তনের মতো এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সাজঘর, লাইটিং এবং সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে।[৫]
অনুষদ ও বিভাগ
সম্পাদনাএই মেডিকেল কলেজে ৩৫টি বিভাগ রয়েছে।[৬]
ভর্তি
সম্পাদনামেডিকেল কলেজ
সম্পাদনাপ্রতি বছর এই কলেজে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি করানো হয়। সাথে কিছু বিদেশী শিক্ষার্থীও ভর্তি হয় ।
ডেন্টাল ইউনিট
সম্পাদনা১৯৯০ সালের ৫ জানুয়ারি ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রতি বছর ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।[৭][৮]
অধিভুক্ত হাসপাতালসমূহ
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী
সম্পাদনাশিক্ষার্থী
সম্পাদনা- সামন্ত লাল সেন, মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সভাপতি, বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটি।
- শাহাদুজ্জামান, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী কথাসাহিত্যিক ও চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানী।
- মোহাম্মদ শাহ আলম, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
- প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাধীনতা পদক বিজয়ী ও সংসদ সদস্য।
শিক্ষক
সম্পাদনা- শামসুদ্দিন আহমদ, চিকিৎসক, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবী।
- মির্জা মাজহারুল ইসলাম, অধ্যাপক, শল্যচিকিৎসক ও ভাষাসৈনিক।
- এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী; সাবেক পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন এন্ড রিসার্চ।
সহ-শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাসংগঠন
সম্পাদনারাজনৈতিক
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মেডিকেল কলেজ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "ভর্তিচ্ছু ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা" (পিডিএফ)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৬।
বহিসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |