ইব্রাহিমীয় ধর্ম
ধর্ম বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
ইব্রাহিমীয় ধর্ম বা আব্রাহামীয় ধর্ম (ইংরেজি: Abrahamic Religion), যাকে ইংরেজিতে সেমেটিক ধর্ম (Semitic Religion) বলা হয়। এটি দ্বারা মধ্যপ্রাচ্য এলাকার একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোকে বোঝানো হয়, যেগুলোর অনুসারীরা তাদের ধর্মীয় উৎপত্তিকে আব্রাহাম বা ইব্রাহিমের সাথে সম্পর্কিত করে। [১] অথবা যেগুলোর মধ্যে ধর্মীয় ইতিহাসগত ধারাবাহিকতা বিদ্যমান।[২][৩][৪] ভারত, চীন, জাপান ইত্যাদি দেশের উপজাতীয় অঞ্চল বাদ দিয়ে সারা বিশ্বে এই মতবাদের আধিপত্য।[৫] এই বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত ধর্মগুলো হলো ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম এবং বাহাই ধর্ম।
তবে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্রি-তত্ববাদের (Trinity) জন্য সমালোচিত হয়েছে যেহেতু এটি জুডাইজমে শেখানো একত্ববাদী বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক।
ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহ
সম্পাদনাতালিকা
সম্পাদনাসূচনালগ্ন অনুসারে ক্রমবিন্যাস করলে, প্রধান ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহ হচ্ছে- [৬]
- ইহুদি ধর্ম(২৫০০ বছর)
- খ্রিস্ট ধর্ম(২০০০ বছর)
- ইসলাম ধর্ম(১৫০০ বছর)
- দ্রুজ (১০০০ বছর)
- বাহাই ধর্ম(২০০ বছর)
- আহমদিয়া ধর্ম(১৫০বছর)
- রাস্তাফারি (৯০বছর)
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
সম্পাদনাইহুদি ধর্ম
সম্পাদনাইহুদী ধর্মানুসারীরা নিজেদেরকে আব্রাহামের (ইব্রাহিমের) পৌত্র যাকোব (ইয়াকুব)-এর উত্তরপুরুষ বলে মনে করেন। এই ধর্ম কঠোরভাবে একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী। তাদের মূল ধর্মীয় বিধান বা হালাখা অনুসারে, এই ধর্মের অন্তর্গত সকল শাখার মূলগত ধর্মগ্রন্থ একটিই- তোরাহ বা তানাখ বা তাওরাত বা হিব্রু বাইবেল। ইহুদীদের ইতিহাসজুড়ে বিভিন্ন ধর্মসংশ্লিষ্ট পণ্ডিত ব্যক্তি ইহুদী ধর্মের মূল মত নির্দিষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা প্রস্তাব করেন, যাদের সবগুলোই বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে যায়। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা বলে Maimonides প্রদত্ত "বিশ্বাসের তেরোটি নীতি" স্বীকৃত, যা দ্বাদশ শতকে প্রদত্ত হয়। অর্থোডক্স ইহুদী এবং রক্ষণশীল ইহুদী মতে, মোশি (মুসা) সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণী সত্য; তিনি পূর্বতন বা পরবর্তী সকল নবী তথা প্রেরিতপুরুষের নেতৃত্বস্থানীয়।
খ্রিস্ট ধর্ম
সম্পাদনাখ্রিস্টধর্ম সূচিত হয় ইহুদী ধর্মের একটি শাখা হিসাবে। এর উৎপত্তি ভূমধ্যসাগরীয় উপত্যকায় (বর্তমান ফিলিস্তিন ও ইসরাইল), খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে। পরবর্তীতে এটি পৃথক বিশ্বাস এবং ধর্মাচরণযুক্ত আলাদা ধর্ম হিসাবে বিস্তৃত হয়। খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম নবী যিশু (ঈসা(আ:))- প্রায় সকল মতেই তাকে প্রেরিত মহাপুরুষ বলে মনে করা হয়। ইসলাম ধর্মে নবী হিসেবে তিনি অত্যন্ত সম্মানিত। মৃত মানুষকে জীবিত করাসহ বহু মুজিযা তাঁর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে । খ্রিস্টীয় ইঞ্জিল শরীফ খ্রিস্টধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত। তবে এক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত কিছু মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, যেমনঃ- রোমান ক্যাথলিক মত এবং পূর্বস্থিত অর্থোডক্স মত।
ইসলাম
সম্পাদনাইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ করা।[৭] যিনি নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে দেন এবং নিজের ইচ্ছায় জীবন পরিচালিত না করে আল্লাহর দেয়া বিধি-নিষেধ মেনে চলেন তিনিই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর ইসলামের অনুসারীদেরকে আরবীতে বলা হয় মুসলিম।
ইসলাম ধর্ম মতে, হযরত আদম (আঃ) হতেই ইসলাম ধর্মের শুরু। তিনি ইসলামের প্রথম নবী । আল্লাহ মানবজাতিকে পথপ্রদর্শনের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসূল (বার্তাবাহক) প্রেরণ করেছেন। কিছু ইসলামী ইতিহাসবেত্তাদের মতানুযায়ী, এসব বার্তাবাহকের সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ চব্বিশ হাজার এবং রাসূলের সংখ্যা ৩১৩ জন ।[৮] তবে এই বর্ণনা সঠিক নয়।[৯]
এরই ধারাবাহিকতায় ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেয়া সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী এবং রাসুল হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা:)।
ইসলাম ধর্মের মূল বিশ্বাস হলো: আল্লাহ'র কোনো অংশীদার নেই এবং মুহাম্মদ (সা:) হলেন আল্লাহর বান্দা ও একজন রাসূল।[১০] এই ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ হলো কুরআন, । কুরআনের ব্যাখ্যায় দ্বারস্থ হতে হয় সহীহ বা যাচাইকৃত হাদিস সংকলনসমূহের উপর।
এই ধর্মের উল্লেখযোগ্য দিক হলো পবিত্র কুরআনে মুসলমানদের সমস্ত দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পারিবারিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন। মুসলিমদের বিশ্বাস, ইসলামের প্রবর্তক হলেন হযরত আদম (আঃ)।[১১] ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সাধারণত দুইটি। একটি ঈদ-ঊল-ফিতর ও ঈদ-ঊল-আজহা ।[১২] ইসলাম ধর্মকে সার্বজনীন ও চিরন্তন সত্য ধর্ম বলা হয় ।
বাহাই ধর্ম
সম্পাদনাদ্রুজ
সম্পাদনারাস্তাফারি
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Philosophy of Religion"। Encyclopædia Britannica। ২০১০। ২১ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১০।
- ↑ Massignon 1949, পৃ. 20–23
- ↑ Smith 1998, পৃ. 276
- ↑ Derrida 2002, পৃ. 3
- ↑ C.J. Classification of religions: Geographical. Encyclopædia Britannica, 2007. Accessed: 15 May 2013
- ↑ *"Why "Abrahamic"?"। Lubar Institute for Religious Studies at U of Wisconsin। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১২।
- Lawson, Todd (ডিসেম্বর ১৩, ২০১২)। Cusack, Carole M.; Hartney, Christopher, সম্পাদকগণ। "Baha'i Religious History"। Journal of Religious History। 36 (4): 463–470। আইএসএসএন 1467-9809। ডিওআই:10.1111/j.1467-9809.2012.01224.x। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৩।
- Collins, William P., reviewer (সেপ্টেম্বর ১, ২০০৪)। "Review of: The Children of Abraham : Judaism, Christianity, Islam / F. E.Peters. -- New ed. -- Princeton, NJ : Princeton University Press, 2004"। Library Journal। New York। 129 (14): 157, 160। সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টে ১৩, ২০১৩।
- ↑ "ইসলাম"। উইকিঅভিধান। ২০২৪-০৮-১৭।
- ↑ ইবনু হিব্বান, আস-সহীহ ১/৭৬-৭৯
- ↑ "৪. নবী-রাসূলগণের সংখ্যা: ১ বা ২ লক্ষ ২৪ হাজার"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০২।
- ↑ "মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) | হাদিস: ২ [ ]"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০২।
- ↑ কুরআন ২:৩০
- ↑ নাসাঈ ১৫৫৬
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |