আন্তঃনগর ট্রেন
আন্তঃনগর ট্রেন বা আন্তঃনগর রেল বা ইন্টারসিটি ট্রেন হল এক্সপ্রেস যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা যা কমিউটার ট্রেন ও লোকাল ট্রেনের চেয়ে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে।[১][২][৩] আন্তঃনগর ট্রেনের কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই; এর অর্থ দেশ ভেদে ভিন্ন হতে পারে। সবচেয়ে সহজ ভাবে বললে এটি এমন কোনো রেল পরিষেবা নয় যা একটি শহরের মধ্যে স্বল্প-দূরত্বের কমিউটার ট্রেনের মত চলাচল করে বা ধীরগতির আঞ্চলিক ট্রেনগুলি নয় যা সমস্ত রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড় করায় এবং শুধুমাত্র স্থানীয় যাত্রা সম্পূর্ণ করে। সাধারণত একটি আন্তঃনগর ট্রেন হল একটি এক্সপ্রেস ট্রেন যা সীমিত বিরতি এবং দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক ভাবে তৈরি করা হয়েছে। আন্তঃনগর ট্রেন কখনও কখনও আন্তর্জাতিক পরিষেবা প্রদান করে। অনেক ইউরোপীয় দেশে ইন্টারসিটি বা আন্তঃনগর শব্দটি ট্রেন নেটওয়ার্কের কাছে একটি অফিসিয়াল ব্র্যান্ড নাম। তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেন পরিষেবা এবং আরামের নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করে। আন্তঃনগর শব্দটির ব্যবহার ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাজ্যে উপস্থিত হয়েছিল এবং ব্যাপকভাবে অনুকরণ করা হয়েছে।
গতি
সম্পাদনাআন্তঃনগর রেল লাইনের গতি বেশ বৈচিত্র্যময়, এটি পার্বত্য এলাকায় বা অনুন্নত রেলপথ গুলিতে ৫০ কিমি/ঘণ্টা (৩১ মাইল প্রতি ঘণ্টা) থেকে নবনির্মিত বা উন্নত ট্র্যাকে ২০০-৩৫০ কিমি/ঘণ্টা (১২৪-২১৭ মাইল) পর্যন্ত গতিতে চলাচল করে। ফলস্বরূপ, আন্তঃনগর রেল উচ্চ-গতির রেল বা উচ্চ-গতির রেলের বিভাগে পড়তে পারে বা নাও পারে । আন্তঃনগর রেল পরিষেবার গড় গতি ১০০ কিমি/ঘণ্টা (৬২ মাইল) এর চেয়ে দ্রুত হবে যাতে গাড়ি, বাস এবং পরিবহনের অন্যান্য পদ্ধতির সাথে প্রতিযোগিতা করা যায়।
দেশ অনুযায়ী আন্তঃনগর ট্রেন
সম্পাদনাবাংলাদেশ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সমান সেবার আন্ত নগর ট্রেনে দুই রকম ভাড়া | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। ২০২০-১০-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৭।
- ↑ "আন্তঃনগর ট্রেন এখন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থামবে"। www.bhorerkagoj.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৭।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "চিলমারী-কুড়িগ্রাম-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবীতে ৩ঘণ্টা রেল পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৭।