মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ

মহিলাদের প্রাচীনতম ও প্রধান একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (ডব্লিউওডিআই) প্রতিযোগিতা
(মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে পুনর্নির্দেশিত)

আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ (ইংরেজি: ICC Women's Cricket World Cup) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপে মহিলাদের প্রাচীনতম ও প্রধান একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (ডব্লিউওডিআই) প্রতিযোগিতাবিশেষ। এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতাটি ক্রিকেট পরিচালনাকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃক পরিচালিত হয়। প্রকৃতপক্ষে ১৯৫৮ সালে মহিলাদের ক্রিকেট সংস্থারূপে গঠিত আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেট কাউন্সিল (আইডব্লিউসিসি) কর্তৃক মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেট পরিচালিত হতো। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেট কাউন্সিল একীভূত হওয়ায় আইসিসি’র উপর এ প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্বভার হস্তান্তরিত হয়।[] পুরুষদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দুই বছর পূর্ব থেকে ১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার প্রচলন শুরু হয়। শুরুর দিকে গভীর আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছিল। এরফলে বেশকিছু দেশ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অস্বীকার করে ও সর্বোচ্চ ছয় বছরের ব্যবধানে পরবর্তী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবারও নজির রয়েছে। তবে, ২০০৫ সালের বিশ্বকাপ থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ
২০১৭ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের লোগো
ব্যবস্থাপকআন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)
খেলার ধরনডব্লিউওডিআই
প্রথম টুর্নামেন্ট১৯৭৩,  ইংল্যান্ড
শেষ টুর্নামেন্ট২০২২,  নিউজিল্যান্ড
দলের সংখ্যা(তালিকা নিচে দেখুন)
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া (৭ম শিরোপা)
সর্বাধিক সফল অস্ট্রেলিয়া (৭টি শিরোপা)
সর্বাধিক রাননিউজিল্যান্ড ডেবি হকলি (১,৫০৫)
সর্বাধিক উইকেটভারত ঝুলন গোস্বামী (৫৫)

এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দশটি বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা পাঁচটি ভিন্ন দেশে আয়োজন করা হয়। তন্মধ্যে ভারতে সর্বাধিক তিনবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০০ সালের আসর থেকে আটটি দলকে রাখা হয়েছে। পূর্ববর্তী ১৯৯৭ সালের আসরে রেকর্ডসংখ্যক এগারো দল অংশ নেয়। অস্ট্রেলিয়া সর্বাধিক সফলতম দলের মর্যাদা পায়। তারা ছয়বার শিরোপা জয় করে। কেবলমাত্র তিনবার তারা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপরেই রয়েছে ইংল্যান্ড দল। তারা চারবার ও নিউজিল্যান্ড একবার শিরোপা লাভ করে। অন্যদিকে ভারতওয়েস্ট ইন্ডিজ একবার চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হলেও অদ্যাবধি শিরোপা জয় করতে পারেনি।

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। ২৮-৩১ ডিসেম্বর, ১৯৩৪ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট খেলায় ইংল্যান্ড দল জয় তুলে নেয়।[] পরের বছর নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্ট খেলে। ১৯৬০ সালে পর্যন্ত কেবলমাত্র ঐ তিন দেশই মহিলাদের ক্রিকেটে একমাত্র টেস্টভূক্ত দল ছিল। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি খেলায় অংশ নেয়।[]

১৯৬২ সালে ইংল্যান্ডের প্রথম-শ্রেণীর দলগুলো সীমিত ওভারের খেলায় প্রথমবারের মতো অংশ নেয়।[] এর নয় বছর পর পুরুষদের ক্রিকেটে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়াইংল্যান্ডের মধ্যে প্রথমবারের মতো একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।[]

১৯৭১ সালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্যার জ্যাক হেওয়ার্ডের উদ্যোগে মহিলাদের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়।[] বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বর্ণবৈষম্যবাদের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা দলকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয় নাই।[] অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড - উভয়েই টেস্টখেলুড়ে দেশ হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যে আমন্ত্রিত হয়। হেওয়ার্ড ইংল্যান্ডের নারীদের নিয়ে পূর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্যে পরিচালনাকারীর দায়িত্ব পান। এ অঞ্চল থেকে জ্যামাইকা এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সংখ্যা ঠিক রাখতে ইয়ং ইংল্যান্ডবিশ্ব একাদশ গঠন করা হয়।[] বিশ্ব একাদশে অন্তর্ভুক্তির জন্য পাঁচ দক্ষিণ আফ্রিকান নারী ক্রীড়াবিদকে অংশগ্রহণের জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হলেও পরবর্তীকালে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।[]

১ম মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ১৯৭৩

সম্পাদনা

১৯৭৩ সালের জুন-জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে মহিলা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসর অনুষ্ঠিত হয়।[] এ প্রতিযোগিতাটি পুরুষদের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার দুই বছর পূর্বে আয়োজিত হয়।[]

রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলো একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। পূর্ব নির্ধারিত শেষ খেলাটি ছিল ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া দলের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়া পয়েন্ট তালিকায় সামান্য ব্যবধানে শীর্ষে অবস্থান করে।[][] তারা চার খেলায় জয় ও একটি খেলা পরিত্যক্ত হয়। ইংল্যান্ডও সমানসংখ্যক জয় পেলেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায়। ফলে এ ম্যাচটি অলিখিতভাবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের পর্যায়ে দাঁড়ায়। বার্মিংহামের এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এ খেলায় ইংল্যান্ড ৯২ রানের জয় পায় ও প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নধারী দলের মর্যাদা পায়।[১০]

৯ম মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ২০০৯

সম্পাদনা

বিশ্বকাপের এ প্রতিযোগিতাটি মার্চ, ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে আটটি দেশের মহিলা জাতীয় ক্রিকেট দল অংশ নিয়েছিল। নর্থ সিডনি ওভালে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় ইংল্যান্ড চার উইকেটের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ড মহিলা দলকে পরাভূত করে শিরোপা জয় করে।

১০ম মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ২০১৩

সম্পাদনা

সাম্প্রতিককালের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতাটি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আটটি দেশের মহিলা জাতীয় ক্রিকেট দল অংশ নিয়েছিল। বোম্বেতে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় অস্ট্রেলিয়া ১১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা দলকে পরাভূত করে ৬ষ্ঠ বারের মতো শিরোপা জয় করে।[১১][১২]

প্রতিযোগিতার ধরন

সম্পাদনা

মহিলা বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার মূল পর্বে আটটি দল অংশ নেয়। মূল পর্বে খেলার জন্য বিশ্বের ১৫টি বিভিন্ন দল খেলেছে। কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মহিলা দল প্রত্যেকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। ভারতের মহিলা দলটি দু’টি বিশ্বকাপ বাদে সবগুলোতে খেলেছে। এ চারটি দলই কেবল মহিলা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছে। ১৯৭৩ সালের বিশ্বকাপে জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং ইয়ং ইংল্যান্ড দল একবারের জন্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।

বছর অনুযায়ী

সম্পাদনা
চূড়ান্ত খেলার বিবরণী
সাল আয়োজক দেশ মাঠ বিজয়ী ফলাফল রানার-আপ
১৯৭৩   ইংল্যান্ড এজবাস্টন, বার্মিংহাম   ইংল্যান্ড
২৭৯/৩ (৬০ ওভার)
ইংল্যান্ড ৯২ রানে বিজয়ী   অস্ট্রেলিয়া
১৮৭/৯ (৬০ ওভার)
১৯৭৮   ভারত লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়াম, হায়দরাবাদ   অস্ট্রেলিয়া
১০০/২ (৩১.৩ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে বিজয়ী   ইংল্যান্ড
৯৬/৮ (৫০ ওভার)
১৯৮২   নিউজিল্যান্ড ল্যাঙ্কাস্টার পার্ক, ক্রাইস্টচার্চ   অস্ট্রেলিয়া
১৫২/৭ (৫৯ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে বিজয়ী   ইংল্যান্ড
১৫১/৫ (৬০ ওভার)
১৯৮৮   অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন   অস্ট্রেলিয়া
১৯২/২ (৪৪.৫ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে বিজয়ী   ইংল্যান্ড
১২৭/৭ (৬০ ওভার)
১৯৯৩   ইংল্যান্ড লর্ড’স, লন্ডন   ইংল্যান্ড
১৯৫/৫ (৬০ ওভার)
ইংল্যান্ড ৬৭ রানে বিজয়ী   নিউজিল্যান্ড
১২৮ (৫৫.১ ওভার)
১৯৯৭   ভারত ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা   অস্ট্রেলিয়া
১৬৫/৫ (৪৭.৪ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে বিজয়ী   নিউজিল্যান্ড
১৬৪ (৪৯.৩ ওভার)
২০০০   নিউজিল্যান্ড বার্ট সাটক্লিফ ওভাল, লিঙ্কন   নিউজিল্যান্ড
১৮৪ (৪৮.৪ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৪ রানে বিজয়ী   অস্ট্রেলিয়া
১৮০ (৪৯.১ ওভার)
২০০৫   দক্ষিণ আফ্রিকা সুপারস্পোর্ট পার্ক, সেঞ্চুরিয়ন   অস্ট্রেলিয়া
২১৫/৪ (৫০ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ৯৮ রানে বিজয়ী   ভারত
১১৭ (৪৬ ওভার)
২০০৯   অস্ট্রেলিয়া নর্থ সিডনি ওভাল, সিডনি   ইংল্যান্ড
১৬৭/৬ (৪৬.১ ওভার)
ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে বিজয়ী   নিউজিল্যান্ড
১৬৬ (৪৭.২ ওভার)
২০১৩   ভারত ব্রাবোর্ন স্টেডিয়াম, মুম্বাই   অস্ট্রেলিয়া
২৫৯/৭ (৫০ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ১১৪ রানে বিজয়ী   ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৪৫ (৪৩.১ ওভার)
২০১৭   ইংল্যান্ড লর্ড’স, লন্ডন   ইংল্যান্ড
২২৮/৭ (৫০ ওভার)
ইংল্যান্ড ৯ রানে জয়ী   ভারত
২১৯ (৪৮.৪ ওভার)
২০২২   নিউজিল্যান্ড হ্যাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চ   অস্ট্রেলিয়া
৩৫৬/৬ (৫০ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ৭১ রানে জয়ী   ইংল্যান্ড
২৮৫ (৪৩.৪ ওভার)
২০২৫   ভারত

দল অনুযায়ী

সম্পাদনা
নির্দেশিকা
  • ১ম – চ্যাম্পিয়ন
  • ২য় – রানার্স-আপ
  • ৩য় – ৩য় স্থান
  • এসএফ – সেমি-ফাইনালে পরাজিত (তৃতীয় স্থান নির্ধারণ নেই)
  • কিউএফ – কোয়ার্টার-ফাইনালে পরাজিত (কোন স্থান নির্ধারণ নেই)
  • ১আর - প্রথম রাউন্ড
  •     — স্বাগতিক দল
দল  
১৯৭৩
 
১৯৭৮
 
১৯৮২
 
১৯৮৮
 
১৯৯৩
 
১৯৯৭
 
২০০০
 
২০০৫
 
২০০৯
 
২০১৩
 
২০১৭
 
২০২২
সর্বমোট
  অস্ট্রেলিয়া ২য় ১ম ১ম ১ম ৩য় ১ম ২য় ১ম ৪র্থ ১ম এসএফ ১ম ১১
  বাংলাদেশ ৭ম
  ইংল্যান্ড ১ম ২য় ২য় ২য় ১ম এসএফ ৫ম এসএফ ১ম ৩য় ১ম ২য় ১১
  নিউজিল্যান্ড ৩য় ৩য় ৩য় ৩য় ২য় ২য় ১ম এসএফ ২য় ৪র্থ ৫ম ৬ষ্ঠ ১১
  ভারত ৪র্থ ৪র্থ ৪র্থ এসএফ এসএফ ২য় ৩য় ৭ম ২য় ৫ম
  ডেনমার্ক ৭ম ১০ম
  আয়ারল্যান্ড ৪র্থ ৫ম কিউএফ ৭ম ৮ম
  নেদারল্যান্ডস ৫ম ৮ম কিউএফ ৮ম
  পাকিস্তান ১১শ ৬ষ্ঠ ৮ম ৮ম ৮ম
  দক্ষিণ আফ্রিকা কিউএফ এসএফ ৬ষ্ঠ ৭ম ৬ষ্ঠ এসএফ এসএফ
  শ্রীলঙ্কা কিউএফ ৬ষ্ঠ ৭ম ৮ম ৫ম ৭ম
  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬ষ্ঠ ১আর ৫ম ৫ম ২য় ৬ষ্ঠ এসএফ
বিলুপ্ত দল
আন্তর্জাতিক একাদশ ৪র্থ ৫ম
  জ্যামাইকা ৬ষ্ঠ
  ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ৫ম
  ইয়ং ইংল্যান্ড ৭ম

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ

সম্পাদনা
বছর দল
১৯৭৩   অস্ট্রেলিয়া,   ইংল্যান্ড,   নিউজিল্যান্ড, আন্তর্জাতিক একাদশ,   জ্যামাইকা,   ত্রিনিদাদ ও টোবাগো,   ইয়ং ইংল্যান্ড
১৯৭৮   ভারত
১৯৮৮   আয়ারল্যান্ড,   নেদারল্যান্ডস
১৯৯৩   ডেনমার্ক,   ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৯৭   পাকিস্তান,   দক্ষিণ আফ্রিকা,   শ্রীলঙ্কা
২০২২   বাংলাদেশ
  • † বর্তমানে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অধিকার নেই।
  • ‡ বিলুপ্ত দল।

পুরস্কার

সম্পাদনা

প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়

সম্পাদনা
বছর খেলোয়াড়
১৯৮৮   ক্যারল হজেস (৩৩৬ রান/১২ উইকেট)
১৯৯৩
১৯৯৭
২০০০   লিসা কাইটলে (৩৭৫ রান)
২০০৫   কারেন রোল্টন (২৪৬ রান)
২০০৯   ক্লেয়ার টেলর (৩২৪ রান)
২০১৩   সুজি বেটস (৪০৭ রান)
২০১৭   তামসিন বিউমন্ট (৪১০ রান)
২০২২   এলিসা হিলি (৫০৯ রান)

রেকর্ড

সম্পাদনা
বিশ্বকাপ রেকর্ড
ব্যাটিং
সর্বাধিক রান ডেবি হকলি   নিউজিল্যান্ড ১৫০১ ১৯৮২-২০০০ [১৩]
সর্বোচ্চ গড় (কমপক্ষে ১০ ইনিংস) কারেন রোল্টন   অস্ট্রেলিয়া ৭৪.৯২ ১৯৯৭-২০০৯ [১৪]
সর্বোচ্চ রান বেলিন্ডা ক্লার্ক   অস্ট্রেলিয়া ২২৯* ১৯৯৭ [১৫]
সর্বোচ্চ জুটি তামসিন বিউমন্ট - সারাহ টেইলর   ইংল্যান্ড ২৭৫ ২০১৭ [১৬]
প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক রান এলিসা হিলি   অস্ট্রেলিয়া ৫০৯ ২০২২ [১৭]
বোলিং
সর্বাধিক উইকেট ঝুলন গোস্বামী   ভারত ৪৩ ২০০৫-২০২২ [১৮]
সর্বনিম্ন গড় (কমপক্ষে ৫০০ বল ডেলিভারি) ক্যাটরিনা কিনান   নিউজিল্যান্ড ৯.৭২ ১৯৯৭-২০০০ [১৯]
সেরা বোলিং পরিসংখ্যান জ্যাকি লর্ড   নিউজিল্যান্ড ৬/১০ ১৯৮২ [২০]
প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক উইকেট লিন ফুলস্টন   অস্ট্রেলিয়া ২৩ ১৯৮২ [২১]
ফিল্ডিং
সর্বাধিক ডিসমিসাল (উইকেট-রক্ষক) জেন স্মিট   ইংল্যান্ড ৪০ ১৯৯৩-২০০৫ [২২]
সর্বাধিক ক্যাচ (ফিল্ডার) জেনেট ব্রিটিন   ইংল্যান্ড ১৯ ১৯৮২-১৯৯৭ [২৩]
দলগত
সর্বোচ্চ রান   অস্ট্রেলিয়া (ব ডেনমার্ক) ৪১২/৩ ১৯৯৭ [২৪]
সর্বনিম্ন রান   পাকিস্তান (ব অস্ট্রেলিয়া) ২৭ ১৯৯৭ [২৫]
সর্বাধিক জয় %   অস্ট্রেলিয়া ৮৭.০৭ [২৬]
সর্বাধিক জয়   অস্ট্রেলিয়া ৭৭ [২৭]
সর্বাধিক পরাজয়   ভারত ৩০ [২৮]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ""Women's Cricket". International Cricket Council. Retrieved 2009-11-22."। ২০০৯-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-০৭ 
  2. Heyhoe Flint & Rheinberg (1976), pp. 175–180.
  3. Williamson, Martin (৯ এপ্রিল ২০১১)। "The low-key birth of one-day cricket"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১২ 
  4. Williamson, Martin (২২ জুন ২০১০)। "The birth of the one-day international"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১২ 
  5. Heyhoe Flint & Rheinberg (1976), p. 168.
  6. "World Cups 1926–1997"। Women's Cricket History। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১২ 
  7. "Women's World Cup, 1973 / Results"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১২ 
  8. Baker, Andrew (২০ মার্চ ২০০৯)। "England women's cricketers aiming to lift World Cup for third time"The Daily Telegraph। London: Telegraph Media Group। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১২ 
  9. "Women's World Cup 1973 Table"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১২ 
  10. "21st Match: England Women v Australia Women at Birmingham, Jul 28, 1973"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১২ 
  11. "WWC 2013: Australia are champions of the world"। Wisden India। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  12. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  13. "Records / Women's World Cup / Most runs"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  14. "Records / Women's World Cup / Highest averages"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  15. "Records / Women's World Cup / High scores"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  16. "Records / Women's World Cup / Highest partnerships by runs"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  17. "Records / Women's World Cup / Most runs in a series"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  18. "Records / Women's World Cup / Most wickets"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  19. "Women's World Cup / Best averages"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৫ 
  20. "Records / Women's World Cup / Best bowling figures in an innings"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  21. "Records / Women's World Cup / Most wickets in a series"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  22. "Records / Women's World Cup / Most dismissals"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  23. "Records / Women's World Cup / Most catches"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  24. "Records / Women's World Cup / Highest totals"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  25. "Records / Women's World Cup / Lowest totals"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  26. "Records / Women's World Cup / Result summary"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  27. "Records / Women's World Cup / Result summary"। ESPNcricinfo। ৩১ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  28. "Records / Women's World Cup / Result summary"। ESPNcricinfo। ৩১ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 

গ্রন্থপঞ্জী

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা