গ্ল্যামারগন কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব
গ্ল্যামারগন কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ঘরোয়া অবকাঠামোয় পরিচালিত আঠারোটি প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্লাবগুলোর অন্যতম। গ্ল্যামারগন (মোরগাঙ্গ) ঐতিহাসিক কাউন্টির প্রতিনিধিত্বকারী দল এটি। ১৮৮৮ সালে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতেই ক্ষুদ্রতর মর্যাদা ধরে রাখে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপের শুরুরদিকে অভিজাত সদস্য ছিল। ১৯২১ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে যোগদান করে। দলটি প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদার বাইরে চলে যায়। এরপর থেকে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের প্রত্যেক শীর্ষপর্যায়ের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছে।[১]
একদিনের ম্যাচ নাম | গ্ল্যামারগন | |||
---|---|---|---|---|
কর্মীবৃন্দ | ||||
অধিনায়ক | ক্রিস কুক | |||
ওডিআই অধিনায়ক | ক্রিস কুক(লিস্ট এ) কলিন ইনগ্রাম (টি২০) | |||
কোচ | ম্যাথু মেনার্ড | |||
বিদেশি খেলোয়াড় | শন মার্শ মার্নাস ল্যাবাশান | |||
দলের তথ্য | ||||
প্রতিষ্ঠা | ১৮৮ | |||
স্বাগতিক মাঠ | সোফিয়া গার্ডেন্স | |||
ধারণক্ষমতা | ১৬,০০০ | |||
ইতিহাস | ||||
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | সাসেক্স ১৯২১ সালে কার্ডিফ আর্মস পার্ক | |||
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ জয় | ৩ | |||
প্রো ৪০/সিবি৪০ জয় | ৩ | |||
এফপি ট্রফি জয় | ০ | |||
টুয়েন্টি২০ কাপ/এফপিটি২০ জয় | ০ | |||
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | গ্লামারগনক্রিকেট.কম | |||
|
গ্ল্যামারগন ওয়েলসের একমাত্র প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ক্লাব। দলটি ১৯৪৮, ১৯৬৯ ও ১৯৯৭ সালের ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটভূক্ত সকল আন্তর্জাতিক দলকে পরাজিত করেছে। তন্মধ্যে, ১৯৬৪ ও ১৯৬৮ সালে উপর্যুপরী সফরে অস্ট্রেলিয়া দলকেও পরাভূত করতে পেরেছে। সীমিত ওভারের খেলায় দলটি গ্লামারগন নামে পরিচিত। খেলোয়াড়দের পোশাকের রঙ নীল ও হলুদ।
কার্ডিফভিত্তিক ক্লাবটি তাদের অধিকাংশ খেলাই টাফ নদীর তীরে অবস্থিত সোফিয়া গার্ডেন্সে আয়োজন করে থাকে। এছাড়াও, সোয়ানসী, কলিন বে ও ক্রেসেলিয়েতে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস
সম্পাদনা৬ জুলাই, ১৮৮৮ তারিখে কার্ডিফের অ্যাঞ্জেল হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় গ্লামারগন সিসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়।
এরপর থেকে অনেকগুলো বছর ক্লাবটি মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে থাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর তারা প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা লাভের জন্যে আবেদন করে।
১৮-২০ মে, ১৯২১ তারিখে কার্ডিফ আর্মস পার্কে সাসেক্সের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়। ফলশ্রুতিতে দলটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের ১৭শ দল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। এন.ভি.এইচ. রিচেস ঐ খেলায় নেতৃত্ব দেন। ২৩ রানে জয়ী হয় গ্লামারগন দল। ঐ গ্রীষ্মে তারা আর একটিমাত্র খেলায় বিজয়ী হয়েছিল। ১৪ খেলায় পরাভূত হয়ে উডেন স্পুন লাভ করে।
সম্মাননা
সম্পাদনাপ্রথম একাদশ সম্মাননা
সম্পাদনা- কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ (৩): ১৯৪৮, ১৯৬৯, ১৯৯৭
- সানডে/ন্যাশনাল লীগ (৩): ১৯৯৩, ২০০২, ২০০৪
- মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপ (০)
- যৌথভাবে (১): ১৯০০
দ্বিতীয় একাদশ সম্মাননা
সম্পাদনা- দ্বিতীয় একাদশ চ্যাম্পিয়নশীপ (২): ১৯৬৫, ১৯৮০
রেকর্ড
সম্পাদনা
গ্ল্যামারগনের পক্ষে সর্বাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান
|
গ্ল্যামারগনের পক্ষে সর্বাধিক প্রথম-শ্রেণীর উইকেট
|
দলীয় রেকর্ড
- দলীয় সর্বোচ্চ: ৭১৮/৩ডি. ব সাসেক্স, কলিন বে, ২০০০
- প্রতিপক্ষীয় সর্বোচ্চ: ৭১২, নর্দাম্পটনশায়ার, নর্দাম্পটন, ১৯৯৮
- দলীয় সর্বনিম্ন: ২২ ব ল্যাঙ্কাশায়ার, লিভারপুল, ১৯২৪
- প্রতিপক্ষীয় সর্বনিম্ন: ৩৩, লিচেস্টারশায়ার, এব ভ্যাল, ১৯৬৫
ব্যাটিং
- ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ: ৩০৯*, এস. পি. জেমস, কলিন বে, ২০০০
প্রতি উইকেটে সেরা জুটি
উইকেট | রান | ব্যাটসম্যান | প্রতিপক্ষ | স্থান | সাল |
---|---|---|---|---|---|
১ম | ৩৭৪ | ম্যাথু এলিয়ট - স্টিভ জেমস | সাসেক্স | কলিন বে | ২০০০ |
২য় | ২৫২ | ম্যাথু মেনার্ড - ডেভিড হেম্প | নর্দাম্পটনশায়ার | সোফিয়া গার্ডেন্স | ২০০২ |
৩য় | ৩১৩ | অ্যাম্রিস ডেভিস - উইলি জোন্স | এসেক্স | ব্রেন্টউড | ১৯৪৮ |
৪র্থ | ৪২৫* | আদ্রিয়ান ডেল - ভিভ রিচার্ডস | মিডলসেক্স | সোফিয়া গার্ডেন্স | ১৯৯৩ |
৫ম | ২৬৪ | মরিস রবিনসন - স্ট্যান মন্টগোমারি | হ্যাম্পশায়ার | বোর্নমাউথ | ১৯৪৯ |
৬ষ্ঠ | ২৪০ | জিম অ্যালেনবি - মার্ক ওয়ালেস | সারে | দ্য ব্রিট ওভাল | ২০০৯ |
৭ম | ২১১ | টনি কটি - অটিস গিবসন | লিচেস্টারশায়ার | সোয়ানসী | ১৯৯৬ |
৮ম | ২০২ | ডাই ডেভিস - জো হিলস | সাসেক্স | ইস্টবোর্ন | ১৯২৮ |
৯ম | ২০৩* | জো হিলস - জনি ক্লে | ওরচেস্টারশায়ার | সোয়ানসী | ১৯২৯ |
১০ম | ১৪৩ | টেরি ডেভিস - সিমন ড্যানিয়েলস | গ্লুচেস্টারশায়ার | সোয়ানসী | ১৯৮২ |
উৎস:[৪] |
বোলিং
- ইনিংসে সেরা বোলিং: ১০/৫১, জে. মার্সার ব ওরচেস্টারশায়ার, ওরচেস্টার, ১৯৩৬
- খেলায় সেরা বোলিং: ১৭/২১২, জে. সি. ক্লে ব ওরচেস্টারশায়ার, সোয়ানসী, ১৯৩৭
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ACS (১৯৮২)। A Guide to First-Class Cricket Matches Played in the British Isles। Nottingham: ACS।
- ↑ "Most runs for Glamorgan"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Most wickets for Glamorgan"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Highest partnership for each wicket for Glamorgan"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১২।
আরও দেখুন
সম্পাদনাআরও পড়ুন
সম্পাদনা- H S Altham, A History of Cricket, Volume 1 (to 1914), George Allen & Unwin, 1962
- Derek Birley, A Social History of English Cricket, Aurum, 1999
- Rowland Bowen, Cricket: A History of its Growth and Development, Eyre & Spottiswoode, 1970
- Roy Webber, The Playfair Book of Cricket Records, Playfair Books, 1951
- Playfair Cricket Annual – various editions
- Wisden Cricketers' Almanack – various editions