পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০-এর চলচ্চিত্র)
পরাণ যায় জ্বলিয়া রে হচ্ছে ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন সোহানুর রহমান সোহান[২] ও বন্ধন বাণীচিত্রের ব্যানারে প্রযোজনা করেছেন শরিফুল ইসলাম। এটির কাহিনী লিখেছেন অনন্য মামুন, চিত্রনাট্য করেছেন সোহানুর রহমান সোহান নিজেই এবং সংলাপ লিখেছেন বিখ্যাত পরিচালক ছটকু আহমেদ। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশী সুপারস্টার শাকিব খান,[৩] পূর্ণিমা,[৪] রুমানা খান, এটিএম শামসুজ্জামান ও মিশা সওদাগর। এটি বক্স অফিসে ব্যবসায়িকভাবে সফলতা অর্জন করে এবং সুপারহিট হয়।[৫][৬]
পরাণ যায় জ্বলিয়া রে | |
---|---|
পরিচালক | সোহানুর রহমান সোহান |
প্রযোজক | শফিকুল ইসলাম |
রচয়িতা | |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | ইমন সাহা |
চিত্রগ্রাহক | আসাদুজ্জামান মজনু |
সম্পাদক | একরামুল হক |
পরিবেশক | বন্ধন বাণীচিত্র |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪১ (ইউটিউব সংস্করণ)[১] |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
কাহিনি সংক্ষেপ
সম্পাদনারাবিন খান (শাকিব খান), এই শহরের সবচেয়ে বড়লোক খান আবদুল গাফফার খানের (এটিএম শামসুজ্জামান) একমাত্র নাতি, যিনি বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে মেয়েদের সঙ্গে প্রেম করেন। এভাবে একদিন তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে হাসি'র (নদী) সঙ্গে প্রেম করেন। হাসি রাবিন খানকে তার ভালবাসার কথা বলতে আসলে রাবিন খান তাকে ভালবাসেন না বলে ফিরিয়ে দেন। হাসি সমাজের মানুষদের নানান কথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা পথ বেঁচে নেন। খুশি (হাসি'র বোন) (পূর্ণিমা) ও তার বান্ধবীরা একদিন পার্কে বেড়াতে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের হয়রানি করলে রাবিন খান তাদের উদ্ধার করেন, সেই দেখাতেই তিনি খুশি'র প্রেমে পড়ে যান। এভাবে বিভিন্ন সময় রাবিন খুশিকে তার ভালবাসার কথা বুঝাতে চেয়েছে কিন্তু খুশি রাবিনকে তার বোনের হত্যাকারী ভেবে তার ভালবাসাকে প্রত্যাখ্যান করে। এরমধ্যে জুলি (রুমানা খান) রাবিন খানের প্রেমে পড়ে যান, যিনি এই শহরের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হিটলারের (মিশা সওদাগর) একমাত্র বোন। কিন্তু রাবিন খান খুশিকে ভালবাসেন, তাই তিনি জুলির ভালবাসাকে প্রত্যাখ্যান করেন। জুলি যেকোন কিছুর বিনিময়ে রাবিনকে পেতে চান। এদিকে রাবিন খুশি'র ভালবাসা না পেয়ে অসুস্থ হয়ে যান, অসুস্থতা থেকে সেড়ে তিনি খুশির বাসায় যান। তিনি খুশির হাত ধরে টানাটানির একপর্যায়ে পাড়ার কিছু উশৃংখল ছেলে রাবিনকে মারতে থাকে। খুশি সেখান থেকে ঘরে চলে যায়, তার মা (রেহানা জলি) তাকে বুঝিয়ে বলেন, যে তার বোনের হত্যাকারী রাবিন নয়। হাসি রাবিনের থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সমাজের মানুষদের নানান কথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন। একথা বুঝতে পেরে খুশি রাবিনের ভালবাসা গ্রহণ করে।
অভিনয়
সম্পাদনা- শাকিব খান - রবিন খান, শহরের সবচেয়ে বড়লোক খান আবদুল গাফফার খানের একমাত্র নাতি
- পূর্ণিমা - খুশি, রাবিন খানের ভালবাসা আকর্ষণ, খুশি'র বড় বোন
- রুমানা খান - জোলি, শহরে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হিটলারের একমাত্র বোন
- নাসিমা আক্তার নদী - হাসি, খুশি'র বোন, রাবিন খান তার ভালবাসা প্রত্যাখ্যান করে
- এটিএম শামসুজ্জামান - খান আবদুল গাফফার খান, শহরের সবচেয়ে বড়লোক ব্যক্তি, রাবিন খানের দাদা
- রেহানা জলি - হাসি ও খুশীর মা
- আফজাল শরীফ - চাঁন, রাবিন খানের অফিস সহকারী ও বন্ধু
- মিশা সওদাগর - হিটলার, শহরের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী
- ডন - হিটলারের ভাই
- নাগমা - হিটলারের গ্যাং
- রাশেদা চৌধুরী
- সিরাজ হায়দার - পুলিশ কর্মকর্তা
- ডি.জে সোহেল - হিটলারের ভাই
- জামিলুর রহমান শাখা
সংগীত
সম্পাদনাপরাণ যায় জ্বলিয়া রে | ||||
---|---|---|---|---|
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ২০১০ | |||
শব্দধারণের সময় | ২০১০ | |||
স্টুডিও | বন্ধন কথাচিত্র | |||
ঘরানা | চলচ্চিত্র সঙ্গীত | |||
ভাষা | বাংলা | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | অনুপম রেকর্ডিং মিডিয়া | |||
প্রযোজক | শওকত আলী ইমন | |||
শওকত আলী ইমন কালক্রম | ||||
| ||||
পরাণ যায় জ্বলিয়া রে থেকে একক গান |
চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছেন শওকত আলী ইমন। এছাড়াও গানের সুর রচনা করেছেন তিনি নিজেই, সঙ্গে গীত রচনা করেছেন কবির বকুল এবং ভারতীয় সংগীতশিল্পী শান এটির শিরোনাম গানসহ দুটি গান গেয়েছেন। একটি পরাণ যায় জ্বলিয়া রে ও অন্যটি তুমি আছো বলে আমি আছি।[৭]
সকল গানের গীতিকার কবির বকুল।
গানের তালিকায়ন | |||
---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | সংঙ্গীতশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "আমার পরাণ যায় জ্বলিয়া রে[৮]" | সায়মন, মিমি নাজনীন | ৫:১০ |
২. | "খুব চেনা চেনা[৯]" | রূপম | ৩.৪৬ |
৩. | "ইচ্ছে বড় ইচ্ছে[১০]" | এস আই টুটুল, ডলি সায়ন্তনী | ৪.০২ |
৪. | "এক মুঠো পৃথিবীতে[১১]" | এস আই টুটুল, সামিনা চৌধুরী | ৪.১১ |
৫. | "তুমি আছো বলে আমি আছি[১২]" | শান, মনিষা | ৩:৩১ |
৬. | "ওরে পাঞ্জাবিওয়ালা[১৩]" | মনির খান, রিজিয়া পারভীন | ৫:০১ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ২৭:৫৪ |
পুরস্কার ও মনোনয়ন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Poran Jay Joliya Re movie"। YouTube।
- ↑ "কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির নির্মাতার জন্মদিন আজ"। Jagonews24। ১৫ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ অনলাইন, চ্যানেল আই (২০১৯-০৭-১১)। "অমাবস্যার পূর্ণিমা!"। চ্যানেল আই অনলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-৩০।
- ↑ কামরুজ্জামান (৩০ ডিসেম্বর ২০১০)। "ঢালিউড - ২০১০"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৭-০৫-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "হতাশার আরও এক বছর"। দৈনিক আমার দেশ। ১২ জানুয়ারি ২০১১। ২৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Poran Jay Joliya Rre Video Jukebox on Anupam Recording Media"। YouTube।
- ↑ ইউটিউবে আমার পরাণ যায় জ্বলিয়া রে
- ↑ ইউটিউবে খুব চেনা চেনা
- ↑ ইউটিউবে ইচ্ছে বড় ইচ্ছে
- ↑ ইউটিউবে এক মুঠো পৃথিবীতে
- ↑ ইউটিউবে তুমি আছো বলে আমি আছি
- ↑ ইউটিউবে ওরে পাঞ্জাবিওয়ালা
- ↑ "মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১০"। Prothom Alo। ২০১৪-০৪-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-৩০।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বাংলা মুভি ডেটাবেজে পরাণ যায় জ্বলিয়া রে
- রটেন টম্যাটোসে পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (ইংরেজি)
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |