ডন শেফার্ড
ডোনাল্ড জন শেফার্ড (ইংরেজি: Don Shepherd; জন্ম: ১২ আগস্ট, ১৯২৭ - মৃত্যু: ১৮ আগস্ট, ২০১৭) গ্ল্যামারগনের পোর্ট আইনন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ওয়েলসীয় বংশোদ্ভূত প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৭২ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডোনাল্ড জন শেফার্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পোর্ট আইনন, গ্ল্যামারগন, ওয়েলস | ১২ আগস্ট ১৯২৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৮ আগস্ট ২০১৭ | (বয়স ৯০)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | শেপ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম পেস/অফ-ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫০–১৯৭২ | গ্ল্যামারগন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এফসি অভিষেক | ২৯ এপ্রিল ১৯৫০ গ্ল্যামারগন বনাম সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষএফসি | ২৫ আগস্ট ১৯৭২ গ্ল্যামারগন বনাম সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এলএ অভিষেক | ১২ জুন ১৯৬৩ গ্ল্যামারগন বনাম ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ এলএ | ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ গ্ল্যামারগন বনাম ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ আগস্ট ২০১৭ |
দলে তিনি মূলতঃ ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার ছিলেন। ডানহাতে বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি। কাউন্টি দলটির অন্যতম সেরা বোলারদের একজন ছিলেন ‘শেপ’ ডাকনামে পরিচিত ডন শেফার্ড। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২১.৩২ গড়ে ২,২১৮ উইকেট দখল করেছেন যা টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত যে-কোন খেলোয়াড়দের তুলনায় অধিক।[২]
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১৯৫০ সালের শুরুতে ২৩ বছর বয়সে গ্ল্যামারগনের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় সারের বিপক্ষে তার অভিষেক হয়। ২৯ এপ্রিল, ১৯৫০ তারিখে অনুষ্ঠিত খেলাটিতে প্রতিপক্ষ ছিল সারে দল। ঐ একই খেলায় জিম ম্যাককোননেরও অভিষেক ঘটেছিল।
১৯৫২ সাল থেকে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন তিনি। ঐ মৌসুমেই ১২০ উইকেট পান।[৩] পরবর্তী তিন মৌসুমে কম সফলতা পান ও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে শুরু করেন। দলীয় সঙ্গীদের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে ১৯৫৫ সালের শেষদিকে অফ-কাটার - অফ-ব্রেক বোলিং করতে থাকেন যা অনেকটা মিডিয়াম পেস বোলিং আকৃতির। এ স্থানান্তরের ফলে তাৎক্ষণিকভাবে সফলতা পান। ১৯৫৬ মৌসুমে ১৭৭ উইকেট পান যা ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট মৌসুমের যে-কোন খেলোয়াড়ের তুলনায় সর্বোচ্চ ছিল। সর্বমোট ১২ মৌসুমে শতাধিক উইকেটের সন্ধান পেয়েছেন।[৪]
খেলার ধরন
সম্পাদনামরা উইকেটে প্রাণের সঞ্চার করতে পারতেন তিনি। বোলিং উপযোগী উইকেটে নিখুঁত ও গতির সংমিশ্রণে মিতব্যয়ী বোলারে রূপান্তরিত হতেন তিনি। চল্লিশের মাঝামাঝি সময়কাল পর্যন্ত শারীরিক সক্ষমতা ধরে রাখেন। ১৯৬৯ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী গ্ল্যামারগন দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন শেফার্ড। ১৯৭০ সালেও এ ধারা অব্যাহত রাখেন। ১০৬ উইকেট পান তিনি যা ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় যে-কোন খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি ছিল।
অর্জনসমূহ
সম্পাদনাকাউন্টি ক্রিকেটে চমকপ্রদ সাফল্যের প্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা পান তিনি।[৫] প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৩ বছর অতিবাহিত করেন। এ সময়ে খেলা ২৮বার দশ বা ততোধিক উইকেট এবং ইনিংসে ১২৩বার পাঁচ উইকেট লাভ করেছেন তিনি।[৪]
প্রকৃত র্যাবিটধারী জেফ জোন্স, অসি হুইটলি’র ন্যায় খেলোয়াড় থাকলেও শেফার্ড কিছুটা উপরের দিকে ব্যাটিং করতে নামতেন। ইনিংসে তার ব্যাটিং গড় ১০-এর কম ছিল। মাত্র পাঁচবার অর্ধ-শতক করতে পেরেছেন। তাস্বত্ত্বেও বড় ধরনের শট মারতে পটু ছিলেন। ১৯৬১ সালে সোয়ানসিতে অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে মাত্র ১৫ মিনিটে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন তিনি। এরজন্য তিনি মাত্র ১১ বল খরচ করেন যাতে ছয়টি ছক্কা, তিনটি চার, একটি দুই ও একটি এক রান ছিল।[৪] একই সালে কার্ডিফে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন। ছয়টি ছক্কার মারে ১৬ মিনিটেই অর্ধ-শতক করেন।[৬] ১৯৬৪ সালে সোয়ানসিতে অস্ট্রেলিয়া একাদশকে হারানো গ্ল্যামারগনের পক্ষে নয় উইকেট পান।[৭] ১৯৬৮ সালে আবারো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ী খেলায় তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
অবসর
সম্পাদনা১৯৭১ সালের শেষ পর্যন্ত নিয়মিতভাবে খেলতেন। ১৯৭২ সালে কয়েকটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের পর অবসর নেন। গ্ল্যামারগনের খেলাগুলো বিবিসি রেডিও ওয়েলসে সম্প্রচারকালে প্রায়শঃই তিনি বিশ্লেষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন।
৯০তম জন্মদিনের অব্যবহিত পরই ১৮ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে তার দেহাবসান ঘটে।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ CricketArchive – Glamorgan Players. Retrieved 15 January 2014.
- ↑ "First-class Records, Bowling"। Wisden Cricketers' Almanack (2009 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 155।
- ↑ "Five Cricketers of the Year"। Wisden Cricketers' Almanack (1970 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 70।
- ↑ ক খ গ Frindall, Bill (২০০৯)। Ask Bearders। BBC Books। পৃষ্ঠা 167–168। আইএসবিএন 978-1-84607-880-4।
- ↑ "Wisden Cricketers of the Year"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১।
- ↑ Wisden 1962, p. 401.
- ↑ "Don Shepherd, the pride of Welsh cricket"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Don Shepherd: Glamorgan great dies aged 90
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডন শেফার্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডন শেফার্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)