ডেভ হোয়াটমোর

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

ডেভনেল ফ্রেডরিক ডেভ হোয়াটমোর (ইংরেজি: Dav Whatmore; জন্ম: ১৬ মার্চ, ১৯৫৪) শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার প্রথিতযশা ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তবে, তিনি অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ হিসেবে আসীন ছিলেন। ২০১২ থেকে ২০১৪ মেয়াদকালে তিনি পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর ডিসেম্বর, ২০১৪ সাল থেকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডেভ হোয়াটমোর

ডেভ হোয়াটমোর
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরন
ভূমিকাকোচ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ২৯৩
ব্যাটিং গড় ২২.৫৩ ২.০০
১০০/৫০ –/২ –/–
সর্বোচ্চ রান ৭৭
বল করেছে ৩০
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৩/– –/–
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ৩ নভেম্বর ২০১২

শৈশবকাল সম্পাদনা

ডেভ হোয়াটমোর সিলনে (বর্তমান - শ্রীলঙ্কা) জন্মগ্রহণ করেন। কলম্বোর রয়েল প্রিপারেটরী স্কুলে শিক্ষালাভ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি ও তার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। মেলবোর্নের কাছাকাছি মেনটোনে বসবাস করতে থাকেন। সেখানকার মেনটোন গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন।[১]

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

মার্চ, ১৯৭৯ থেকে জানুয়ারি, ১৯৮০ পর্যন্ত সময়কালে ৭টি টেস্ট ম্যাচ এবং একটিমাত্র একদিবসীয় ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। ভিক্টোরিয়া বুশরেঞ্জার্সের পক্ষ হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ছয় সহস্রাধিক রান করেছেন।

১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানে সিরিজ পরাজয়বরণের পর দল নির্বাচকমণ্ডলী পিটার টুহি, ব্রুস ইয়ার্ডলিফিল কার্লসনকে দল থেকে বাদ দেয়ার চিন্তা করেন। তাদের পরিবর্তে ডেভ হোয়াটমোর, ট্রেভর লাফলিনপিটার স্লিপকে দলে নেয়া হয়।[২] এরপর অবশ্য লাফলিন নাম প্রত্যাহার করে নেন ও ওয়েন ক্লার্ককে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল।

কোচিং সম্পাদনা

১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর নেন হোয়াটমোর। এরপর তিনি অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কোচিংয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শ্রীলঙ্কা দলকে দুই মেয়াদে কোচিং করান। প্রথমবারই তিনি সফলকাম হন। তার সুযোগ্য পরিচালনায় ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়। দু’মেয়াদের মাঝখানে ল্যাঙ্কাশায়ারকে ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালের জাতীয় লীগের শিরোপা এনে দেন। এছাড়াও, ক্লাবটি ১৯৯৮ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয় করেছিল।

২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল মেয়াদে বাংলাদেশ দলের প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি। বেশকিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় দলের বিপক্ষে সফলকাম হয়। ২০০৫ সালের শুরুতে বাংলাদেশ তাদের ১ম টেস্ট ম্যাচ জয় করে।[৩] ঐ বছরই শীর্ষস্থানের অধিকারী অস্ট্রেলিয়া দলকে হারিয়েছিল যার ফলে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব তাজ্জব বনে যায়।[৪] এছাড়াও, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে শীর্ষস্থানীয় প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ভারতকে পরাভূত করে সুপার এইট পর্বে পৌঁছেছিল। বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের খেলা সমাপ্তির পর তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ২৯ মে নিজ দেশে ভারতের বিরুদ্ধে খেলাকালীন সময় পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পরিচালনা করেন।[৫]

৪ মার্চ, ২০১২ তারিখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বা পিসিবি হোয়াটমোরকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়। তিনি অস্থায়ী কোচ মোহসীন খানের স্থলাভিষিক্ত হন। দুই বছর মেয়াদের জন্যে চুক্তিতে আবদ্ধ হন। তার প্রথম প্রচেষ্টাতেই সফলকাম হয় দলটি। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান দল।

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃক তাকে জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[৬] চুক্তি শেষ হবার ৯ মাস পূর্বেই তাকে এ দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়।[৭] তার পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকান মাখায়া এনটিনিকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Dav Whatmore Up close and personal"। ১১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১২ 
  2. "SPORTS SECTION."The Canberra Times। ৬ মার্চ ১৯৭৯। পৃষ্ঠা 1 Section: SPORTS SECTION। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  3. Cricinfo – Enamul ends the long wait
  4. Cricinfo – The toppling of the greatest giant of all
  5. Cricinfo – Whatmore quits as Bangladesh coach
  6. http://www1.skysports.com/cricket/news/12123/9622435/international-cricket-whatmore-appointed-zimbabwe-coach
  7. http://www.bbc.com/sport/cricket/36421693
  8. Zimbabwe sack Masakadza, Whatmore". ESPNcricinfo. 31 May 2016. Retrieved 31 May 2016.

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

পূর্বসূরী:
মহসীন কামাল
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ
২০০৩-২০০৭
উত্তরসূরী:
জেমি সিডন্স