কুরাসাও জাতীয় ফুটবল দল

কুরাসাও জাতীয় ফুটবল দল (ওলন্দাজ: Curaçaos voetbalelftal; পাপিয়ামেন্তো, Selekshon di Futbòl Kòrsou, ইংরেজি: Curaçao national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে কুরাসাওয়ের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম কুরাসাওয়ের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কুরাসাও ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৩২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬১ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[৩] ২০১১ সালের ১০ই আগস্ট তারিখে, কুরাসাও প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে কুরাসাও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

কুরাসাও জাতীয় ফুটবল দল
দলের লোগো
ডাকনামনীল তারা
অ্যাসোসিয়েশনকুরাসাও ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনকনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা)
প্রধান কোচগুস হিডিংক
অধিনায়ককুকো মার্তিনা
সর্বাধিক ম্যাচকুকো মার্তিনা (৪৬)
শীর্ষ গোলদাতালিওনার্দো বাকুনা (১১)
মাঠএর্গিলিও হাটো স্টেডিয়াম
ফিফা কোডCUW
ওয়েবসাইটwww.ffk.cw
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৯০ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ৬৮ (জুলাই ২০১৭)
সর্বনিম্ন১৮৩ (এপ্রিল ২০১৩, জুলাই ২০১৪)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১২৫ হ্রাস ১০ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২]
সর্বোচ্চ৪৩ (মার্চ ১৯৪৮)
সর্বনিম্ন১৮৮ (অক্টোবর ২০১২)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ১–০ কুরাসাও 
(ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ১০ আগস্ট ২০১১)
বৃহত্তম জয়
 কুরাসাও ১০–০ গ্রেনাডা 
(কুরাসাও, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮)
বৃহত্তম পরাজয়
 সেন্ট লুসিয়া ৫–১ কুরাসাও 
(সেন্ট লুসিয়া, ২১ অক্টোবর ২০১২)
 সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ ৪–০ কুরাসাও 
(সেন্ট লুসিয়া, ২৫ অক্টোবর ২০১২)
কনকাকাফ গোল্ড কাপ
অংশগ্রহণ২ (২০১৭-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যকোয়ার্টার-ফাইনাল (২০১৯)

১০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট এর্গিলিও হাটো স্টেডিয়ামে নীল তারা নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় কুরাসাওয়ের রাজধানী উইলেমস্টাটে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন গুস হিডিংক এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় কুকো মার্তিনা

কুরাসাও এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, কনকাকাফ গোল্ড কাপে কুরাসাও এপর্যন্ত ২ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১৯ কনকাকাফ গোল্ড কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

গেভারো নেপোমুকেনো, কুকো মার্তিনা, শ্যানন কার্মেলিয়া, রাঙ্গেলো জাঙ্গা এবং লিওনার্দো বাকুনার মতো খেলোয়াড়গণ কুরাসাওয়ের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং সম্পাদনা

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে কুরাসাও তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (৬৮তম) অর্জন করে এবং ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৮৩তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে কুরাসাওয়ের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৪৩তম (যা তারা ১৯৪৮ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৮৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৮৮     বিষুবীয় গিনি ১২৬৮.৪৩
৮৯     হাইতি ১২৬২.৫
৯০     কুরাসাও ১২৬২.৪৮
৯১     সিরিয়া ১২৪৫.২৭
৯২     উগান্ডা ১২৪৫.০৮
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১২৩     লাতভিয়া ১৩৪৭
১২৪   ১১   রেউনিওঁ ১৩৪৬
১২৫   ১০   কুরাসাও ১৩৩৯
১২৫   ২৯   মলদোভা ১৩৩৯
১২৭     জিম্বাবুয়ে ১৩৩৭

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য সম্পাদনা

ফিফা বিশ্বকাপ সম্পাদনা

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
  ১৯৩০ নেদারল্যান্ডস এন্টিলসের অংশ ছিল নেদারল্যান্ডস এন্টিলসের অংশ ছিল
  ১৯৩৪
  ১৯৩৮
  ১৯৫০
  ১৯৫৪
  ১৯৫৮
  ১৯৬২
  ১৯৬৬
  ১৯৭০
  ১৯৭৪
  ১৯৭৮
  ১৯৮২
  ১৯৮৬
  ১৯৯০
  ১৯৯৪
  ১৯৯৮
    ২০০২
  ২০০৬
  ২০১০
  ২০১৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১৫ ১৫
  ২০১৮
  ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ১২ ২০ ২১

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  3. "Ramón Coll, electo Presidente de la Confederación de Futbol de América del Norte, América Central y el Caribe"La Nación (Google News Archive)। ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬১। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা