জামিলুর রহমান শাখা
জামিলুর রহমান শাখা একজন বাংলাদেশী অভিনেতা। ১৯৬২ সালে মঞ্চনাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেন। মঞ্চ ছাড়াও তিনি টেলিভিশন ও বেতারের বিভিন্ন শ্রুতি নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বেশি পরিচিতি লাভ করেন। তার অভিনীত টেলিভিশন নাটকের সংখ্যা প্রায় দুইশত এবং চলচ্চিত্রের সংখ্যা ছয় শতাধিক।[১][২] বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ছাড়াও চিটাগং দারনিয়ের এস্কাল (অনু. শেষ গন্তব্য চট্টগ্রাম) শিরোনামে একটি ফ্রান্সের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[৩] বাংলা চলচ্চিত্রে তিনি মূলত পার্শ্বচরিত্রসমূহে অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয়।[১]
জামিলুর রহমান শাখা | |
---|---|
জন্ম | জামিলুর রহমান শাখা ১৭ মার্চ ১৯৪২ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশী |
মাতৃশিক্ষায়তন | নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৬২-বর্তমান |
পরিচিতির কারণ | চলচ্চিত্রে অভিনয় |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | কেয়ামত থেকে কেয়ামত, অন্তরে অন্তরে, জীবনঢুলী |
কর্মজীবন
সম্পাদনাজামিলুর রহমান শাখা ১৯৬২ সালে খসরু নোমানের পরিচালনায় ‘এই তো জীবন’ শিরোনামের মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেন। ১৯৬৬ সাল হতে তিনি টেলিভিশনের নাটকে অভিনয় শুরু করেন। অভিনয় জীবনে প্রায় দুইশ টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি বেতারের শ্রুতি নাটকেও কণ্ঠ দিয়েছেন।[২] পরিচালক সফদার আলী ভুঁইয়ার মাধ্যমে তার বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। সফদার আলীর নির্দেশনায় ১৯৭০ সালের চলচ্চিত্র ‘রাজমুকুট’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। বেশিরভাগ চলচ্চিত্রে পার্শ্বচরিত্র রূপদান করলেও ‘রাজধানী’ চলচ্চিত্রে তিনি খলনায়কের ভূমিকায় কাজ করেছেন।[৪] বাংলা চলচ্চিত্র ছাড়াও ২০০০ সালে তিনি ফ্রান্সের চলচ্চিত্র চিটাগং দারনিয়ের এস্কাল-এ অভিনয় করেছেন।[৩]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাজামিলুর রহমান শাখা ১৯৪২ সালের ১৭ মার্চে বৃটিশ ভারতের ঢাকায় (বর্তমান নবাবগঞ্জ উপজেলার আলগীচর গ্রামে) জন্মগ্রহণ করেন।[১] ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্রের জনক।[৪]
চলচ্চিত্র তালিকা
সম্পাদনাজামিলুর রহমান শাখা ছয় শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[২] তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ
- রাজমুকুট (১৯৭০)
- ক্রিমিনাল (১৯৯০)
- কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩)
- অন্তরে অন্তরে (১৯৯৪)
- সুজন সখি (১৯৯৪)
- স্নেহ (১৯৯৪)
- আঞ্জুমান (১৯৯৫)
- আশা ভালবাসা (১৯৯৫)
- জীবন সংসার (১৯৯৬)
- রুটি (১৯৯৬)
- সত্যের মৃত্যু নাই (১৯৯৬)
- প্রেম পিয়াসী (১৯৯৭)
- বুকের ভিতর আগুন (১৯৯৭)
- দেশের মাটি (১৯৯৮)
- খবর আছে (১৯৯৯)
- লাঠি (১৯৯৯)
- চিটাগং দারনিয়ের এস্কাল (২০০০)
- হাছন রাজা (২০০২)
- সাহসী মানুষ চাই (২০০৩)
- এক খন্ড জমি (২০০৪)
- খায়রুন সুন্দরী (২০০৪)
- মাতৃত্ব (২০০৪)
- মেঘের পরে মেঘ (২০০৪)
- শাস্তি (২০০৪)
- কাল সকালে (২০০৫)
- হাজার বছর ধরে (২০০৫)
- চার সতীনের ঘর (২০০৫)
- হৃদয়ের কথা (২০০৬)
- আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭)
- ডাক্তার বাড়ি (২০০৭)
- সাজঘর (২০০৭)
- চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮)
- পিতা মাতার আমানত (২০০৮)
- মনে প্রাণে আছ তুমি (২০০৮)
- এবাদত (২০০৯)
- চাঁদের মত বউ (২০০৯)
- পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০)
- ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না (২০১০)
- আদরের জামাই (২০১১)
- কুসুম কুসুম প্রেম (২০১১)
- একই বৃত্তে (২০১৩)
- নিঃস্বার্থ ভালোবাসা (২০১৩)
- ফুল এন্ড ফাইনাল (২০১৩)
- ৭১ এর মা জননী (২০১৪)
- জীবনঢুলী (২০১৪)
- ব্ল্যাকমেইল (২০১৫)
- ফরায়েজী আন্দোলন ১৮৪২ (২০১৯)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Veteran actor Jamilur Shakha"। দ্য নিউ নেশন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৬-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ "দুই অভিনয় শিল্পীর জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদান প্রধানমন্ত্রীর"। যমুনা টিভি। ২০১৯-০৬-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩০।
- ↑ ক খ "CHITTAGONG DERNIERE ESCALE (2000)"। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩০।
- ↑ ক খ ইমন, নাহিয়ান (২০২২-০১-১৩)। "ছয় শতাধিক সিনেমা করেও ঢাকায় বাস করার সামর্থ্য হয়নি এই অভিনেতার"। চ্যানেল আই অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৩।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বাংলা মুভি ডেটাবেজে জামিলুর রহমান শাখা
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জামিলুর রহমান শাখা (ইংরেজি)
- ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের তথ্যভান্ডারে জামিলুর রহমান শাখা