লাতভিয়া জাতীয় ফুটবল দল

লাতভিয়া জাতীয় ফুটবল দল (লাটভিয়ান: Latvijas futbola izlase) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে লাতভিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম লাতভিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লাতভীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৯২ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২২ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর তারিখে, লাতভিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; লাতভিয়ার রিগায় অনুষ্ঠিত লাতভিয়া এবং এস্তোনিয়ার মধ্যকার উক্ত ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র হয়েছে।

লাতভিয়া
দলের লোগো
ডাকনাম১১ নেকড়ে
অ্যাসোসিয়েশনলাতভীয় ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনউয়েফা (ইউরোপ)
প্রধান কোচদাইনিস কাজাকেভিচ
অধিনায়কআন্তোনিস চের্নমোর্দিস
সর্বাধিক ম্যাচভিতালিস আস্তাফিয়েভস (১৬৭)
শীর্ষ গোলদাতামারিস ভের্পাকোভস্কিস (২৯)
মাঠরিগা দাউগাভা স্টেডিয়াম
ফিফা কোডLVA
ওয়েবসাইটlff.lv
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৩৭ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[]
সর্বোচ্চ৪৫ (নভেম্বর ২০০৯)
সর্বনিম্ন১৪৮ (সেপ্টেম্বর ২০১৭)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১২৩ হ্রাস ৫ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[]
সর্বোচ্চ৪৫ (সেপ্টেম্বর ১৯৩৮)
সর্বনিম্ন১৫৫ (অক্টোবর ২০১৯)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 লাতভিয়া ১–১ এস্তোনিয়া 
(রিগা, লাতভিয়া; ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯২২)
বৃহত্তম জয়
 লাতভিয়া ৬–১ লিথুয়ানিয়া 
(রিগা, লাতভিয়া; ৩০ মে ১৯৩৫)
 লাতভিয়া ৫–০ লিথুয়ানিয়া 
(ভোরু, এস্তোনিয়া; ১ জুন ২০১২)
 জিব্রাল্টার ০–৫ লাতভিয়া 
(জিব্রাল্টার; ২৯ মার্চ ২০১৬)
 অ্যান্ডোরা ০–৫ লাতভিয়া 
(অ্যান্ডোরা লা ভেয়া, অ্যান্ডোরা; ১৭ নভেম্বর ২০২০)
বৃহত্তম পরাজয়
 সুইডেন 12–0 লাতভিয়া 
(স্টকহোম, সুইডেন; ২৯ মে ১৯২৭)
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ১ (২০০৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০০৪)

১০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট রিগা দাউগাভা স্টেডিয়ামে ১১ নেকড়ে নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় লাতভিয়ার রাজধানী রিগায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন দাইনিস কাজাকেভিচ এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন রিগার রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আন্তোনিস চের্নমোর্দিস

লাতভিয়া এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে লাতভিয়া এপর্যন্ত মাত্র ১ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে।

ভিতালিস আস্তাফিয়েভস, আন্দ্রেইস রুবিন্স, ইয়ুরিস লাইজান্স, মারিস ভের্পাকোভস্কিস এবং মারিয়ান্স পাহার্সের মতো খেলোয়াড়গণ লাতভিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

সম্পাদনা

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে লাতভিয়া তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৪৫তম) অর্জন করে এবং ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৪৮তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে লাতভিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৪৫তম (যা তারা ১৯৩৮ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৫৫। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৩৫     ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ ১১০২.১
১৩৬     কুয়েত ১০৯৮.০৭
১৩৭     লাতভিয়া ১০৯৭.৮৪
১৩৮     লিথুয়ানিয়া ১০৮৬.৯৩
১৩৯     বুরুন্ডি ১০৮৬.৬২
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১২১   ১৭   বেনিন ১৩৪৮
১২১     বতসোয়ানা ১৩৪৮
১২৩     লাতভিয়া ১৩৪৭
১২৪   ১১   রেউনিওঁ ১৩৪৬
১২৫   ১০   কুরাসাও ১৩৩৯
১২৫   ২৯   মলদোভা ১৩৩৯

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

সম্পাদনা

ফিফা বিশ্বকাপ

সম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
  ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
  ১৯৩৪
  ১৯৩৮ উত্তীর্ণ হয়নি ১০
  ১৯৫০ সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল
  ১৯৫৪
  ১৯৫৮
  ১৯৬২
  ১৯৬৬
  ১৯৭০
  ১৯৭৪
  ১৯৭৮
  ১৯৮২
  ১৯৮৬
  ১৯৯০
  ১৯৯৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১২ ২১
  ১৯৯৮ ১০ ১০ ১৪
    ২০০২ ১৬
  ২০০৬ ১২ ১৮ ২১
  ২০১০ ১০ ১৮ ১৫
  ২০১৪ ১০ ১০ ২০
  ২০১৮ ১০ ১৮
  ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২৩ ৭৫ ১৯ ১৫ ৪১ ৮২ ১৩০

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা