সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা
সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা (ইংরেজি: Sub-Saharan Africa) একটি ভৌগোলিক পরিভাষা, যা দিয়ে আফ্রিকা মহাদেশে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে সম্পূর্ণ বা অংশত অবস্থিত দেশগুলিকে বোঝানো হয়।'[২] এর মধ্যে রয়েছে মধ্য আফ্রিকা, পূর্ব আফ্রিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, এবং পশ্চিম আফ্রিকা।
সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা | |
---|---|
সাব-সাহারান আফ্রিকার ভৌগলিক মানচিত্র টেমপ্লেট:কেন্দ্র | |
প্রধান শহর | আবিজান, আবুজা, আকরা, আদিস আবাবা, কেপ টাউন, দার এস সালাম, ডারবান, হারারে, জোহানেসবার্গ, জুবা, কাম্পালা, কিনশাসা, লাগোস, লুয়ান্ডা, লুসাকা, মোগাদিশু, নাইরোবি, প্রিটোরিয়া, উইন্ডহোক |
জনসংখ্যা (২০১৮)[ক] | ১,০৩,৮৬,২৭,১৭৮ |
বিশেষণ | আফ্রিকান |
ধর্ম (২০২০)[১] | |
• খ্রিস্টান ধর্ম | ৬২.০% |
• ইসলাম | ৩১.৪% |
• ঐতিহ্যগত বিশ্বাস | ৩.২% |
• কোন ধর্ম নেই | ৩.০% |
• অন্যান্য | ০.৪% |
ভাষা | ১,০০০টিরও বেশি ভাষা |
ইন্টারনেট TLD | .africa |
|
সাহারা মরুভূমির উত্তরের অঞ্চলকে উত্তর আফ্রিকা বলা হয়, যা সাংস্কৃতিকভাবে আরব বিশ্বের অন্তর্গত।
সাহারা মরুভূমির ঠিক দক্ষিণেই সহিল নামের একটি রূপান্তর-মধ্যবর্তী অঞ্চল (transitional zone) অবস্থিত, যার দক্ষিণে আছে সাভানা তৃণভূমিময় সুদান অঞ্চল। এর দক্ষিণে আছে ক্রান্তীয় অরণ্য ও সাভানা তৃণভূমির মিশ্রণ। আফ্রিকার শিং এবং সুদান রাষ্ট্রের অধিকাংশ ভৌগলিকভাবে সাহার-নিম্ন আফ্রিকার অংশ হলেও এই অঞ্চলে মধ্যপ্রাচ্যের বড় প্রভাব আছে, এবং এগুলিও আরব বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত।
সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা কালো আফ্রিকা নামেও পরিচিত, কেননা এখানে আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ অধিবাসীরা বাস করে। এরা মূলত খ্রিস্টধর্মের অনুসারী (অন্যদিকে উত্তর আফ্রিকাতে ইসলামের আধিপত্য নিরঙ্কুশ। ভাষাগত দিক থেকে সাহার-নিম্ন আফ্রিকার অধিকাংশ লোক নাইজার-কঙ্গো ভাষাপরিবারের অন্তর্গত কোন না কোন ভাষাতে কথা বলে।
সামগ্রিকভাবে, ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম আফ্রিকার ৫৫টি দেশের মধ্যে জিবুতি, এসএডিআর, সোমালিয়া এবং সুদান বাদে ৪৬টিতে "সাব-সাহারান" শ্রেণিবিভাগ প্রয়োগ করে।[৩]
জলবায়ু অঞ্চল এবং ইকোরিজিয়ন
সম্পাদনাসাব-সাহারান আফ্রিকার বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু অঞ্চল বা বায়োম আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রকে বিশেষভাবে মেগা বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি একটি শুষ্ক শীত মৌসুম এবং একটি আর্দ্র গ্রীষ্ম ঋতু আছে।
- সাহেল সমগ্র আফ্রিকা জুড়ে প্রায় ১০° থেকে ১৫° উ এর অক্ষাংশে বিস্তৃত। যেসব দেশ তাদের উত্তরাঞ্চলে সাহারা মরুভূমির কিছু অংশ এবং তাদের দক্ষিণ অঞ্চলে সাহেলের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত করে [[মৌরিতানিয়া] ]], মালি, নাইজার, চাদ, এবং সুদান। সাহেলের একটি গরম আধা-শুষ্ক জলবায়ু আছে।
- সাহেলের দক্ষিণে, সাভানা (পশ্চিম এবং পূর্ব সুদানিয়ান সাভানা এর একটি বেল্ট আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ইথিওপিয়ান হাইল্যান্ডস পর্যন্ত বিস্তৃত। অধিক আর্দ্র গুইনিয়ান এবং উত্তর কঙ্গোলিয়ান বন–সাভানা মোজাইক সাভানা এবং নিরক্ষীয় বনের মধ্যে অবস্থিত।
- হর্ন অফ আফ্রিকা উপকূল বরাবর উষ্ণ মরুভূমির জলবায়ু অন্তর্ভুক্ত করে তবে একটি গরম আধা-শুষ্ক জলবায়ু অভ্যন্তরীণ অংশে অনেক বেশি পাওয়া যায়, সাভানা এবং [[গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং ক্রান্তীয় জলবায়ুগুলির তালিকা উপক্রান্তীয় আর্দ্র বিস্তৃত পাতার বন ইকোরিজিয়ন|আদ্র ব্রডলিফ বন]] ইথিওপিয়ান হাইল্যান্ডস এ।
- গ্রীষ্মমন্ডলীয় আফ্রিকা পশ্চিম আফ্রিকার দক্ষিণ উপকূল বরাবর এবং আফ্রিকান গ্রেট লেকের পশ্চিমে কঙ্গো জুড়ে বিস্তৃত ক্রান্তীয় রেইনফরেস্ট রয়েছে।
- পূর্ব আফ্রিকায়, বনভূমি, সাভানা এবং তৃণভূমি নিরক্ষীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়, যার মধ্যে তানজানিয়া এবং কেনিয়ার সেরেনগেটি ইকোসিস্টেম রয়েছে।
ইথিওপিয়ান হাইল্যান্ডস থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত পূর্ব আফ্রিকার উচ্চ পর্বত এবং পর্বতশ্রেণীতে স্বতন্ত্র আফ্রোমন্টেন বন, তৃণভূমি এবং ঝোপঝাড় পাওয়া যায়।
- নিরক্ষীয় বনের দক্ষিণে, পশ্চিম এবং দক্ষিণ কঙ্গোলিয়ান বন-সাভানা মোজাইক হল গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন এবং মিওম্বো বনভূমি বেল্টের মধ্যবর্তী স্থানান্তর অঞ্চল যা বিস্তৃত। মহাদেশ অ্যাঙ্গোলা থেকে মোজাম্বিক এবং তাঞ্জানিয়া।
- নামিব এবং কালাহারি মরুভূমি দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কারু অঞ্চল সহ আধা-মরুভূমি দ্বারা বেষ্টিত। বুশভেল্ড তৃণভূমি মরুভূমির পূর্বে অবস্থিত।
- কেপ ফ্লোরিস্টিক অঞ্চল আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত, এবং বিভিন্ন উপক্রান্তীয় এবং নাতিশীতোষ্ণ বন, বনভূমি, তৃণভূমি এবং ঝোপঝাড়ের আবাসস্থল।
নোট
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Pew-Templeton Global Religious Futures Project"। www.globalreligiousfutures.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১১।
- ↑ ecosostenibile (২০২৩-০২-০২)। "Afrotropical ecozone: boundaries, characteristics, biomes ..."। An Eco-sustainable World (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "About Africa"। UNDP in Africa। ১১ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২০।