রংপুর এক্সপ্রেস

রেলগাড়ী

রংপুর এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৭১−৭৭২) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি ঘুরা পথের আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রংপুরের রংপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। সড়ক পথের তুলনায় রংপুর এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ ঘন্টা বেশি সময় লাগে রংপুর পৌঁছাতে। যাত্রাপথে ট্রেনটি গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া এবং গাইবান্ধা জেলাকে সংযুক্ত করেছে।

রংপুর এক্সপ্রেস
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পরিষেবা ধরনআন্তঃনগর
অবস্থাসচল
প্রথম পরিষেবা২১ আগস্ট ২০১১; ১২ বছর আগে (2011-08-21)
বর্তমান পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ে
যাত্রাপথ
শুরুকমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
বিরতি১৩টি
শেষরংপুর রেলওয়ে স্টেশন
ভ্রমণ দূরত্ব৪৪৭ কিলোমিটার (২৭৮ মাইল)[১]
যাত্রার গড় সময়৯ ঘণ্টা ৫০ মিনিট (৭৭১)
১০ ঘণ্টা (৭৭২)
পরিষেবার হারসপ্তাহে ৬ দিন (বন্ধের দিন: ঢাকাগামী রবিবার, রংপুরগামী সোমবার)[২]
রেল নং৭৭১−৭৭২
ব্যবহৃত লাইনমিটারগেজ
যাত্রাপথের সেবা
আসন বিন্যাসআছে
ঘুমানোর ব্যবস্থাআছে
খাদ্য সুবিধাআছে
মালপত্রের সুবিধাআছে
কারিগরি
ট্র্যাক গেজ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট   ইঞ্চি)
পরিচালন গতি৮৫ কিলোমিটার/ঘণ্টা (সর্বোচ্চ)
ট্র্যাকের মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
রক্ষণাবেক্ষণঢাকা
রেক ভাগকরণকুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
লালমনি এক্সপ্রেস

রংপুর এক্সপ্রেস ঢাকা ও রংপুর জেলার মধ্যে চলাচলকারী প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন। দীর্ঘ ৭ বছর রংপুরবাসীর আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ২০১১ সালের ২০ই মার্চ তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন রংপুর সফরকালে ঢাকা ও রংপুরের মধ্যে একটি নতুন ট্রেন চালু প্রতিশ্রুতি দেন। সেই ঘোষণা মোতাবেক একই বছরের ২১শে আগস্ট রংপুর এক্সপ্রেস চালু হয়।[৩]

সময়সূচী সম্পাদনা

২০২০ সাল অব্দি, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন নং ৭৭১ হিসেবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টায় রংপুর রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছে। আবার, ফিরতি পথে ট্রেন নং ৭৭২ হিসেবে রংপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে ছেড়ে ভোর ৬টা ১০ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে।[৪] রবিবার এর সাপ্তাহিক ছুটি।

যাত্রাবিরতি সম্পাদনা

  1. কাউনিয়া
  2. পীরগাছা
  3. বামনডাঙ্গা
  4. গাইবান্ধা
  5. বোনারপাড়া
  6. সোনাতলা
  7. বগুড়া
  8. তালোড়া
  9. সান্তাহার জংশন
  10. নাটোর
  11. বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন (অপারেশনাল)
  12. বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন
  13. ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন

রোলিং স্টক সম্পাদনা

এই ট্রেনে সাধারণত ২৬০০ বা ২৯০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়। ট্রেনটি প্রথমে সবুজ-হলুদ রঙের পুরনো ভ্যাকুয়াম ব্রেকের কোচের রেকে চলাচল করতো। ট্রেনটির লোড ছিলো ১১/২২, তবে পরবর্তীতে তাপানুকুল স্লিপারসহ দুটি কোচ বাদ দেওয়া হয়।[৫] পরে ২০১৭ সালের ২০ই ফেব্রুয়ারিতে এই রেক পাল্টিয়ে সাদা রঙের চীনা এয়ার ব্রেক কোচের রেক দেওয়া হয়। লোডও বাড়িয়ে ১৪/২৮ করা হয়।[৫] সবশেষে, ২০১৯ সালের ১৬ই অক্টোবর এই রেক পাল্টিয়ে লাল-সবুজ রঙের ইন্দোনেশীয় এয়ার ব্রেক কোচের রেক দেওয়া হয়।[৬] বর্তমানে ট্রেনটি ১৪/২৮ লোডে চলাচল করছে। উল্লেখ্য যে, ট্রেনটি ২ রেকে চলাচল করে, এবং কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে ১টি ও লালমনি এক্সপ্রেসের ১টি রেকের সাথে মিলে এই ৪টি রেক এই ৩টি ট্রেন শেয়ার করে চলে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ঢাকা-রংপুর রেলপথে ১১২ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে"www.dailyinqilab.com। দৈনিক ইনকিলাব। ১৪ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. "পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের সময়সূচি"railway.portal.gov.bd। বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২৬ অক্টোবর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০২২ 
  3. "'রংপুর এক্সপ্রেস' চালু হচ্ছে আজ"prothom-alo.com। প্রথম আলো। ২১ আগস্ট ২০১১। ২০১৯-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৭ 
  4. "নতুন স্টপেজ চালু হলো রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের"Barta24। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৬ 
  5. "সাদা হচ্ছে মহানগর ও রংপুর এক্সপ্রেস"দৈনিক ইনকিলাব। ২০১৭-০২-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৬ 
  6. "রেলকে লাভজনক করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা