পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০-এর চলচ্চিত্র)

২০১০ সালের বাংলাদেশি চলচ্চিত্র

পরাণ যায় জ্বলিয়া রে হচ্ছে ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী প্রণয়ধর্মী-নাট্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন সোহানুর রহমান সোহান[১] ও বন্ধন বাণীচিত্রের ব্যানারে প্রযোজনা করেছেন শরিফুল ইসলাম। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশী সুপারস্টার শাকিব খান,[২] পূর্ণিমা,[৩] রুমানা খান, এটিএম শামসুজ্জামানমিশা সওদাগর। এবং এটি বক্স অফিসে সুপার হিট হয়।

পরাণ যায় জ্বলিয়া রে
পরাণ যায় জ্বলিয়া রে চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকসোহানুর রহমান সোহান
প্রযোজকশফিকুল ইসলাম
রচয়িতা
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারইমন সাহা
চিত্রগ্রাহকআসাদুজ্জামান মজনু
সম্পাদকএকরামুল হক
পরিবেশকবন্ধন বাণীচিত্র
মুক্তি
  • ১৭ নভেম্বর ২০১০ (2010-11-17)
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
নির্মাণব্যয়৳ ৯ মিলিয়ন
আয়৳ ১৪ মিলিয়ন

কাহিনি সংক্ষেপ সম্পাদনা

রাবিন খান (শাকিব খান), এই শহরের সবচেয়ে বড়লোক খান আবদুল গাফফার খানের (এটিএম শামসুজ্জামান) একমাত্র নাতি, যিনি বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে মেয়েদের সঙ্গে প্রেম করেন। এভাবে একদিন তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে হাসি'র (নদী) সঙ্গে প্রেম করেন। হাসি রাবিন খানকে তার ভালবাসার কথা বলতে আসলে রাবিন খান তাকে ভালবাসেন না বলে ফিরিয়ে দেন। হাসি সমাজের মানুষদের নানান কথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা পথ বেঁচে নেন। খুশি (হাসি'র বোন) (পূর্ণিমা) ও তার বান্ধবীরা একদিন পার্কে বেড়াতে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের হয়রানি করলে রাবিন খান তাদের উদ্ধার করেন, সেই দেখাতেই তিনি খুশি'র প্রেমে পড়ে যান। এভাবে বিভিন্ন সময় রাবিন খুশিকে তার ভালবাসার কথা বুঝাতে চেয়েছে কিন্তু খুশি রাবিনকে তার বোনের হত্যাকারী ভেবে তার ভালবাসাকে প্রত্যাখ্যান করে। এরমধ্যে জুলি (রুমানা খান) রাবিন খানের প্রেমে পড়ে যান, যিনি এই শহরের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হিটলারের (মিশা সওদাগর) একমাত্র বোন। কিন্তু রাবিন খান খুশিকে ভালবাসেন, তাই তিনি জুলির ভালবাসাকে প্রত্যাখ্যান করেন। জুলি যেকোন কিছুর বিনিময়ে রাবিনকে পেতে চান। এদিকে রাবিন খুশি'র ভালবাসা না পেয়ে অসুস্থ হয়ে যান, অসুস্থতা থেকে সেড়ে তিনি খুশির বাসায় যান। তিনি খুশির হাত ধরে টানাটানির একপর্যায়ে পাড়ার কিছু উশৃংখল ছেলে রাবিনকে মারতে থাকে। খুশি সেখান থেকে ঘরে চলে যায়, তার মা (রেহানা জলি) তাকে বুঝিয়ে বলেন, যে তার বোনের হত্যাকারী রাবিন নয়। হাসি রাবিনের থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সমাজের মানুষদের নানান কথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন। একথা বুঝতে পেরে খুশি রাবিনের ভালবাসা গ্রহণ করে।

অভিনয় সম্পাদনা

  • শাকিব খান - রবিন খান, শহরের সবচেয়ে বড়লোক খান আবদুল গাফফার খানের একমাত্র নাতি
  • পূর্ণিমা - খুশি, রাবিন খানের ভালবাসা আকর্ষণ, খুশি'র বড় বোন
  • রুমানা খান - জোলি, শহরে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হিটলারের একমাত্র বোন
  • নদী - হাসি, খুশি'র বোন, রাবিন খান তার ভালবাসা প্রত্যাখ্যান করে
  • এটিএম শামসুজ্জামান - খান আবদুল গাফফার খান, শহরের সবচেয়ে বড়লোক ব্যক্তি, রাবিন খানের দাদা
  • রেহানা জলি - হাসি ও খুশীর মা
  • আফজাল শরীফ - চাঁন, রাবিন খানের অফিস সহকারী ও বন্ধু
  • মিশা সওদাগর - হিটলার, শহরের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী
  • ডন - হিটলারের ভাই
  • নাগমা - হিটলারের গ্যাং
  • রাশেদা চৌধুরী
  • সিরাজ হায়দার - পুলিশ কর্মকর্তা
  • ডি.জে সোহেল - হিটলারের ভাই
  • জামিলুর রহমান শাখা
  • দুলাল সরকার
  • অলকা সরকার
  • রাজু সরকার

সংগীত সম্পাদনা

চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা, এবং ভারতীয় সংগীতশিল্পী শান এটির শিরোনাম গানসহ দুটি গান গেয়েছেন। একটি পরাণ যায় জ্বলিয়া রে ও অন্যটি তুমি আছো বলে আমি আছি।

গানের তালিকা
নং.শিরোনামঅভিনয় শিল্পী(রা)দৈর্ঘ্য
১."পরাণ যায় জ্বলিয়া রে[৪]"শাকিব খানপূর্ণিমা 
২."খুব চেনা চেনা[৫]"শাকিব খান 
৩."ইচ্ছে বড় ইচ্ছে[৬]"শাকিব খান ও পূর্ণিমা 
৪."এক মুঠো পৃথিবীতে[৭]"শাকিব খানরুমানা খান 
৫."তুমি আছো বলে আমি আছি[৮]"শাকিব খান ও নদী 
৬."প্যারোডি" (রিমিক্স[৯])  

পুরস্কার ও মনোনয়ন সম্পাদনা

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার সম্পাদনা

পূর্ণিমাশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারমনোনীত

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

বাংলা মুভি ডেটাবেজে পরাণ যায় জ্বলিয়া রে