স্নেহ (চলচ্চিত্র)
স্নেহ ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।[১] কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সালমান শাহ, মৌসুমী, শাবানা, আলমগীর, হুমায়ুন ফরীদি প্রমুখ।[২]
স্নেহ | |
---|---|
পরিচালক | গাজী মাজহারুল আনোয়ার |
চিত্রনাট্যকার | গাজী মাজহারুল আনোয়ার |
কাহিনিকার | গাজী মাজহারুল আনোয়ার |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | আলী হোসেন |
চিত্রগ্রাহক | আবুল খায়ের |
সম্পাদক | আমজাদ হোসেন |
পরিবেশক | আজাদ পিকচারস |
মুক্তি | ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪ |
স্থিতিকাল | ১৪২ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনাএলিজা ডাক্তার সমীরকে পছন্দ করে। কিন্তু সমীর ধনীর মেয়ে এলিজাকে পছন্দ করে না। এলিজা সমীরকে তার বাড়ি নিয়ে যায় কিন্তু পালিয়ে আসে। ক্ষুদ্ধ এলিজা তাকে দেখে নেবে বলে শাসায়। অন্যদিকে স্কোয়াশ খেলতে গিয়ে পা ভেঙ্গে ডাক্তার সমীরের হাসপাতালে আসে ইলা। কেবিনে ডিউটির দায়িত্ব পায় সমীর। ইতিমধ্যে ইলার দাদা হাসান রিজভী হাসপাতালে আসে এবং সে জানতে চায় কে তার পায়ের হাড় জোড়া লাগিয়েছে। কোনো বিদেশী ডিগ্রী না থাকায় হাসান রিজভী সমীরকে অপমান করেন। হাসান রিজভী ডাক্তার আখন্দের কাছে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান পায়ের হাড় খুব ভালো মত সেট হয়েছে। ইলা তার বাড়ির ভৃত্য ঠাণ্ডাকে দিয়ে সমীরকে ডেকে পাঠায়। কিন্তু সমীর সেখানে যেতে নারাজ হয়। ইলা তার বান্ধবীর পরামর্শে সমীরকে উকিল নোটিশ পাঠায়। সমীর উকিল নোটিশ পেয়ে ইলার বাড়িতে আসে। ইলার নকল উকিল নোটিশের ব্যাপারটা বুঝতে পেরে চলে যায়। ইলা সমীরকে বিয়ে করে বাড়ি আসলে হাসান রিজভী উত্তেজিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। মরার আগে তিনি সব সম্পত্তি এতিমখানার নামে লিখে দিয়ে যান।
সমীর ও ইলার ঘরে একটি সন্তান জন্ম নেয়। যার নাম রাখা হয় ইমন। ইমন তাদের খুব আদরের সন্তান। হঠাৎ একদিন ইলা সমীরের সাথে এলিজার কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ফটো দেখে ফেলে। সেই রাতে এলিজা তার ছেলের অসুস্থতার জন্য সমীরকে ফোন দিলে ইলা সমীরকে ডেকে দেয়নি। পরেরদিন সমীর খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারে এলিজার সন্তান মারা গেছে এবং রাতে তাকে ফোন দিয়ে পাওয়া যায় নি। সমীর বাড়ি এসে সেই কৈফিয়ত চাইলে ইলা রাগ করে তার ছেলে ইমন ও ঠাণ্ডাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সমীরও রাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যায়। ইতিমধ্যে ইমন বড় হয় এবং কলেজে ভর্তি হয়। সেখানে সে তিথির সাথে পরিচিত হয় এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিথি হলো এলিজা এবং নাসির দম্পতির একমাত্র মেয়। কিন্তু ইলা এবং এলিজা কেউই ইমন আর তিথির প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয় না। এমনকি তিথির বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে ইলাকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এলিজা। এতে ক্ষুদ্ধ ইমন তিথিদের বাড়ি গেলে একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
অভিনয়শিল্পী
সম্পাদনা- সালমান শাহ - ইমন
- মৌসুমী - তিথি
- শাবানা - ইলা
- আলমগীর - সমীর
- হুমায়ুন ফরীদি - ঠাণ্ডা
- রিনা খান - এলিজা
- নাসির খান - নাসির খান
- বাবর - বাবর
- আমির সিরাজী - উকিল
- ববি - ববি
- জামিলুর রহমান শাখা - জজ
- জহিরুল হক - ডঃ আখন্দ
সঙ্গীত
সম্পাদনাছায়াছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলী হোসেন। গীত রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, খালিদ হাসান মিলু, খুরশিদ আলম ও সুবীর নন্দী।
গানের তালিকা
সম্পাদনানং. | শিরোনাম | গীতিকার | সুরকার | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|---|
১. | "চলে যেও না" | গাজী মাজহারুল আনোয়ার | আলী হোসেন | সাবিনা ইয়াসমিন | |
২. | "মামা ও মামা" | গাজী মাজহারুল আনোয়ার | আলী হোসেন | খুরশিদ আলম ও সুবীর নন্দী | ৪:৩৮ |
৩. | "ভালোবাসার মূল্য কেন জানতে চাও" | গাজী মাজহারুল আনোয়ার | আলী হোসেন | খালিদ হাসান মিলু | |
৪. | "চিঠি লিখলাম" | গাজী মাজহারুল আনোয়ার | আলী হোসেন | খালিদ হাসান মিলু | |
৫. | "তুমি আমার জীবনে এক স্বপ্ন" | গাজী মাজহারুল আনোয়ার | আলী হোসেন | ৪:২৯ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সালমান শাহ সপ্তাহ"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ মারুফ খান (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "এটিএন বাংলায় সালমান শাহ সপ্তাহ"। রাইজিংবিডি। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে স্নেহ (ইংরেজি)
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে স্নেহ