টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ফুটবল দল
টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Turks and Caicos Islands national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৯৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৯৬ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৯৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি তারিখে, টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; বাহামা দ্বীপপুঞ্জের নাসাউয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ বাহামা দ্বীপপুঞ্জের কাছে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
ডাকনাম | টিসিআই দল | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | কনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা) | ||
প্রধান কোচ | ওমর এডওয়ার্ডস | ||
অধিনায়ক | মার্ক ফেনেলুস | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | লেনফোর্ড সিং (১৫)[১] | ||
শীর্ষ গোলদাতা | বিলি ফোর্বস (৮) | ||
মাঠ | টিসিআইএফএ জাতীয় একাডেমি | ||
ফিফা কোড | TCA | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২০৬ (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[২] | ||
সর্বোচ্চ | ১৫৮ (ফেব্রুয়ারি ২০০৮) | ||
সর্বনিম্ন | ২১১ (অক্টোবর ২০১৮) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২১৬ ১ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[৩] | ||
সর্বোচ্চ | ২০৫ (সেপ্টেম্বর ২০০৬) | ||
সর্বনিম্ন | ২১৪ (সেপ্টেম্বর ২০১৮) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ৩–০ টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (নাসাউ, বাহামা দ্বীপপুঞ্জ; ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
সিন্ট মার্টেন ২–৫ টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (উইলেমস্টাট, কুরাসাও; ১০ অক্টোবর ২০১৯) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
কিউবা ১১–০ টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (হাভানা, কিউবা; ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮) |
৩,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট টিসিআইএফএ জাতীয় একাডেমিতে টিসিআই দল নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী প্রোভিডেন্সিয়ালেসে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ওমর এডওয়ার্ডস এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন তাইনান সিটির আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মার্ক ফেনেলুস।
টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, কনকাকাফ গোল্ড কাপেও টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি।
লেনফোর্ড সিং, মার্ক ফেনেলুস, বিলি ফোর্বস, গ্যাভিন গ্লিনটন এবং উইডলিন ক্যালিক্সটের মতো খেলোয়াড়গণ টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
র্যাঙ্কিং
সম্পাদনাফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১৫৮তম) অর্জন করে এবং ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ২১১তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২০৫তম (যা তারা ২০০৬ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২১৪। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
২০৪ | শ্রীলঙ্কা | ৮২২.০৩ | |
২০৫ | গুয়াম | ৮২১.৯১ | |
২০৬ | টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ | ৮১৮.৫৭ | |
২০৭ | ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ | ৮০৭.৫৭ | |
২০৮ | মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ | ৭৯৬.৭৮ |
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
২১৪ | টুভালু | ৭৫৬ | |
২১৫ | ১ | সেঁ বার্তেলেমি | ৭২৫ |
২১৬ | ১ | টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ | ৭০৫ |
২১৭ | ১ | ওয়ালিস এবং ফুতুনা | ৭০১ |
২১৮ | ৪ | সামোয়া | ৬৯৯ |
প্রতিযোগিতামূলক তথ্য
সম্পাদনাফিফা বিশ্বকাপ
সম্পাদনাফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৩৪ | |||||||||||||||
১৯৩৮ | |||||||||||||||
১৯৫০ | |||||||||||||||
১৯৫৪ | |||||||||||||||
১৯৫৮ | |||||||||||||||
১৯৬২ | |||||||||||||||
১৯৬৬ | |||||||||||||||
১৯৭০ | |||||||||||||||
১৯৭৪ | |||||||||||||||
১৯৭৮ | |||||||||||||||
১৯৮২ | |||||||||||||||
১৯৮৬ | |||||||||||||||
১৯৯০ | |||||||||||||||
১৯৯৪ | |||||||||||||||
১৯৯৮ | |||||||||||||||
২০০২ | উত্তীর্ণ হয়নি | ২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ১৪ | ||||||||
২০০৬ | ২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ৭ | |||||||||
২০১০ | ২ | ১ | ০ | ১ | ২ | ৩ | |||||||||
২০১৪ | ২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ১০ | |||||||||
২০১৮ | ২ | ০ | ০ | ২ | ৪ | ১২ | |||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ০/২১ | ১০ | ১ | ০ | ৯ | ৬ | ৪৬ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Appearances and Goals for Turks and Caicos Islands"। www.rsssf.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৮।
- ↑ ক খ "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ফিফা-এ টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- কনকাকাফ-এ টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ফুটবল দল[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (ইংরেজি)