অ্যালান ওয়াটকিন্স
আলবার্ট জন ওয়াটকিন্স (ইংরেজি: Allan Watkins; জন্ম: ২১ এপ্রিল, ১৯২২ - মৃত্যু: ৩ আগস্ট, ২০১১) মন্মাউথশায়ারের আস্ক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সময়কালে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আলবার্ট জন ওয়াটকিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | আস্ক, মন্মাউথশায়ার, ওয়েলস | ২১ এপ্রিল ১৯২২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩ আগস্ট ২০১১ কিডারমিনস্টার, ওরচেস্টারশায়ার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৮৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৩৮) | ১৪ আগস্ট ১৯৪৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ জুলাই ১৯৫২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ জুলাই ২০১৭ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অ্যালান ওয়াটকিন্স। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে মিডিয়াম থেকে ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। কাছাকাছি এলাকায় দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন বিশেষতঃ ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগ অঞ্চলে।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনামন্মাউথশায়ারের আস্ক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়াটকিন্স তার সপ্তদশ জন্মদিনের তিন সপ্তাহ পর ১৯৩৯ সালে গ্ল্যামারগনের পক্ষে অভিষিক্ত হন। এরপরই শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘনঘটা। বিশ্বযুদ্ধে রয়্যাল নেভিতে ফায়ারফাইটার হিসেবে যোগদান করেন।[২] গ্ল্যামারগনের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। কাউন্টি দলটির পক্ষ ১৯৬১ সাল পর্যন্ত ৩৯ বছর বয়সে খেলেছেন তিনি। ১৯৪৮ সালে গ্ল্যামারগন দল তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে শিরোপা জয় করে। ঐ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
কার্ডিফ সিটি ও প্লাইমাউথ আর্জিল দলের পক্ষে ফুটবল খেলায় অংশ নেন।[৩]
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালে অ্যাশেজ সিরিজে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। এরফলে গ্ল্যামারগনের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অ্যাশেজ টেস্টে অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেন তিনি। তবে, সফরটি সুখকর হয়নি তার। ১৪ আগস্ট, ১৯৪৮ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে অ্যালান ওয়াটকিন্সের। ঐ টেস্টে ০ ও ৭ রান তুলেন তিনি। রে লিন্ডওয়ালের বলে কাঁধে গুরুতর আঘাত পান ও কেবলমাত্র চার ওভার বোলিং করতে পেরেছিলেন অ্যালান ওয়াটকিন্স।
১৯৫১-৫২ মৌসুমে এমসিসি দলের সদস্যরূপে ভারত ও পাকিস্তান এবং ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ‘এ’ দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান গমন করেন। এরপর ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে কমনওয়েলথ দলের সদস্য হিসেবে ভারত ও পাকিস্তান সফর করলেও আঘাতের কারণে শুরুরদিকেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল।
মূল্যায়ন
সম্পাদনাএমসিসি দলের সাথে সফল সফরের প্রেক্ষিত তাকে ‘বর্ষসেরা ভারতীয় ক্রিকেটাররূপে’ নামাঙ্কিত করা হয়। তন্মধ্যে দিল্লি টেস্টে দীর্ঘ নয় ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করে ১৩৭* রানে অপরাজিত থাকেন যা তার সর্বোচ্চ টেস্ট রান ছিল।
নিজ দেশের তুলনায় বিদেশেই অধিক সফলতা পেয়েছেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৫ টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন অ্যালান ওয়াটকিন্স। তন্মধ্যে, তেরো টেস্টই বিদেশের মাটিতে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছেন। দুইটি সেঞ্চুরি করেছেন। ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে জোহেন্সবার্গে ১১১[৪] ও এর তিন বছর পর দিল্লিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩৭ রান তুলেন। দেশে পাঁচ টেস্টে অংশ নিলেও পঞ্চার্ধ্ব কোন ইনিংস উপহার দিতে পারেননি।
কাউন্টি পর্যায়ের ক্রিকেটে প্রকৃত অল-রাউন্ডারের মর্যাদা পেয়েছেন। মাঝারিসারির রক্ষণধর্মী ব্যাটসম্যান ও মিডিয়াম-ফাস্ট সুইং বোলিং করতেন। কিন্তু, টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে কেবলমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবেই অংশ নিয়েছেন। তবে, টেস্ট অভিষেকে বোলিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন তিনি।
অবসর
সম্পাদনাহাঁপানি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ১৯৬২ মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ছেড়ে দেন। বিদ্যালয় পর্যায়ের ক্রিকেটে সফলতম কোচের মর্যাদা পান। তন্মধ্যে আউন্ডল স্কুল ও ফ্রামলিংহাম কলেজ অন্যতম। এছাড়াও কার্ডিফ সিটি ও প্লাইমাউথ আর্জিলের পক্ষ ফুটবল খেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি।
৩ আগস্ট, ২০১১ তারিখে ৮৯ বছর বয়সে ওরচেস্টারশায়ারের কিডমিনস্টার এলাকায় স্বল্পকালীন অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে তার দেহাবসান ঘটে।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 184। আইএসবিএন 1-869833-21-X।
- ↑ Wisden 2012, pp. 228–29.
- ↑ "Plymouth Argyle : 1946/47 - 2008/09 ; at Newcastlefans.com"। ২০১০-১২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-২৯।
- ↑ "4th Test, England [Marylebone Cricket Club] tour of South Africa at Johannesburg, Feb 12-16 1949"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Allan Watkins dies aged 89"। ESPNcricinfo। ৪ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১১।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অ্যালান ওয়াটকিন্স (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অ্যালান ওয়াটকিন্স (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)