বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্লাস ৩০০০
বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্লাস ৩০০০ বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের মিটার-গেজ ডিজেল–বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভের একটি শ্রেণী।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্লাস ৩০০০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
|
প্রস্তুতকারক বিবরণ
সম্পাদনা১৯৬০-এর দশকের দিকে শান্টার হিসেবে ৩০০০ সিরিজের কিছু লোকো বাংলাদেশে কাজ করে। এদের সংখ্যা সম্ভবত ১১টি।[১] এই লোকোগুলোর বেশিরভাগ তথ্য অজানা (যেমন: প্রস্তুতকারকের নাম, উৎপাদনের তারিখ ও শ্রেণী-নাম)। এই ১১টি লোকোর একটিও বেঁচে নেই। এদের একটিকেও সংরক্ষণ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্ট্রো-মোটিভ ডিজেলের (ইএমডি) লাইসেন্স নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম ১০টি ইএমডি জিটি৩৮এসিএল মডেলের লোকো বাংলাদেশের জন্য উৎপাদন করে, যা ২০২০ সালে দেশে আসে। এদেরকেও ৩০০০ সিরিজ দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে ১০টি[২] আনা হলেও দ্বিতীয় ধাপে ২০টি[৩][৪] ও তৃতীয় ধাপে ১০ টি।মোট ৩০ টি লোকোমোটিভ বহরে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া এই মডেলের আরও ৭০টি লোকোমোটিভ উৎপাদনের কথা থাকলেও সে চুক্তি হুন্দাই রোটেম বাতিল করেছে। নতুন লোকোগুলোকে যাত্রীবাহী ও মালবাহী উভয় ধরনের ট্রেনেই ব্যবহার করা হয়। ২০২০ সালের ২১শে অক্টোবর ঢাকা-চট্টগ্রাম কন্টেইনার ট্রেনে ৩০০১ লোকো ব্যবহারের মাধ্যমে এদের প্রথম বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়।
যান্ত্রিক বিবরণ
সম্পাদনানতুন লোকোগুলোতে ইএমডি ই৭১০জি৩এ প্রাইম মুভার ব্যবহার করা হয়েছে। এদের ক্ষমতা ২,২০০ অশ্বশক্তি এবং এরা সর্বোচ্চ ৯০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে। এদের চাকার বিন্যাস হলো সিও-সিও। পুরনো লোকোগুলোর ক্ষমতা ৩৩৫ অশ্বশক্তি।
পুরনো লোকোগুলোর নকশা ২৩০০/২৪০০ সিরিজের মতো, তবে ক্যাব একদম মাঝামাঝিতে অবস্থিত। নতুন লোকোগুলোর নকশা অনেকটা ২২০০ সিরিজের মতো, লোকোর ক্যাবের সামনে কোনো শর্ট হুড নেই। (নতুনগুলো) দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৯ মিটার ও ভরে প্রায় ১০৮ টন হয়ে এরা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভারী মিটার-গেজ ডিজেল লোকো। ক্ষমতার দিক দিয়েও এরা সবচেয়ে শক্তিশালী মিটার-গেজ লোকো। মিটার-গেজ হলেও ভবিষ্যতে ব্রড-গেজ (১৬৭৬ মিমি) লোকোতে রুপান্তর করে চলার উপযোগী করে এদেরকে তৈরী করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার জন্য ৫৫টি ইএমডি জিটি৩৮এসিই মডেলের লোকো ২০১১-২০১৩ সাল পর্যন্ত উৎপাদন করা হয়।[৫] এই লোকো ও ইএমডি জিটি৩৮এসি লোকো প্রায় একই, তবে কিছু পার্থক্য রয়েছে যেমন, লোকোর ডিজাইন ও গেজ আলাদা।
ইঞ্জিনের বেইজ
সম্পাদনাপাহাড়তলী লোকোসেড: ২২টি (৩০০১-৩০০৭, ৩০১৬-৩০৩০); ঢাকা লোকোসেড: ৭টি (৩০০৮-১৪); পশ্চিমাঞ্চল: ১টি (৩০১৫)।
শ্রেণীকরণ ও সংখ্যায়ন
সম্পাদনাএদের সংখ্যা-সিরিজ/শ্রেণী হচ্ছে ৩০০০। এই সিরিজের পুরাতন লোকোগুলো বহু আগেই অবসরে চলে গেছে। নতুন ৩০টি লোকোকে ৩০০১ থেকে ৩০৩০ পর্যন্ত সংখ্যায়িত করা হয়েছে। নতুনগুলোর শ্রেণী-নাম/স্পেসিফিকেশন হচ্ছে “এমইআই-২২”। এখানে, এম = মিটার-গেজ, ই = ডিজেল–ইলেক্ট্রিক, আই = হুন্দাই রোটেম এবং ২০ = ২০ × ১০০ = ২,০০০ অশ্বশক্তি (মূলত ২,২০০ অশ্বশক্তি)।
রং
সম্পাদনা- আকাশী নীল-হলুদ (নতুন)
দুর্ঘটনা
সম্পাদনা- ২০/১০/২০২০: ফেনী শহরের গুদাম কোয়ার্টার রেল ক্রসিং এ দুপুর ১২টায় টমটম ও সিএনজির সাথে ট্রায়ালরত লোকোমোটিভ ৩০০৩ এর ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে টমটম ও সিএনজি দুমড়ে মুচড়ে যায়, তবে লোকোর তেমন বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। এই ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
চিত্রশালা
সম্পাদনাপুরাতন সিরিজ
সম্পাদনানতুন সিরিজ
সম্পাদনা-
৩০০১
-
৩০০২
-
৩০১৫
-
৩০১৬
-
৩০২১
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Transportation Survey of East Pakistan 1961। পৃষ্ঠা ২০৩।
- ↑ "দৈনিক জনকন্ঠ || চট্টগ্রামে পৌঁছেছে ১০টি কোরিয়ান মিটারগেজ ইঞ্জিন"। দৈনিক জনকন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৭।
- ↑ "Hyundai Rotem wins Bangladesh locomotive order"। International Railway Journal (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪।
- ↑ 2019-02-22T12:29:17+00:00। "Bangladesh Railway orders metre-gauge locomotives"। Railway Gazette International (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪।
- ↑ "Progress Rail Signs Contract with PT KAI for GT Series Locomotives"। www.progressrail.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে Category:Bangladesh Railway Class 3000 সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।