কুরু রাজ্য
কুরু সাম্রাজ্য (সংস্কৃত: कुरु) বৈদিক ইন্দো-আর্য উপজাতীয় রাষ্ট্র যা আধুনিক যুগের দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশের কিছু অংশকে নিয়ে মধ্য-বৈদিক যুগে (১২০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ থেকে ৯০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ সময়কাল) গঠিত হয়েছিল।[১][২] তথ্যানুযায়ী, এটিই ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নথিভুক্ত রাষ্ট্র-স্তরের সমাজ হিসাবে বিকশিত হয়েছিল।
কুরু সাম্রাজ্য | |
---|---|
রাজধানী | অসন্দিবাধ, পরবরতীকালেহস্তিনাপুর এবংইন্দ্রপ্রস্থ |
সরকার | রাজতন্ত্র |
কুরু রাজবংশ সচেতনভাবে দৃঢ় সিদ্ধান্তের সাথে তাদের বৈদিক আমলের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে পরিবর্তিত করে, তাদের আচারের স্তবকে বেদ নামে সংকলনে সাজিয়ে তোলে এবং নতুন আচারের বিকাশ ঘটায় যা ভারতীয় সভ্যতায় শ্রৌত আচার হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এই সংমিশ্রণটি তথাকথিত "শাস্ত্রীয় সংশ্লেষণে" বা "হিন্দু সংশ্লেষে" বিশেষ অবদান রাখে। পরীক্ষিৎ এবং জনমেজয়ের রাজত্বকালে মধ্য বৈদিক যুগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল কুরু সাম্রাজ্য, তবে বৈদিক যুগের শেষ দিকে (আনুমানিক ৯০০ থেকে ৫০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে) কুরু রাজ্যের গুরুত্ব হ্রাস পেয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে ষোড়শ মহাজনপদ আমলে কুরুরাজ্য একেবারেই পিছনের সারিতে চলে যায়। তবে, কুরু বংশ সম্পর্কে ঐতিহ্য এবং কিংবদন্তিগুলি উত্তর-বৈদিক যুগেও অব্যাহত ছিল,যা মহাভারত মহাকাব্যটির ভিত্তি গঠন করেছিল।[৩]
কুরু সাম্রাজ্য সম্বন্ধে তথ্য অনুসন্ধানের প্রধান উৎসগুলো হল সমসাময়িক প্রাচীন ধর্মীয় গ্রন্থগুলি, যেখানে তদানীন্তন ঐতিহাসিক ব্যক্তি, ঘটনাবলী এবং সাধারণ জীবনের বিবরণ লিপিবদ্ধ রয়েছে। কুরু সাম্রাজ্যের সময়সীমা এবং ভৌগোলিক পরিধি (বৈদিক সাহিত্যের সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ব দ্বারা নির্ধারিত) থেকে এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক পেইন্টেড গ্রে ওয়্যার সংস্কৃতির সাথে সমসাময়িক বলে মনে করা হয়।
ইতিহাস
সম্পাদনামধ্য বৈদিক যুগে, তদানীন্তন পরুষ্ণী (আধুনিক ইরাবতী) নদীর তীরে দশ রাজার যুদ্ধের পরে, ভরত এবং অন্যান্য পুুরু বংশের মধ্যে জোটবদ্ধকরণ এবং একীকরণের ফলে কুরু রাজবংশ (১২০০ থেকে ৯০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ) গড়ে ওঠে বলে মনে করা হয়। কুরুক্ষেত্র অঞ্চলে তাদের ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের সাথে সাথে, কুরুরা বৈদিক যুগের প্রথম শক্তিশালী রাজনৈতিক কেন্দ্র গঠন করেছিল যা প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ৮০০ বছর অবধি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে প্রভাবশালী ছিল। প্রথম কুরু রাজধানী ছিল আধুনিক হরিয়ানার আসন্ধের কাছে, আসন্দিভাতে। পরবর্তী সাহিত্যে ইন্দ্রপ্রস্থ (আধুনিক দিল্লি) এবং হস্তিনাপুরকে প্রধান কুরু শহর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঋগ্বেদের পরবর্তী সময়কালের বৈদিক সাহিত্যে কুরুরাজ্যের বিশেষ উল্লেখ রয়েছে। এখানে কুরু বংশজাতদের মূলত গঙ্গা-যমুনা দোয়াব এবং আধুনিক হরিয়ানার শাসক এবং প্রারম্ভিক ইন্দো-আর্যদের একটি শাখা হিসাবে দেখানো হয়েছে। পরবর্তী বৈদিক যুগের সাহিত্যের কেন্দ্রবিন্দুটি ধীরে ধীরে পাঞ্জাবের বাইরে হরিয়ানা ও দোয়াব অঞ্চলের সংস্কৃতি এবং কুরুবংশ কেন্দ্রিক হয়ে পড়ে।
হরিয়ানা এবং দোয়াব অঞ্চলে পেইন্টেড গ্রে ওয়্যার (পিজিডাব্লু) বসতির ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং আকারের সাথে এই প্রবণতা মিলে যায়। আধুনিক কুরুক্ষেত্র জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলি খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ থেকে ৬০০ বছর অবধি সময়সীমার জন্য জটিল (যদিও সম্পূর্ণ নগরায়িত নয়) ত্রি-তলবিশিষ্ট ভবনের শ্রেণিবিন্যাস প্রকাশ করেছে; যদিও গাঙেয় উপত্যকার বাকি অংশে প্রধানত দ্বিতল ভবনের বিন্যাস পরিলক্ষিত হত। যদিও বেশিরভাগ পিজিডাব্লু সাইটগুলি ছোট কৃষিপ্রধান গ্রাম ছিল, বেশ কয়েকটি পিজিডাব্লু সাইট অপেক্ষাকৃত বড় জনবসতি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল যা শহর হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে। প্রত্নতাত্বিক প্রমানানুসারে, সবচেয়ে বড় ভবনের গঠন ছিল কাঠের পলিসেড দিয়ে গাদা মাটি দিয়ে তৈরি বাঁধ দ্বারা শক্তিশালী করা। মূলত ৬০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দের পরে, অধিক নগরায়িত এবং জটিল স্থাপনাগুলোর প্রমাণ পাওয়া যায়। [৪]
অ-বৈদিক সালভা (বা সালভী) উপজাতির দ্বারা পরাজিত হওয়ার পরে কুরুবংশের পতন শুরু হয়েছিল এবং বৈদিক সংস্কৃতির কেন্দ্রটি প্রধানত পূর্ব দিকে উত্তর প্রদেশের পাঞ্চাল অংশে স্থানান্তরিত হয়েছিল (পাঞ্চালের রাজা কেশিন দালভ্য প্রয়াত কুরুরাজের ভাইপো ছিলেন)। উত্তর-বৈদিক সংস্কৃত সাহিত্যের মতে, হস্তিনাপুর বন্যায় এবং কুরু পরিবারেই পারিবারিক বিরোধের কারণে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরে,[৫][৬] কুরুরাজ্যের রাজধানী নিম্ন দোয়াবের কৌশাম্বিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। বৈদিক পরবর্তী সময়ে (খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে) কুরু রাজবংশ কুরু এবং বতস জনপদে বিবর্তিত হয় এবং যথাক্রমে উচ্চ দোয়াব / দিল্লি / হরিয়ানা এবং নিম্ন দোয়াব অঞ্চল শাসন করতে থাকে।[৮] কুরু রাজবংশের বতস শাখাটি পরে কৌশাম্বি এবং মথুরায় শাখায় বিভক্ত হয়েছিল।[৯]
সমাজ
সম্পাদনাযে উপজাতিগুলি কুরু রাজ্য বা 'কুরু প্রদেশ' এ বসতি স্থাপন করেছিল, তারা মূলত আধা যাযাবর, প্রকৃতিপূজক উপজাতি ছিল। তবে ধীরে ধীরে যখন গঙ্গার পশ্চিম সমভূমিতে বসতি স্থানান্তরিত হতে থাকল, তখন কৃষিকার্য, বিশেষ করে ধান এবং যবের চাষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই সময়ের বৈদিক সাহিত্য উদ্বৃত্ত উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিশেষী কারিগর এবং শিল্পীদের উত্থানের ইঙ্গিত দেয়। এই যুগের একটি গ্রন্থ অথর্ববেদে প্রথমে লোহাকে আয়াম আয়াস (আক্ষরিকভাবে "কালো ধাতু") হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ ছিল চতুর্বর্ণ (শ্রেণি) ব্যবস্থা, যা ঋগবৈদিক কালের আর্য ও দাসে- দ্বিবিধ শ্রেণী ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে প্রতিস্থাপন করেছিল।
কুরু রাজারা যাজক (পুরোহিত), গ্রামের প্রধান, সেনাবাহিনী প্রধান, খাদ্য বিতরণকারী, দূত, হেরাল্ড এবং গুপ্তচরবৃন্দসহ প্রাথমিক প্রশাসনের সহায়তায় শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করতেন। তারা তাদের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে, বিশেষত পূর্ব এবং দক্ষিণে ঘন ঘন অভিযান পরিচালনা করেছিল। শাসন ব্যবস্থায় সহায়তার জন্য, রাজা এবং তাদের ব্রাহ্মণ পুরোহিতেরা বৈদিক স্তবকে সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং সামাজিক ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য এবং শ্রেণিবৃত্তিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি নতুন রীতিনীতি (বর্তমানে শ্রৌত রীতিনীতি) গড়ে তোলে। উচ্চ পদস্থ উচ্চবিত্তরা খুব বিস্তৃত ত্যাগ স্বীকার করতে পারত এবং অনেক আচার-অনুষ্ঠান প্রাথমিকভাবে তাঁর লোকদের উপরে রাজার মর্যাদাকে উচ্চতর করে তুলেছিল। অশ্বমেধ যজ্ঞ একজন শক্তিশালী রাজার আধিপত্য দৃঢ় করার একটি উপায় ছিল।[৩]
মহাকাব্য সাহিত্যে কুরু বংশের উল্লেখ
সম্পাদনামহাভারত মহাকাব্যটিতে সম্ভবত ১০০০ খ্রিস্টপূর্বের কুরু গোত্রের দুটি শাখার মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা বলা হয়েছে। তবে বর্ণিত নির্দিষ্ট ঘটনার কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে কিনা তা নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।মহাভারতের বিদ্যমান ভাষ্য বহু বিকাশের স্তর পেরিয়েপেরিয়ে মূলত ৪০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ থেকে ৪০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যেকার কুরু বংশীয় কাহিনী বর্ণনা করে।[১০] ঐতিহাসিক সম্রাট পরীক্ষিত এবং জনমেজয়ের উল্লেখযোগ্য চিহ্ন আছে। [৩]
ঋগ্বৈদিক-যুগের রাজা সুদাসের বংশধর হিসাবে যজুর্বেদ (খ্রিস্টপূর্ব ১২০০-৯০০) এর কথক সংহিতায় ধৃতরাষ্ট্র বৈচিত্রবির্য নামে এক ঐতিহাসিক কুরু সম্রাটের উল্লেখ আছে। ব্রাত্য তপস্বীদের সাথে বিরোধের ফলে তাঁর গবাদি পশুদের ধ্বংস করা হয়েছিল বলে জানা গেছে; যাইহোক, এই বৈদিক উল্লেখটি মহাভারতের তাঁর রাজত্বের বিবরণীর যথার্থতার জন্য সংযুক্তি দেয় না[১১][১২]
মহাভারত অনুযায়ী কুরুবংশের বংশতালিকা
সম্পাদনা
|
চিহ্নের অর্থ
সম্পাদনানোট
সম্পাদনা- ক: শান্তনু কুরু রাজবংশ বা রাজ্যের একজন রাজা ছিলেন। সত্যবতীর সাথে তাঁর বিবাহের আগে গঙ্গার সাথে বিবাহ হয়েছিল।
- খ: ধৃতরাষ্ট্র এবং পাণ্ডু বিচিত্রবীর্যের মৃত্যুর পরে ব্যাসদেবের নিয়োগের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ধৃতরাষ্ট্র, পাণ্ডু এবং বিদুর যথাক্রমে অম্বিকা, অম্বালিকা এবং এক দাসীর গর্ভে বিচিত্রবীর্যের পুত্র।
- গ: পাণ্ডুর সাথে তাঁর বিয়ের আগে কুন্তী সূর্যকে আহ্বানের মাধ্যমে কর্ণের জন্ম দেন।
- ঘ: যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল এবং সহদেব পাণ্ডুর পুত্র হিসাবে স্বীকৃত ছিলেন কিন্তু তাদের জন্ম কুন্তীর গর্ভে এবং বিভিন্ন দেবতা যথা ধর্ম, বায়ু, ইন্দ্র ও অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের ঔরসে। তারা সকলেই দ্রৌপদীকে (বংশলতিকায় দেখানো হয়নি) বিয়ে করেছিলেন এবং দ্রৌপদীর পাঁচ পুত্র ছিল। তাদের উপপান্ডব বলা হয়ে থাকে।
- ঙ: দুর্যোধন ও তাঁর ভাইয়েরা একই সাথে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাদের কৌরব বলা হয় এবং তারা পাণ্ডবদের জ্যেঠতুতো ভাই ছিল।
- চ: হস্তিনাপুরে ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর শাসনের পরে যুধিষ্ঠির ও দ্রৌপদী সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। যদিও তাদের পরে সিংহাসনে আরোহণ করেন অর্জুন ও সুভদ্রার পৌত্র পরীক্ষিৎ।
ভাইদের জন্ম ক্রমটি সঠিকভাবে পারিবারিক বংশতালিকায় প্রদর্শিত হয়েছে (বাম থেকে ডানে)। কেবল ব্যাস এবং ভীষ্ম, যাদের জন্মের ক্রম মহাভারতের কোথাও বর্ণিত হয়নি- সেটি সঠিক ভাবে দেখানো যায়নি। অম্বিকা এবং অম্বালিকা দুই সহোদরা হলেও এই তালিকায় তা দেখানো হয়নি। কর্ণ, যুধিষ্ঠির এবং ভীমের জন্মের পরে দুর্যোধনের জন্ম হয়েছিল, তবে বাকী পাণ্ডব ভাইদের জন্মের আগেই।
এখানে দেখানো চরিত্রদের কিছু ভাইবোনকে স্পষ্টতার জন্য বাদ দেওয়া হয়েছে; এর মধ্যে রয়েছে বিদুর, পাণ্ডু এবং ধৃতরাষ্ট্রের সৎ ভাই।
মহাকাব্য সাহিত্য অনুসারে কুরু সম্রাট ও রাজাদের তালিকা
সম্পাদনাখ্রিস্টপূর্ব ১২০০ - ১০০০ বিসি | খ্রিস্টপূর্বাব্দ১০০০ - ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ |
|
আরও দেখুন
সম্পাদনা- কুরু সম্পর্কিত
- রাজা কুরু, পুরুবংশ
- উত্তর কুরু , উত্তর কুরু রাজ্য
- মহাভারত সংক্রান্ত আরও তথ্যাদি
- আধুনিক প্রত্নতত্ত্বর আলোতে বৈদিক যুগ
- সেমেটারি এইচ সংস্কৃতি
- পেন্টেদ গ্রে ওয়ার সংস্কৃতি
- প্রাচীন ভারত ও মহাজনপদ
- আধুনিক অঞ্চল
- হরিয়ানা
- রাজস্থান
- উত্তরপ্রদেশ
নোট
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Pletcher 2010, পৃ. 63।
- ↑ Witzel 1995, পৃ. 6।
- ↑ ক খ গ Witzel 1995।
- ↑ James Heitzman, The City in South Asia (Routledge, 2008), pp.12-13
- ↑ "District Kaushambi, Uttar Pradesh, India : Home"। kaushambhi.nic.in। ১৩ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-০৮।
- ↑ "History of Art: Visual History of the World"। www.all-art.org। ২০১৬-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-০৮।
- ↑ Michael Witzel (1990), "On Indian Historical Writing"
- ↑ The flooding of Hastinapura and the transfer of the capital to Kaushambi is only mentioned in semi-legendary accounts dating to the post-Vedic era, e.g., Puranas and Mahabharata, whereas Vedic-era texts only mention the invasion of Kurukshetra by the Salva tribe as the cause for the decline of the Kurus.[৭]
- ↑ Political History of Uttar Pradesh ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ মে ২০১২ তারিখে; Govt of Uttar Pradesh, official website.
- ↑ Singh, U. (2009), A History of Ancient and Mediaeval India: From the Stone Age to the 12th Century, Delhi: Longman, p. 18-21, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৩১৭-১৬৭৭-৯
- ↑ Witzel 1995, p.17 footnote 115
- ↑ Michael Witzel (1990), "On Indian Historical Writing", p.9 of PDF