রংপুর রেলওয়ে স্টেশন
রংপুর রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের রংপুর শহরে স্থাপিত একটি রেলওয়ে স্টেশন। উত্তরের জেলা সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম রংপুর জেলা সদরে রংপুর স্টেশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে ২ জুলাই ১৮৭৮ সালে। একটি মাত্র প্লাটফর্ম, একটি ছোট আইল্যান্ড প্লাটফর্ম, একটি মেইন লাইন, দুইটি লুপ লাইন ও ৩ টি ইয়ার্ড লাইন নিয়ে মোট ৬ টি লাইন। ১৯৪৪ সালে রংপুর স্টেশনে বড় সংস্কার করা হয়। এরপর বড় কোনো সংস্কার দেখা যায়নি রংপুর স্টেশনে।[১][২]
রংপুর রেলওয়ে স্টেশন | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বাংলাদেশের রেলওয়ে স্টেশন | |||||||||
অবস্থান | রংপুর জেলা রংপুর বিভাগ বাংলাদেশ | ||||||||
মালিকানাধীন | বাংলাদেশ রেলওয়ে | ||||||||
পরিচালিত | পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে | ||||||||
লাইন | বুড়ীমারি-লালমনিরহাট-পার্বতীপুর লাইন | ||||||||
প্ল্যাটফর্ম | ১টি | ||||||||
রেলপথ | ৬টি | ||||||||
ট্রেন পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে | ||||||||
নির্মাণ | |||||||||
গঠনের ধরন | পথিপার্শ্ব স্টেশন | ||||||||
পার্কিং | আছে | ||||||||
সাইকেলের সুবিধা | আছে | ||||||||
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | আছে | ||||||||
অন্য তথ্য | |||||||||
অবস্থা | সক্রিয় | ||||||||
স্টেশন কোড | RNP | ||||||||
| |||||||||
অবস্থান | |||||||||
অবস্থান
সম্পাদনাবুড়ীমারি-লালমনিরহাট-পার্বতীপুর লাইনের পার্বতীপুর-রংপুর অংশে রংপুর শহরে রংপুর রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনাব্রিটিশদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও কলকাতার সাথে সংযোগ করার উদ্দেশ্যে রংপুরের বিভিন্ন থানা সমূহে রেলপথ সম্প্রসারণ এর উদ্যোগ নেয়া হয়। সে প্রেক্ষিতে প্রথম ধাপে ১৮৭৮ সালে তৎকালীন নদীয়া জেলার পোড়াদহ হতে রংপুর শহর ও রংপুর থেকে সদ্য পৃথক হওয়া জলপাইগুড়িতে একযোগে রেলপথ চালু হয়।
ব্রিটিশরা রংপুরে ব্যবসা করে এতটাই মজেছিলেন যে, এক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী রবার্ট ওয়াটসনের নামে রংপুর স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকার নাম হয় রবার্টসনগঞ্জ।
১৮৭০ সালে ব্রিটিশ সরকার রংপুর জেলার তাজহাট জমিদারের কাছে রংপুরে রেলওয়ে কারখানা করার জন্য জমি চান। জমিদার রংপুর শহরে জমি না দিয়ে দারোয়ানী থানার সৈয়দপুর গ্রামের জমি দান করতে সম্মত হন। পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকার তাকে সম্মান স্বরূপ সেলুন কোচে পুরো ভারতবর্ষ বিনা পয়সায় ভ্রমণ করার সুযোগ করে দেন এবং আমৃত্যু এই সুবিধা ভোগ করেছেন।
পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকার রংপুর জেলার বড়বাড়ি থানার লালমনিরহাট গ্রামে একটি রেলওয়ে জংশন প্রতিষ্ঠা করে এবং রংপুরের সাথে সরাসরি আসাম পর্যন্ত রেলপথ প্রতিষ্ঠা করে। ১৯০১ সালে রংপুর জেলার মাহিগঞ্জ থানার কাউনিয়া নামক স্থানে নির্মিত হয় তিস্তা রেলওয়ে সেতু। ১৯০৫ সালে রংপুর জেলার সাঘাটা থানার বোনারপাড়া হতে মাহিগঞ্জ থানার কাউনিয়া পর্যন্ত রেলপথ চালু করে।
পরিষেবা
সম্পাদনারংপুর রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে যেসকল ট্রেন চলাচল করে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো:
- দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস
- কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
- রংপুর এক্সপ্রেস
- উত্তরবঙ্গ মেইল ( বন্ধ আছে)
- দিনাজপুর কমিউটার
- লালমনি কমিউটার
- বুড়ীমারি কমিউটার
- পার্বতীপুর কমিউটার
- রাম সাগর এক্সপ্রেস
- রংপুর কমিউটার (বন্ধ আছে) ও
- লোকাল ট্রেন (বন্ধ আছে)।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "অরক্ষিত রংপুর রেলস্টেশন নিরাপত্তাহীনতায় যাত্রীরা"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৭।
- ↑ "Rangpur Railway Station, Dopamine News"। RNews Top (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৬-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-০৭।