ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ফুটবল দল

ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: British Virgin Islands national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৯৬ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[] ১৯৯১ সালের সালের ১০ই মে তারিখে, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; সেন্ট কিট্‌স ও নেভিসের ব্যাসতেয়ারে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের কাছে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
দলের লোগো
ডাকনামনেচার বয়েজ
অ্যাসোসিয়েশনব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনকনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা)
প্রধান কোচজন রাইলি
অধিনায়কত্রয় সেসার
সর্বাধিক ম্যাচত্রয় সেসার (২০)
শীর্ষ গোলদাতাঅ্যাভনডেল উইলিয়ামস (৫)
মাঠএও শিরলি রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড
ফিফা কোডVGB
ওয়েবসাইটbvifootball.com
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২০৭ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[]
সর্বোচ্চ১৬০ (মার্চ ২০০০, আগস্ট–নভেম্বর ২০০২)
সর্বনিম্ন২০৮ (অক্টোবর ২০১৯)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২২৭ বৃদ্ধি ৪ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[]
সর্বোচ্চ১৭১ (১৯৮৯)
সর্বনিম্ন২৩০ (২০১৭)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ২–১ ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ 
(ব্যাসতেয়ার, সেন্ট কিট্‌স ও নেভিস; ১০ মে ১৯৯১)
বৃহত্তম জয়
 ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ৬–০ অ্যাঙ্গুইলা 
(সেন্ট মার্টিন; ২৮ মার্চ ১৯৯০)
বৃহত্তম পরাজয়
 ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ১৭–০ ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ 
(সান ক্রিস্তোবাল, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র; ১৪ অক্টোবর ২০১০)

৩,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট এও শিরলি রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে নেচার বয়েজ নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের টরটোলায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন জন রাইলি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন লাইফ রানিং ঈগলসের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ত্রয় সেসার

ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, কনকাকাফ গোল্ড কাপেও ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি।

ফিলিপ গ্রাহাম, ড্যানিয়েল গিলফোর্ড, জশুয়া বার্টি, ত্রয় সেসার এবং অ্যাভনডেল উইলিয়ামসের মতো খেলোয়াড়গণ ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

সম্পাদনা

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০০০ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১৬০তম) অর্জন করে এবং ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২০৮তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১৭১তম (যা তারা ১৯৮৯ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২৩০। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২০৫     গুয়াম ৮২১.৯১
২০৬     টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ ৮১৮.৫৭
২০৭     ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ৮০৭.৫৭
২০৮     মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ৭৯৬.৭৮
২০৯     অ্যাঙ্গুইলা ৭৮৫.৬৯
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২২৫     লাওস ৬৬৫
২২৫     মাকাও ৬৬৫
২২৭     ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ৬৫৯
২২৮     তিব্বত ৬৩০
২২৯     ভুটান ৬২০

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

সম্পাদনা

ফিফা বিশ্বকাপ

সম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
  ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
  ১৯৩৪
  ১৯৩৮
  ১৯৫০
  ১৯৫৪
  ১৯৫৮
  ১৯৬২
  ১৯৬৬
  ১৯৭০
  ১৯৭৪
  ১৯৭৮
  ১৯৮২
  ১৯৮৬
  ১৯৯০
  ১৯৯৪
  ১৯৯৮
    ২০০২ উত্তীর্ণ হয়নি ১৪
  ২০০৬ ১০
  ২০১০
  ২০১৪
  ২০১৮
  ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ১০ ৩৪

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  3. "This Week in CONCACAF History: 10-16 April"। CONCACAF.com (2011)। ২১ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা