লাওস জাতীয় ফুটবল দল
লাওস জাতীয় ফুটবল দল (লাও: ທິມຊາດ ບານເຕະ ແຫ່ງຊາດ ລາວ; ফরাসি: Équipe du Laos de football, ইংরেজি: Laos national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে লাওসের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম লাওসের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লাও ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৫২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬৮ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৬১ সালের ১২ই ডিসেম্বর তারিখে, লাওস প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; বার্মার রাঙ্গুনে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে লাওস দক্ষিণ ভিয়েতনামের কাছে ৭–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
![]() | |||
ডাকনাম | পাওয়ার স্টিকি রাইস | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | লাও ফুটবল ফেডারেশন | ||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | ||
প্রধান কোচ | ভি সুন্দ্রমূর্তি | ||
অধিনায়ক | সুকাফোন ভংচিংখাম | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | ভিসায় ফাফুভানিন (৫১) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | ভিসায় ফাফুভানিন (১৮) | ||
মাঠ | নতুন লাওস জাতীয় স্টেডিয়াম | ||
ফিফা কোড | LAO | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৮৫ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ১৩৪ (সেপ্টেম্বর ১৯৯৮) | ||
সর্বনিম্ন | ২১০ (আগস্ট ২০১২) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২২৪ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ১৪২ (১৯৬১) | ||
সর্বনিম্ন | ২২৪ (জুন ২০১৯) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (রাঙ্গুন, বার্মা; ১২ ডিসেম্বর ১৯৬১)[৩] | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (ভিয়েনতিয়েন, লাওস; ২৬ অক্টোবর ২০১০) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
![]() ![]() (জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া; ১৫ নভেম্বর ১৯৬৩) | |||
এএফসি সলিডারিটি কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০১৬-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | তৃতীয় স্থান (২০১৬) |
২৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট নতুন লাওস জাতীয় স্টেডিয়ামে পাওয়ার স্টিকি রাইস নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ভি সুন্দ্রমূর্তি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন উথাই থানির মধ্যমাঠের খেলোয়াড় সুকাফোন ভংচিংখাম।
লাওস এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপেও লাওস এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। এছাড়াও, এএফসি সলিডারিটি কাপে লাওস এপর্যন্ত মাত্র ১ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তাদের সাফল্য হচ্ছে ২০১৬ এএফসি সলিডারিটি কাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করা, সেখানে তারা ব্রুনাইকে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
ভিসায় ফাফুভানিন, সায়নাখোনেভিং ফোম্মাপানিয়া, খামফেং সায়াভুর্তি, সুকাফোন ভংচিংখাম এবং জাইসঙ্গখাম চাম্পাথংয়ের মতো খেলোয়াড়গণ লাওসের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
র্যাঙ্কিংসম্পাদনা
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে লাওস তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১৩৪তম) অর্জন করে এবং ২০১২ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ২১০তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে লাওসের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১৪২তম (যা তারা ১৯৬১ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২২৪। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১৮৩ | ৬ | সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি | ৯১৭.৬২ |
১৮৪ | ১ | ডোমিনিকা | ৯১৬.৭২ |
১৮৫ | ২ | লাওস | ৯১৪.৬৬ |
১৮৬ | ২ | মঙ্গোলিয়া | ৯১১.৪৯ |
১৮৭ | ২ | ভুটান | ৯১০.৯৬ |
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
২২২ | ৩ | শ্রীলঙ্কা | ৬৭৭ |
২২২ | ২ | সাঁ পিয়ের ও মিকলোঁ | ৬৭৭ |
২২৪ | ৩ | লাওস | ৬৭৫ |
২২৫ | ৬ | মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ | ৬৬০ |
২২৬ | ১ | তিব্বত | ৬৩০ |
প্রতিযোগিতামূলক তথ্যসম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপসম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৩৪ | |||||||||||||||
১৯৩৮ | |||||||||||||||
১৯৫০ | |||||||||||||||
১৯৫৪ | |||||||||||||||
১৯৫৮ | |||||||||||||||
১৯৬২ | |||||||||||||||
১৯৬৬ | |||||||||||||||
১৯৭০ | |||||||||||||||
১৯৭৪ | |||||||||||||||
১৯৭৮ | |||||||||||||||
১৯৮২ | |||||||||||||||
১৯৮৬ | |||||||||||||||
১৯৯০ | |||||||||||||||
১৯৯৪ | |||||||||||||||
১৯৯৮ | |||||||||||||||
২০০২ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৬ | ১ | ১ | ৪ | ৩ | ৪০ | ||||||||
২০০৬ | ৮ | ০ | ১ | ৭ | ৩ | ৩৬ | |||||||||
২০১০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
২০১৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ১ | ০ | ৩ | ১১ | ১৯ | ||||||||
২০১৮ | ৮ | ১ | ১ | ৬ | ৬ | ২৯ | |||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ০/২১ | ২৬ | ৩ | ৩ | ২০ | ২৩ | ১২৪ |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "Laos matches, ratings and points exchanged"। World Football Elo Ratings: Laos। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৬।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ফিফা-এ লাওস জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- এএফসি-এ লাওস জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি)