ইসলাম (আরবি:আল-ইসলাম,[ ] [الإسلام‎‎] (শুনুন)রোমান হরফে:al-Islām [____])[টীকা ১] একটি একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা হল, এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নেই এবং মুহাম্মদ হলেন আল্লাহর প্রেরিত নবীরাসূল[১][২][৩]এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম[৪] যার অনুসারী সংখ্যা ১.৯ বিলিয়ন এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৪.৪ %,যারা মুসলমান নামে পরিচিত।[৫]

[৬] মুসলমানরা ৫০ এর অধিক দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসমষ্টি।[৪] ইসলাম শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ দয়ালু, করুনাময়,এক,অদ্বিতীয়, এবং একমাত্র আরাধনাযোগ্য অভিভাবক।[৭] মানবজাতীকে পথ প্রদর্শনের জন্য তিনি যুগে যুগে অনেক নবী-রাসূল,আসমানী কিতাব এবং নিদর্শন পাঠিয়েছেন ।[৮] ইসলামে প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল কুরআন যা স্বয়ং আল্লাহর বানী বলে বিশ্বাস করা হয়;আর নবী মুহাম্মদ (৫৭০- ৮ জুন ৬৩২) এর প্রদত্ত শিক্ষা,পদ্ধতি, জীবনাদর্শকে সুন্নাহ বলা হয় যা হাদীস নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

সৌদি আরবের মক্কার কাবা শরীফ; যেখানে সারা বিশ্বের লাখো মুসলিম একতার মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে প্রার্থনা করে থাকেন।

ইসলামী ধর্মগ্রন্থে দাবী করা হয়েছে যে,এটি একটি দ্বীন,একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ইসলামই মানুষের চিরন্তন ধর্ম ,একমাত্র সার্বজনীন সত্য ধর্ম ।যুগে যুগে আদম,ইব্রাহিম,মূসা,ঈসা সহ সকল রাসূলগণের উপর যেসব আসমানী কিতাব অবতীর্ন হয়েছিল,মূল আরবি কুরআন হল তারই সর্বশেষ,পূর্নাঙ্গ,অপরিবর্তীত চূড়ান্ত সংস্করন।[৯][১০][১১] [১২] অন্যান্য ইব্রাহিমীয় ধর্মের মত ইসলামও শেষবিচারের শিক্ষা দেয় যেখানে সৎকর্মশীলরা পুরষ্কারস্বরূপ জান্নাত পাবে আর পাপীরা জাহান্নামের সাজা পাবে।[১৩][১৪] ধর্মীয় কর্মকান্ডের মধ্যে অন্যতম হল ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ,যা পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যকীয় কর্তব্য । তাদেরকে ইসলামী আইন'ও (শরীয়াহ্) মেনে চলতে হয়, যা প্রকৃতপক্ষে সমাজ ও জীবনের সকল ক্ষেত্র ও যাবতীয় কার্যকলাপকে নির্ধারণ করে দেয় । ব্যাঙ্কিং থেকে দান-ছদকাহ্, নারী থেকে পরিবেশ সবই এর অন্তর্গত।[১৫][১৬][১৭]মক্কা,মদিনাজেরুসালেম ইসলামে সবচেয়ে সম্মানিত ও পবিত্র তিন শহর।[১৮]

যদিও এর উৎপত্তি সমন্ধে মুসলমানরা ধর্মতত্ত্বীয়গতভাবে আলাদা ধারনা পোষণ করে,[১৯][২০][২১] তবে ইতিহাসগতভাবে এর উৎপত্তি ৭ম শতকের শুরুতে মক্কায়,[২২] এবং ৮ম শতক নাগাদ উমাইয়া খিলাফত পশ্চিমে ইবেরিয়া (স্পেন) থেকে পূর্বে সিন্ধু নদ পর্যন্ত বিরাট অঞ্চল জুড়ে সম্প্রসারিত হয়। ৮ম থেকে ১৩ শতককে ঐতিহ্যগতভাবে ইসলামী স্বর্নযুগ বলা হয়। ঐতিহাসিকভাবে আব্বাসীয় খিলাফতের আমলে মুসলিম বিশ্ব বৈজ্ঞানিক,অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে উন্নতির শীর্ষে ছিল।[২৩][২৪][২৫] ইসলামের প্রসার ঘটেছে মূলত ধর্মপ্রচার এবং রাজ্যজয়ের মাধ্যমে। রাজ্যজয়গুলো ঘটেছিল আলাদা আলাদা সম্রাজ্যের দ্বারা যেমন উসমানীয় সম্রাজ্য,   আর ধর্মান্তরিতকরন ঘটেছিল ইসলামী ধর্মপ্রচার কার্যক্রমের (দাওয়াত) মাধ্যমে।[২৬]

প্রায় সব মুসলমান দুইটি প্রধান সম্প্রদায়ের অন্তর্গত,সুন্নি (৭৫-৯০%) অথবা শিয়া (১০-২০℅)।[২৭] সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশীয়া,বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের ১৩%'ই এখানে বাস করেন।[২৮] বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের ৩১%'ই বাস করেন দক্ষিন এশিয়ায়,[২৯]মুসলমান জনগোষ্ঠীর বড় অংশটাই  এখানে।[৩০] মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে বাস করেন ২০% [৩১] এবং এটি এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান ধর্ম।[৩২] ১৫% বাস করেন সাহারা-নিম্ন আফ্রিকাতে[৩৩] এছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমান মুসলমান সম্প্রদায় যায় আমেরিকা,ককেশাস,মধ্য এশিয়া,চীন,ইউরোপ,ইন্দোচীন,ফিলিপাইনরাশিয়াতে[৩৪][৩৫] ইসলাম বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান ধর্ম।

  1. ইংরেজি ভাষায় ইসলাম (al-Islām) শব্দটির দশটি উচ্চারণ রয়েছে। উচ্চারণের সময় আক্ষরিকভাবে কোন 'সিলাবলটির উপর জোর দেয়া হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে এই আলাদা আলাদা উচ্চারণগুলো প্রচলিত হয়েছে। এখানে বাংলা একাডেমি অভিধানের উচ্চারণদুটি দেয়া হল। ইউ.এস (ইসলাম শব্দের মাস্.দার (ক্রিয়ামূল)) , ইউ.কে (ইসলাম শব্দের মাস্.দার (ক্রিয়ামূল))

অর্থ ও উৎপত্তি সম্পাদনা

(إسلام) ইসলাম শব্দটি (س-ل-م) সিল্.ম (সি-ল্-ম) শব্দমূল হতে গঠিত, (ইসলাম শব্দের মাস্.দার (ক্রিয়ামূল))এর মাস্.দার (ক্রিয়ামূল)। বুৎপত্তিগতভাবে সাল্.ম (س-ل-م)এর কয়েকটি অর্থ হল,(১) বাহ্য ও অভ্যন্তরীণ উভয়বিধ অপবিত্রতা (বিপদ-আপদ) ও দোষ-ত্রুটি হইতে মুক্ত (পবিত্র) থাকা; (২) সন্ধি ও নিরাপত্তা ; (৩) শান্তি ও (৪) আনুগত্য ও হুকুম পালন।[৩৬]

সালাম ও সাল্.ম উভয় শব্দেরই অর্থ হল আনুগত্য, আত্নসমর্পন ও হুকুম পালন। অর্থগুলোর মধ্যে 'পবিত্র ও দোষ- ত্রুটিমুক্ত হওয়া' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই শব্দমূল হতে (ক্রিয়াপদে/ফে'ল) (أَسْلَمَ) আসলামা, ইসলাম গ্রহণ করল ও ক্রিয়াবিশেষ্য (إِسْلَام) ইসলাম, আত্নসমর্পন এবং কতৃকারকে (يُسْلِمُ৷) য়ুস্.লিমু, ইসলাম গ্রহনকারী শব্দতিনটির উৎপত্তি হয়েছে।[৩৭]

(টীকাঃ আরবীতে ক্রিয়ার রুপ ও ব্যাবহার বাংলা/ইংরেজি ব্যাকরন হতে মৌলিকভাবে আলাদা)

সিল্.ম,সিলাম ও সালিম এর অর্থ কঠিন প্রস্তর, কারন ওতে কোমলতা নাই,নরম হওয়া থেকে মুক্ত। সালাম এর আরেক অর্থ, বাবলা গাছের ন্যায় কাঁটাযুক্ত বৃক্ষ,যা কাঁটাযুক্ত হওয়ায় বিপদআপদ থেকে মুক্ত থাকে। আল্লাহর গুনবাচক নাম আস-সালাম শব্দটির মধ্যেও যাবতীয় দূর্বলতা থেকে মুক্ত, এমন অর্থ নিহিত রয়েছে। সাল্.ম এর যে ৪টি অর্থ দেয়া হয়েছে তার সবগুলোই ইসলাম শব্দের মাস্.দার (ক্রিয়ামূল) (ইসলাম শব্দের মাস্.দার (ক্রিয়ামূল)) এর মধ্যে নিহিত রয়েছে। সেকারনে মূল অর্থ দাঁড়ায় 'ইবাদত, দ্বীন ও 'আকীদাকে একমাত্র আল্লাহ তা'আলার জন্য নির্দিষ্ট করা।[৩৬]

কুরআনে ৮ যায়গায় ইসলাম শব্দটি ব্যাবহৃত হয়েছে(৩:১৯,৮৫; ৫:৩;৬ :১২৫; ৯:৭৮; ৩৯:২২; ৪৯:১৭; ৬১:৭)। স্বরচিহ্নের তারতম্যের কারনে বিভিন্ন আকারে তবে একই অর্থে এই শব্দমূল থেকে উৎপন্ন বেশ কয়েকটি পদের ব্যাবহার দেখা যায়।(৮:৬১) যুদ্ধবিরতির জন্য শান্তির প্রস্তাব, (২:১০৮) ইসলামি বিধান, (৪:৯১-৯২) যুদ্ধ পরিহারের প্রস্তাব, (১০ :২৫) শান্তি বা (৫১:২৫) শান্তি কামনামূলক মুসলিম অভিবাদন। শেষোক্ত অর্থে ২৪:২৭ আয়াতে, ইসলাম শব্দটি ব্যাবহৃত হয়েছে।[৩৭]

অর্থ সম্পাদনা

প্রধানত দুইটি অর্থ পাওয়া যায়, (১) এক অদ্বিতীয় আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পণ করা (২:১১২)  ; (২) শান্তি স্থাপন তথা বিরোধ পরিহার করা । ২য় অর্থটির ব্যাক্ষা হল (ক) আত্নসমর্পনে আল্লাহর সহিত শান্তি স্থাপিত হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধতা পরিত্যক্ত হয় । এবং (খ) আল্লাহর সৃষ্ট মানুষের সহিত একাত্বতার অনুভুভূতিতে, সাম্য - নীতির স্বীকৃতিতে সমাজে শান্তি - নিরাপত্তার অনুকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়। ইসলাম একটি দ্বীন (৩:১৮), পারস্পরিক ব্যবহার, লেন-দেন সবই এর অন্তর্ভুক্ত। দ্বীনের উৎস কুরআন। এটি একটি পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা। সেকারনে ইবাদত ও দার্শনিক বিষয়াবলির পাশাপাশি এটি মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে, সর্ববিষয়ে নিয়ন্ত্রন ও নিয়মাবলির প্রতিও গুরুত্ব দেয়। "রিলিজিয়ন" বা "ধর্ম" বলতে যে আধ্যাতিক ও পারত্রিক জীবন-দর্শন ও ক্রিয়াকর্ম বুঝায় সেই অর্থে একে "ধর্ম" বললে কোনভাবেই এর পুরো অর্থ প্রকাশ পায়না।[৩৭] ইসলাম মানুষের চিরন্তন ধর্ম (৩:১৮)। এর মূল কথা হল (ক) আল্লহর একত্ব ও অদ্বিতীয়ত্বে বিশ্বাস, (খ) রাওমূ'ল আখির বা মৃত্যুর পর পুনরুত্থান ও বিচারান্তে অনন্ত পরজীবনে বিশ্বাস, এবং আমাল-স.আলিহ্ বা সৎকর্মে আত্ননিয়োগ। বিশ্বাসের পর্যায়গুলো হল (১) ফিরিশতাগন, (২) আসমানী কিতাবমূহ এবং (৩) নবী -রাসূল, আর (৪) আল্লাহর সর্বময় নিয়ন্ত্রণ (তাকদীর)-এ বিশ্বাসও; উপরের তিনটি মৌলিক উপাদানের সাথে যুক্ত হয়। প্রথম মানব ও নবী আদম হতে শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত কুরআনে উল্লেখিত/ অনুল্লিখিত সকল নবী-রাসূল (৪০:৭৮), পৃথিবীর বিভিন্ন গোত্র ও জাতীর কাছে (১০: ৪৭, ১৩ : ৭, ৩৫ : ২৪) , উপরের তিন উপাদান সম্বলিত ইসলাম প্রচার করেছিলেন। এই তিনের ভিত্তিতে কুরআন সমসাময়িক য়াহূদী, খৃষ্টান, স.আবিঈ ও মাজূসী অর্থাৎ সকল ধর্মাবলম্বীকে ইসলাম গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছিল (২ :৬২) এবং আহ্বানে সাড়া দিলে নিরাপত্তা ও মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়েছিল। এখনও সেই আহ্বান কার্যকর রয়েছে।[৩৭]

  1. আল-হক্কানী, শায়েখ মুহাম্মদ নাজিম আদিল; কাব্বানি, শায়েখ মুহাম্মদ হিশাম (২০০২)। মুহাম্মদ, ইসলামের বার্তাবাহক: তার জীবন ও ভবিষ্যতবানী (ইংরেজী ভাষায়)। আই এস সি এ। পৃষ্ঠা xআইএসবিএন 978-1-930409-11-8[আল্লাহ তার বানী পাঠিয়েছেন অনেক রাসূলের মাধ্যমে] তারমধ্যে রয়েছেন নূহ,ইব্রাহীম, মূসা,ঈসা এবং আমাদের শেষ নবী মুহাম্মদ। [...] 
  2. জন এল. স্পোছিতো (২০০৯)। "ইসলাম।রূপরেখা"। জন এল. স্পোছিতো। দ্য অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড (ইংরেজী ভাষায়)। অক্সফোর্ড: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 9780195305135ডিওআই:10.1093/acref/9780195305135.001.0001মূল বিশ্বাস [...] ইসলামের পরম একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন ও মুহাম্মদকে ঈশ্বরের শেষ নবী ও বার্তাবাহক বলে স্বীকার করা নেওয়া 
  3. এফ. ই পিটার্স (২০০৯)। "আল্লাহ্"। জন এল. স্পোছিতো। দ্য অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড (ইংরেজী ভাষায়)। অক্সফোর্ড: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 9780195305135ডিওআই:10.1093/acref/9780195305135.001.0001মুসলমানদের আল্লাহ সমন্ধে জ্ঞানের ভিত্তি হল [...] কুরআন তাফসীরের দেয়া সাক্ষী । আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়,সৃষ্টিকর্তা, সার্বভৌম এবং মানবজাতীর বিচারকর্তা।আল্লাহই তাই নিজ ক্ষমতাবলে এই মহাবিশ্ব,প্রকৃতিকে চালিত করেন এবং যুগে যুগে রাসুলগন পাঠিয়ে মানবজাতীকে পথ প্রদর্শন করিয়েছেন। আর তার নবীগন ;আব্রাহাম, মোজেস, জিসাস এবং মুহাম্মদ কে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করিয়েছেন তার পছন্দনীয় কিছু সম্প্রদায়, "আহলে কিতাব"। 
  4. "বিশ্ব ধর্ম" (ইংরেজী ভাষায়)। ১ জানুয়ারি ২০১৯। 
  5. যারা মুসলমান নামে পরিচিত।
  6. অক্সফোর্ড অভিধান অনুসারে, " 'ইসলাম ধর্মের অনুসারী' বোঝানোর জন্য মুসলিম শব্দটিই সবচেয়ে প্রচলিত। কখনো কখনো মোসলেম ও ব্যাবহৃত হয়।"
  7. ক্যাম্পো, জুয়ান এডোয়ার্ডো (২০০৯)। "আল্লাহ"এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম (ইংরেজী ভাষায়)। ইনফোবেস পাবলিশিং। পৃষ্ঠা 34। আইএসবিএন 978-1-4381-2696-8 
  8. İbrahim Özdemir (২০১৪)। "পরিবেশ"। ইব্রাহীম কালিন। অক্সফোর্ড বিশ্বকোষ, ইসলামে দর্শন,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইংরেজী ভাষায়)। অক্সফোর্ড: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 9780199812578ডিওআই:10.1093/acref:oiso/9780199812578.001.0001যখন মক্কার পৌত্তলিকরা আল্লাহর অস্তিত্বের স্বপক্ষে কোন প্রমান, চিহ্য বা অলৌকিক কিছু দেখতে চেয়েছিল কুরআন তখন তাদের দৃষ্টিকে প্রকৃতির জটিলতা,সূক্ষতা ও শৃঙ্খলার দিকে ঘুরিয়ে দিল। একারনেই কুরআনের প্রথম দিকের আয়াতগুলোতে আমন্ত্রন জানিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া হয়েছে যে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যকার দৃৃশ্যমান প্রকৃতির মধ্যে কেউ যেন পারলে একটি খুঁতও খুঁজে বের করে দেখাক। [...]এভাবেই কুরআন পরিষ্কার করে দিয়েছে যে সৃষ্টির সবকিছুই আসলে ঈশ্বরের অলৌকিকত্বের নিশানা (আয়াত) আর আমন্ত্রন জানিয়েছে তাকে খুঁজতে। 
  9. "পিপল অব দ্য বুক"ইসলাম: এম্পায়ার অব ফেইথ (ইংরেজী ভাষায়)। পি বি এস। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১৮ 
  10. রিভস্, জে.সি. (২০০৪)। বাইবেল অ্যান্ড কুরআন:এছেই'স ইন স্ক্রিপ্টুয়্যাল ইন্টারটেক্সুয়্যালিটি (ইংরেজী ভাষায়)। লেইডেন: ব্রিল। পৃষ্ঠা ১৭৭। আইএসবিএন 9-0041-2726-7 
  11. মঘুল, হারুন। "একটা ইহুদী ছুটির দিনকে কেন মুসলমানরা পালন করে" (ইংরেজী ভাষায়)। সি এন এন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৮ 
  12. Bennett (2010, p. 101)
  13. "পরকালবিদ্যা-অক্সফোর্ড ইসলামি শিক্ষা অনলাইন"www.oxfordislamicstudies.com (ইংরেজী ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৮ 
  14. "স্বর্গ (জান্নাত)"Al-Islam.org (ইংরেজী ভাষায়)। ২০১৬-০৪-২৬। 
  15. Esposito (2002b, pp. ১৭)
  16. Esposito (2002b, pp. ১১১–১১২, ১১৮)
    • "শরিয়াহ্"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনলাইন (ইংরেজী ভাষায়)। 
  17. "ব্রিটিশ ও বিশ্ব ইংরেজী: শরিয়াহ"অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (ইংরেজী ভাষায়)। 
  18. ট্রপিমভ্, ইয়ারোস্লাভ (২০০৮), দ্য সিজ অব মক্কা:দ্য ১৯৭৯ আপরাইজিং অ্যাট ইসলাম'স হোলিয়েস্ট শ্রাইন (ইংরেজী ভাষায়), নিউ ইয়র্ক, পৃষ্ঠা 79, আইএসবিএন 978-0-307-47290-8 
  19. স্পোছিতো, জন এল (১৯৯৮)। ইসলাম:সরল পথ (৩য় সংস্করণ) (ইংরেজী ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৯,১২। আইএসবিএন 978-0-19-511234-4 
  20. Esposito (2002b, pp. 4–5)
  21. পিটার্স, এফ.ই (২০০৩)। ইসলাম:ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের জন্য একটি নির্দেশিকা (ইংরেজী ভাষায়)। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 9আইএসবিএন 978-0-691-11553-5 
  22. ওয়াট, উইলিয়াম মন্টোগোমারি (২০০৩)। ইসলাম অ্যান্ড দ্য ইন্টিগ্রেশন অব সোসাইটি (ইংরেজী ভাষায়)। সাইকোলজি প্রেস। পৃষ্ঠা 5। আইএসবিএন 9780415175876 
  23. জর্জ সাবিলা (১৯৯৪), আরবিয় জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাস:ইসলামী স্বর্নযুগে গ্রহতত্ব, পৃষ্ঠা . ২৪৫, ২৫০, ২৫৬–২৫৭. নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস , আইএসবিএন ০-৮১৪৭-৮০২৩-৭.
  24. কিং, ডেভিড এ. (১৯৮৩)। "মামলুক আমলে জ্যোতির্বিদ্যা"। আইসিস (ইংরেজী ভাষায়)। 74 (4): 531–555। ডিওআই:10.1086/353360 
  25. আল-হাসান, আহমেদ ওয়াই. (১৯৯৬)। "ষোড়শ শতকের পর ইসলামী বিজ্ঞানের পতনের কারনসমূহ"। শরিফা শিফা আল-আত্তাস। ইসলাম এবং আধুনিকতার চ্যালেঞ্জ, ইসলাম এবং আধুনিকতার চ্যালেঞ্জ: ঐতিহাসিক ও সমসাময়ীক প্রেক্ষিতঃ আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিকা, কুয়ালা লামপুর, ১-৫ আগষ্ট, ১৯৯৪ (ইংরেজী ভাষায়)। ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থট অ্যান্ড সিভিলাইজেশ্যন (আই এস টি এ সি)। পৃষ্ঠা 351–399। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  26. দ্য প্রিচিং অব ইসলাম:আ হিস্ট্রি অব দ্য প্রোপাগেশন অব দ্য মুসলিম ফেইথ বাই স্যর থমাস ওয়াকার আর্নল্ড,পৃষ্ঠা ১২৫-২৫৮
  27. "ম্যাপিং দ্য গ্লোবাল মুসলিম পপুলেশন: অ্যা রিপোর্ট অন দ্য সাইজ ডিস্ট্রিবিউশন অব দ্য ওয়ার্ল্ড'স মুসলিম পপুলেশন"Pew Research Center (ইংরেজী ভাষায়)। অক্টোবর ৭, ২০০৯। 
  28. "সবচেয়ে বেশী মুসলিম জনসংখ্যার ১০ দেশ, ২০১০ থেকে ২০৫০"পিউ রিসার্চ সেন্টার্স রিলিজিয়ন অ্যান্ড পাবলিক লাইফ প্রোজেক্ট (ইংরেজী ভাষায়)। ২০১৫-০৪-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৭ 
  29. পিচিলিস, কারেন; রাজ, সিলভা জে. (২০১৩)। দক্ষিন এশিয়ার ধর্মগুলো:ঐতিহ্য এবং বর্তমান (ইংরেজী ভাষায়)। রুটলেজ। পৃষ্ঠা 193আইএসবিএন 9780415448512 
  30. দ্য ডিপ্লোম্যাট, আখিলেশ পাল্লিলিমারি। "যেভাবে দক্ষিন এশিয়া বৈশ্বিক ইসলামকে বাঁচাবে"দ্য ডিপ্লোম্যাট (ইংরেজী ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৭ 
  31. "মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা"পিউ রিসার্চ সেন্টার'স রিলিজিয়ন অ্যান্ড পাবলিক লাইফ প্রযেক্ট (ইংরেজী ভাষায়)। ২০০৯-১০-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৮ 
  32. "অঞ্চল:মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা"বৈশ্বিক মুসলিম জনসংখ্যার ভবিষ্যৎ (ইংরেজী ভাষায়)। পিউ রিসার্চ সেন্টার। ২০১১-০১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১১ 
  33. "অঞ্চল: সাহারা নিম্ন আফ্রিকা"বৈশ্বিক মুসলিম জনসংখ্যার ভবিষ্যৎ (ইংরেজী ভাষায়)। পিউ রিসার্চ সেন্টার। ২০১১-০১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১১ 
  34. "দেশ অনুসারে মুসলিম জনসংখ্যা"বৈশ্বিক মুসলিম জনসংখ্যার ভবিষ্যৎ (ইংরেজী ভাষায়)। পিউ রিসার্চ সেন্টার। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১১ 
  35. "রাশিয়ায় ইসলাম"www.aljazeera.com (ইংরেজী ভাষায়)। 
  36. সম্পাদনা পরিষদ, ইসলামী বিশ্বকোষ (২০০৬)। ইসলামী বিশ্বকোষ ৫ম খণ্ড (২য় সংস্করণ)। বায়তুল মোকাররম, ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ৫১২। আইএসবিএন 9840611020 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য) 
  37. সম্পাদনা পরিষদ, ইসলামী বিশ্বকোষ (২০০৭)। সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ, ১ম খন্ড। বাইতুল মোকাররম, ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ১৯২। আইএসবিএন 984-06-0252-7