৭১ এর মা জননী

২০১৪ সালের বাংলাদেশী চলচ্চিত্র

৭১ এর মা জননী ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন শাহ আলম কিরণ[১] ছায়াছবিটি বাংলাদেশী লেখক আনিসুল হক রচিত জননী সাহসিনী ৭১ অবলম্বনে নির্মিত হয়। সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত এই ছায়াছবিটি পরিবেশনায় ছিল ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীরাঙ্গনাদের জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই ছায়াছবিতে। এতে বীরাঙ্গনা জননীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নিপুণ আক্তার। তার স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কণ্ঠশিল্পী খান আসিফ আগুন। এছাড়া অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চিত্রলেখা গুহ, ম ম মোর্শেদ, শাকিল আহমেদ, মিশু চৌধুরী, গুলশান আরা প্রমুখ।[২] ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ইউএস চলচ্চিত্র উৎসব-এ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়।[৩] ২০১৫ সালের ১৭ মে ছায়াছবিটি কানাডায় অনুষ্ঠিত টরেন্টো চলচ্চিত্র উৎসব'-এ প্রদর্শিত হয়।[৪] চিত্রলেখা গুহ এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পারশ্বচরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার অর্জন করেন।[৫]

৭১ এর মা জননী
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকশাহ আলম কিরণ
প্রযোজকফরিদুর রেজা সাগর (নির্বাহী প্রযোজক)
ইবনে হাসান খান (নির্বাহী প্রযোজক)
চিত্রনাট্যকারশাহ আলম কিরণ
কাহিনিকারআনিসুল হক
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারসুজেয় শ্যাম
ইমন সাহা (আবহ সঙ্গীত)
চিত্রগ্রাহকমাহফুজুর রহমান খান
সম্পাদকমুজিবুর রহমান দুলু
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকইমপ্রেস টেলিফিল্ম
মুক্তি২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা

কাহিনি সংক্ষেপ সম্পাদনা

জমিলা এক গৃহবধু। তার স্বামী হাশেম শহরে চাকরি করে। অন্ধ শাশুড়ি আর এক ছেলেকে নিয়ে সে গ্রামেই থাকে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানে ভাষণের পর শহরে আন্দোলন শুরু হয়। হাশেম গ্রামে ফিরে আসে। সে গ্রামের লোকজনকে একত্রিত করে যুদ্ধের জন্য। অপরদিকে গ্রামে পাকবাহিনী আসলে রাজাকার কাদের আলী জমিলাকে মেজর সরফরাজের হাতে তুলে দেয়। এক সময় সে ক্যাম্পের অন্যান্য মেয়েদের নিয়ে রুখে দাড়ায় পাক সেনাদের বিরুদ্ধে।

শ্রেষ্ঠাংশে সম্পাদনা

নির্মাণ নেপথ্য সম্পাদনা

৭১ এর মা জননী ছায়াছবিটির শ্যুটিং শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে ছবিটির শ্যুটিং ও সম্পাদনা শেষ হয় এবং সেন্সর ছাড়পত্রের জন্য জমা দেওয়া হয়।[৭]

মুক্তি সম্পাদনা

৭১ এর মা জননী ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের একটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২০ মার্চ দ্বিতীয় বার মুক্তি দেওয়া হয়।[৮] ছায়াছবিটি ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ তৃতীয় দফায় ঢাকার বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লাকবাস্টার সিনেমাসে মুক্তি দেওয়া হয়।[৯]

সঙ্গীত সম্পাদনা

৭১ এর মা জননী ছায়াছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সুজেয় শ্যাম এবং আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা। গীত রচনা করেছেন মুনশী ওয়াদুদ। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর ও আফসানা রুনা।[১০]

গানের তালিকা সম্পাদনা

নং.শিরোনামগীতিকারসুরকারকণ্ঠশিল্পীদৈর্ঘ্য
১."একটি স্বাধীন দেশ"মুনশী ওয়াদুদসুজেয় শ্যামএন্ড্রু কিশোর 
২."৭১-এর মা জননী তুমি"মুনশী ওয়াদুদসুজেয় শ্যামএন্ড্রু কিশোর 

পুরস্কার সম্পাদনা

৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "'৭১-এর মা জননী' মুক্তি পাচ্ছে ২০ মার্চ"দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. মাজহার বাবু (১৬ মার্চ ২০১৫)। "মার্চে মুক্তি পাচ্ছে না '৭১-এর মা জননী'"এনটিভি অনলাইন। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  3. রংবেরং প্রতিবেদক (২৫ নভেম্বর ২০১৪)। "ইউএস চলচ্চিত্র উৎসবে '৭১-এর মা জননী'"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  4. "টরেন্টোয় নিপুণের চলচ্চিত্র"বাংলা মুভি ডেটাবেজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। মে ১৬, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  5. "'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪' প্রদান আজ"বাংলা ট্রিবিউন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১১ মে ২০১৬। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  6. "জামিলুর রহমান ও জ্যাকী আলমগীরকে ২০ লাখ টাকা অনুদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী"www.amadershomoy.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "১৯ ডিসেম্বর পর্দায় '৭১-এর মা জননী'"দৈনিক যায় যায় দিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২২ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  8. "আবারো মুক্তি পাচ্ছে ৭১-এর মা জননী"জাগো নিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৯ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  9. "চলছে নিপুণের 'একাত্তরের মা জননী'"ভোরের পাতা। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২৬ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. মাদিহা মাহনূর (১১ ডিসেম্বর ২০১৪)। "আসছে ৭১-এর মা জননী"দৈনিক ইত্তেফাক। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা